আজঃ বৃহস্পতিবার ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৫

বায়েজিদে যুবলীগ নেতা গ্যারেজ বাবুল আটক।

প্রেস রিলিজ

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

চট্টগ্রাম মহানগরী থেকে যুবলীগের এক নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। তার নাম মো. বাবুল হোসেন প্রকাশ গ্যারেজ বাবুল (৪০)। সে বায়েজিদে যুবলীগের নেতা বলে জানা গেছে। গত মঙ্গলবার রাতে তকে কান্টনমেন্ট এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করে বায়েজিদ থানার এসআই জসিম বলেন, আটক বাবুল ২-নং জালালাবাদ ওয়ার্ডের আরফিন নগর মাঝির গোনা এলাকার মৃত শাহ জাহানের ছেলে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

রাউজানে হিন্দু বাড়িতে আগুন দেয়ায় জড়িতদের তথ্য দিলে পুরস্কার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

চট্টগ্রামের রাউজানে দরজা আটকে বসত বাড়িতে আগুন দেওয়ার সঙ্গে জড়িতদের ধরিয়ে দিতে আর্থিক পুরস্কার ঘোষণা করেছে পুলিশ। উপজেলার সুলতানপুর ৫ নম্বর ওয়ার্ডে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি পরিদর্শন করে চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি আহসান হাবিব পলাশ এ পুরস্কার ঘোষণা করেন। তবে কত টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে তা বলা হয়নি।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের গণশুনানি।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলার খুদুকখালী গ্রামের মরহুম মালেকুজ্জামানের ছেলে স্কুলশিক্ষক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ। গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর তিনি স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে চান্দগাঁও থানার অন্তর্গত শমসেরপাড়া এলাকার চট্টগ্রাম প্রাইভেট ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি হন।

চান্দগাঁও থানার খাজা রোডের একটি ভাড়া বাসায় বসবাসরত আবুল কালাম আজাদ হাসপাতালে এক সপ্তাহ ভর্তি থাকার পর বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষায় চিকিৎসকরা জানান, তিনি কিডনি, ডায়াবেটিস ও হৃদরোগে আক্রান্ত। স্ট্রোকের কারণে তার বাম পা প্রায় অবশ হয়ে গেছে। বর্তমানে প্রতিদিন তাকে থেরাপি নিতে হচ্ছে।

চিকিৎসকদের ভাষ্যমতে, স্ট্রোকের ফলে তার গলার খাদ্যনালি ও ফুসফুসে গুরুতর আঘাত লাগে। এ কারণে প্রায় এক মাস ধরে নাকের ভেতর নল দিয়ে নরম ও তরল জাতীয় খাবার গ্রহণ করতে হচ্ছে। এসব ছাড়া তিনি অন্য কোনো খাবার খেতে পারছেন না। প্রায় ৮–৯ বছর ধরে হাইস্কুলে শিক্ষকতা করা আবুল কালামের দুই ছেলে বর্তমানে কলেজে অধ্যয়নরত।চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আজীবন তাকে নিয়মিত ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী ওষুধ সেবন করতে হবে। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি হওয়ায় তার অসুস্থতায় পরিবারে চরম আর্থিক সংকট দেখা দেয়।

ফলে চিকিৎসা ও ছেলেদের পড়াশোনা ব্যাহত হলে শিক্ষক আবুল কালাম দ্বারে দ্বারে সাহায্যের আশায় ঘুরে বেড়ান। তবে বেশিরভাগ জায়গায় তিনি নিরাশ হন।
আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সারাদেশে ‘মানবিক ডিসি’ হিসেবে পরিচিত চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞার সাপ্তাহিক গণশুনানিতে মানবিক আবেদন নিয়ে হাজির হন এই অসহায় শিক্ষক। তার দুর্দশার কথা শুনে জেলা প্রশাসক তাৎক্ষণিকভাবে পাশে দাঁড়ান।

এ বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে শিক্ষক আবুল কালাম বলেন, “ডিসি স্যারের ব্যবহার খুবই অমায়িক। তাকে আপাদমস্তক একজন ভদ্রলোক মনে হয়েছে।”
এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলামের মানবিক কার্যক্রমের কথা শুনে গণশুনানিতে হাজির হন কর্ণফুলী উপজেলার চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের খোয়াজনগর গ্রামের শিক্ষার্থী কে এম জয়নাল আবেদীন।

জয়নাল জানান, পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি তার পিতা ইসহাক আহমেদ বারী স্থানীয় একটি মসজিদের মুয়াজ্জিন। সম্প্রতি তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তার চিকিৎসা ব্যয় ও পরিবারের অন্যান্য খরচ বহন করা পরিবারের পক্ষে অসম্ভব হয়ে পড়ে। ফলে এইচএসসি পাস করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির অপেক্ষায় থাকা জয়নালের উচ্চশিক্ষার স্বপ্নও অনিশ্চয়তার মুখে পড়ে।

জেলা প্রশাসক জয়নালের করুণ অবস্থা শুনে তাৎক্ষণিক আর্থিক সহায়তা দেন এবং তাকে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। জেলা প্রশাসকের সহায়তা পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে জয়নাল বলেন, “আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মানবিক ডিসি জাহিদুল ইসলাম স্যারের কথা অনেক শুনেছি। আজ নিজে প্রমাণ পেলাম।
তিনি আরও বলেন, জেলা প্রশাসক ভবিষ্যতেও সহায়তা অব্যাহত রাখার আশ্বাস দিয়েছেন।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম বলেন, মানুষ গড়ার একজন শিক্ষক শুধু টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারবেন না—এটা জেলা প্রশাসক হিসেবে মেনে নেওয়া খুবই কষ্টকর।কলেজছাত্র জয়নালের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “তার পিতা একজন মুয়াজ্জিন । পিতার চিকিৎসা ও নিজের উচ্চশিক্ষা চালিয়ে নেওয়ার জন্য সে আমার সহায়তা চেয়েছিল।

তিনি আরও বলেন, “সরকারি বাজেট সীমিত হওয়ায় পর্যাপ্ত আর্থিক সহায়তা দেওয়া সবসময় সম্ভব না হলেও আমি চেষ্টা করি, যেন কোনো অসহায় নাগরিক সম্পূর্ণ নিরাশ হয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ত্যাগ না করেন।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ