আজঃ সোমবার ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫

মুক্তিযুদ্ধের গোপন প্রস্তুতি শুরু হয় ৬২ সালে: মেয়র রেজাউল

ডেস্ক নিউজ:

চসিক কার্যালয়ে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ উপলক্ষে আলোচনা সভা

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬২ সালেই। গুপ্ত ছাত্র সংগঠন নিউক্লিয়াস গঠন করে মুক্তিযুদ্ধের গোপন প্রস্তুতি শুরু করেন বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো রেজাউল করিম চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার টাইগারপাসস্থ চসিক কার্যালয়ে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ উপলক্ষে আলোচনা সভা অতিথির বক্তব্যে মেয়র বলেন, যদিও মুক্তিযুদ্ধ ১৯৭১ সালে সংগঠিত হয়, তবে ১৯৬২ সাল থেকেই বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনায় তৎকালীন প্রগতিশীল বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের কর্মীরা বিশেষ করে ছাত্রলীগ কর্মীরা নিউক্লিয়াস নামের একটি সংগঠনের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়ার জন্য গোপনে সশস্ত্র সংগ্রামের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে থাকেন।
“আমি নিউক্লিয়াসের সদস্য হিসেবে চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের নেতা থাকাকালে রাজনৈতিক সহকর্মীদের নিয়ে চট্টগ্রামে গোপনে সংগঠিত হতে থাকি। মাও সে তুং, চে গুয়েভারার লিখনি আমাদের গেরিলা যুদ্ধে উজ্জীবিত করে। বঙ্গবন্ধুসহ এ সংগঠনের কর্মীরা ছিলেন অত্যন্ত ঠান্ডা মাথার। সাত মার্চের ভাষণ বিশ্লেষণ করলে দেখবেন কী সুকৌশলে বঙ্গবন্ধু সবাইকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হওয়ার নির্দেশ দিলেন। মানুষ বুঝল যুদ্ধ অবশ্যম্ভাবী অথচ পাকিস্তানি হানাদাররা পুরো বক্তব্যে এমন কোন কিছু বের করতে পারলনা যা দিয়ে আমাদের বিচ্ছিন্নতাবাদী হিসেবে চিহ্নিত করতে পারে।
মুক্তিযুদ্ধে নিউক্লিয়াসের ভূমিকা স্মরণ করে রণাঙ্গনের এ যোদ্ধা বলেন, জয় বাংলা ¯েøাগানকে মানুষের কাছে জনপ্রিয় করেছে নিউক্লিয়াস। বাঙালি জাতীয়তাবাদের মাধ্যমে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করতে সেসময় নিউক্লিয়াসের ¯েøাগান ছিল ‘জাগো জাগো বাঙালি জাগো’, ‘বীর বাঙালি অস্ত্র ধরো, বাংলাদেশ ¯^াধীন করো’, ‘তোমার আমার ঠিকানা পদ্মা, মেঘনা, যমুনা’। এসময় আমাদের কার্যক্রম চলতো একদম গোপনে।
“যারা রাজনৈতিক সচেতন তারা সাতই মার্চের ভাষণেই ¯^াধীনতা আন্দোলনের ইঙ্গিত পান, যা চূড়ান্ত রূপ পায় ২৬ মার্চ। সাতই মার্চের ভাষণ শুনলেই যে কেউ বুঝতে পারবে বাংলাদেশের ¯^াধীনতার ঘোষক নি:সন্দেহে বঙ্গবন্ধু। এরপরও যারা বঙ্গবন্ধুর বিরোধীতা করে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরোধিতা করে তারা কুলাঙ্গার৷ নিউক্লিয়াসের ইতিহাস আজ যেন ঢাকা পড়ে গেছে, অথচ বাংলাদেশের ¯^াধীনতার ভিত্তিভূমি রচনায় নিউক্লিয়াস অন¯^ীকার্য ভূমিকা রেখেছে।”
সভাপতির বক্তব্যে চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, সাতই মার্চের ভাষণ আমাদের মুক্তির মহাকাব্য। বাঙালির ¯^াধীন রাষ্ট্রগঠনের আকাক্সখার অভিব্যক্তি সাতই মার্চের ভাষণ। বঙ্গবন্ধু যে ¯^াধীন দেশ আমাদের উপহার দিয়েছেন তা রক্ষা ও উন্নয়নের করতে দল-মত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
বর্ণিল আয়োজনে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ জাতীয় দিবস উদযাপন শুরু হয় বাটালি হিলস্থ নগর ভবন প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে।
মেয়রের সাথে পুস্পস্তবক অর্পণের পর মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেমের সঞ্চালনায় সভায় অংশ নেন প্যানেল মেয়র আফরোজা কালাম, কাউন্সিলর শৈবাল দাস সুমন, আবুল হাসনাত মো. বেলাল, নুরুল আমিন, আবদুস সালাম মাসুম, নূর মোস্তফা টিনু, চসিকের বিভাগীয় ও শাখা প্রধানবৃন্দ কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সিবিএ নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রামে মুক্তিযুদ্ধ পূর্ববর্তী নিউক্লিয়াসের কার্যক্রম পরিচালনার অন্যতম নেতা ছিলেন মেয়র রেজাউল। ছাত্রনেতা হিসেবে বিভিন্ন কার্যক্রমের কারণে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর চক্ষুশূলে পরিণত হন মেয়র রেজাউল ও তার রাজনৈতিক সহযোদ্ধারা।
সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী নিজ¯^ রাজনীতির ধারার তিনজন ছাত্রনেতা ১৯৬২ সালে ছাত্রলীগের অভ্যন্তরে গোপন সংগঠন ‘¯^াধীন বাংলা বিপ্লবী পরিষদ’ গঠন করেন। তিন সদস্যের এই ক্ষুদ্র সত্তা পরবর্তীতে ¯^াধীন বাংলাদেশের ‘নিউক্লিয়াস’ হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। নিউক্লিয়াসের তিনজন সদস্য ছিলেন সিরাজুল আলম খান, আব্দুর রাজ্জাক ও কাজী আরেফ আহমেদ। নিউক্লিয়াসের কাজ ছিল, বাংলাদেশের ¯^াধীনতা সংগ্রামের লক্ষ্যে যাবতীয় নীতি-কৌশল প্রণয়ন করা এবং ¯^াধিকার আন্দোলনকে সশস্ত্র ¯^াধীনতা যুদ্ধের দিকে নিয়ে যাওয়া। ¯^াধীন বাংলা বিপ্লবী পরিষদের সর্বময় কর্তৃত্ব ও ক্ষমতা ছিল এই তিন ছাত্রনেতার কাছে। দেশের ছাত্র আন্দোলনের প্রতিটি কর্মসূচি বিশেষত শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক ঘোষিত ছয় দফা, ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের এগারো দফার আন্দোলনসহ প্রতিটি আন্দোলনকে গণরূপদানের মাধ্যমে ¯^াধীনতার পক্ষে জনমত গড়ে তোলা। একইসাথে জাতিকে ¯^াধীনতার জন্য প্রস্তুত করা ছিল নিউক্লিয়াসের অন্যতম কাজ। মুক্তিযুদ্ধের প্রাক্কালে ¯^াধীন বাংলাদেশের পতাকা তৈরি, ২ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পতাকা উত্তোলন, ৩ মার্চ ¯^াধীনতার ইশতেহার পাঠ, জাতীয় সঙ্গীত নির্বাচন, জয়বাংলা বাহিনী গঠন এবং তার কুচকাওয়াজ ও শেখ মুজিবুর রহমানকে সামরিক অভিবাদন জানানো, সবই ছিল ¯^াধীন বাংলা বিপ্লবী পরিষদের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার অংশ। বিপ্লবী পরিষদের সকল কর্মকান্ডের প্রতি শেখ মুজিবুর রহমানের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সমর্থন ছিল। শরীফ শিক্ষা কমিশনের বিরুদ্ধে বাষট্টি সালে গড়ে ওঠা ছাত্র আন্দোলন, শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক ঘোষিত বাঙালির মুক্তির সনদ ছেষট্টির ছয় দফার আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, সত্তরের সাধারণ নির্বাচন, ৭ মার্চ শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষন, শেখ মুজিবুর রহমানকে আনুষ্ঠানিকভাবে বঙ্গবন্ধু উপাধি প্রদান, নিউক্লিয়াস’র সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ¯^াধীন বাংলাদেশের পতাকা তৈরি, আনুষ্ঠানিকভাবে পতাকা উত্তোলন, ¯^াধীনতার ইশতেহার পাঠ সর্বোপরি বাঙালির ¯^াধীনতা যুদ্ধসহ এ সকল কর্মকান্ডই ছিলো ‘নিউক্লিয়াস’ বা ‘¯^াধীন বাংলা বিপ্লবী পরিষদের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার অংশ। আর এ সকল কর্মসূচির পরিকল্পনা প্রণীত হতো নিউক্লিয়াসের মাধ্যমে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

ভাঙ্গুড়ায় ধর্ষণ মামলায় স্কুল ছাত্রীর কথিত প্রেমিক গ্রেফতার

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় ধর্ষণ মামলায় নবম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীর কথিত প্রেমিক কে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। কথিত প্রেমিকের নাম বুলবুল (২০)। তিনি উপজেলার দিলপাশার ইউনিয়নের চাচকিয়া গ্রামের মোহাম্মদ আলী ফকিরের ছেলে।রবিবার(৭ ডিসেম্বর) সকালে নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গত শুক্রবার রাত ১১টার দিকে চাচকিয়া বিলের মধ্য নিয়ে গিয়ে ওই স্কুল ছাত্রী কে তার প্রেমিক বুলবুল সহ বন্ধুরা মিলে দলবদ্ধ ভাবে ধর্ষণ করে।

এ ঘটনায় শনিবার রাতে ভুক্তভোগী মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে ভাঙ্গুড়া থানায় ধর্ষণ মামলা রজ্জু করেন। মামলায় তথিত প্রেমিক বুলবুল সহ ৪ জন কে আসামি করা হয়।

ধর্ষণের খবর পেয়ে এএসপি সার্কেল (চাটমোহর) আবু বক্কার সিদ্দিক ও থানার ওসি মোঃ শফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

জানা গেছে, ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর সঙ্গে বুলবুল এর প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। ঘটনার দিন গত শুক্রবার রাত ১১ টার দিকে ওই স্কুল ছাত্রীকে চাচকিয়া বিলের মধ্যে ডেকে নিয়ে গিয়ে বুলবুল তার বন্ধু সোহানুজ্জামান ও তাওহিদ মিলে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এসময় তারা মেয়েটির অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে এবং ঘটনাটি কাউ কে জানালে তা ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। পরদিন শনিবার দুপুরে ঘটনা জানার পর ভুক্তভোগী মেয়েটির বাবা থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।

ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ শফিকুল ইসলাম জানান, গ্রেফতারকৃত বুলবুল কে দুপুরে পাবনা আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে। মেয়েটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পাবনা সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ বাকি আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।

সাঘাটায় নবযোগদানকৃত ইউএনও আশরাফুল কবীরকে সাংবাদিকদের ফুলেল শুভেচ্ছা

গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় নবযোগদানকৃত উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আশরাফুল কবীরকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছেন উপজেলায় কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা। বৃহস্পতিবার সকালে ইউএনও কার্যালয়ে এ শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠিত হয়।

সাংবাদিকরা ইউএনওকে দায়িত্ব গ্রহণের জন্য অভিনন্দন জানান এবং সাঘাটার সার্বিক উন্নয়ন ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় তাঁর সাফল্য কামনা করেন। এসময় ইউএনও আশরাফুল কবীর সাংবাদিকদের শুভেচ্ছা গ্রহণ করে বলেন,
“সাঘাটার উন্নয়ন ও জনসেবার মানোন্নয়নে প্রশাসন ও গণমাধ্যম পরস্পরের পরিপূরক। স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সংবাদকর্মীদের সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”তিনি আরও বলেন,সাঘাটা উপজেলার সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে একটি জনবান্ধব প্রশাসন গড়ে তুলতে চাই। এ কাজে গণমাধ্যমের গঠনমূলক ভূমিকা অব্যাহত থাকবে বলে আমি বিশ্বাস করি।”

শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে সাংবাদিকরা নতুন ইউএনওর সঙ্গে বিভিন্ন উন্নয়ন পরিকল্পনা, প্রশাসনিক কার্যক্রম এবং স্থানীয় সমস্যাবলি নিয়ে মতবিনিময় করেন। অনুষ্ঠানে জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকা, অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয় মহলে ধারণা করা হচ্ছে, ইউএনও আশরাফুল কবীরের যোগদানে সাঘাটা উপজেলায় প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড আরও গতিশীল হবে এবং উন্নয়ন কার্যক্রমে নতুন দিগন্ত যুক্ত হবে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ