আজঃ সোমবার ২২ ডিসেম্বর, ২০২৫

তারেক রহমানই হবেন জনগণের কাঙ্খিত বাংলাদেশ গড়ার স্থপতি।

চট্টগ্রাম ব্যুরো:

১৬নং চকবাজার ওয়ার্ড বিএনপির মতবিনিময় সভায় আবু সুফিয়ান

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

চট্টগ্রাম-৯ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক আবু সুফিয়ান বলেছেন, পতিত আওয়ামী লীগ যারা বাংলাদেশকে ভারতের করদরাজ্যে করতে চেয়েছিল তারা আজ গুপ্তহত্যায় মেতে উঠেছে। নির্বাচনকে ভন্ডুল করতে তারা আবারোও পুরোনো কায়দায় দেশে ভীতিকর ও নৈরাজ্যকর পরিবেশ সৃষ্টি করছে। দেশকে অস্থিতিশীল করে তারা বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়।

তারা চায়না গণতন্ত্র ফিরে আসুক। জনগণ তার অধিকার ফিরে পাক। বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ একটি মর্যাদাশীল রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হোক। তাই দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রের স্বার্থে সবাইকে এক কাতারে আসতে হবে। দেশী-বিদেশী সকল ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে গণতন্ত্রের পথে এগিয়ে যেতে হবে। গণতন্ত্রের পথে যারাই বাধা হয়ে আসবে তাদেরকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ করতে হবে। আওয়ামী সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বুলেটের জবাব ব্যালটের মাধ্যমে দিতে হবে।

রবিবার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নগরীর কাপাসগোলা এলাকায় ১৬নং চকবাজার ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছর পর আগামী ২৫শে ডিসেম্বর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করবেন। গোটা জাতি তার অপেক্ষায় রয়েছে। দেশের এই চরম ক্রান্তিলগ্নে তিনি দেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে রেখেছেন। তারেক রহমান সুযোগ্য নেতৃত্বে গণতন্ত্রের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে। জনগণের প্রত্যাশা, তাঁর সুচিন্তিত কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে বিধ্বস্ত বাংলাদেশকে অতী দ্রুত সেরে উঠবে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে জনগণ যে নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখছে, তারেক রহমানই হবেন সে সাম্য, মানবিক ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশের স্থপতি।

চকবাজার থানা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক মঞ্জুর আলম এর সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, সদস্য আনোয়ার হোসেন লিপু, মো. মহসিন, সালাউদ্দিন কায়সার লাভু, রমজু মিয়া, খালেদ সাইফুল্লাহ। এম এ হালিম বাবলুর পরিচালনায় বক্তব্য দেন শফিকুল আলম, মো. বকতেয়ার, জাহেদুল আলম জাকু, এম এ হামিদ, আবু আহমেদ, এস এম আবু ছালেহ, নকীব উদ্দিন ভূইয়া, জহিরুল আলম, হাজী মহিউদ্দিন, লুৎফর নেছা, নাজমা বেগম, আলী হায়দার বাবু, নুরুল আলম শিপু, ওসমান গনি লিটন, জসিম উদ্দিন, মো. আনাস, আলাউদ্দিন আলো, রাহাতউল্লাহ রবিন, এমরান হোসেন লিটন, বাপ্পী দে, আমির খসরু রাজু, আলমগীর, ওসমান, ইব্রাহিম প্রমুখ।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

চট্টগ্রাম-৪ আসনে বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তন আসলাম চৌধুরীর মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড-আকবরশাহ) আসনে বিএনপির ঘোষিত প্রার্থী কাজী সালাউদ্দিনের পরিবর্তে মোহাম্মদ আসলাম চৌধুরী এফসিএ চুড়ান্ত হয়েছে। রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ঘোষিত সম্ভাব্য প্রার্থীদের নিয়ে শেষদিনের বৈঠকে এ আসনে বিএনপির ঘোষিত প্রার্থী কাজী সালাউদ্দিনের পরিবর্তে ডাকা হয়েছে লায়ন মোহাম্মদ আসলাম চৌধুরীকে। বৈঠকে ডাকার মধ্য দিয়ে চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড-আকবরশাহ) আসনে বিএনপির লায়ন আসলাম চৌধুরীর মনোনয়ন চূড়ান্ত হলো বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম বলেন, রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ঘোষিত সম্ভাব্য প্রার্থীদের নিয়ে বিএনপি প্রশিক্ষণ কর্মশালা আয়োজন করেছে। এতে প্রধান অতিথি হিসাবে ভার্চুয়ালি দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নানা দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন।

সাংগঠনিক সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড-আকবরশাহ) আসনে বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তন হয়েছে। এ আসনে গত ৩ নভেম্বর প্রথম দফায় ঘোষিত বিএনপির প্রার্থী কাজী সালাউদ্দিনের পরিবর্তে এবার লায়ন মোহাম্মদ আসলাম চৌধুরীকে চূড়ান্ত মনোনয়ন দিয়েছে দল।
এদিকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল চট্টগ্রাম-৪ আসনের বিএনপি মনোনীত মোহাম্মদ আসলাম চৌধুরী এফসিএ এর পক্ষে রিটার্নিং কমকর্তার কার্যালয় থেকে মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছে নেতৃবৃন্দরা। রোববার সকালে

চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় থেকে আসলাম চৌধুরীর পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহকালে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা ডাঃ কমল কদর, মোঃ জহুরুল আলম জহুর, মোহাম্মদ মোরসালিন, জাকির হোসেন, সালেহ আহম্মদ সলু, আব্দুস সাত্তার সেলিম, মাইনুদ্দিন চৌধুরী, রেহান উদ্দিন প্রধান, রফিক আহম্মদ, মাহবুবুল আলম, মোহাম্মদ সেলিম, মোজাহের উদ্দিন আশরাফ, নুরুল আনোয়ার চেয়ারম্যান, ফজলুল করিম চৌধুরী, সাহাব উদ্দিন রাজু, সোলায়মান রাজ, হেলাল উদ্দিন বাবর, মোঃ সাহাব উদ্দিন, মোঃ ইব্রাহিম, এডভোকেট নাছিমা আক্তার ডলি, এডভোকেট আইনুল কামাল, মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, অমলেন্দু কনক, আসলাম উদ্দিন, মোঃ জিয়া উদ্দিন, মোঃ বখতিয়ার উদ্দিন, মোঃ শাহেদ, মোঃ ইসমাইল, মোঃ কামরুল ইসলাম বাবলু প্রমূখ।

এ সময় নেতৃবন্দ উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আসলাম চৌধুরী সীতাকুন্ড তথা চট্টগ্রাম-৪ আসনের মাঠি ও মানুষের জনপ্রিয় নেতা। পরিচ্ছন্ন ও মানবিক মানুষ হিসেবে তিনি জনপ্রিয়তার অনন্য চূড়ায় অবস্থান করছেন। এ আসনের মানুষ তাকে বিপুল ভোটে জয়যুক্ত করবে ইনশাল্লাহ। এখানে কোনো ভেদাভেদ বা কোন্দল নেই। সীতাকুন্ড তথা চট্টগ্রাম-৪ আসনে বিএনপি আসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ।

জানা গেছে, গত ৩ নভেম্বর প্রথম দফায় ২৩৬টি আসনে এবং ৪ ডিসেম্বর আরও ৩৬টি আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণা করে বিএনপি। ফলে মোট ২৭২টি আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে দলটি। গত বুধবার থেকে ধারাবাহিকভাবে তিনদিন সম্ভাব্য প্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপি। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নানা দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন। গত শনিবার ছিল এই বৈঠকের শেষদিন।

এদিকে, চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর, পতেঙ্গা, ডবলমুরিং, ইপিজেড ও সদরঘাট) এবং চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ ও সাতকানিয়া-আংশিক) আসন দুটিতে এখনও প্রার্থী ঘোষণা করেনি বিএনপি। দুই দফায় চট্টগ্রামের ১৬ আসনের মধ্যে ১৪টিতে প্রার্থী ঘোষণা করলেও এ দুই আসনে প্রার্থী ঘোষণা দেয়নি দলটি। এ দুই আসনের প্রার্থিতা নিয়ে জল্পনা-কল্পনার শেষ নেই। তাতে সম্ভাব্য মনোনয়নপ্রত্যাশীদের ঘুম হারাম অবস্থা এখন। এ দুই নির্বাচনী আসনে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা হতে পারে। তাতেই অপেক্ষা করছে চমকের। এ নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ চলছে। হিসাব মেলাতে ব্যস্তসময় পার করছেন রাজনৈতিক বোদ্ধারাও।

বিএনপির একাধিক নেতার সাথে কথা বলে জানা গেছে, চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর, পতেঙ্গা, ডবলমুরিং, ইপিজেড ও সদরঘাট) আসনটি দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর নিজ আসন। তবে তিনি এবার মনোনয়ন পান চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং-পাহাড়তলী-হালিশহর-খুলশী) আসনে। আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ছাড়াও চট্টগ্রাম-১০ আসনে বিএনপি থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমানের পুত্র তরুণ রাজনীতিবিদ ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী পাট শ্রমিক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাঈদ আল নোমান এবং মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী।

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী চট্টগ্রাম-১০ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পাওয়ায় বর্তমানে চট্টগ্রাম-১১ আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী হলেন দুই বিএনপি নেতা। তারা হলেন- বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপকমিটির সদস্য ইসরাফিল খসরু ও নগর বিএনপির সদস্যসচিব নাজিমুর রহমান। তাছাড়া চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ ও সাতকানিয়া-আংশিক) আসনটি নিজেদের শরিক এলডিপিকে ছেড়ে দিতে পারে বিএনপি। এক্ষেত্রে এলডিপি’র প্রার্থী হতে পারেন দলটির সভাপতি ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীর বিক্রমের পুত্র অধ্যাপক ওমর ফারুক।

তিনি এলডিপির প্রেসিডিয়াম সদস্য। এর আগে ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীর বিক্রম নিজে আর নির্বাচন করবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন। তাই বিএনপি আসনটি এলডিপিকে ছেড়ে দিলে সেখানে অধ্যাপক ওমর ফারুকের নির্বাচন করার সম্ভাবনা উজ্জ্বল। তবে এ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী রয়েছেন বেশ কয়েকজন। তারা হলেন- বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক ডা. মহসিন জিল্লুর করিম, দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক ও চন্দনাইশ উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক নুরুল আনোয়ার চৌধুরী, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এডভোকেট নাজিম উদ্দিন চৌধুরী এবং বিএনপি নেতা শফিকুল ইসলাম রাহী সিআইপি।

চট্টগ্রামের ১৬টি সংসদীয় আসনের মধ্যে দুই দফায় ইতোপূর্বে বিএনপির ১৪ আসনের ঘোষিত প্রার্থীরা হলেন- চট্টগ্রাম-১ (মিরসরাই) নুরুল আমিন চেয়ারম্যান, চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) সরোয়ার আলমগীর, চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপ) মোস্তফা কামাল পাশা, চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড-আকবরশাহ) কাজী সালাউদ্দিন, চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী ও বায়েজিদ) ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী, চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া) হুম্মাম কাদের চৌধুরী, চট্টগ্রাম-৮ (চান্দগাঁও, বোয়ালখালী ও পাঁচলাইশ-আংশিক) এরশাদ উল্লাহ, চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালী-বাকলিয়া) আবু সুফিয়ান, চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং-পাহাড়তলী-হালিশহর-খুলশী) আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) এনামুল হক এনাম, চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা-কর্ণফুলী) সরওয়ার জামাল নিজাম, চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) নাজমুল মোস্তাফা আমিন এবং চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) মিশকাতুল ইসলাম চৌধুরী পাপ্পা।

মরহুম হাদির জন্য মোনাজাতে শাহবাগে জনতার ঢল।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মরহুম হাদির জন্য মোনাজাতে শাহবাগে জনতার ঢল।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ