আজঃ শনিবার ৬ ডিসেম্বর, ২০২৫

মাহে রমজানের পবিত্রতা ও শুদ্ধতা মাথায় রেখে , জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীরমুক্তিযোদ্ধাদের এক অন্যরকম হৃদয়গ্রাহী সংবর্ধনা প্রদান করে লালমোহন উপজেলা প্রশাসন ।

হৃদয়সংবেদী আয়োজনে ভোলার লালমোহনে মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত।

রিপন শান

আপনারা জীবনবাজি রেখে স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন বলেই আজ আমরা বড়ো বড়ো চেয়ারে আসীন ।


🇧🇩🇧🇩🇧🇩🇧🇩🇧🇩🇧🇩🇧🇩🇧🇩🇧🇩🇧🇩🇧🇩🇧🇩🇧🇩🇧🇩🇧🇩🇧🇩🇧🇩🇧🇩

অত্যন্ত হৃদয়তাপূর্ণ আয়োজনের মধ্য দিয়ে ভোলা জেলার লালমোহনে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপিত হয়েছে । ২৬ মার্চ ২০২৫ সকালে লালমোহন সরকারি হাইস্কুল মাঠে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, প্যারেড পরিদর্শন, পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে দিবসের কর্মসূচি উদ্বোধন করেন লালমোহন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শাহ আজিজ । এসময় অভিবাদন মঞ্চে তার সাথে উপস্থিত ছিলেন- লালমোহন থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ সিরাজুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত

ছিলেন- বাংলাদেশ নৌবাহিনীর কর্মকর্তা মোঃ রণি, লালমোহন পৌরসভা বিএনপির আহবায়ক মোঃ সাদেক মিয়া জান্টু, লালমোহন উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা মোঃ আব্দুল হকসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ। অনুষ্ঠানের শুরুতেই একাত্তরের বীরমুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের ফুল দিয়ে বরেন করেন লালমোহন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শাহ আজিজ সহ নেতৃবৃন্দ।

মাহে রমজানের পবিত্রতা ও শুদ্ধতা মাথায় রেখে ,
জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীরমুক্তিযোদ্ধাদের এক অন্যরকম হৃদয়গ্রাহী সংবর্ধনা প্রদান করে লালমোহন উপজেলা প্রশাসন । উপজেলা পরিষদের দোতলায় অবস্থিত কনফারেন্স লাউঞ্জে বীরমুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে- উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শাহ আজিজের সভাপতিত্বে, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- লালমোহন পৌরসভা বিএনপির আহবায়ক মোঃ সাদেক মিয়া জান্টু ; বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মুল্যবান বক্তব্য রাখেন- লালমোহন থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ সিরাজুল ইসলাম, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ তৈয়বুর রহমান,উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ মোঃ ফরিদ উদ্দিন, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম

আহবায়ক ও লালমোহন প্রেসক্লাব আহ্বায়ক সোহেল আজিজ শাহীন , বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুস শহীদ, লালমোহন উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা মোঃ আব্দুল হক প্রমুখ। বক্তব্য রাখেন- লালমোহন উপজেলা জাসাস সভাপতি ও উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আজাদুর রহমান হাওলাদার, বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ শাহজাহান মিয়া, ভোলা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদের আহবায়ক প্রভাষক শাহাবুদ্দিন রিপন শান, লালমোহন উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সিনিয়র সদস্য প্রভাষক জাহিদুল ইসলাম নোমান পাটোয়ারী, লালমোহন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সভাপতি মোঃ বজলুর রহমান,গণ অধিকার পরিষদ লালমোহন উপজেলা শাখার আহবায়ক মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রমুখ। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন লালমোহন উপজেলা যুবদলের অন্যতম নেতা মোঃ নিজাম উদ্দিন মিয়াসহ উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাগণ।


সভাপতির বক্তব্যে মোঃ শাহ আজিজ বলেন- মুক্তিযুদ্ধ শুধু একাত্তরের নয়মাসে হয়নি। ১৯৪৭ সালে দেশবিভাগে শুধুমাত্র ধর্মীয় পরিচয়ের ভিত্তিতে হাজার হাজার মাইল দুরত্বকে মাঝখানে রেখে যে অসম পাকিস্তান রাষ্ট্র তৈরি করা হয়েছিল এবং পশ্চিম পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠী কর্তৃক দুই পাকিস্তানের মধ্যে যে বৈষম্যের পাহাড় তৈরি করা হয়েছিল; তার অবসানকল্পেই বাঙালির মুক্তিযুদ্ধের সূচনা।
এসময় বীরমুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান জানিয়ে তিনি আরো বলেন-আপনারা জীবনবাজি রেখে স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন বলেই আজ আমরা বড়ো বড়ো চেয়ারে আসীন । আপনাদের শ্রম ঘাম রক্তের ঋণ আমরা কোনোদিন শোধ করতে পারবোনা।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে ‘খুঁজি তাঁরে’ শীর্ষক অনুষ্ঠান।


চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে গাঙ্গেয় বদ্বীপের সংগীত ব্যক্তিত্ব যোগী স্বপন কুমার দাশ’র রচিত আধ্যাত্মিক ও দেহতত্ত্ব বিষয়ক গান নিয়ে ‘খুঁজি তাঁরে’ শীর্ষক গত ৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় সাংবাদিক কিরন শর্মার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।

প্রদীপ প্রজ্জ্বলক ও প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ বেতার চট্টগ্রাম এর পরিচালক মো.মাহফুজুল হক। প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের পর প্রখ্যাত সাধক শ্রীমৎ স্বামী সত্যানন্দ ব্রহ্মচারী’জীকে পুষ্পমাল্য অর্পণের মাধ্যমে ‘খুঁজি তাঁরে’ অনুষ্ঠানটি উৎসর্গ করা হয়।

বিশেষ অতিথি ছিলেন বীর মুক্তিযুদ্ধা রাখাল চন্দ্র ঘোষ (যুদ্ধকালিন কমান্ডার), আব্দুর রহিম (লোক ও মরমি শিল্পী), রূপম ভট্টাচার্য (সাংবাদিক), স ম জিয়াউর রহমান(সাংবাদিক), দিদারুল ইসলাম (সংগীত পরিচালক ও কন্ঠ শিল্পী), তন্দ্রা দাশগুপ্তা, সংগীত শিল্পী সঞ্জয় রক্ষিত সহ প্রমুখ। সংবর্ধিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত

ছিলেন পাপিয়া আহমেদ (সংগীত প্রযোজক বাংলাদেশ বেতার চট্টগ্রাম), অপু বর্মন (সংগীত শিল্পী বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশন এবং সংগীত শিক্ষক জেলা শিল্পকলা একাডেমি, চট্টগ্রাম), অপু সেনগুপ্ত (বিশিষ্ট গীতিকার বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশন), দীপ্ত দত্ত সংগীত শিল্পী (বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশন)।

অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন, খ্যাতনামা মরমি কন্ঠ শিল্পী শিমুল শীল, বাউল শিল্পী বাবুল শীল, অভিষেক দাশ, বাউল জুয়েল দ্বীপ, শিউলী চৌধুরী, আনন্দ প্রকৃতি(মো:তৌহিদুল ইসলাম), আধাত্মিক শিল্পী সুরনাথ, কাওয়ালী শিল্পী মেঘলা। ওস্তাদ মোহনলাল দাশ স্মৃতি প্রতিযোগিতার সেরা কন্ঠ শিল্পী বাঁধন ঘোষ, ইন্দ্রিলা ঘরজা, মিম দাশ, অধরা চৌধুরী রাত্রি, আরাধ্যা মজুমদার, সৈয়দ রাসতিন, অরূপ কুমার শীল, ঊর্মি নাগ সংগীত পরিবেশন করেন।

যন্ত্র সংগীত শিল্পীতে ছিলেন- কীবোর্ডে রুবেল ঘোষ, অক্টোপ্যাডে পাপন, তবলায় উৎস, বাংলা ঢোলে হৃদয় বাঁশিতে নিলয়। সংগীত তত্বাবধানে যোগী স্বপন কুমার দাশ, অনুষ্ঠান তত্বাবধানে মো: মোহসীন(সাধারণ সম্পাদক, ওস্তাদ মোহনলাল দাশ স্মৃতি সংসদ)। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন মো: সাইফুর রহমান ও ববিতা ইসলাম।

কুষ্টিয়ায় বাড়ি থেকে অস্ত্র-গুলি উদ্ধার।

কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় সোহাগ হোসেন নামের এক রাজমিস্ত্রির বাড়িতে অভিযান চালিয়ে দুটি পিস্তল ও একটি ওয়ান শুটারগান উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ওসমানপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ওসমানপুর কলপাড়া গ্রামে এই অভিযান চালান সেনাসদস্যরা। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় খোকসা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোশাররফ হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ক্যাপ্টেন মেহেদীর নেতৃত্বে কুষ্টিয়া সেনাক্যাম্পের রওশন আরা রেজিমেন্ট আর্টিলারি ইউনিটের একটি দল ওসমানপুর গ্রামের সোহাগ হোসেন নামের এক যুবকের বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় বাড়ি তল্লাশি করে দুটি পিস্তল, একটি ওয়ান শুটারগান, গুলি, দেশীয় চাকু ও হাঁসুয়া পাওয়া যায়। তবে অভিযানে কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। সোহাগ হোসেন পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি। তাঁর বাবার নাম আশরাফ হোসেন।

পুলিশ পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন বলেন, সেনাবাহিনীর অভিযানে উদ্ধার করা অস্ত্র থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ