আজঃ শুক্রবার ৫ ডিসেম্বর, ২০২৫

চট্টগ্রামে বিএনপি নেতা নাজিমের নেতৃত্বে নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ

চট্টগ্রাম অফিস:

চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করেছে ‘প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক ফোরাম’ নামে নতুন একটি রাজনৈতিক দল। রোববার (১৫ অক্টোবর)  চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সংগঠনটি আত্মপ্রকাশ করে। দলটির চেয়ারম্যানের দায়িত্বে আছেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক নেতা ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (চাকসু) ভিপি নাজিম উদ্দিন, মহাসচিব হয়েছেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট থেকে চাকসুর নির্বাচিত জিএস আজিম উদ্দিন।

নতুন এই রাজনৈতিক দলে বেশিরভাগ সদস্যই বিএনপির পদবঞ্চিত সাবেক নেতাকর্মীরা বলে দাবি করেছেন নাজিম উদ্দিন।
তবে বিএনপির নেতারা বলছেন, সরকারের ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে নির্বাচনের আগে আগে এই সংগঠন বানিয়ে নেতাকর্মীদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
লিখিত বক্তব্যে চাকসু ভিপি নাজিম বলেন, ‘দেশে কোনো সাংঘর্ষিক রাজনীতি আমরা চাই না। ভাঙচুর, গাড়ি পোড়ানো, মানুষ হত্যা, হরতাল-অবরোধ রাজনীতির কোনো ভাষা হতে পারে না।

 

‘বর্তমান উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সংকট থেকে পরিত্রাণের উপায় হিসেবে একটি গণতান্ত্রিক ধারার উন্মেষ সময়ের দাবি। তাই আমরা সমমনা, দীর্ঘদিনের আন্দোলন সংগ্রামের সহযোদ্ধারা একত্রিত হয়ে একটি ভিন্ন ধারার রাজনৈতিক প্লাটফরম গড়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। বর্তমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে এ উদ্যোগ ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে আমরা আশাবাদী,’ বলেন তিনি।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে নাজিম বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে দল ঘোষণার পর ঢাকায় কনভেনশন হবে নতুন দলের। সেখানে ১০১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির ঘোষণা করা হবে।’
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক নেতা ও সাবেক মন্ত্রী আরিফ মঈন উদ্দিন এ রাজনৈতিক দলে রয়েছেন বলে জানান তিনি। তবে নির্বাচনের আগে আগে নবগঠিত দলের নিবন্ধন কীভাবে হবে এর কোনো সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দেননি তিনি।

এ বিষয়ে নগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত বলেন, ‘সরকারের ইন্ধনে নির্বাচনের আগে আগে এই রকম দল ঘোষণা ষড়যন্ত্রের অংশ। বিএনপিকে বাদ দিয়ে এদেশে কোনো নির্বাচন হবে না। তারা এগুলো করে দলের নেতা কর্মীদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করলেও আমরা সবাই এক ও ঐক্যবদ্ধ আছি।’
‘যারা সেখানে গেছেন তারা দল থেকে দূরে আছেন, অনেকেই বহিস্কৃত, তাই দলের ভাবমূর্তি তাদের কাছে এখন কিছুই না। তবে নতুন দল দিয়ে নির্বাচন করানোর চেষ্টা সরকারের সফল হবে না,’ বলেন তিনি।

১৯৯০ সালে অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে জাতীয় ছাত্রলীগ থেকে ভিপি পদে নাজিম উদ্দিন এবং সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট থেকে জিএস পদে আজিম উদ্দিন বিজয়ী হন। এরপরে নাজিম বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত হন। তিনি চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আগের কমিটির সহসভাপতি ছিলেন। বর্তমান আহ্বায়ক কমিটিতে তাকে কোনো পদে রাখা হয়নি। পদে না থাকলেও দলের বিভিন্ন কর্মসূচিতে সক্রিয় ছিলেন। বিএনপি সূত্র জানায়, গত ৬ মাস তাকে কোনো দলীয় কর্মসূচিতে দেখা যায়নি।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

চট্টগ্রামে স্কুল ও দোকানে আগুন

চট্টগ্রাম মহানগরীর ইপিজেড থানাধীন কলসি দিঘির পাড় উত্তর রেল গেট এলাকায় একটি কেজি স্কুল ও পাশের দোকানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার ভোরে হযরত শাহ আলী কেজি স্কুল ও দোকানে আগুন লাগে।

সিইপিজেড ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার শাহাদাত হোসেন জানান, ভোরে খবর পেয়ে সোয়া ৬টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে। প্রায় ৪০ মিনিটের চেষ্টায় সকাল পৌনে ৭ টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকার মালামাল পুড়ে গেছে। তবে দ্রুত পদক্ষেপে প্রায় ৫ লাখ টাকার মালামাল উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। আগুনের সূত্রপাত কীভাবে হয়েছে, তা জানা যায়নি।

খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় হোসেনপুরে বিএনপি নেতার খাবার বিতরণ।

বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আশু রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায়-কিশোরগঞ্জের-হোসেনপুরে পাঁচশত অসহায় মানুষের মাঝে খাবার বিতরণ অনুষ্ঠ পৌর বিএনপির সভাপতি একে. এম. শফিকুল হক শফিকের উদ্যোগে নতুন বাজার মোড়ে অসহায় ও ছিন্নমূল মানুষের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক রফিকুল ইসলাম সেলিম, পৌর বিএনপির দপ্তর সম্পাদক ও সাবেক কমিশনার মাসুম বাবুল, পৌর ২ নং ওয়ার্ড সভাপতি আব্দুল খালেক, পৌর ৪নং ওয়ার্ড সভাপতি স্বপন মিয়া, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাই, পৌর ৮নং ওয়ার্ড সভাপতি আবুল কাশেম, উপজেলা জাসাসের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল মোল্লা, জেলা জাসাস সদস্য স্বপন মিয়া, পৌর সদস্য সচিব রিমন মিয়া, যুগ্ম আহবায়ক পৌর রুমান মিয়া,

পৌর বিএনপি নেতা সাইফুল ইসলাম, বিএনপি নেতা জজ মিয়াসহ পৌর বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা।এ সময় পাঁচ শতাধিক মানুষের হাতে খাবারের প্যাকেট তুলে দেয়া হয়। এ কর্মসূচিতে অবস্থিত অসহায় মানুষরা খাবার পেয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ