আজঃ শনিবার ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫

বিনোদন বাংলা:

আপনার লজ্জা করে না, ঋতুপর্ণাকে শ্রীলেখা

ঢাকা অফিস:

কলকাতা সিনেমা:

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

রেশন দুর্নীতি মামলায় ভারতের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) জেরার মুখে পড়েছেন ভারতীয় বাংলা সিনেমার অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। এ ঘটনায় নিজের জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করলেও ৭০ লাখ রুপি ফেরত দিতে চেয়েছেন অভিনেত্রী।

ইডির বরাত দিয়ে এ খবর প্রকাশ করেছে ভারতীয় একাধিক গণমাধ্যম।

এ ঘটনা নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছেন ঋতুপর্ণা। এবার বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ ঝারলেন ভারতীয় বাংলা সিনেমার আলোচিত অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র।

ঋতুপর্ণার একটি ভিডিও নিজের ফেসবুকে পোস্ট করে শ্রীলেখা মিত্র লেখেন, চুরি না করলে টাকা ফেরত দিতে চাচ্ছেন কেন? ৭০ লাখ টাকা তো মুখের কথা না। সাধারণ মানুষের থেকে চুরি করা টাকা। কেউ নিজের আয় করা টাকা এমনি এমনি দেবে না।

এ ভিডিওতে হাত নেড়ে কথা বলতে দেখা যায় ঋতুপর্ণাকে। বিষয়টি উল্লেখ করে শ্রীলেখা মিত্র লেখেন, ক্যামেরার সামনে হাত নেড়ে কি প্রমাণ করার চেষ্টা করছেন? আপনি অস্কার পাচ্ছেন না, আপনাকে চোর বলা হচ্ছে। লজ্জা করে না?

ঋতুপর্ণার বিষয়টি নিয়ে টলিউড ইন্ডাস্ট্রি নীরব থাকবে। এ তথ্য উল্লেখ করে শ্রীলেখা লেখেন, তারপরেও মিডিয়া এনাদের নাম্বার ওয়ান শিরোপা দিবে? আমার ইউটিউব ভিডিও নিয়ে মিডিয়ার এক অংশ এবং ইন্ডাস্ট্রি এনাদের হয়ে কথা বলবেন। এখন দুর্নীতির কোনো সীমা নেই। ছি! ধিক্কার জানাই। খেয়াল করে দেখবেন, আমার এই পোস্ট নিয়ে ইন্ডাস্ট্রির লোকজন নির্বাক থাকবে।

জুন মাসে সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির দপ্তরে যান ঋতুপর্ণা। তাকে ৫ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি। জেরার পর ঋতুপর্ণা জানান, রেশন দুর্নীতির সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই। তবে তার কাছে যেসব নথি চাওয়া হয়েছিল, সেগুলো তদন্তকারীদের হাতে তুলে দিয়েছেন তিনি। এরপরই নাকি ৭০ লাখ রুপি ফেরত দিতে চেয়ে ইডি বরাবর আবেদন করেছেন ঋতুপর্ণা। তবে এ বিষয়ে গণমাধ্যমে সরাসরি কিছু বলেননি ঋতুপর্ণা।

ব্যাংকে লেনদেনের তথ্যর উপর ভিত্তি করে ঋতুপর্ণাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। ২০১৯ সালে রোজ ভ্যালি কাণ্ডে এ অভিনেত্রীকে ইডি জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

ইরান ওমান উপসাগরে একটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করেছে ।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ইরান ওমান উপসাগরে একটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করেছে । তেলবাহী জাহাজটিতে বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলঙ্কার ১৮ নাবিক রয়েছে। ইরানি গণমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে। ইরানের আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা ফার্স জানায়- ছয় মিলিয়ন লিটার চোরাচালানকৃত ডিজেল বহনকারী একটি তেলবাহী জাহাজ ওমান উপকূলে আটক করা হয়েছে।

ওমান উপসাগরে একটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করেছে ইরান।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ইরান ওমান উপসাগরে একটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করেছে । তেলবাহী জাহাজটিতে বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলঙ্কার ১৮ নাবিক রয়েছে। ইরানি গণমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে। ইরানের আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা ফার্স জানায়- ছয় মিলিয়ন লিটার চোরাচালানকৃত ডিজেল বহনকারী একটি তেলবাহী জাহাজ ওমান উপকূলে আটক করা হয়েছে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ