আজঃ শনিবার ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫

নির্বাচনী খবর চট্টগ্রাম:

চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে ঈগলের এজেন্ট ঢুকতে দিবো না, চেয়ারম্যান মুজিব।

এম মনির চৌধুরী রানা চট্টগ্রাম:

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে ঈগল প্রতীকের কোনো এজেন্ট কেন্দ্রে ঢুকতে দেবেন না বলে হুমকি দিয়েছেন চাম্বল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চৌধুরী। মঙ্গলবার উপজেলার ছনুয়া ইউনিয়নে নৌকার পক্ষে এক নির্বাচনী সভায় তিনি এই হুমকি দেন। এ ব্যাপারে রিটার্নিং কর্মকর্তা এবং জেলা পুলিশকে অভিযোগ করেন চট্টগ্রাম-১৬ বাঁশখালী আসনের ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মুজিবুর রহমান।এর আগে চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে হুমকি দিয়ে সমালোচিত হন।

এ ছাড়া গত বছর ইউপি নির্বাচনের সময় তিনি ইভিএমে নিজে টিপ মেরে জনগণের ভোট নিয়ে ফেলবেন বলে হুমকি দিয়েছিলেন। এরপর চাম্বল ইউনিয়নে ইউপি নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছিল। তাঁর বিরুদ্ধে মামলা ও হয়। মঙ্গলবার ছনুয়াতে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর পক্ষে এক নির্বাচনী সভায় প্রকাশ্যে ঈগলের এজেন্টদের কেন্দ্রে ঢুকতে দেবেন না বলে হুমকি দেন মুজিবুল হক। মুজিব তাঁর বক্তব্যে চট্টগ্রামের ভাষায় বলেন, ‘এজেন্ট ঢুকতে দেব না। বুঝতে পারবি বাঁশখালীর মুজিব চেয়ারম্যান কী জিনিস। তাঁর বক্তব্যের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

তাঁর এই বক্তব্যের বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে অভিযোগ করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মুজিবুর রহমান। অভিযোগে বলা হয়, তাঁর এই বক্তব্যের কারণে ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এটা নির্বাচনী আচরণবিধির লঙ্ঘন। তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। হুমকির প্রতিবাদে স্বতন্ত্র প্রার্থী মুজিবুর রহমানের পক্ষে আজ বেলা তিনটায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চৌধুরীকে গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে ঈগল প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে তাঁর প্রধান নির্বাচন সমন্বয়কারী আবদুর রাজ্জাক বক্তব্য দেন।

তিনি বলেন, ‘মুজিব চেয়ারম্যান অন্যায় করতে করতে এমন অবস্থায় পৌঁছেছেন যে তিনি মনে করেন তাঁর বিরুদ্ধে কেউ ব্যবস্থা নিতে পারবে না। তাই বারবার অন্যায় করে যাচ্ছেন। এখন নির্বাচনী এলাকায় প্রকাশ্যে হুমকি এবং উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে চলেছেন তিনি।’ সাংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মুজিবুর রহমানের সমর্থনকারী আওয়াল হোসেন ও রাহুল দাশ। এজেন্টদের ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে না দেওয়ার হুমকির প্রতিবাদে স্বতন্ত্র প্রার্থী মুজিবুর রহমানের পক্ষে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। বেলা তিনটায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে এজেন্টদের ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে না দেওয়ার হুমকির প্রতিবাদে স্বতন্ত্র প্রার্থী মুজিবুর রহমানের পক্ষে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

এ বিষয়ে বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তোফায়েল আহমেদ বলেন, ছনুয়া ইউনিয়নে এক নির্বাচনী সভায় মুজিবুল হক চেয়ারম্যান এ রকম একটা বক্তব্য দিয়েছেন। তাঁর ভিডিও আমার কাছে আছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ ছাড়া নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুরের অভিযোগে মুজিবের বিরুদ্ধে একটা মামলাও হয়েছে মঙ্গলবার। বক্তব্যের বিষয়ে জানতে মুজিবুল হক চৌধুরীকে ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। এদিকে চেয়ারম্যান মুজিবের বিরুদ্ধে জেলা পুলিশ থেকে রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবরে একটা প্রতিবেদন দেওয়া হয় বলে জানা গেছে।

তাতে মুজিবের অতীত কর্মকাণ্ড এবং সাম্প্রতিক উসকানিমূলক বক্তব্য তুলে ধরা হয়। তাতে বলা হয়, মুজিবের বক্তব্যটি ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। সাধারণ ভোটারদের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া লক্ষ করা যাচ্ছে। এর ফলে সুষ্ঠু, অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানে জনমনে ভীতি সঞ্চার হয়েছে, যা নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের শামিল। তার এ ধরনের বক্তব্যে স্থানীয় রাজনৈতিক মহলে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, পুলিশের পক্ষ থেকে একটি প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে আমাকে। এর ভিত্তিতে তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান জামায়াতে যোগ দিলেন

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে জামায়াতে যোগ দিয়েছেন সাবেক মন্ত্রী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান। শনিবার ১৩ ডিসেম্বর সকাল ৯টায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

জামায়াত আমিরের উপস্থিতিতে মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নীতি ও আদর্শ, দেশপ্রেম এবং দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর অবিচল অবস্থানের প্রতি গভীর আস্থা ও সন্তোষ প্রকাশ করেন। এ সময় তিনি সংগঠনের প্রাথমিক সহযোগী সদস্য ফরম পূরণ করে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান করেন।

আওয়ামিলীগের সাবেক পৌর কাউন্সিলর জুলফিকার মিয়ার বিএনপিতে যোগদান।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

লালমোহন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজী জুলফিকার মিয়া বিএনপিতে যোগদান করেছেন। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে তিনি ঢাকায় বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ভোলা-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ (বীর বিক্রম) এর বাসায় গিয়ে ফুল দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদান সম্পন্ন করেন।

এ সময় মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ তাকে দলে স্বাগত জানান। দলীয় একটি সূত্র বলছে, আগাম রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে সামনে রেখে জুলফিকার মিয়ার এই যোগদান বিএনপির স্থানীয় রাজনীতিতে নতুন উদ্দীপনা তৈরি করবে বলে সকলে মনে করছেন।

অন্যদিকে বিগত ফ্যাসিস্ট আমলে আওয়ামিলীগের এমপি নুরনবী চৌধুরী শাওন কর্তৃক নির্যাতিত, নিষ্পেষিত বিএনপির অনেক ত্যাগি নেতারা এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। নাম জানাতে অনিচ্ছুক এক নেতা বলেন- বিএনপির এমন দিন আসবে কখনো চিন্তাও করিনি। তবে কী আওয়ামিলীগ দিয়ে বিএনপির ত্যাগীদের আবার নির্যাতনের স্বীকার করতে চায় মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ? কেন আমরা এতদিন নির্যাতিত ছিলাম? এই দিন দেখার জন্য?

এ বিষয়ে জুলফিকার মিয়াকে একাধিকবার ফোন করলে তার মুঠো ফোনটি বন্ধ দেখায়। তবে স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে তার এই সিদ্ধান্ত ঘিরে আলোচনা সমালোচনার শুরু হয়েছে। কেউ কেউ মনে করছে; এভাবে আওয়ামিলীগ দ্বারা বিএনপি সাজাতে থাকলে ভোটের মাঠে এর প্রভাব বিস্তার করবে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ