আজঃ শনিবার ৬ ডিসেম্বর, ২০২৫

চউক’র ১৩ প্রকল্পে অনিয়ম-দুর্নীতি তদন্তে কমিটি আসবে শনিবারে

  1.  চট্টগ্রাম  উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (চউক) এর ছোট বড় মিলে প্রায় ৩০টি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। যার মধ্য থেকে ১৩টি প্রকল্পের তদন্ত করা হবে। প্রকল্পগুলো চউকের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুচ ছালামের আমলে হাতে নেয়া হয়েছিল। তার সময়কালে নেয়া ১৩টি প্রকল্পের অনিয়ম-দুর্নীতি তদন্তে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে মন্ত্রণালয়। ওই কমিটিতে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের মনিটরিং অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. কামাল উদ্দিনকে আহব্বায়ক ও চউক’র সচিব রবীন্দ্র চাকমাকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।

জানা গেছে, ২০০৯ সালের ২৮ এপ্রিল থেকে ২০১৯ সালের ২২ এপ্রিল পর্যন্ত সিডিএ’র চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন আব্দুচ ছালাম। এই ১০ বছরে তিনি ছোট বড় মিলে প্রায় ৩০টি প্রকল্প গ্রহণ করেন। যার মধ্য থেকে ১৩টি প্রকল্পের তদন্ত করবে কমিটি।
চউক’র এই ১৩ প্রকল্পগুলো হচ্ছে- এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, বহদ্দারহাট ফ্লাইওভার, মুরাদপুর ফ্লাইওভার, কদমতলী ফ্লাইওভার, জলাবদ্ধতা প্রকল্প, কালুরঘাট-চাক্তাই রিং রোড প্রকল্প, বাকলিয়া এক্সেস রোড, চিটাগাং সিটি আউটার রিং রোড, সিডিএ স্কয়ার, কল্পতরু প্রকল্প, সল্টগোলা ডরমেটরি, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন মাস্টার প্ল্যান, বায়েজিদ লিংক রোড প্রকল্প।
জানা গেছে, এই ১৩ প্রকল্পের ফিজিবিলিটি রিপোর্ট, প্রকল্পের ফিজিবিলিটি রিপোর্টের টর (টার্মস অব রেফারেন্স), ইআইএ রিপোর্ট, বাস্তবায়ন মনিটরিং মূল্যায়ন বিভাগের প্রতিবেদন, টেন্ডার ডকুমেন্টস, ঠিকাদার নির্বাচন প্রক্রিয়ার ডকুমেন্টস এবং পিইসি ফর ইসিএনসিইসি প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়েছেন তদন্ত কমিটি। তদন্তের কাজে আগামী শনিবার সিডিএতে আসবেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের মনিটরিং অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব ও তদন্ত কমিটির আহব্বায়ক মো. কামাল উদ্দিন। তদন্ত কমিটিকে সহায়তা প্রদানের জন্য অফিস আদেশ জারি করেছে চউক। চউক’র সচিব রবীন্দ্র চাকমা স্বাক্ষরিত পৃথক অফিস আদেশে প্রকল্পের ফাইল সমূহ নিরাপদে সংরক্ষণ ও কমিটির তদন্ত কাজে সার্বিক সহযোগিতার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
চউক’র সচিব রবীন্দ্র চাকমা স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে বলা হয়, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের নাম ও পূর্ণ ঠিকানা, প্রকল্পের ডিপিপি/সর্বশেষ আরডিপিপি, প্রকল্পের ক্রয় পরিকল্পনা মোতাবেক ক্রয় সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি, প্রকল্পের ক্রয়কৃত মালামাল বুঝে নেওয়ার কাগজপত্রাদি, প্রকল্পের ড্রইং ও ডিজাইন, প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ও সংশোধিত ব্যয়, প্রকল্পের কনসালটেন্ট রিপোর্ট, প্রকল্পের চুক্তিপত্র, প্রকল্পের পিইসি সভার প্রতিবেদন, প্রকল্পের স্টিয়ারিং কমিটির সভার কার্যবিবরণী, প্লট/ফ্ল্যাট বরাদ্দের তালিকা (২০০৯ সাল থেকে), চলমান প্রকল্পের সময়ভিত্তিক কর্মপরিকল্পনা, প্রকল্পের ভৌত ও আর্থিক অগ্রগতি প্রতিবেদন এবং প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র ও ফাইলসমূহ নিরাপদে সংরক্ষণ ও কমিটির তদন্ত কাজে সার্বিক সহযোগিতার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন তদন্ত কমিটি।
তদন্ত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা শাখার উপসচিব-২ মো. নাজমুল আলম, সিডিএ’র বোর্ড সদস্য স্থপতি সৈয়দা জেরিনা হোসাইন ও এডভোকেট সৈয়দ কুদরত আলী। ২০০৯ সালে আব্দুচ ছালাম সিডিএ’র চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেওয়ার পর তার সময়কালে নেওয়া ১৩টি প্রকল্পের অনিয়ম-দুর্নীতি তদন্ত করবে এই কমিটি।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

কুষ্টিয়ায় হাত-পা বাঁধা অবস্থায় বয়স্ক নারীর লাশ উদ্ধার।

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলায় হাত–পা বাঁধা অবস্থায় খাইরুন নেছা (৬০) নামের এক বয়স্ক নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার রামচন্দ্রপুর মানিকের বাঁধ এলাকার পাশ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহত নারী হলেন ঐ এলাকার মৃত রজব আলীর মেয়ে।

পুলিশ ও স্থানীয়দের বরাতে জানা গেছে, সকালেই মানিকের বাঁধের পাশে পানিতে ভেসে থাকা একটি লাশ দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে তাঁরা পুলিশে খবর দিলে ভেড়ামারা থানা–পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

এ বিষয়ে ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহাম্মদ জাহেদুর রহমান বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, তাঁকে হত্যা করে হাত–পা বেঁধে এখানে ফেলে রাখা হয়েছে।

বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছি। তদন্তে যা বের হবে, সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

কুষ্টিয়ায় বাড়ি থেকে অস্ত্র-গুলি উদ্ধার।

কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় সোহাগ হোসেন নামের এক রাজমিস্ত্রির বাড়িতে অভিযান চালিয়ে দুটি পিস্তল ও একটি ওয়ান শুটারগান উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ওসমানপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ওসমানপুর কলপাড়া গ্রামে এই অভিযান চালান সেনাসদস্যরা। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় খোকসা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোশাররফ হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ক্যাপ্টেন মেহেদীর নেতৃত্বে কুষ্টিয়া সেনাক্যাম্পের রওশন আরা রেজিমেন্ট আর্টিলারি ইউনিটের একটি দল ওসমানপুর গ্রামের সোহাগ হোসেন নামের এক যুবকের বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় বাড়ি তল্লাশি করে দুটি পিস্তল, একটি ওয়ান শুটারগান, গুলি, দেশীয় চাকু ও হাঁসুয়া পাওয়া যায়। তবে অভিযানে কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। সোহাগ হোসেন পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি। তাঁর বাবার নাম আশরাফ হোসেন।

পুলিশ পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন বলেন, সেনাবাহিনীর অভিযানে উদ্ধার করা অস্ত্র থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ