আজঃ সোমবার ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫

নির্বাচনী খবর চট্টগ্রাম:

আমার লোকের ওপর হাত দিলে হাত কেটে ফেলবো, বাঁশখালীর ওসিকে এমপি মোস্তাফিজ।

এম মনির চৌধুরী রানা চট্টগ্রাম:

নানা কারনে-অকারনে বিতর্কিত বহু অপকর্মের হুতা
চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনের আ.লীগ দলীয় সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী এবার পুলিশের হাত কেটে ফেলবেন বলে বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি তোফায়েল কে হুমকি দিলেন।
একটি মুঠোফোন অডিও রেকর্ডে তাঁকে বলতে শোনা যায়, আমার কোনো লোকের ওপর যদি হাত দেয়, তাহলে হাত কেটে ফেলব কিন্তু, বলে দিলাম।

উপজেলার ছনুয়া ইউনিয়নে তাঁর লোককে ধরতে পুলিশ কেন পাঠানো হলো প্রশ্ন করে মুঠোফোনে হাত কেটে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। বুধবার সংসদ সদস্য ও ওসি তোফায়েল আহমেদের মধ্যে এই কথোপকথন হয় বলে স্থানীয় সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

বাঁশখালী থানার ওসি তোফায়েল আহমেদের সঙ্গে মোস্তাফিজুর রহমানের ৩ মিনিট ৪৩ সেকেন্ডের কথোপকথনের অডিও রেকর্ডটি গতকাল শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ওই কথোপকথনে সরল ইউনিয়নে সংসদ সদস্যের বাড়িতেও কেন পুলিশ গেছে, তার কৈফিয়তও চাওয়া হয় ওসির কাছে। পাশাপাশি নৌকার অনুসারী চাম্বল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চৌধুরীকেও যেন গ্রেপ্তার করা না হয়, এই হুঁশিয়ারিও ওসিকে দেন সংসদ সদস্য। মুজিবুল হক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক। গত বছর ইউপি নির্বাচনের প্রচারণার সময় ইভিএমে নিজে টিপ মেরে ভোট নিয়ে ফেলবেন বলে বিতর্কিত হয়েছিলেন। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে পেটানোর হুমকি দিয়ে আবার সমালোচিত হন।

সবশেষ কয়েক দিন আগে বাঁশখালীতে ভোটকেন্দ্রে ঈগলের কোনো এজেন্ট ঢুকতে দেবেন বলে বক্তব্য দেন প্রচারণার সময়। বাঁশখালী আসনে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী। এখানে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র হিসেবে মুজিবুর রহমান ও আবদুল্লাহ কবির প্রতিদ্বীতা করছেন। নৌকার সঙ্গে মুজিবুর রহমানের ঈগল প্রতীকের প্রতিদ্বীতা হবে বলে মনে করছেন ভোটাররা।

প্রচারণার শুরু থেকে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় প্রতীদ্বী প্রার্থীর মামলা গ্রহণ করায় ওসি তোফায়েলকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন মোস্তাফিজ। এই ঘটনায় ওসি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন। এবার ওসিকে ফোনে পুলিশের হাত কেটে ফেলার হুমকি দেন নৌকার প্রার্থী মোস্তাফিজ।ওসির সঙ্গে মোস্তাফিজুরের মুঠোফোন কথোপকথন তুলে ধরা হল-

মোস্তাফিজুর : ছনুয়া ইউনিয়নে এসআই হাফিজ (হাফিজুর রহমান) কেন গেছে?
ওসি : সে তো ২টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত থেকে চলে আসছে।
মোস্তাফিজুর : কী জন্য গেছে?
ওসি : ওটা তো আমাদের নিয়মিত ডিউটি করার জন্য। প্রত্যেক ইউনিয়নে একটা করে টিম যায়।
মোস্তাফিজুর : আমার কোনো লোকের ওপর যদি হাত দেয়, তাহলে হাত কেটে ফেলব কিন্তু। বলে দিলাম।
ওসি : দেবে না স্যার, আমি বলে দিচ্ছি।
মোস্তাফিজুর : ওখানে নাকি আমাদের লোকজন ধরার জন্য হাফিজ গেছে। আমাদের আলমগীর একটা আছে, তাকে খুঁজছে।
ওসি : না না স্যার ও তো নেই, ও অনেক আগে চলে আসছে।
মোস্তাফিজুর : এমনি ঘুরে-ফিরে, থাক অসুবিধা নেই। কিন্তু আমার কোনো লোকের ওপর হাত দিলে অসুবিধা হবে।
ওসি : অবশ্যই স্যার, আপনি যেভাবে বলবেন।
মোস্তাফিজুর : আপনি তো আমার ঘরেও পুলিশ পাঠিয়েছেন।
ওসি : স্যার আপনার সঙ্গে তো আমি কথা বললাম সেদিন। পুলিশ পাঠাইনি। আপনার বাড়িতে তো এমনি পুলিশ নিয়মিত যায়। ওখানে আপনার সঙ্গে ডিটেইল কথা বলছি। আরও আপনার সম্মান বাঁচানোর জন্য চেষ্টা করছি, এমপি সাহেবের বাড়িতে সাদা পোশাকে গেছে।
মোস্তাফিজুর : কী জন্য আসছিল?
ওসি : কোনো কারণে না। কাউকে ধরার জন্য নয়।
মোস্তাফিজুর : চাম্বলের মুজিবের (ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চৌধুরী) ওপরও যাতে কোনো রকমের ইয়ে না হয়। ও ওখানে যেন কাজ করতে পারে, খেয়াল রাখিও।
ওসি : হবে না স্যার। অবশ্যই স্যার।
এই কথোপকথনের ব্যাপারে ওসি তোফায়েল আহমেদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করে ও সম্ভব হয়নি। তিনি বারবার ফোন কেটে দেন। জানতে চাইলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) আবু তৈয়ব মো. আরিফ হোসেন বলেন, ‘আমি এ ব্যাপারে কিছু শুনিনি। ওসি সাহেবও কিছু বলেননি।
তবে নাম প্রকাশ না করে পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন চাম্বলের ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চৌধুরী বিভিন্ন উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে প্রতিদ্বদ্বী প্রার্থী ও ভোটারদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। তাঁকে ধরার জন্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হয়।

মঙ্গলবার সংসদ সদস্যের বাড়িতেও পুলিশ যায়। পুলিশের হাত কেটে নেওয়ার বক্তব্যের ব্যাপারে প্রশ্নের জবাবে সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী বলেন, এগুলো আপনি তাঁকে (ওসি) জিজ্ঞাসা করেন। এতটুক বলে ফোন কেটে দেন। উল্লেখ্য, সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান নানা কারণে বারবার সমালোচিত হয়েছেন।

সংসদ সদস্য হয়ে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে মারধর করে বিতর্কিত হন। তখন তাঁর বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছিল। এরপর দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে নিয়ে অশালীন মন্তব্য করার একটা ভিডিও ভাইরাল হয়। এরপর গত বছর অস্ত্র হাতে প্রকাশ্যে মিছিল করেন। এবার নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘন ও সাংবাদিককে মারধরের ঘটনায় মামলা করেছে নির্বাচন কমিশন।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় গভীর রাতে স্বর্ণের দোকানে দুর্ধর্ষ ডাকাতি

পাবনা প্রতিনিধিঃ পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার অষ্টমণিষা বাজারে বুধবার গভীর রাতে একদল দুর্ধর্ষ ডাকাত দল চার-পাঁচ টি স্বর্ণের দোকানে ও একটি বাড়িতে ডাকাতি করে।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অষ্টমণিষা বাজারের শ্রী রতন কুমার কর্মকার, তপন কুমার কর্মকার, উত্তম কুমার কর্মকার, ইউসুফ আলী ও আত্তাব আলীর স্বর্ণের দোকানগুলোর তালা ভেঙে দুর্বৃত্ত ডাকাত দল প্রায় ৩০/৩২ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা ডাকাতি করে নিয়ে যায়। পরে ডাকাত দল রতন কুমার কর্মকারের বাড়ির ভিতর প্রবেশ করে তার স্ত্রী ও ছেলে রঞ্জন কর্মকার কে মারধর করে আরও ১০ ভরি স্বর্ণ ও ১৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায় ডাকাত দল।

শ্রী রঞ্জন কুমার কর্মকার বলেন,একটি ডাকাত দল বাজারে নেমে দুই নৈশপ্রহরীকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে প্রথমেই বেঁধে ফেলেন।রতন কর্মকার বলেন, ‘ডাকাতেরা বাড়িতে ঢুকতেই আমি তিন তলায় উঠে প্রতিবেশীদের ফোন করি। কিন্তু কেউ আসেনি। পরে দীপকে ফোন করলেও বের হতে পারেনি, কারণ তার দরজার সামনে দুইজন অস্ত্রধারী দাঁড়িয়ে ছিল।’

তারপর প্রায় ১০-১২ জনের একটি ডাকাত দল প্রথমে স্বর্ণের দোকানগুলোতে হামলা চালায় এবং কিছুক্ষণ পরে তারা তাদের বাড়িতে প্রবেশ করে সবাইকে অস্ত্রের মুখে স্বর্ণালংকার ও টাকা পয়সা সব লুট করে। তার মা স্বর্ণের গহনা খুলে দিতে দেরি করলে তাকে অনেক মারধর করে। রঞ্জন কর্মকার বাধা দিলে তাকেও বেদম প্রহার করা হয়। দুর্ধর্ষ ডাকাত দলের হাতে দুইটি আগ্নেয়াস্ত্র ও ধারালো অস্ত্র সহ সাপল,লোহার রড ছিলো বলে তারা জানান।

স্থানীয়রা আরও জানান,দুর্ধর্ষ ডাকাত দল স্পিডবোট যোগে গভীর রাতে বাজারে এসে স্বর্ণের দোকানগুলোতে ডাকাতি করে গুমানী নদীর ভাটির দিকে চলে যায়।

খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (চাটমোহর,ভাঙ্গুড়া সার্কেল) আবু বকর সিদ্দিক, পাবনা ডিবির ওসি রাশিদুল ইসলাম, ডিবির একটি টিম এবং ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ শফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
ভাঙ্গুড়া থানার ওসি মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। কারা জড়িত, তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। মামলা প্রক্রিয়াধীন।’

পাবনা ডিবি পুলিশের ওসি রাশিদুল ইসলাম বলেন, ‘এটি সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্রের কাজ। খুব শিগগিরই ডাকাত চক্রকে গ্রেপ্তার করা হবে।’অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া চলছে। তদন্তে বিস্তারিত জানা যাবে।’

অংশ নিয়েছে প্রায় ৬০০ প্রতিযোগী চট্টগ্রামে এনআইটি উদ্ভাবনী প্রতিযোগিতায়

বিজ্ঞানমনষ্ক শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনী ক্ষমতা ও দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞানের যথাযথ প্রয়োগের লক্ষ্যে চট্টগ্রামের মুরাদপুরস্থ’ ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এনআইটি)’র উদ্যোগে ১১তম বারের মতো “এনআইটি উদ্ভাবনী প্রতিযোগিতা-২০২৫” এনআইটি’র অডিটোরিয়ামে শনিবার অনুষ্ঠিত হয়। সকাল সাড়ে ৯টায় উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বাংলাদেশ কারীগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. রুহুল আমিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন পার্কভিউ হসপিটাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর ড. এটি. এম. রেজাউল করিম, চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট অধ্যক্ষ মো কামাল হোসেন। সভাপতিত্ব করেন এনআইটি’র চেয়ারম্যান আহসান হাবিব।

প্রতিযোগিতায় প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের ২৬৪টি বিভিন্ন ধরনের উদ্ভাবনীমূলক প্রকল্প প্রর্দশিত হয়। এতে প্রায় ৬০০ প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে প্রকৌশলী মো. রুহুল আমিন বলেন, আজকের এই প্রতিযোগিতা শুধুমাত্র একটি বিজয়ীর খোঁজ নয়, বরং এটি আমাদের সবার জন্য একটি শিক্ষণীয় অভিজ্ঞতা। প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা সকলেই নতুন কিছু শিখেছে এবং ভবিষ্যতে আরও বড় উদ্ভাবন নিয়ে আসার অনুপ্রাণিত হয়েছে। প্রতিযোগীতায় শিক্ষার্থীরা প্রমাণ করেছে, আমাদের তরুণ প্রজন্মের মধ্যে অসীম সম্ভাবনা রয়েছে। প্রত্যেকটি প্রকল্পই আলাদা এবং একেকটি নতুন চিন্তার প্রতিফলন। উদ্ভাবনী প্রতিযোগিতা শুধু একটি ইভেন্ট নয়; এটি হলো কারিগরি শিক্ষার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টির সবচাইতে কার্যকর মঞ্চ।

ড. এটি. এম. রেজাউল করিম বলেন,দক্ষতা একজন মানুষকে কর্মবাজারে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে এবং তাকে স্বনির্ভর করতে সাহায্য করবে। উদ্ভাবনী প্রতিযোগিতা শিক্ষার্থীদের সেই দক্ষতা বাড়াতে সাহায্য করে এবং কার্যকরী সমস্যা সমাধানের রুপরেখা তৈরী করে। অধ্যক্ষ মো কামাল হোসেন বলেন, এই প্রতিযোগিতায় উত্থাপিত সাশ্রয়ী ও টেকসই সমাধানগুলো কৃষি, স্বাস্থ্য ও শিক্ষাখাতে আমূল পরিবর্তন আনতে সক্ষম। আমাদের তরুণরা প্রমাণ করেছেন যে তাদের মেধা ও সৃজনশীলতাই দেশকে ‘আধুনিক বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের মূল চালিকাশক্তি।


ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজির চেয়ারম্যান আহসান হাবিব বলেন, উদ্ভাবন শুধু প্রযুক্তির খেলনা নয়, উদ্ভাবন হল মানুষের জীবনকে সহজ ও অর্থপূর্ণ করার হাতিয়ার। আজকের এই ছোট ছোট ধারণাগুলোই আগামী দিনের বড় বড় শিল্প ও সামাজিক পরিবর্তনের বীজ বপন করছে।প্রতিযোগীতায় মোট ২৬৪ টি প্রজেক্ট অংশ নেয়। প্রজেক্ট সমুহকে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ভাগ করে বিভিন্ন মানদন্ডে বিচার বিশ্লেষণ করার জন্য মূল্যায়ন দলে ছিলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা বিভাগের প্রফেসর ড. এ. কে. এম. মাঈনুল হক মিয়াজী, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) এর পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. এইচ.এম

. এ আর মারুফ,চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজের পদার্থবিদ্যা বিভাগের এসোসিয়েট প্রফেসর ও বিভাগীয় প্রধান মো. দিদারুল আলম মজুমদার। চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট এর সিভিল ডিপার্টমেন্ট প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান প্রকৌশলী মো জাহাঙ্গীর আলম, কম্পিউটার বিভাগের চীফ ইন্সট্রাক্টর প্রকৌশলী মেহেদী, ইলেকট্রিক্যাল বিভাগ চীফ ইন্সট্রাক্টর প্রকৌশলী সুজিত কুমার বিশ্বাস, মেকানিক্যাল ডিপার্টমেন্ট এর চীফ ইন্সট্রাক্টর প্রকৌশলী নুরুননবী।

বিচারক প্যানেল প্রজেক্ট সমুহ মূল্যায়ন সম্পন্ন করেন। মূল্যায়নে প্রাপ্ত নাম্বারের ভিত্তিতে টপ টেন নির্ধারণ করে পুরস্কার হিসেবে ১ম,২য় ও ৩য় স্থান অর্জন কারীর মধ্যে যথাক্রমে ৫০ হাজার, ৩০ হাজার ও ২০ হাজার নগদ অর্থ ও ক্রেস্ট পুরস্কৃত করা হয়। এছাড়া ইমার্জিং প্রজেক্ট হিসেবে চতুর্থ থেকে ১০ম স্থান অর্জনকারীদেরও ৫ হাজার নগদ অর্থ ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। সমাপনী পর্বে সকল অংশগ্রহণকারীকে সনদ বিতরণ করা হয়।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ