আজঃ শনিবার ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫

চট্টগ্রামের বাঁশখালী ও লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে উপহার দেয়া হবে

এম মনির চৌধুরী রানা চট্টগ্রাম

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক (স্থানীয় সরকার) লুৎফুন নাহার বলেছেন, আগামী ৫ জুন বুধবার চতুর্থ ধাপে বাঁশখালী ও লোহাগাড়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আদলে ইতোপূর্বে ১ম, ২য় ও ৩য় ধাপে এখানকার ১১টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অত্যন্ত সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হয়েছে। আগামী ৫ জুন চতুর্থ ধাপে অনুষ্ঠিতব্য উল্লেখিত এ দু’টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অবাধ, গ্রহণযোগ্য, অত্যৗল্প সুষ্ঠুভাবে উপহার দেয়া হবে। সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা, থানার অফিসার ইনচার্জগণসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নিজ নিজ অবস্থান থেকে সমন্বিতভাবে দায়িত্ব পালন করবে। কোন প্রার্থী বা প্রার্থীর সমর্থক আচরণবিধি লংঘন করলে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচন-২০২৪ উপলক্ষে (৩০ মে) বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থীদের সাথে আয়োজিত মতবিনিময় ও আইন-শৃঙ্খলা বিষয় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে প্রত্যেক প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদেরকে নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলতে হবে, অন্যথায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। জাল ভোট প্রদান, কেন্দ্র দখল বা অন্য কোন অজুহাতে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করতে কোন ধরণের গুজব ছড়ালে ছাড় নেই। নির্বাচনে নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সবর্দা আপনাদের পাশে থাকবে। নির্বাচনে কোন অনিয়ম বরদাস্ত করা হবে না। সভায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) ও নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা একেএম গোলাম মোর্শেদ খান বলেন, আচরণবিধি মেনেই নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে। আচরণবিধি পর্যবেক্ষণে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে থাকবে। একজন প্রার্থীর পোষ্টারের উপর অন্য প্রার্থীর পোষ্টার লাগানো যাবে না। নির্বাচনী আচরণবিধি মানতে হবে, অন্যথায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। সভায় জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) আবু তৈয়ব মোঃ আরিফ হোসেন বলেন, নির্বাচন কমিশনের বিধি-বিধান বা পরিপত্র মেনে উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ভোট কেন্দ্রে বা বাইরে ভয়ভীতি প্রদর্শন করা যাবে না। সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে যা যা করা দরকার তা-ই করবো। কোন অপশক্তির কাছে আমরা মাথা নত করবো না। ৫ জুন অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে আগের চেয়ে প্রায় দ্বিগুন সংখ্যক আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে। প্রত্যেক ভোট কেন্দ্রে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। নির্বাচন পূর্ববর্তী ও পরবর্তী যে কোন ধরণের সহিংসতা রোধে জেলা পুলিশ প্রস্তুুত রয়েছে। সভায় সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ এনামুল হক বলেন, নির্বাচনে কেউ জয়ী হবে, কেউ পরাজিত হবে, এটা বাস্তবতা ও মেনে নিতে হবে। সকলের সম্মিলিত উদ্যোগে আমরা একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে চাই। কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতির পরিবেশ সৃষ্টিকরা আমাদের একার পক্ষে সম্ভব নয়। ইতোপূর্বে অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কমিশন কোন ধরণের ছাড় দেয়নি। নির্বাচন কমিশন থেকে শুরু করে সবাই আপনাদের পাশে আছে। আচরণবিধি শতভাগ মেনে চলতে হবে। আমাদের পক্ষ থেকে কোন অবহেলা হবে না। নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ করতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে সাথে নিয়ে যা যা করণীয় তা-ই করা হবে। নির্বাচনী এলাকায় অনুমতি ব্যতীত কোন যানবাহন চলবে না। ভোট গ্রহণের ৩২ ঘন্টা আগ পর্যন্ত প্রচার-প্রচারণা করা যাবে। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক (স্থানীয় সরকার) লুৎফুন নাহারের সভাপতিত্বে, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) ও নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা এ.কে.এম গোলাম মোর্শেদ খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) আবু তৈয়ব মোঃ আরিফ হোসেন, সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ এনামুল হক, লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ ইনামুল হাছান, বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমিন আক্তার, আনসার ভিডিপি’র জেলা কমান্ড্যান্ট এএইচএম সাইফুল্লাহ হাবীব, সিএমপি’র সহকারী পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) মোঃ নুরুল ইসলাম সিদ্দিক, বিজিবির সহকারী পরিচালক উপেন্দ্র নাথ হালদার, বাঁশখালী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ হারুন মোল্লাহ, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আল-আমিন হোসাইন, র‌্যাবের ডিএডি মোহাম্মদ মনির হোসেন, লোহাগাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ রাশেদুল ইসলাম ও বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তোফায়েল আহমেদ বক্তব্য রাখেন। সভায় চট্টগ্রামের বাঁশখালী ও লোহাগাড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীগণ সুষ্ঠু নির্বাচন বিষয়ে তাদের মতামত ব্যক্ত করেন।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

ওসমান হাদির ওপর হামলাকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি দুর্বৃত্তদের গুলিতে গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।আহত ওসমান হাদীর সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। এছাড়া চিকিৎসা কার্যক্রম নিবিড়ভাবে তদারকি করার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেছেন।


একই সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দ্রুত ও ব্যাপক তদন্ত চালিয়ে হামলায় জড়িত সবাইকে শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ, প্রত্যক্ষদর্শীর তথ্য গ্রহণ, সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা এবং হামলার পেছনে কোনো সংগঠিত পরিকল্পনা থাকলে তা উন্মোচনের জন্য তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নিতে বলেছেন।

নির্বাচনী প্রচারণাকালে ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের প্রার্থী ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান নির্বাচনী প্রচারণাকালে ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হয়েছে। দুপুরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

জুলাই ঐক্যের অন্যতম সংগঠক ইস্রাফিল ফরায়েজী জানিয়েছেন,নির্বাচনী প্রচারণাকালে তাকে গুলি করা হয়। এর আগে, গত নভেম্বর মাসে দেশি-বিদেশি ৩০টি নম্বর থেকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি পেয়েছেন বলে জানিয়েছিলেন হাদি। ১৪ নভেম্বর ফেসবুকে একটি পোস্টে তিনি জানিয়েছিলেন, তাকে হত্যা, তার বাড়িতে আগুনসহ তার মা, বোন ও স্ত্রীকে ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হয়েছে।

ওসমান হাদি ইতিমধ্যে তার ভেড়িফাইড ফেইস বুকে লিখেছিলেন, গত তিন ঘণ্টায় আমার নম্বরে আওয়ামী লীগের খুনিরা অন্তত ৩০টা বিদেশি নম্বর থেকে কল ও টেক্সট করেছে। যার সামারি হলো- আমাকে সর্বক্ষণ নজরদারিতে রাখা হচ্ছে। তারা আমার বাড়িতে আগুন দেবে। আমার মা, বোন ও স্ত্রীকে ধর্ষণ করবে এবং আমাকে হত্যা করবে।

আজ শুক্রবার ১২ ডিসেম্বর গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।জুলাই ঐক্যের অন্যতম সংগঠক ইস্রাফিল ফরায়েজী জানিয়েছেন-নির্বাচনী প্রচারণাকালে তাকে গুলি করা হয়।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ