আজঃ মঙ্গলবার ১৮ মার্চ, ২০২৫

বিলাসবহুল পাঁচটি গাড়ি কিনছে চট্টগ্রাম বন্দর।

চট্টগ্রাম ব্যুরো:

চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ পাঁচটি বিলাসবহুল গাড়ি কিনতে আগ্রহ দেখিয়েছে। মূলত বন্দরের ঊচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা ও দেশি বিদেশি অতিথিদের পরিবহনের জন্য এই গাড়ি ক্রয়ের কথা ভাবছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। সাবেক সংসদ সদস্যদের জন্য শুল্কমুক্ত সুবিধায় আমদানি করা বিলাসবহুল ল্যান্ড ক্রুজার খালাস না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত নিলামে তোলা গাড়িগুলো কিনছে। গত মাসে অনুষ্ঠিত নিলামে ৯ কোটি ৬৭ লাখ টাকার বেশি দামি ২৪টি গাড়ি বিক্রির জন্য তোলা হলে ১৪ জন অংশগ্রহণ করলেও কাঙ্খিত দর দেয়নি কেউই। ফলে প্রথম দফায় বিক্রি হয়নি সে সব গাড়ি। এবার সেই গাড়ি থেকে পাঁচটি গাড়ি কিনতে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ গত ৫ মার্চ নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়ে পাঁচটি গাড়ি কেনার অনুমতি চেয়েছে। যদিও সেই চিঠির কোন উত্তর এখনো মন্ত্রণালয় থেকে বন্দরে পাঠায়নি।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মোহাম্মদ ওমর ফারুক বলেন, সাবেক সংসদ সদস্যদের শুল্কমুক্ত সুবিধায় আমদানি করা গাড়িগুলোর মধ্যে পাঁচটি বন্দর কর্মকর্তাদের ব্যবহারে কেনার জন্য অনুমোদন চেয়ে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এখনও নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় থেকে চিঠির জবাব আসেনি। আমরা কাস্টমসের রিজার্ভ ভ্যালু অনুযায়ী এসব গাড়ি কিনতে চাইছি। অথচ প্রথম নিলামে একটি গাড়িরও রিজার্ভ ভ্যালুর অর্ধেক দামও উঠেনি।

চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের নিলাম শাখার সহকারী কমিশনার মো. সাকিব হোসেন বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ রিজার্ভ ভ্যালু অনুযায়ী সাবেক সংসদ সদস্যদের শুল্কমুক্ত সুবিধায় আমদানি করা পাঁচটি গাড়ি কিনতে চাইছে। এতে রাজস্ব বাড়বে। কেননা প্রতিটি গাড়ির রিজার্ভ ভ্যালু নির্ধারণ করা হয়েছে ৯ কোটি ৬৭ লাখ ৩ হাজার ৮৯৯ টাকা করে। বন্দর কর্তৃপক্ষ ওই দামে গাড়ি কিনতে চাইছে। প্রথম নিলামে এসব গাড়ির সর্বোচ্চ দাম উঠেছে ৩ কোটি ১০ লাখ টাকা এবং সর্বনিম্ন দাম উঠেছে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত।

জানা গেছে, চট্টগ্রাম কাস্টমসের নির্ধারিত রিজার্ভ ভ্যালু অনুযায়ী প্রতিটি গাড়ি ৯ কোটি ৬৭ লাখ ৩ হাজার ৮৯৯ টাকায় কিনতে চাইছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। এতে লাভবান হবে চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। কেননা গত ১৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত নিলামে সেই বিলাসবহুল গাড়ির বিপরীতে দরপত্র জমা দেয় মাত্র ১৪ জন। বাকি ১০টিতে কোন দরপত্রই জমা পড়েনি। নিলামে সর্বোচ্চ দাম উঠেছিল তিন কোটি ১০ লাখ টাকা এবং সর্বনিম্ন দাম উঠে মাত্র এক লাখ টাকা। নিয়ম অনুযায়ী প্রথম নিলামে দরের ৬০ শতাংশ বা তার বেশি যিনি দর দেবেন তার কাছে বিক্রির সুযোগ আছে। এই হিসেবে ন্যূনতম পাঁচ কোটি ৮০ লাখ টাকা দর পড়লে বিক্রির সুযোগ ছিল। এদিকে, কাস্টমস কর্তৃপক্ষ প্রথম নিলামে সাবেক সংসদ সদস্যদের ২৪টি ল্যান্ড ক্রুজার গাড়ির কাক্সিক্ষত দাম পায়নি। এ কারণে একটি গাড়িও বিক্রি হয়নি। এখন দ্বিতীয় নিলামে নতুন করে আরও ৬টি যুক্ত করে মোট ৩০টি গাড়ি নিলামে তোলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

পুঠিয়ায় গৃহবধূর লাশ উদ্ধার।

রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার বারুইপাড়া গ্রামে স্ত্রীকে হত্যা করে লাশ ঘরের আড়ার সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে এক স্বামীর বিরুদ্ধে।
রোববার, ১৬ই মার্চ ভোরবেলা ওই ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত ওই স্বামীর নাম শিপন আলী (৩৫)। শিপন বারুইপাড়া গ্রামের রুস্তমা আলীর ছেলে। তার স্ত্রীর নাম সোমা বেগম।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায় রবিবার ভোরে ঘটনার পর সকালে তার স্ত্রী গলায় উন্না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে বলে প্রতিবেশীদের ডেকে এনে দেখান। পরে থানা পুলিশ খবর পেয়ে লাশটি দেখে সন্দেহ হলে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (রামেকে) পাঠান। অন্যদিকে স্থানীয়রা আরো বলেন দীর্ঘদিন ধরে তাদের মধ্যে পারিবারিক দ্বন্দ্ব চলছিল। ওই ঘটনায় নিহত সোমার মা পিঞ্জিরা বেগম বাদী হয়ে পুঠিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রধান আসামি করে স্বামী শিপন আলীকে। আটক করেন পুঠিয়া থানা পুলিশ, পরে শিপনকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। সরেজমিনে গেলে অভিযুক্ত শিপন আলীর পিতা রুস্তমা আলীকে বাসায় পাওয়া যায়নি।

নিহত সোমার মা পিঞ্জিরা বেগম বলেন, আমার জামাইরা মিলে আমার মেয়েকে মেরে ফেলেছে আমি তাদের ফাঁসি চাই। আমি ঘটনার সুস্থ তদন্ত করে সঠিক বিচার চাই।

এ বিষয়ে পুঠিয়া থানা ওসি কবির হোসেন বলেন,এই ব্যাপারে থানাতে একটি মামলা হয়েছে ও আমরা লাশটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠিয়েছি ও একজনকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করি। আরো যারা আসামি রয়েছে তাদেরকে ধরার জন্য আমরা চেষ্টা করছি।

কলমাকান্দায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির মাঝে ষাঁড় বাছুর বিতরণ।

।নেত্রকোণার কলমাকান্দায় সমতল ভূমিতে বসবাসরত অনগ্রসর ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক ও জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় সুফলভোগীদের মাঝে ষাঁড় বাঁছুর,খাবার ও ওষুধ বিতরণ করা হয়েছে।

কলমাকান্দা উপজেলার সমতল ভূমিতে বসবাসরত অনগ্রসর ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর যাচাইকৃত ৩৮ জনের মাঝে প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ষাঁড় বাঁছুর,খাবার ও ওষুধ বিতরণ করা হয়।

আজ ১৮ মার্চ মঙ্গলবার সকাল ১১টায় উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের আয়োজনে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এসব বিতরণ করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাইযুল ওয়াসীমা নাহাত, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. কনিকা সরকার, উপ-সহকারী প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা (সম্প্রসারণ) মো. সারোয়ার জাহান, আদিবাসী নেতা বথুয়েল কুবি, উপজেলা প্রেসক্লাব সভাপতি শেখ শামীম ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ ওবায়দুল হক পাঠান প্রমূখ।

সমতল ভূমিতে বসবাসরত অনগ্রসর ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক ও জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের উদ্যোগে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে থাকা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মাঝে জনপ্রতি ১টি ষাঁড় বাছুরের সাথে খাবার ও প্রয়োজনীয় ওষুধ বিতরণ করা হয়।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. কনিকা সরকার জানান, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক ও জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় সুফলভোগীদের মাঝে এসব বিতরণ করা হয়েছে। ভবিষ্যতে এ কার্যক্রম আরও বিস্তৃত করা হবে।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ