আজঃ শুক্রবার ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫

রদবদল চট্টগ্রাম বন্দরে পরিচালক পদে

চট্টগ্রাম ব্যুরো

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

: চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের (চবক) প্রশাসন বিভাগের পরিচালক পদে রদবদল করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। বুধবার জনপ্রশাসন মন্ত্রাণলয়ের যুগ্মসচিব আবুল হায়াত মো. রফিক স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানা যায়।

জানা যায়, চবকের প্রশাসন বিভাগে দায়িত্বরত পরিচালক মো. মমিনুর রশিদকে বাংলাদেশ চা বোর্ডের সচিব পদে এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদকে চবকের পরিচালক পদে পদায়ন করা হয়েছে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

চট্টগ্রামে পুলিশ ছাড়া অন্য কোনো বাহিনী থাকবে না: সিএমপি কমিশনার

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

চট্টগ্রাম নগরীতে পুলিশ ছাড়া অন্য কোনো বাহিনী বা সন্ত্রাসী গ্রুপ থাকতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার ও অতিরিক্ত আইজিপি হাসিব আজিজ।
বৃহস্পতিবার ১৮ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের কর্ণফুলী হলে সিএমপি কমিশনারের সঙ্গে সাংবাদিকদের মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।


তিনি বলেছেন- সাজ্জাদ বাহিনী, লাল্টু বাহিনী, পল্টু বাহিনী এই সমস্ত বাহিনীকে নির্মূল করতে হবে। চট্টগ্রাম মহানগরীতে পুলিশ বাহিনী ছাড়া অন্য কোনো বাহিনী থাকতে পারবে না। এব্যাপারে প্রয়োজনে চরম পন্থা অবলম্বন করতেও আমি বিন্দুমাত্র দ্বিধাবোধ করব না।


তিনি বলেন, নির্বাচন উপলক্ষে সাঁড়াশি অভিযান চলমান রয়েছে। এই অভিযানটা আমরা আরো তিন-চার মাস আগেই শুরু করেছি। নির্বাচন সংক্রান্ত নানা রকমের চ্যালেঞ্জ আছে, চ্যালেঞ্জগুলো কিন্তু এখন মোটামুটি দৃশ্যমান। আমরা বুঝতে পারছি কোন কোন জায়গা থেকে কি কি ধরনের ঝুঁকি আমাদের উপর আসতে পারে। ঝুঁকির বিষয়টি ঢাকায় দেখলাম, চট্টগ্রামে দেখলাম, খুলনায় দেখছি। বিতাড়িত স্বৈরাচারের যারা কুচক্রী এবং দুর্বৃত্ত, যারা দোসর এবং তাদের যে বিদেশী প্রভু, তারা চেষ্টা করছে কিন্তু এখানে অনেক রকমের সহিংস ঘটনা ঘটিয়ে বাংলাদেশে যে নির্বাচনটা হতে না দেওয়া এবং একটা পর্যায়ে বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করা। বিতাড়িত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ এবং তাদের বিদেশী প্রভু যারা আছে, তাদের এই প্রচেষ্টাকে আমাদেরকে নস্যাৎ করতে হবে।

পুলিশ কমিশনার বলেন, যেকোনো রাষ্ট্র তিনটা পিলারের ওপরে দাঁড়িয়ে থাকে। একটি নির্বাহী বিভাগ, একটি বিচার বিভাগ আরেকটি হচ্ছে সার্বভৌম সংসদ। এই তিনটা বিভাগের মধ্যে একটি ভারসাম্যমূলক অবস্থান তৈরি করে এবং এই ভারসাম্যমূলক অবস্থানের ওপর ভিত্তি করে একটি রাষ্ট্র টিকে থাকে। পরবর্তীকালে বলা হলো, এর বাইরেও আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ, সেটা হচ্ছে মিডিয়া।

এই যে রাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গগুলো আছে, এগুলো যদি একটা অ্যালাইনমেন্টে থাকে, পরস্পর পরস্পরের সাথে এক হয়ে যায়, সেক্ষেত্রে রাষ্ট্রব্যবস্থার যে কতখানি বিপর্যয় হয় সেটা কিন্তু গত ১৭ বছরে দেখেছি। সাধারণ প্রশাসন, বিচারালয়, পুলিশ, সাংবাদিক, সব একটা অ্যালাইনমেন্টে চলে আসছিল। একটা অ্যালাইনমেন্টে তাদেরকে নিয়ে আসা হয়েছিল, রুলিং পার্টি নিয়ে এসেছিল আওয়ামী লীগ। তার ফলে রাষ্ট্র ব্যবস্থাটা একটা বিপর্যয়ের মুখে পড়লো। আওয়ামীপন্থী প্রশাসন, আওয়ামীপন্থী বিচারক, আওয়ামীপন্থী পুলিশ, আওয়ামীপন্থী সাংবাদিক সব এক অ্যালাইনমেন্টে। কি হলো? শেষমেশ একটা ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রব্যবস্থা কায়েম হলো।
পুলিশের লুণ্ঠিত অস্ত্র উদ্ধার প্রসঙ্গে সিএমপি কমিশনার জানান, লুণ্ঠিত অস্ত্রের ৮০ শতাংশ উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি ২০ শতাংশ অস্ত্র পাহাড়ি এলাকার বিচ্ছিন্নতাবাদী গ্রুপের হাতে চলে গেছে বলে তথ্য রয়েছে। তবে নির্বাচনের আগে এসব অস্ত্র উদ্ধারে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চলছে।

মতবিনিময় সভায় সম্মানীত অতিথি হিসেবে একুশে পদকপ্রাপ্ত ও দৈনিক আজাদী পত্রিকার সম্পাদক এম এ মালেক বলেন, জনগণের একটা ভীতি থাকে, এই যে পুলিশ ভীতি যেটা, সেটাকে আমাদের মন থেকে দূর করে আমরা যাতে তাদের কাছে গিয়ে সমাজকে কিছু দিতে পারি এবং ভীতিটা দূর করে সমাজে যে সমস্ত রন্ধ্রে রন্ধ্রে যে সমস্ত অপকর্ম হচ্ছে, সেগুলির ইনফরমেশনটা দিতে পারেন। ইনফরমেশনটা দিলেই কিন্তু পুলিশ গিয়ে সেখানে দেখবে এবং সেখানে তার প্রতিকার করার যে ব্যবস্থা সেটা ওনারা করতে পারেন। কারণ সব জায়গায় গিয়ে, পুরো শহরে আসলে ওনাদের পক্ষে গিয়ে কোনো কিছু করা সম্ভব নয়। আমার মনে হয় এইদিকে আমাদের আরেকটু মনোযোগী হওয়া উচিত।


চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি জাহিদুল করিম কচির সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মিয়া মো. আরিফ। চ্যানেল ওয়ানের ব্যুরো প্রধান মো. শাহনেওয়াজ রিটনের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ডেইলি পিপলস ভিউ সম্পাদক ওসমান গণি মনসুর, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) ওয়াহিদুল হক চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) মো. হুমায়ুন কবির, প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি মুস্তফা নঈম, ক্লাবের কার্যকরী সদস্য ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সালেহ নোমান ও রফিকুল ইসলাম সেলিম।

লক্ষ্মীপুরে স্ত্রী ‘ র দাবি নিয়ে স্বামীর বাড়িতে ঝিনাইদহের তরুণীর অনশন।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার কুশাখালীতে ঝিনাইদহের এক তরুণীর অনশন। ঘরে তালা দিয়ে উধাও পরিবারের সদস্যরা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ১৮ নং কুশাখালী ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড পূর্ব নলডগির নিজাম হুজুরের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটেছে।

ঘটনার বিবরণে জানা যায় মাদরাসা শিক্ষক নিজাম উদ্দিনের বড় ছেলে নাঈম উদ্দিন রাজু ঢাকায় লেখা পড়া করার সুবাদে সহশিক্ষার্থী ঝিনাইদহের তরুণী সাগরিকা আক্তার মৌসুমির সাথে পরিচয় ও পরবর্তীতে বিয়ে সংসার।

চলতি বছরের ১০ জুন লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুরে কাজী অফিসে ১০ লক্ষ টাকা দেনমোহরে উভয়ে বিয়ে রেজিষ্ট্রি করে। ঢাকার রামপুরায় গত কয়েক মাস একসঙ্গে সংসারও করে।

কিন্তু গত নভেম্বর মাসের ২০ তারিখে নাঈম কাউকে কিছু না জানিয়ে প্রবাসে ( কম্বোডিয়া) চলে যায়। প্রবাসে গিয়ে সাগরিকা কে তা মেসেজ দিয়ে জানায় এবং গত কয়েক মাসের ঘটে যাওয়া সব কিছু অস্বীকার করে।
যার কারণে ভুক্তভোগী তরুণী চলতি মাসের ৮ তারিখে নাঈমের গ্রামের বাড়িতে এসে বিষয়টি জানালে পরিবারও তা মেনে নেইনি। সর্বশেষ গতকাল ১০ ডিসেম্বর চন্দ্রগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ছেলের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছে। ঘরে তালা দেওয়া থাকায় ছেলের পরিবারের কারও সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় দেখা দিয়েছে এ ঘটনায়। এলাকাবাসীও ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের দাবি ও সমাধান আশা করে। চন্দ্রগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মোরশেদ আলম বিষয়টি অবগত হয়েছেন, ছেলের পরিবারের সাথে কথা বলে পরবর্তী করণীয় জানাবেন বলে জানিয়েছেন।উল্লেখ্য গত জুলাই আন্দোলন করতে গিয়ে এ প্রেম, প্রণয় ও সংসার।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ