এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

চট্টগ্রাম নগর পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী শহিদুল ইসলাম বুইশ্যাকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭ এর সদস্যরা। রোববার রাত ১টার দিকে দুই নম্বর গেট ফিনলে স্কয়ার মার্কেটের সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল ও ৯ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
শহিদুল ইসলাম বুইশ্যা (৩৫) ভোলা জেলার দৌলতখান থানার ভাণ্ডারী বাড়ির মোহাম্মদ আলীর ছেলে। বর্তমানে তিনি চট্টগ্রাম নগরের পাঁচলাইশ থানার পশ্চিম ষোলশহর এলাকার বদিউল আলম গলিতে বসবাস করেন।
জানা গেছে, শহীদুল ইসলাম ওরফে বুইস্যার বাড়ি ভোলার দৌলতখান থানায়। তিনি মোহাম্মদ আলীর ছেলে।

বর্তমানে তিনি চট্টগ্রাম নগরের পশ্চিম ষোলোশহর এলাকায় বসবাস করতেন। শিক্ষাজীবনে প্রাথমিকের গণ্ডিও পেরোতে পারেননি তিনি। অপরাধজীবনের শুরুতে তিনি চুরি ও ছিনতাই করতেন। পরে মাদক কারবারে জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে হাতে তুলে নেন আগ্নেয়াস্ত্র। কিশোর গ্যাং গড়ে তুলে চাঁদাবাজি ও মাদক কারবারে নিজের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করেন। আধিপত্য ধরে রাখতে তিনি প্রায় ৩০ জনের একটি নিজস্ব সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তোলেন।চাঁদা আদায় ও এলাকায় প্রভাব বিস্তারে কথায় কথায় প্রকাশ্যে গুলি ছোড়া ছিল তার বাহিনীর নিত্যদিনের ঘটনা। বহদ্দারহাট এলাকায় তিনি একটি ‘টর্চার সেল’ও গড়ে তোলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। চান্দগাঁও ও পাঁচলাইশ এলাকার মানুষের কাছে দীর্ঘদিন ধরে আতঙ্কের নাম ছিল এই সন্ত্রাসী বুইস্যা।
র্যাব-৭ চট্টগ্রামের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক স্কোয়াড্রন লিডার মো. মিজানুর রহমান জানান, বুইস্যাকে গ্রেফতারের জন্য দীর্ঘদিন ধরে গোয়েন্দা নজরদারি চলছিল। এরইমধ্যে শহীদুল ইসলাম ওরফে বুইস্যা মোটরসাইকেলযোগে ফিনলে সাউথ সিটি শপিং মল এলাকায় আসছে বলে খবর পায়। সে অনুযায়ী সেখানে অবস্থান নেয় র্যাবের একটি দল।
তিনি বলেন, র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে বুইস্যা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় তাকে ধরতে গেলে তিনি ধস্তাধস্তি করে তার কাছে থাকা অস্ত্র বের করার চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে র্যাব সদস্যরা তাকে নিরস্ত্র করার সময় তিনি পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত পান। পরে তাকে গ্রেপ্তার করে চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।













