আজঃ শনিবার ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫

তিস্তার সব জলকপাট খোলা, স্থানীয়দের নদীতীর থেকে সরে যেতে প্রশাসনের মাইকিং।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড-পাউবো জানিয়েছে, বুধবার সন্ধ্যায় তিস্তা নদীর পানি বেড়ে ডালিয়া ও দোয়ানি পয়েন্টে বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে কাউনিয়া পয়েন্টে এখন পানি বিপৎসীমার নীচেই রয়েছে। এরই মধ্যে তিস্তা পানি নিয়ন্ত্রণ ব্যারেজের ৪৪টি জলকপাট খুলে দেওয়া হয়েছে।

রংপুর ছাড়াও লালমনিরহাট, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা তিস্তার তীরবর্তী এলাকায় বন্যার আশঙ্কা করছে স্হানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড( পাউবো)

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের বরাত দিয়ে নীলফামারীর ডালিয়া পয়েন্ট পাউবো জানায়, ভারতের উত্তর সিকিমে তিস্তা নদীর চুংথাং ড্যাম ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় তিস্তা নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভারতীয় আবহাওয়া সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ভারতের সিকিম অঞ্চলে আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ভারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে।

বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় তিস্তা নদীর ডালিয়া ব্যারেজ পয়েন্টে বিপৎসীমার (৫২ দশমিক ১৫ মিটার) ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বিকাল ৪টায় এটি বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। রাত অবধি তা বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৫০ সেন্টিমিটার উপর পর্যন্ত উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করছে কর্তৃপক্ষ।

অন্যদিকে তিস্তা নদীর রংপুর কাউনিয়া পয়েন্টে বেলা ৩টার তথ্য অনুযায়ী, সমতল ২৮ দশমিক ২৮ মিটার (বিপৎসীমার ৪৭ সেন্টিমিটার নিচে) প্রবাহিত হচ্ছিল। তবে বৃহস্পতিবার ভোর নাগাদ তা বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

পাউবো রংপুরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মাহবুবর রহমান বলেন, “উজানে ভারি বর্ষণের কারণে তিস্তাসহ আশপাশের নদীগুলোতে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। মাইকিং করে সতর্কতা জারি করে নিম্নাঞ্চলের মানুষকে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় আমরা মানুষকে সচেতন করছি। কোথাও কোনো সমস্যা হলে পাউবো বোর্ড তা মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে। তিস্তা ব্যারাজের ফ্লাড বাইপাস দিয়ে মানুষজনের চলাচলে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

এদিকে সকাল থেকে বৃষ্টির ফলে আগাম জাতের আমন ধান তিস্তার চরে কেটে রাখায় বিপাকে পড়েছে মানুষ। বন্যার খবর শোনার পর থেকেই বৃষ্টি উপেক্ষা করে কেটে রাখা ধান চর থেকে সরিয়ে নিচ্ছেন চাষিরা। পাশাপাশি কাটতে না পারা আমন ধান ক্ষেত পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন তারা।

গঙ্গাচড়া উপজেলার লক্ষ্মীটারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল হাদি বলেন, “আমরা নদী তীরবর্তী মানুষদের নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য মাইকিং করছি।”

গঙ্গাচড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদ তামান্না বলেন, তিস্তা পাড়ের বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে যাওয়ার জন্য বলা হচ্ছে। বন্যা মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি।”

পাউবো নীলফামারীর ডালিয়া পয়েন্টের প্রকৌশলী আসফাউদদৌলা বলেন, “ভারতের উত্তর সিকিমে লোনক হ্রদে ভারি বৃষ্টির জেরে তিস্তা নদীর পানি প্রবল বেগে ভয়াবহ ঢল নেমে আসছে। এর ফলে সিকিমের সঙ্গে ভারতের যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। হড়কা বান (আকস্মিক বন্যা) বলা হচ্ছে এটিকে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

প্রচন্ড তাপদাহে রাজশাহীর জনজীবন অতিষ্ঠ।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

প্রচন্ড তাঁহাকে রাজশাহীর জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মতো রাজশাহী এবং চুয়াডাঙ্গা জেলায় তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। দেশের অন্যান্য অংশেও মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আবহাওয়া অধিদপ্তর নতুন পূর্বাভাস দিয়েছে।

২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে জানানো হয়, সারা দেশে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে।

রাজশাহী ও চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগসহ রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশ এবং রংপুর, দিনাজপুর, কুড়িগ্রাম ও মৌলভীবাজার জেলায় মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বিরাজ করছে, যা আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে।

আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। তবে বাকি এলাকায় আবহাওয়া শুষ্কই থাকবে। রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।

তবে বৃষ্টির সম্ভাবনা কিছুটা বাড়তে পারে। ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং অন্যান্য বিভাগগুলোর দু-এক জায়গায় দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এ সময় দিনের তাপমাত্রা ১-৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং রাতের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে। ফলে তাপপ্রবাহ কিছুটা প্রশমিত হতে পারে।

মঙ্গলবার এবং বুধবারও একই ধারা অব্যাহত থাকবে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে আবহাওয়া বেশিরভাগ এলাকায় শুষ্কই থাকবে। সপ্তাহের মাঝামাঝি থেকে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে বা কিছুটা কমতে পারে। এ সপ্তাহের শেষের দিকে বৃষ্টির সম্ভবনা আছে ।

মজমুল হক আলতু মেম্বার শিক্ষা কল্যাণ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে কম্বল বিতরণ

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

নেত্রকাণার প্রতাপপুরের “মজমুল হক আলতু মেম্বার শিক্ষা কল্যাণ ফাউন্ডেশনের” উদ্যোগে দরিদ্র ছাত্র ছাত্রী, এতিম ও অসহায়ের মাঝে শীতবস্ত্র ( কম্বল) বিতরণ করা হয়।

নেত্রকোণা সদর উপজেলার প্রতাপপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে এই শীতবস্ত্র (কম্বল) বিতরণ অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

“মজমুল হক আলতু মেম্বার শিক্ষা কল্যাণ ফাউন্ডেশনের” প্রতিষ্ঠাতা  উক্ত কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানের সভাপতিত্বে ও সাংবাদিক আজাদ ইমরান এর সঞ্চালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উক্ত প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ও প্রতাপপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মশিউর রহমান, বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের ময়মনসিংহ বিভাগীয় সভাপতি সাংবাদিক শামীম তালুকদার, আব্দুল মান্নান নন্দন, আবুল কালাম, দেলোয়ার হোসেন সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও ছাত্র ছাত্রীদের অভিভাবকবৃন্দ।

“মজমুল হক আলতু মেম্বার শিক্ষা কল্যাণ ফাউন্ডেশনের” উদ্যোগে নেত্রকোণা জেলার সদর উপজেলার ৪নং সিংহের বাংলা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার প্রায় ৩০০শত গরীব ছাত্র ছাত্রী, এতিম ও অসহায় পরিবারের মাঝে শীতবস্ত্র( কম্বল) বিতরণ করা হয়।

“মজমুল হক আলতু মেম্বার শিক্ষা কল্যাণ ফাউন্ডেশন” ২০২০ সাল থেকে বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়ন মূলক ও সামাজিক সহায়তা মূলক কাজ করে আসছে। এলাকার হতদরিদ্র ও অসহায় পরিবারের মধ্যে ঈদ, রোজা ও বিভিন্ন প্রাকৃতিক দূর্যোগে এই ফাউন্ডেশন এর উদ্যোগে নানান ধরনের সাহায্য সহযোগিতা করে থাকেন।

প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ও পরিচালক তাদের বক্তব্যে এই ফাউন্ডেশনের এর মাধ্যমে আগামীতে আরও উন্নয়ন মূলক কাজ অব্যাহত রাখার জন্য সকলের সহায়তা করা হয়।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ