আজঃ সোমবার ২২ ডিসেম্বর, ২০২৫

চট্টগ্রামে বেশি দামে আলু বিক্রিতে জরিমানা গুনল ৩ প্রতিষ্ঠান

চট্টগ্রাম ব্যুরো:

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

চট্টগ্রাম মহানগরীর রিয়াজউদ্দীন বাজারে প্রদর্শিত তালিকার চেয়ে বেশি দামে আলু বিক্রি করায় মেসার্স আসিফ ট্রেডার্সসহ তিনটি প্রতিষ্ঠানকে ২৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সোমবার এ অভিযান পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরি চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক নাসরিন আক্তার ও মো. আনিছুর রহমান। অভিযানে ব্যবসায়ী নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
আনিছুর রহমান জানান, রিয়াজ উদ্দীন বাজারের পাইকারী আলুর বাজারে অভিযান চালানো হয়েছে। এসময় ধরা পড়ে নানা অনিয়ম। যেখানে টাঙানো মূল্য তালিকায় পাইকারীতে প্রতি কেজি আলুর দাম ৫৮ টাকা দেখানো হলেও, প্রকৃতপক্ষে আলুর কেজি বিক্রি করা হচ্ছে ৬০ টাকা করে। এমন অনিয়মের অভিযোগে মেসার্স আসিফ ট্রেডার্সকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া হালনাগাদ সঠিক মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করা মেসার্স দাউদকান্দি বাণিজ্যালয়কে ৬ হাজার টাকা, মেসার্স আকবর ট্রেডার্সকে ৮ হাজার টাকা জরিমানা করার পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের সতর্ক করে ভোক্তাধিকারের কর্মকর্তারা।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

চট্টগ্রামে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হলো ভারতীয় ভিসা কার্যক্রম।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

অনির্দিষ্টকালের জন্য চট্টগ্রামের ভারতীয় ভিসা সেন্টার (আইভ্যাক) বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।নিরাপত্তা পরিস্থিতি বিবেচনায় হাইকমিশনের ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র (আইভিএসি)-এর ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।

এতে বলা হয়, সম্প্রতি এএইচসিআই চট্টগ্রামে ঘটে যাওয়া নিরাপত্তাজনিত ঘটনার কারণে আইভেক চট্টগ্রামে ভারতীয় ভিসা কার্যক্রম রোববার (২১ ডিসেম্বর) থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত থাকবে।পরিস্থিতি পর্যালোচনা করার পর ভিসা কেন্দ্র পুনরায় চালু করার বিষয়ে ঘোষণা দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়।

এর আগে গত ১৮ ডিসেম্বর রাতে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুর খবরে ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনে অভিমুখে এগিয়ে যায় বিক্ষুব্ধরা। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর পদক্ষেপ নেয়। এরপর থেকে সহকারী হাইকমিশনার কার্যালয়ের নিরাপত্তায় অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়।

প্রথম আলো-ডেইলি স্টার-ছায়ানট ও উদীচি কার্যালয়ে হামলা, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের নিন্দা।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

প্রথম আলো, ডেইলি স্টারের কার্যালয় এবং ছায়ানট ও উদীচি-তে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও নিন্দা জানিয়েছে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব। সেই সঙ্গে ওসমান হাদির হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার এবং দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবিলম্বে স্বাভাবিক করার জোর দাবি জানানো হয়। শনিবার এক বিবৃতিতে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি জাহিদুল করিম কচি ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মিয়া মো. আরিফ বলেন,

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সম্মুখসারির অন্যতম নেতা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর শোকে জাতি যখন চরম দুঃখ-ভারাক্রান্ত, ক্ষোভে-বিক্ষোভে উত্তাল সাধারণ মানুষ; ঠিক এমন এক সময়ে গণমাধ্যমের ওপর হামলা করে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি এবং দেশের ভাবমূর্তি আন্তর্জাতিক পরিসরে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার অপচেষ্টা করা হচ্ছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, স্বাধীন ও দায়িত্বশীল সাংবাদিকতা একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান ভিত্তি। গণমাধ্যমের ওপর হামলা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এ ধরনের কর্মকাণ্ড গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, মতপ্রকাশের সাংবিধানিক অধিকার এবং আইনের শাসনের সম্পূর্ণ পরিপন্থী।

প্রেস ক্লাব নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, বিগত সরকারের সময়ও সংবাদ মাধ্যমের টুঁটি চেপে ধরা হয়েছিল। ২০২৪ সালের ৫ আগস্টে ফ্যাসিবাদী সরকার পতনের পরেও যদি গণমাধ্যমের ওপর হামলা অব্যাহত থাকে, তাহলে জনগণের ভরসা কোথায়? নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে ঘটনার সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও দ্রুত তদন্তের মাধ্যমে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ, গণমাধ্যম ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের দাবি জানান।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ