আজঃ সোমবার ২২ ডিসেম্বর, ২০২৫

কুষ্টিয়ায় ট্রেনের ধাক্কা লাফিয়ে বাঁচলেন যুবদল নেতা।

হৃদয় রায়হান কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী রেলপথের কুমারখালী রেলস্টেশনের পূর্বপ্রান্তে অবস্থিত ফুলতলা মোড়ে সুন্দরবন এক্সপ্রেসের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে এক যুবদল নেতা আহত হয়ে হাসপাতালের চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এছাড়াও পাশে থাকা আরও একটি মোটরসাইকেল দুমড়েমুচড়ে গেছে।

রোববার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে এই ঘটনা ঘটে। মোড়টি কলেজ মোড় নামেও পরিচিত। এটি কুমারখালী শহর, উপজেলা পরিষদ চত্বর, থানা, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও সাপ্তাহিক হাটে যাতায়াতের বিকল্প সড়কের মোড়। মোড়ের পাশেই কুমারখালী সরকারি কলেজের অবস্থান।

স্থানীয়রা জানান, এই মোড় দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে। তবে গুরুত্বপূর্ণ এই মোড়ে নেই রেলগেট, গেটম্যান কিংবা সাইনবোর্ড বা পাহারাদার। ফলে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে গিয়ে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। সুস্থ ও নিরাপদে চলাচলের জন্য দ্রুত রেলগেট স্থাপনের দাবি জানান স্থানীয়রা।

দুর্ঘটনায় আহত যুবদল নেতার নাম মো. শহিদুল ইসলাম (৪০)। তিনি উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতি ও হাসিমপুর গ্রামের মৃত সামছুদ্দিনের ছেলে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

ঠাকুরগাঁওয়ে ৮৫জন ‍কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে জিংক ধানের বীজ বিতরণ।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

পুষ্টিসমৃদ্ধ জিংক ধানের সম্প্রসারণে ঠাকুরগাঁওয়ে ৮৫জন কৃষককে প্রশিক্ষণ প্রদান শেষে তাদের মাঝে বিনামূল্যে জিংক ধানের ভিত্তি বীজ বিতরণ করা হয়েছে।

রবিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার রাতোর ইউনিয়নের বাংলাগড় কলেজ মাঠে প্রশিক্ষণ ও বীজ বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে ইএসডিও ও বাস্তবায়ন করে আন্তর্জাতিক খাদ্যনীতি গবেষণা ইনস্টিটিউট (IFPRI) হারভেস্ট প্লাস প্রোগ্রামের রিঅ্যাক্টস- ইন প্রকল্প।

প্রশিক্ষণ প্রদান অনুষ্ঠানে রাণীশংকৈল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ শফিউল আলমের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন, রাতোর ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা, ইএসডিও রিএক্টস-ইন প্রজেক্ট এর প্রজেক্ট ফোকাল কৃষিবিদ মোঃ আশরাফুল আলম, প্রজেক্ট অফিসার মোঃ মিজানুর রহমান ও ইএসডিও এর অন্যান্য কর্মকর্তাগণ। এসময় বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।


মানবদেহে জিংকের উপকারিতা, অভাবজনিত লক্ষণ ও জিংকের ঘাটতি মেটানোর উপায়সহ জিংক সমৃদ্ধ ধান ও গমের বিভিন্ন জাত, তাদের উৎপাদন প্রযুক্তি বিষয়ে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হয়। অংশগ্রহণকারীরা আলোচনায় স্বতস্ফুর্ত ভাবে অংশগ্রহণ করেন এবং জিংক ধান ও গম কে মানুষের হাতের নাগালে পৌঁছাতে তাঁরা এর উৎপাদন ও এই বিষয়ে সাধারণ মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করে যাবেন মর্মে দৃঢ়তা প্রকাশ করেন।

প্রশিক্ষণ প্রদান শেষে ৮৫ জন কৃষককে ৪ কেজি করে মোট ৩৪০ কেজি পুষ্টিসমৃদ্ধ জিংক ধানের ব্রি ধান-১০২ জাতের ভিত্তি ধান বীজ বিতরণ করা হয়।

কুষ্টিয়ায় গড়াই নদীতে আকস্মিক ভাঙন, আতঙ্কিত বাসিন্দারা।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

তোমারে চাচা চলে গেছে (মারা গেছেন) সেই মেলা দিন। এহেনে (এখানে) ৩০ বছর ধরে বাস করছি। তয় আগে কোনোদিন এ্যাম্বা (এভাবে) ভাঙা দেখিনি। কিছুক্ষণ পর পরই পাড় ভাঙে ঢপ্পাস করে পড়ছে। কখন জানি ঘরখানায় ভাঙে যায় এ ভয়ে আছি।’

আক্ষেপ করে কথা গুলো বলছিলেন কুষ্টিয়ার কুমারখালী পৌরসভায় তেবাড়িয়া এলাকার মৃত সেকেন্দার আলীর স্ত্রী মদিনা খাতুন (৬২)। তার ভাষ্য, নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। এ বছর চর জেগেছে নদীর মাঝে। কিনারা দিয়ে স্রোত গড়ছে। আর পাড় ভেঙে ভেঙে পড়ছে। দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি তার।

জানা গেছে, গড়াই নদীর কূল ঘেঁষে কুমারখালী পৌরসভা ও উপজেলা শহর অবস্থিত। ১৮৬৯ সালে গঠিত প্রথম শ্রেণির এ পৌরসভায় প্রায় ৬০ হাজার মানুষের বসবাস। পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের তেবাড়িয়ার শহীদ গোলাম কিবরিয়া সেতু থেকে ৯ নম্বর ওয়ার্ডের আগ্রাকুণ্ডা পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার এলাকায় বাঁধ নেই। এর মধ্যে সেখানে ভাঙন শুরু হয়েছে। গেল এক সপ্তাহে প্রায় ৩০ বিঘা ফসলসহ কৃষি জমি ও নদীপাড় ভেঙে চলে গেছে নদীতে। এখন পর্যন্ত তাৎক্ষণিক কোনো ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ। এতে হুমকিতে পড়েছে প্রায় ৫০ বিঘা কৃষিজমি ও অন্তত ৩০০টি পরিবারের মানুষ।

স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রতিবছর নদী শাসন করে পাউবো। তবে গেল চার-পাঁচ বছরে তেবাড়িয়া-আগ্রাকুণ্ডা এলাকায় কোনো কাজ হয়নি। ফলে নদীর মাঝে চর জেগেছে। আর পানির স্রোত গড়ছে পাড়ের কিনারা দিয়ে। এতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। তারা দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, তেবাড়িয়া শহীদ গোলাম কিবরিয়া সেতু থেকে আগ্রাকুণ্ডা এলাকার কৃষক ছেইমান শেখের বাড়ি পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার গড়াই নদীর পাড়। নদী থেকে প্রায় ১০০ মিটার দূর দিয়ে চলে গেছে সিসিঢালাই সড়ক। সড়ক ঘেঁষে কয়েক শত কাঁচাপাকা বাড়ি। বাড়ি পিছনে অবস্থিত নদীপাড়ে সরিষা, ভূট্টা, তিল, পেঁয়াজসহ হরেক চাষাবাদ করা হয়েছে। শুকনো নদীর মাঝ দিয়ে জেগেছে চর। কিনারা দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে পানি। থেমে থেমে ভেঙে পড়ছে নদীরপাড়।

এ সময় আগ্রাকুন্ডু গ্ৰামের কৃষক সেইমান শেখ বলেন, বহুবছর পর নদীতে ভাঙন লেগেছে। ফসলসহ অন্তত ৩০ বিঘা জমি গেল সাতদিনে নদীগর্ভে চলে গেছে। এখন বসতবাড়ি নিয়ে খুব দুশ্চিন্তায় পড়েছি। সরকারি লোকজন এসে ঘুরে গেছেন। তবে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় ভাঙন অব্যাহত রয়েছে।

তেবাড়িয়া শেরকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি মোশাররফ হোসেন বলেন, নদীপাড়ে ২২ শতাংশ জমিতে হাইব্রিড ঘাসের চাষ রয়েছে। নদী ভাঙতে ভাঙতে প্রায় ঘাসের কাছে চলে এসেছে। স্থায়ী সমাধানের জন্য দ্রুত বাঁধ নির্মাণ করা দরকার।

খবর পেয়ে নদী ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কুষ্টিয়া পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী রাশিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, এ মুহূর্তে বাঁধ নির্মাণ বা ভাঙন রোধের কোনো সরকারি বরাদ্দ নেই। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ