আজঃ সোমবার ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫

চিটাগাং চেম্বার নেতৃবৃন্দের সাথে অ্যান্টিগুয়া ও বার্বুডার প্রতিনিধিদলের মতবিনিময় বিশ্বের ২২টি কৃষি পণ্য উৎপাদনে ১০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ শীর্ষ

নিজস্ব প্রতিবেদক

চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র সাথে অ্যান্টিগুয়া ও বার্বুডার পররাষ্ট্র, কৃষি, বাণিজ্য ও বার্বুডা বিষয়ক মন্ত্রী এভারলি পাল চেট গ্রিন এর নেতৃত্বে এক প্রতিনিধিদল এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হন। গতকাল মঙ্গলবার সকালে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারস্থ বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে চিটাগাং চেম্বার প্রেসিডেন্ট ওমর হাজ্জাজ এর সভাপতিত্বে চেম্বার পরিচালকবৃন্দ মাহফুজুল হক শাহ, মোহাম্মদ আকতার পারভেজ, মোহাম্মদ মনির উদ্দিন, আখতার উদ্দিন মাহমুদ, ওমর মুক্তাদির, প্রতিনিধিদলের বিনিয়োগ ইউনিটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা চারমাইন ডোনোভান, অভিবাসীর চেয়ারম্যান-পরিচালক ই. ক্যাসরয় জেমস, জুলিয়েট জেনিল মার্সেল ও পিএইচপি গ্রুপের পরিচালক মোঃ জহিরুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে মোঃ অহীদ সিরাজ চৌধুরী (স্বপন), অঞ্জন শেখর দাশ, বেনাজির চৌধুরী নিশান ও মোহাম্মদ আদনানুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

অ্যান্টিগুয়া ও বার্বুডার পররাষ্ট্র, কৃষি, বাণিজ্য ও বার্বুডা বিষয়ক মন্ত্রী এভারলি পাল চেট গ্রিন বলেন-বিশ্বের অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশ বাংলাদেশ। বাংলাদেশের সাথে দ্বিপাক্ষিক ও বাণিজ্য সম্পর্ক গড়ে তুলতে আমরা খুব শীঘ্রই মিশন চালু করবো। অ্যান্টিগুয়া ও বার্বুডার পর্যটন ও মৎস্য সেক্টর অনেক সমৃদ্ধশালী। এছাড়াও এখানে উৎপাদন হয় রিফাইন্ড পেট্রোলিয়াম, সয়াবিন ও সুগারক্যানসহ বিভিন্ন কৃষি পণ্য। তিনি বলেন- অ্যান্টিগুয়া ও বার্বুডার রয়েছে শক্তিশালী পাসপোর্ট। পৃথিবীর ১৬০টি দেশে সহজে যেতে পারে পাসপোর্টধারীরা। এছাড়াও এখানে রয়েছে ঝামেলামুক্ত বিনিয়োগ সুবিধা। বিনিয়োগকারীরা সহজে প্রবেশ করতে পারে আমেরিকাসহ যুক্তরাজ্য এবং উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোতে। তাই বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের এসব সুবিধা বিবেচনা নিয়ে বিনিয়োগের আহবান জানান তিনি। একই সাথে তিনি উভয়দেশের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার, সাংস্কৃতিক বিনিময়, পর্যটন ও হসপিটালিটির বিকাশে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। একই সাথে চিটাগাং চেম্বার নেতৃবৃন্দকে অ্যান্টিগুয়া ও বার্বুডা সফরে আমন্ত্রণ জানান তিনি।
চেম্বার সভাপতি ওমর হাজ্জাজ বলেন-মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে উল্লেখযোগ্য অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাধ্যমে চট্টগ্রাম অঞ্চল বিনিয়োগের আকর্ষণীয় গন্তব্যে পরিণত হয়েছে। ম্যানুফ্যাকচারিং, এবং টেক্সটাইল খাতে বহিঃবিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ছড়িয়ে পড়ছে। বিশ্বের নামীদামি ব্র্যান্ডের পোশাক তৈরী করে বাংলাদেশী ব্যবসায়ীরা। এছাড়াও বাংলাদেশ বিশ্বের ১৪তম খাদ্য উৎপাদনকারী দেশ। বিশ্বের ২২টি কৃষি পণ্য উৎপাদনে বাংলাদেশ শীর্ষ ১০টি দেশের মধ্যে রয়েছে। তারপরও বাংলাদেশ বিভিন্ন দেশ বিশেষ করে ল্যাটিন অঞ্চলগুলো থেকে সয়াবিন ও ‘র’ সুগারসহ মসলা আমদানি করে। তিনি আরো বলেন-বাংলাদেশ প্রায় ১৮ কোটি মানুষের বিশাল বাজার। বাংলাদেশের ভৌগোলিক সুবিধা সরকার কর্তৃক বিনিয়োগের প্রদত্ত বিভিন্ন সুবিধা ব্যবহার করে চট্টগ্রামে অবস্থিত দেশের বৃহত্তম বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল-বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগর এবং বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে পর্যটন খাতে অ্যান্টিগুয়া ও বার্বুডার ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগের আহবান জানান।
অন্যান্য বক্তারা বলেন- বাংলাদেশীরা পর্যটনপ্রিয়। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে অবকাশ যাপন করে বাংলাদেশীরা। তাই পর্যটনের নতুন গন্তব্য হিসেবে বার্বুডাকে বিবেচনা নিতে বাংলাদেশে মিশন স্থাপন এবং সরাসরি ফ্লাইট চালুর আহবান জানানা বক্তারা। এছাড়াও বাংলাদেশ থেকে ঔষধ আমদানির আহবান জানান তারা।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

দেশ বদলাতে থ্রি জিরো থিওরি আদর্শ মডেল: চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার

চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার ড. মোঃ জিয়াউদ্দীন বলেছেন, দেশ বদলাতে তথা পৃথিবী বদলাতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এর থ্রি জিরো থিওরি একটি আদর্শ মডেল। এ মডেল অনুসরণ করে আমাদের তরুণ সমাজ কাজ করলে দেশে যেমন ক্ষুধা এবং বেকারত্ব দূর হবে, তেমনি মানবজাতি জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে বেঁচে থাকবে।
কমিশনার রোববার চট্টগ্রামের জেলা তথ্য অফিস

আয়োজনে চট্টগ্রাম যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের অডিটোরিয়ামে ‘এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই সব কথা বলেন।বিভাগীয় কমিশনার বলেন, আজকের বিশ্বে তরুণদের জন্য সম্ভাবনা ও সুযোগের ক্ষেত্র দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে। বর্তমানে শুধু চাকরির পিছনে ছুটে সীমাবদ্ধ না থেকে নিজেদের যোগ্যতা, সৃজনশীলতা এবং উদ্ভাবনী শক্তিকে কাজে লাগিয়ে উদ্যোক্তা হতে হবে।

সভপতির বক্তব্যে মোঃ বোরহান উদ্দীন বলেন, যুবক-যুবতীদের নিজেরা ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেওয়ার এবং পরিবারের লোকদেরকে ভোট দিতে উৎসাহিত করেন। তিনি বলেন, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে দেশে নির্বাচন উৎসব হবে। এই উৎসবে সকল প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ আশা করে সরকার। এজন্য নির্বাচনী পরিবেশকে অবাধ, সুষ্ঠু ও ভয়হীন করার জন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে।

জেলা তথ্য অফিস, চট্টগ্রামের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মোঃ বোরহান উদ্দীন সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোঃ আবুল বাশার, আঞ্চলিক তথ্য অফিস, চট্টগ্রামের সিনিয়র তথ্য অফিসার বাপ্পী চক্রবর্তী, সরকারি শারীরিক শিক্ষা কলেজের অধ্যক্ষ এস এম গিয়াসউদ্দিন বাবর, আব্দুল বারী প্রমূখ বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন । যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণরত প্রায় ১৫০ জন প্রশিক্ষণার্থী এবং প্রিন্ট ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

ঠাকুরগাঁওয়ে নবাগত পুলিশ সুপারের সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময় সভা

ঠাকুরগাঁওয়ে নবাগত পুলিশ সুপার বেলাল হোসেনের সাথে স্থানীয় সাংবাদিকদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৭ ডিসেম্বর রবিবার দুপুর ১২টায় জেলা পুলিশ সুপারের কনফারেন্স রুমে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।এসময় পুলিশ সুপার বেলাল হোসেন বলেন, মিডিয়ার গুরুত্ব অপরিসীম। মানুষের বাকস্বাধীনতা একমাত্র মিডিয়ার মাধ্যমেই রক্ষা করা সম্ভব।

তিনি আরও বলেন, ঠাকুরগাঁওয়ের মানুষের সেবা করাই আমার প্রথম কাজ। মাদক সব অপরাধের মূল উৎস। তাই যেকোনো মূল্যে সমাজকে মাদকমুক্ত করতে হবে। এসময় যানজট, মাদকমুক্ত করতে ও বিদ্যমান বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে সাংবাদিকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেন পুলিশ সুপার।


এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) খোদাদাদ হোসেন,সহকারী পুলিশ সুপার রাণীশংকৈল সার্কেল স্নেহাশীষ কুমার দাস, ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাবের সভাপতি মনসুর আলী, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি লুৎফর রহমান মিঠু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান তানু সহ জেলার বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।উল্লেখ্য,গত ২৯ নভেম্বর বেলাল হোসেন ঠাকুরগাঁওয়ে পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করেন।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ