আজঃ শুক্রবার ৫ ডিসেম্বর, ২০২৫

স্মার্ট সড়ক বাতির আওতায় আসবে মহানগরের ৪১টি ওয়ার্ডের সড়কগুলো

চট্টগ্রাম ব্যুরো:

চট্টগ্রাম মহানগরের ৪১টি ওয়ার্ডের প্রধান সড়কগুলো স্মার্ট সড়ক বাতির আওতায় আসছে।মহানগরীকে স্মার্ট ও নিরাপদ নগরে রূপান্তর করতে ৪১ ওয়ার্ডে স্মার্ট সড়ক বাতি ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর উদ্যোগ নিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)।

এ জন্য ‘ইমপ্লিমেন্টেশন অফ স্মার্ট লাইটিং (সোলার/নন-সোলার) উইথ এআই বেইসড সিসিটিভি সার্ভেইল্যান্স সিস্টেম ইন চট্টগ্রাম সিটি এরিয়া ফর এনশিউরিং স্মার্ট অ্যান্ড সেফ সিটি’ শীর্ষক একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে সংস্থাটি।চসিক সূত্রে জানা যায়, প্রকল্পটির লক্ষ্য হচ্ছে নগরজুড়ে আধুনিক স্মার্ট লাইটিং ব্যবস্থা স্থাপন এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ভিত্তিক সিসিটিভি ক্যামেরা নেটওয়ার্ক স্থাপন করে জননিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

চসিকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, শহরের প্রধান সড়ক, মোড়, সেতু, জনবহুল ও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে সোলার ও নন-সোলার প্রযুক্তিনির্ভর স্মার্ট লাইট স্থাপনের পাশাপাশি উন্নতমানের নজরদারি ব্যবস্থা চালু করা হবে। এর ফলে অপরাধ দমন, যান চলাচল পর্যবেক্ষণ, দুর্ঘটনা ব্যবস্থাপনা এবং নগর নিরাপত্তায় উল্লেখযোগ্য উন্নতি ঘটবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

সূত্রে জানা গেছে, ইতোমধ্যে এ প্রকল্পের ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট প্রপোজাল (ডিপিপি) প্রণয়নের উদ্দেশ্যে চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। গত ১৯ নভেম্বর চসিকের সচিব মো. আশরাফুল আমিন স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এই কমিটি গঠন করা হয়।

অফিস আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে- চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবু সাদাত মোহাম্মদ তৈয়ব কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। আর চসিকের নির্বাহী প্রকৌশলী আশিকুল ইসলাম ও সহকারী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) মো. সরওয়ার আলম খান কমিটির সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত থাকবেন। এছাড়া নির্বাহী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) মো. শাফকাত বিন আমিন সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

কমিটির কার্যপরিধির মধ্যে রয়েছে- প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় সব তথ্য ও উপাত্ত সংগ্রহ করা, প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় নীতিমালার জন্য সুপারিশ করা, সংগৃহীত তথ্য ও বিশ্লেষণের ভিত্তিতে খসড়া ডিপিপি প্রস্তুত করা, কমিটিকে আগামী ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে মেয়র বরাবরে প্রতিবেদন দাখিল করা।

এ বিষয়ে চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, আমার প্রতিশ্রুতির মধ্যে অন্যতম ছিল পরিবেশবান্ধব ও নিরাপদ নগর করা। ৪১ ওয়ার্ডে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ভিত্তিক সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হলে নগরজুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়ন ঘটবে। অন্যদিকে, পরিবেশবান্ধব সোলার সড়কবাতি স্থাপন করা হলে একদিকে যেমন বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে অন্যদিকে পরিবেশ দূষণ কমাবে।

চসিকের প্রধান প্রকৌশলী মো. আনিসুর রহমান সোহেল বলেন, সড়ক বাতির জন্য ইন্ডিয়ান এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে আমাদের একটি প্রজেক্ট হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে প্রকল্পটি আর আলোর মুখ দেখেনি। আমরা নতুন করে একটি ডিপিপি প্রস্তুতের জন্য কাজ করছি। এর আওতায় নগরের ৪১টি ওয়ার্ডের প্রধান সড়কগুলো থাকবে। পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোও সিসিটিভি ও লাইটের আওতায় আসবে।

কমিটির সদস্য সচিব ও নির্বাহী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) মো. শাফকাত বিন আমিন বলেন, সিটিটিভি ও লাইট বসানোর জন্য আমরা রোডের তালিকা প্রস্তুতের কাজ করছি। ইতোমধ্যে প্রায় ৮০ শতাংশ তালিকা সম্পন্ন হয়েছে। আমাদের পরিকল্পনা হচ্ছে নগরের ৪১ ওয়ার্ড কাভার করা। অর্থাৎ ৪১ ওয়ার্ডের প্রধান প্রধান সড়ক থাকবে। এরপর আমরা লেন ও বাইলেন কাভার করবো।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

কুষ্টিয়ায় বাড়ি থেকে অস্ত্র-গুলি উদ্ধার।

কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় সোহাগ হোসেন নামের এক রাজমিস্ত্রির বাড়িতে অভিযান চালিয়ে দুটি পিস্তল ও একটি ওয়ান শুটারগান উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ওসমানপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ওসমানপুর কলপাড়া গ্রামে এই অভিযান চালান সেনাসদস্যরা। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় খোকসা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোশাররফ হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ক্যাপ্টেন মেহেদীর নেতৃত্বে কুষ্টিয়া সেনাক্যাম্পের রওশন আরা রেজিমেন্ট আর্টিলারি ইউনিটের একটি দল ওসমানপুর গ্রামের সোহাগ হোসেন নামের এক যুবকের বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় বাড়ি তল্লাশি করে দুটি পিস্তল, একটি ওয়ান শুটারগান, গুলি, দেশীয় চাকু ও হাঁসুয়া পাওয়া যায়। তবে অভিযানে কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। সোহাগ হোসেন পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি। তাঁর বাবার নাম আশরাফ হোসেন।

পুলিশ পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন বলেন, সেনাবাহিনীর অভিযানে উদ্ধার করা অস্ত্র থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

ভোলায় জলসিঁড়ি সাহিত্য আসরের কার্যনির্বাহী কমিটি গঠিত ।

দ্বীপজেলা ভোলার আধুনিক সাহিত্য সংগঠন জলসিঁড়ি সাহিত্য আসরের ১৫ সদস্য বিশিষ্ট কার্যনির্বাহী কমিটি গঠিত হয়েছে ।গতকাল ৩ ডিসেম্বর ২০২৫ সন্ধ্যায় ভোলা সদরের গঙ্গাকীর্তি হারুন অর রশিদ স্মৃতি পাঠাগারে অনুষ্ঠিত জলসিঁড়ি সাহিত্য আসরের সাধারণ সভায় সংগঠনের আহ্বায়ক শিশুসাহিত্যিক শাহাবউদ্দিন শামীম এর সভাপতিত্বে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ রোদসী কৃষ্টিসংসারের চেয়ারম্যান ও জাতীয় কবিতা পরিষদ ভোলার প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক সিনিয়র প্রভাষক কবি রিপন শান, জাতীয় সাহিত্য সাংস্কৃতিক ঐক্যজোট ভোলা জেলা শাখার সদস্য সচিব প্রভাষক কবি মিলি বসাক, জলসিঁড়ির সদস্য সচিব কবি মহিউদ্দিন মহিন, জাতীয় কবিতা পরিষদ ভোলার সাংগঠনিক সম্পাদক ও জলসিঁড়ির সংগঠক কবি নীহার মোশারফ, আবৃত্তিশিল্পী সমাজসেবক মীর মোশারেফ অমি প্রমুখ ।

সভায় উপস্থিত সদস্যদের ভোটাভুটির মাধ্যমে শিশুসাহিত্যিক শাহাবউদ্দিন শামীম কে সভাপতি, সিনিয়র প্রভাষক সাংবাদিক কবি রিপন শানকে নির্বাহী সভাপতি, সিনিয়র প্রভাষক সংগঠক মহিউদ্দিন মহিনকে সাধারণ সম্পাদক, কবি গবেষক কবি নীহার মোশারফ কে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ১৫ সদস্য বিশিষ্ট জলসিঁড়ি সাহিত্য আসরের কার্যনির্বাহী কমিটি ২০২৫- ২০২৭ গঠন করা হয়েছে ।

কমিটির সহ-সভাপতিগণ হচ্ছেন- সিনিয়র প্রভাষক কবি মিলি বসাক, কবি মোঃ জুলফিকার আলী। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গণ হচ্ছেন- কবি আল মনির, আবৃত্তিশিল্পী মীর মোশারেফ অমি । অর্থ ও দপ্তর সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন কবি বিলকিস জাহান মুনমুন, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন কবি শাহনাজ পারুল, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন সাংবাদিক মুহাম্মদ নুরুল্লাহ আরিফ । নির্বাহী সদস্যগণ হচ্ছেন- অধ্যক্ষ কবি এম এস জালাল বিল্লাহ, কবি দিলরুবা জ্যাসমিন, কবি চৌধুরী সাব্বির আলম এবং কবি এরশাদ সোহেল ।

আসছে ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ শনিবার বিকেল ৪ টায় ভোলা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিতব্য জলসিঁড়ির মাসিক সাহিত্য সভায় নবনির্বাচিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠিত হবে ।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ