আজঃ সোমবার ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫

যারা নির্বাচনের জন্য পাগল হয়েছেন, আপনারা ক্ষমতায় গিয়ে কী করবেন-এ প্রশ্ন রাখতে চাই

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম।

যারা নিজ দলের নেতাকর্মীদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না, তারা ক্ষমতায় গিয়ে কী করবে- এ প্রশ্ন তুলেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম।শনিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলায় একটি কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত ‘ওলামা ও সুধী সম্মেলনে’ তিনি একথা বলেন। জুলাই বিপ্লব পরবর্তী কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা শীর্ষক এ সভার

আয়োজন করে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ইসলামী আন্দোলন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, পাঁচ আগস্ট পরবর্তী যে সরকার এখন আছে, এ সরকারের অবস্থা কিন্তু নড়বড়ে। কারণ সাড়ে ১৫ বছরে ফ্যাসিস্ট সরকার এমন কোনো জায়গা বাদ রাখেনি যেখানে দলীয়করণ করেনি, সব জায়গায় ওদের গুণ্ডাদের বসিয়ে গেছে। সেই জায়গাগুলো পরিস্কার করে সুন্দর একটা পরিবেশ তৈরি না হওয়া পর্যন্ত আবার যদি নির্বাচন হয়, তাহলে সেই নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে বলে আমরা মনে করি।

কোনো রাজনৈতিক দলের নাম উল্লেখ না করে তিনি বলেন, যারা নির্বাচনের জন্য পাগল হয়েছেন, আপনারা ক্ষমতায় গিয়ে কী করবেন- এ প্রশ্ন রাখতে চাই। আপনারা সিগন্যাল তো আগেই দিয়ে ফেলেছেন। সারাদেশের ভেতরে কারা লুট করছে, কারা চাঁদাবাজি করছে, কারা ঘাট দখল করছে, কারা স্টেশন দখল করছে, কারা বিভিন্ন জায়গায় অশান্তি তৈরি করছে- এটা আমরা বাংলাদেশের মানুষ দেখছি। আপনারা নির্বাচন চান, অথচ এখন পর্যন্ত দলীয় লোকদেরই নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি। আপনারা ক্ষমতায় গিয়ে কি করবেন?

আরও লুটতরাজ বাড়িয়ে দেবেন, আরও তাদের সুযোগ দেবেন, এটা বাংলাদেশের জনগণ এখন দেখে ফেলেছে। এটা আমরা বুঝে ফেলেছি। আর নয়। তারা বারবার ক্ষমতায় যাবে আর আমাদের মায়ের বুক খালি করবে, মিথ্যা মামলা দিয়ে হাজার হাজার পরিবার ধ্বংস করবে, এসব আর নয়।

তিনি বলেন, পাঁচ আগস্টের পর মানুষ কিন্তু জুলুমবাজ, খুনি, মিথ্যাবাজ, ধোঁকাবাজ, টাকা পাচারকারীদের আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। এখন মানুষ নীতি-আদর্শের ইসলাম অনুযায়ী দেশ পরিচালিত হবে, সেটা দেখার জন্য, সমর্থন দেয়ার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছে। মানুষ বলছে, আমরা বিএনপি দেখেছি, আওয়ামী লীগ দেখেছি, জাতীয় পার্টি দেখেছি, আরও অনেক দেখেছি, কিন্তু ইসলাম তো দেখিনি।

ইসলামী দলগুলো আর কারও ক্ষমতায় যাবার সিঁড়ি হবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ৫৩ বছর ধরে যারা এদেশের রাষ্ট্রক্ষমতা পরিচালনা করেছে, তারা বারবার ইসলামী দলগুলোকে বোকা পেয়ে ধোঁকা দিয়ে গেছে। আমাদের ক্ষমতায় যাবার সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহার করেছে। আমরা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কারও ক্ষমতার সিঁড়ি হতে চাই না। বাংলাদেশের ইসলামী দলগুলোর নির্বাচনে যাতে একটা বাক্স থাকে, সব ভোট যেন একটা বাক্সে যায়, সেই চেষ্টা আমরা শুরু করেছি এবং ধারাবাহিকতা চলছে।

নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আমরা পরিস্কারভাবে বলছি, আগে যৌক্তিক সংস্কার হবে, তারপর যৌক্তিক সময়ের ভেতরে জাতীয় নির্বাচন হবে। সরকারকে বলব, আপনারা আপনাদের প্রশাসনিক কাঠামো আরও মজবুত করেন। আপনারা দৃঢ়ভাবে আপনাদের কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।

নারীনীতি নিয়ে ভুল না করার আহ্বান জানিয়ে অন্তর্র্বতী সরকারের উদ্দেশ্যে সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, হাজার হাজার ছাত্র-তরুণ জীবন দিয়েছে, পঙ্গু হয়েছে, চোখ হারিয়েছে, এর সুবাদেই আপনারা এখন ক্ষমতায় আছেন। আপনারা যদি নারী সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব বাস্তবায়নের চেষ্টা করেন, তাহলে এদেশের ওলামায়ে কেরাম, ধর্মপ্রিয় মানুষ রাস্তায় নামবে। আমরা যখন রাস্তায় নামবো, তখন ওই জালিমেরা সুযোগ পাবে। দয়া করে এ সুযোগটা তাদের তৈরি করে দেবেন না। এ ভুল করবেন না, পরিস্কারভাবে বলছি। ইসলামবিরোধী, মানুষের চরিত্র হননকারী এই নারীনীতি আমরা বাস্তবায়ন হতে দেব না।

প্রতিবেশি দেশের ষড়যন্ত্র নিয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, একাত্তরে দেশ স্বাধীন হয়েছে, এটা ঠিক। কিন্তু আমরা দেশের মানুষ স্বাধীন ছিলাম না, আমরা ছিলাম পরাধীন। পাঁচ আগস্টের পর আমাদের স্বাধীনভাবে মতামত দেয়া, স্বাধীনভাবে কার্যক্রম পরিচালনার একটা ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। কিন্তু আমাদের প্রতিবেশি, যারা আমাদের বন্ধু বলে আমাদের সবসময় চুষে খেয়েছে, তারা একদম শকুনের মতো আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে, যে কোনোসময় তারা ছোবল দেবে। তারা বড় ইস্যু তৈরি করবে সংখ্যালঘুর নামে নির্যাতনের কথা বলে। সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।সভায় দলটির চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলার নেতারা বক্তব্য দেন।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

দেশের স্বার্থ বিরোধীদেরকে ক্ষমা করবে না জনগণ : মোমিন মেহেদী

নতুনধারা বাংলাদেশ এনডিবির চেয়ারম্যান মোমিন মেহেদী বলেছেন, দেশের স্বার্থ বিরোধীদেরকে ক্ষমা করবে না জনগণ। যেমন ক্ষমা করেনি অতিতের খলনায়কদেরকে, আগামীতেও করবে না। তিনি নতুনধারা বাংলাদেশ এনডিবির আয়োজনে ৫ ডিসেম্বর বেলা ১১ টায় বিজয় মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় উপরোক্ত কথা বলেন।

‘বন্দর বাতিল করা সময়ের দাবি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন প্রেসিডিয়াম মেম্বার বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান শান্তা ফারজানা, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব কাজী মুন্নি আলম, যুগ্ম মহাসচিব ওয়াজেদ রানা প্রমুখ। এসময় মোমিন মেহেদী অন্তবর্তী সরকারের সমালোচনা করে বলেন, নোবেল পাওয়ার পর ২০০৬ সালেই তিনি বলেছিলেন বন্দর মুক্ত করে দিন, আমি দেখবো বন্দর ব্যবস্থাপনা; আজ জাতির ক্রান্তিকালে অর্থনৈতিকভাবে বাংলাদেশকে খাদের কিণারে রেখে বিদেশী কোম্পানীর হাতে তিনি বন্দর তুলে দিয়ে প্রমাণ করেছেন, তিনি নিজের স্বার্থে এদেশকে খন্ড-বিখন্ড করার পাশাপাশি সর্বোচ্চ ক্ষতির মুখে ফেলে দিতে দ্বিতীয়বার ভাববনে না।

এসময় নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, বন্দর চুক্তি বাতিলের ৭২ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছিলাম। এরমধ্যে দেশ বিরোধী বন্দর চুক্তি বাতিলের ব্যবস্থা গ্রহণ না করে রিট করানো হয়েছে। সেই রিট অনুযায়ী মাননীয় আদালত বন্দর চুক্তির সকল কাজ বন্ধের আদেশ দিয়েছে। কিন্তু চুক্তি বাতিলের দাবিতে আমাদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। নির্মম হলেও সত্য যখন বাংলাদেশের মানুষ স্বপ্ন দেখেছিলো ড. ইউনূসের হাত ধরে অর্থনৈতিক মুক্তি আসবে, তখন বাংলাদেশের ঋণের রেকর্ড তৈরি হয়ে ২১ ট্রিলিয়ন ডলার হয়েছে, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি হয়েছে, দুর্নীতি স্বয়ং ইউনূস সাহেবের আত্মীয়-স্বজন-পারিষদবর্গ আর পিয়ন-চাপরাশিদের পৃষ্টপোষকতায় অতিতের রেকর্ড ভেঙ্গে এগিয়ে চলছে। আমাদের এক কথা, তাদের এই বন্দর চুক্তি বাতিল করে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।

বোয়ালখালী পোপাদিয়া ৭;নং ওয়ার্ড় বিএনপির উঠান বৈঠক ধানের শীষে ভোট দেয়ার আহ্বান।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও) আসনে বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী এরশাদ উল্লাহর সমর্থনে বোয়ালখালীর ৬নং পোপাদিয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের উদ্যাগে উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

দিপক কুমার লালার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আলহাজ্ব আজিজুল হক চেয়ারম্যান, প্রধান বক্তা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য, বোয়ালখালী উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ন আহবায়ক ও পোপাদিয়া ইউনিয়ন বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাবেদ মেহেদী হাসান সুজন, বিশেষ অতিথি চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ইউপি সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাক্তার মহসিন খান তরুণ,পোপাদিয়া ইউনিয়ন নির্বাচন সমন্বয়কারি আলহাজ্ব জাকের হোসেন , যুগ্ন আহবায়ক আবুল

হাশেম,বোয়ালখালী উপজেলা বিএনপি’র সাবেক যুগ্ম সংগঠনিক সম্পাদক ও পোপাদিয়া ইউনিয়ন বিএনপি’র সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি মোসলেম মিয়া। দক্ষিণ জেলা শ্রমিক দলের অর্থ সম্পাদক ও পোপাদিয়া ইউনিয়ন বিএনপি’র সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ দিদারুল আলম( রিটনমেম্বার), পোপাদিয়া ইউনিয়ন বিএনপি’রযুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এসএম ইকবাল ,সাবেক ছাত্রদল নেতা মো নাজিম উদ্দীন, বিমল আচার্য়্য বাসু,মাস্টার নিপক লালা,সুনীল সুত্রধর, প্রবীর দাশ,ঝাউতলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি জয়দাশ লালু,নিরুপম আচার্য্য,রুপক লালা, প্যানেলে চেয়ারম্যান হাসান চৌধুরী ,শ্রমিক দল নেতা হোসেন চৌধুরী, চরণদ্বীপ ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন সম্পাদক বেলাল হোসেন,

বক্তব্য রাখেন কৃষকদল বোয়ালখালী উপজেলার যুগ্ন আহবায়ক মোহাম্মদ ওসমান,যুগ্ন আহ্বায়ক আলমগীর, শ্রমিকদল বোয়ালখালী উপজেলার সিনিয়র সহ-সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ বেলাল।তাজুল ইসলাম, এমদাত আনসারি,নজরুল ইসলাম বাবু ,টুটুল,সিদ্দিক আজাদ রিহাদ,বেলাল সাহেব, রাইহান,আজাদ খান,লোকমান, আবদুল সালাম ছোটন,জাবেদ,শ্রমিকদল নেতা সাইফুল আলম । এন এম টিপু প্রমুখ। বক্তব্যরা বলেন
“বিএনপির প্রতীক ধানের শীষ গণমানুষের প্রতীক। যেই খানেই ধানের শীষের প্রচারণা চলছে সেখানেই জনজোয়ার সৃষ্টি হচ্ছে।” তিনি আগামীর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৮ বোয়ালখালী আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহকে ধানের শীষে ভোট দিয়ে বোয়ালখালীর উন্নয়নে সহযোগী হওয়ার জন্য এলাকাবাসীর প্রতি জোর আহবান জানান।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ