আজঃ শনিবার ৬ ডিসেম্বর, ২০২৫

পররাষ্ট্র উপদেষ্টার বক্তব্য ছাত্র-জনতার খুনীদের উৎসাহিত করবে - এইচ এম রাশেদ খান

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা’র পদত্যাগের দাবিতে চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত

প্রেস রিলিজ

উপদেষ্টা

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা’র পদত্যাগের দাবিতে চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ মিছিল

চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান বলেছেন, শহীদদের রক্ত না শুকানোর আগেই উপদেষ্টা সাখাওয়াত হোসেন শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরাতে যে মন্তব্য করেছেন এটা শহীদদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি ছাড়া আর কিছুই না। উপদেষ্টার এমন বক্তব্যে দেশের মানুষ ক্ষুব্ধ ও মর্মাহত যা খুনীদের উৎসাহিত করবে। এর মধ্য দিয়ে তিনি শপথ ভঙ্গ করেছেন, অবিলম্বে তার ক্ষমা চেয়ে পদত্যাগ করা উচিত। নিরপেক্ষ সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা হয়ে তিনি স্বৈরাচার, আওয়ামী লীগের দালালী এবং এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছেন। খুনের রক্ত ¯্রােতে দেশকে বাসিয়ে পালিয়ে যাওয়া কাউকে দেশে ফেরত আসার আহ্বান জনগণ মানবে না। জনতার আন্দোলনকে নস্যাৎ করার জন্য বিভিন্ন মাধ্যমকে অপব্যবহার করে আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মারা ষড়যন্ত্র করছে। কোন অপশক্তি যদি ফ্যাসিস্ট, স্বৈরাচার,খুনী শেখ হাসিনাকে পূনর্বাসনের ষড়যন্ত্র করে দেশবাসীকে সাথে নিয়ে আমরা প্রতিহত করবো। আমরা দেশের সম্পদ লুন্ঠনসহ হত্যা, গুম ও আয়নাঘরে আটকে রেখে বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ডের দায়ে সাবেক অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দ্রæত বিচারের দাবি জানাচ্ছি।

তিনি আজ ১২আগষ্ট (সোমবার) রাতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন এর পদত্যাগের দাবিতে চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। মিছিলটি কাজীর দেউরী মোড় থেকে শুরু করে বিভিন্ন গুরুতপূর্ণ সড়ক পদক্ষিণ করে।

চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু বলেন, বহু ত্যাগ তিতিক্ষার পর হাজার হাজার ছাত্র জনতার জীবন ও রক্তের বিনিময়ে দ্বিতীয় বারের মতো এই বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। এই বাংলাদেশকে নিয়ে যদি কেউ কোন ষড়যন্ত্র বা চক্রান্ত করেন সে যতবড় উপদেষ্টা হোক না কেন তাকে সেই উপদেষ্টা পদ থেকে টেনে হিচড়ে নামিয়ে ফেলা হবে। আমরা দ্রæত এই স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে অপসারণেরর দাবি জানাই । দায়িত্বপূর্ণ পদে থেকে একের পর এক বিতর্কিত বক্তব্য দিয়ে তিনি পরোক্ষভাবে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের চক্রান্ত করছেন।

চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলুর সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি এড. সাইদুল ইসলাম, হারুনুর রশিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, যুগ্ম সম্পাদক এম. আবু বক্কর রাজু, গোলাম সরোয়ার, সহ-সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন, সাজ্জাদ হোসেন, মোখলেছুর রহমান, রাসেল খান। উপস্থিত ছিলেন মহানগর সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক খান, সাইফুল আলম দিপু, মোঃ রবিউল ইসলাম, মিজানুর রহমান সাইফুল, প্রচার সম্পাদক আকবর হোসেন মানিক, সাহিত্য সম্পাদক লুৎফর রহমান জুয়েল, মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন, সহ-দফতর সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম, চান্দগাঁও থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক সাজিদ হাসান রনি,কোতোয়ালী থানা আহবায়ক এন মোহাম্মদ রিমন, ডবলমুরিং থানা আহবায়ক আকতার হোসেন বাবলু, পাঁচলাইশ থানা আহবায়ক শফিউল আলম শফি,বন্দর থানা আহবায়ক রিয়াজ উদ্দিন রাজু, বাকলিয়া থানা আহবায়ক মো. দুলাল মিয়া, চান্দগাঁও থানা সদস্য সচিব মো. শহীদুজ্জামান, ডবলমুরিং থানা সদস্য সচিব নোমান সিকদার সোহাগ, বন্দর থানা সদস্য সচিব আরমান শুভ, আব্দুর রশিদ টিটু, মো. শাহালম, মীর কাশেম,জসিম উদ্দিন,শফিকুল ইসলাম শাহনেওয়াজ, সাদ উদ্দিন, আল জাবের, সজল বড়–য়া, আবুল কালাম প্রমুখ।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

বোয়ালখালী পোপাদিয়া ৭;নং ওয়ার্ড় বিএনপির উঠান বৈঠক ধানের শীষে ভোট দেয়ার আহ্বান।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও) আসনে বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী এরশাদ উল্লাহর সমর্থনে বোয়ালখালীর ৬নং পোপাদিয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের উদ্যাগে উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

দিপক কুমার লালার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আলহাজ্ব আজিজুল হক চেয়ারম্যান, প্রধান বক্তা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য, বোয়ালখালী উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ন আহবায়ক ও পোপাদিয়া ইউনিয়ন বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাবেদ মেহেদী হাসান সুজন, বিশেষ অতিথি চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ইউপি সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাক্তার মহসিন খান তরুণ,পোপাদিয়া ইউনিয়ন নির্বাচন সমন্বয়কারি আলহাজ্ব জাকের হোসেন , যুগ্ন আহবায়ক আবুল

হাশেম,বোয়ালখালী উপজেলা বিএনপি’র সাবেক যুগ্ম সংগঠনিক সম্পাদক ও পোপাদিয়া ইউনিয়ন বিএনপি’র সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি মোসলেম মিয়া। দক্ষিণ জেলা শ্রমিক দলের অর্থ সম্পাদক ও পোপাদিয়া ইউনিয়ন বিএনপি’র সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ দিদারুল আলম( রিটনমেম্বার), পোপাদিয়া ইউনিয়ন বিএনপি’রযুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এসএম ইকবাল ,সাবেক ছাত্রদল নেতা মো নাজিম উদ্দীন, বিমল আচার্য়্য বাসু,মাস্টার নিপক লালা,সুনীল সুত্রধর, প্রবীর দাশ,ঝাউতলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি জয়দাশ লালু,নিরুপম আচার্য্য,রুপক লালা, প্যানেলে চেয়ারম্যান হাসান চৌধুরী ,শ্রমিক দল নেতা হোসেন চৌধুরী, চরণদ্বীপ ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন সম্পাদক বেলাল হোসেন,

বক্তব্য রাখেন কৃষকদল বোয়ালখালী উপজেলার যুগ্ন আহবায়ক মোহাম্মদ ওসমান,যুগ্ন আহ্বায়ক আলমগীর, শ্রমিকদল বোয়ালখালী উপজেলার সিনিয়র সহ-সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ বেলাল।তাজুল ইসলাম, এমদাত আনসারি,নজরুল ইসলাম বাবু ,টুটুল,সিদ্দিক আজাদ রিহাদ,বেলাল সাহেব, রাইহান,আজাদ খান,লোকমান, আবদুল সালাম ছোটন,জাবেদ,শ্রমিকদল নেতা সাইফুল আলম । এন এম টিপু প্রমুখ। বক্তব্যরা বলেন
“বিএনপির প্রতীক ধানের শীষ গণমানুষের প্রতীক। যেই খানেই ধানের শীষের প্রচারণা চলছে সেখানেই জনজোয়ার সৃষ্টি হচ্ছে।” তিনি আগামীর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৮ বোয়ালখালী আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহকে ধানের শীষে ভোট দিয়ে বোয়ালখালীর উন্নয়নে সহযোগী হওয়ার জন্য এলাকাবাসীর প্রতি জোর আহবান জানান।

চট্টগ্রামের আরও ৪ আসন পেল বিএনপির প্রার্থী

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রামের ১৬টি সংসদীয় আসনের মধ্যে বাকি থাকা ছয়টি আসনের মধ্যে আরও ৪ টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিএনপি। বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে চারটায় রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সারাদেশের ন্যায় চট্টগ্রামের এই

প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন। এর আগে গত ৩ নভেম্বর রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রামের ১০ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছিলেন। চট্টগ্রামে বাকি চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) ও চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ-সাতকানিয়া আংশিক) আসনে বিএনপির প্রার্থী পরে ঘোষণা করা হবে বলে জানিযেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।চট্টগ্রামের আসনগুলো হলো: চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপ) বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য মোস্তফা কামাল পাশা, চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান (বর্তমানে পদ স্থগিত) গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী, গিয়াস উদ্দীন কাদের চৌধুরী, চট্টগ্রাম-৯

(কোতোয়ালী,বাকলিয়া,চকবাজার) চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান ও চট্টগ্রাম-১৫ (লোহাগাড়া-সাতকানিয়ার অংশকি) চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সিনিয়র সদস্য ও লোহাগাড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক নাজমুল মোস্তফা আমিন।
গত ৩ নভেম্বর বিএনপির ঘোষিত চট্টগ্রামের ১০টি আসনে বিএনপির প্রার্থীরা হলেন, চট্টগ্রাম-১ (মিরসরাই): চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আমিন চেয়ারম্যান। চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি): চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সরওয়ার আলমগীর। চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড): কাজী সালাউদ্দিন। চট্টগ্রাম-৫

(হাটহাজারী): বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন। চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া): বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও প্রয়াত সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী। চট্টগ্রাম-৮ (চান্দগাঁও-বোয়ালখালী): চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ। চট্টগ্রাম-১০ (খুলশী-পাহাড়তলী): বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া): দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এনামুল হক এনাম। চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা-কর্ণফুলী): সাবেক সংসদ সদস্য সরওয়ার জামাল নিজাম ও চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী): সাবেক মন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরীর ছেলে দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মিশকাতুল ইসলাম চৌধুরী পাপ্পা।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ