আজঃ সোমবার ১০ নভেম্বর, ২০২৫

এইচএন্ডআই কাউন্সিল ইন্টারন্যাশনাল ইডুকেশন ফেয়ার’২৩ উপলক্ষ্যে সংবাদ সম্মেলন

বার্তা কক্ষ:

বিদেশে মানসম্পন্ন উচ্চ শিক্ষার জন্য এইচএন্ডআই কাউন্সিল ইন্টারন্যাশনাল ইডুকেশন ফেয়ার’২৩ উপলক্ষ্যে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার ২১ অক্টোবর২৩ ইং সকাল ১০.৩০ মিনিটে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের এফ রহমান হলে।

চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এইচএন্ডআই কাউন্সিলের প্রতিষ্ঠাতা সানিউল ইসলাম তাঁর বক্তব্য তুলে ধরে বলেন, নভেম্বরে ক্রমবর্ধমান চাহিদার কারণে বর্তমানে অনেক শিক্ষার্থী উচ্চ শিক্ষার জন্য বিদেশ যেতে ইচ্ছুক। উন্নতমানের জীবনযাত্রা, আধুনিক পড়াশোনা এবং শিক্ষার পাশাপাশি চাকরীর ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা থাকার কারণে আজকাল বেশির ভাগ শিক্ষার্থী পাড়ি জমাচ্ছে বিদেশে। গবেষণা-মুখী শিক্ষা, পর্যাপ্ত পরিমাণ সুযোগ-সুবিধা, রেসিডেন্সি পারমিট পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা ও নিজ ভবিষ্যৎ জীবনকে সুন্দর করার লক্ষ্যে আজকাল অনেক শিক্ষার্থী নিজেদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ছুটে চলছে বিদেশে। বিদেশ থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে মাল্টিন্যাশনাল অথবা কর্পোরেট জগতে দক্ষতার সাথে কাজ করছে অনেকে।

 

 

সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, আমাদের দেশ থেকে যে সমস্ত শিক্ষার্থীরা বিদেশে উচ্চ শিক্ষার জন্য চিন্তা করেন তখন কোন দেশ, বিষয়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ভর্তি হতে কি কি লাগবে, খরচ কেমন লাগবে, স্কলারশীপ সুবিধা আছে কিনা ইত্যাদি বিষয়ে বেশীরভাগ শিক্ষার্থীর পরিষ্কার ধারনা থাকে না। পরিষ্কার ধারনার জন্য এইচএন্ডআই কাউন্সিল ১৮ নভেম্বর ২০২৩ইং হোটেল পেনিনসুলায় ইন্টারন্যাশনাল ইডুকেশন ফেয়ার ২০২৩ এর আয়োজন করেছে। এ মেলা থেকে শিক্ষার্থীরা বিস্তারিত তথ্য ও সরাসরি ভর্তির সুযোগ পাবেন।

এই বিষয়ে আপনার প্রতষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কি পরিমাণ পরামর্শ ফি নেওয়া হয় ?

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিইও বলেন, আমরা ছাত্র/ছাত্রীদের পরামর্শের জন্য কোন ফি গ্রহণ করিনা। বিনামূল্যে পরামর্শ দিয়ে থাকি।

বিদেশে শিক্ষাগ্রহণের ক্ষেত্রে অনেক ছাত্র প্রতারিত হচ্ছে এই বিষয়ে আপনার প্রতিষ্ঠানের বক্তব্য কি ? জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমকে কোন ধরণের আর্থিক লেনদেন হয় না। যা লেনদেন হবে ব্যাংকের মাধ্যমে ছাত্র/ছাত্রীরা সরাসরি তাদের পছন্দের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে করবে। যেহেতু আমাদের প্রতিষ্ঠান নগদ কোন টাকা গ্রহণ করে না, সুতরাং প্রতারিত হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই।

বিদেশে টিউশন ফি বেশী সে ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের পার্টনাটম জব করার কোন সুযোগ আপনারা করে দেন কিনা জানতে চাইলে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, আমরা দীর্ঘ ২৩ বছর ধরে এই পেশার সাথে জড়িত। আমাদের অনেক শিক্ষার্থীও বিদেশে প্রতিষ্ঠিত আমাদের মাধ্যমে কেউ ভর্তি হলে পার্টনাইম জবের জন্য আমরা হেল্প করে থাকি এবং পাশাপাশি কেউ থাকেল সহযোগীতা করতে বলি।

বিদেশে ভর্তি হতে হলে ভাষা একটা বড় বিষয়, ভাষা শেখার ‌ব্যাপারে আপনারা কি করেন? সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিইও বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠান কোন ভাষা শেখার প্রতিষ্ঠান না; যারা ভাষা শিখতে চাই তাদের ভাষা শেখার প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করিয়ে দিই।

আগামী ১৮ নভেম্বর ২০২৩ইং হোটেল পেনিনসুলায় ইন্টারন্যাশনাল ইডুকেশন ফেয়ার ২০২৩ এই উপলক্ষ্যে বিশেষ কোন সুবিধা আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, যদি কেউ শিক্ষা মেলা চলাকালীন ভর্তি হয় তার জন্য ল্যাপটপ উপহার থাকবে।

সভাপতির বক্তব্যে প্রতিষ্ঠানের উপদেষ্টা রেহেনা বেগম উপস্থিত সকল সাংবাদিকদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করে সংবাদ সম্মেলনের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র এক্সিকিউটিভ মাসুদুর রহমান, মো. হেলাল উদ্দিন প্রমুখ।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

বে টার্মিনাল চালু হলে আমদানি-রপ্তানি খাতে নতুন যুগের সূচনা হবে : চবক চেয়ারম্যান

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এস. এম. মুনিরুজ্জামান বলেছেন, ২০৩০ সালের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরের বহুল প্রতীক্ষিত বে টার্মিনাল অপারেশনে যাবে। এই টার্মিনাল চালু হলে বাংলাদেশের অর্থনীতি, বাণিজ্য ও আমদানি-রপ্তানি খাতে এক নতুন যুগের সূচনা হবে। সোমবার সকালে বন্দর অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত “জেনারেল মার্কেট এনগেজমেন্ট কনফারেন্স ফর দ্য বে টার্মিনাল মেরিন ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট” শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ তথ্য জানান।

রিয়ার অ্যাডমিরাল মুনিরুজ্জামান বলেন, বে টার্মিনাল শুধু চট্টগ্রাম নয়, পুরো দক্ষিণ এশিয়ার বাণিজ্য মানচিত্রে বাংলাদেশের অবস্থান আরও শক্তিশালী করবে। এটি চালু হলে দেশের রপ্তানি সক্ষমতা ও জাহাজ আগমনের সময় নাটকীয়ভাবে কমে আসবে। দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতেও আসবে আমূল পরিবর্তন।

তিনি আরও বলেন, বে টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পের নকশা ও প্রস্তুতিমূলক কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। সরকার ও বন্দর কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে দেশি-বিদেশি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনা সম্পন্ন করেছে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রকৌশল) কমডোর কাওছার রশিদ বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের ক্রমবর্ধমান চাপ কমাতে বে টার্মিনাল প্রকল্পটি সময়ের দাবি। চট্টগ্রাম বন্দরের সব স্টেকহোল্ডার চান, বে টার্মিনাল দ্রুত বাস্তবায়িত হোক। প্রকল্পের আওতায় সাগরে ব্রেকওয়াটার ও নেভিগেশন চ্যানেল নির্মাণের পাশাপাশি টার্মিনাল এলাকায় রেল ও সড়ক সংযোগ, কনটেইনার ইয়ার্ড, জেটি এবং আধুনিক সেবা অবকাঠামো তৈরি করা হবে।

প্রেজেন্টেশন প্রদর্শনীতে তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ২০২৫ সালের এপ্রিল থেকে ২০৩১ সালের জুন পর্যন্ত মেয়াদে ‘বে টার্মিনাল মেরিন ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট’ বাস্তবায়ন করবে। প্রকল্পটি নগরীর উত্তর হালিশহরের আনন্দবাজার এলাকায় গড়ে তোলা হবে।বন্দর কর্তৃপক্ষের আশা, বে টার্মিনাল চালু হলে বছরে কমপক্ষে ৩০ লাখ টিইইউ কনটেইনার হ্যান্ডলিং সম্ভব হবে, যা বর্তমান সক্ষমতার প্রায় দ্বিগুণ।
মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করেন প্রকল্পের সম্ভাব্য দেশি ও বিদেশি ঠিকাদারদের প্রতিনিধিরা, বন্দর ব্যবহারকারী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, প্রকৌশলী ও পরিকল্পনা কমিশনের কর্মকর্তারা।সভায় বক্তারা বলেন, বে টার্মিনাল সফলভাবে বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশ আঞ্চলিক বাণিজ্যের অন্যতম লজিস্টিক হাব হিসেবে গড়ে উঠবে এবং চট্টগ্রাম বন্দরের শতবর্ষী ঐতিহ্য নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে।

নয় লাখেরও বেশি শিশুকে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেয়া হচ্ছে : মেয়র শাহাদাত

চট্টগ্রামকে একটি হেলদি সিটি হিসেবে গড়ে তুলতে নয় লাখেরও বেশি শিশুকে বিনামূল্যে টাইফয়েড ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে বলে জানালেন চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। তিনি বলেন, চসিক পরিচালিত মেমন হাসপাতালে শিশুদের জন্য নিওনেটাল ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (এনআইসিইউ) চালু হচ্ছে এবং স্বল্পমূল্যে ডায়ালাইসিস সুবিধাও যুক্ত করা হবে। এগুলো হেলদি সিটি গড়ার লক্ষ্য পূরণে করা হচ্ছে। রোববার হাজি আবদুল আলী সিটি করপোরেশন উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক পুরস্কার বিতরণ ও কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্য খাতে চলমান উদ্যোগের কথা তুলে ধরে মেয়র বলেন, চট্টগ্রামকে একটি হেলদি সিটি হিসেবে গড়ে তুলতে নয় লাখেরও বেশি শিশুকে বিনামূল্যে টাইফয়েড ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। মেয়েদের জন্য এইচপিভি টিকাদান কার্যক্রম চালু করা হয়েছে যাতে জরায়ু ক্যান্সার প্রতিরোধ সম্ভব হয়। এ ছাড়া ব্রেস্ট ক্যান্সার ও লিভার ক্যান্সার সচেতনতা মাসে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে। আমরা চাই নতুন প্রজন্মকে এমনভাবে গড়ে তুলতে যাতে তারা বৈষম্যহীন সমাজ নির্মাণে নেতৃত্ব দিতে পারে। শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে সিটি করপোরেশনের ভর্তুকিকে আমরা ব্যয় নয়, বরং জাতি গঠনে বিনিয়োগ হিসেবে দেখি।

তিনি বলেন, তরুণ প্রজন্মের জন্য চট্টগ্রামকে একটি গ্রিন, ক্লিন, হেলদি ও সেফ সিটি হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড। শিক্ষার্থীদের নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে, গুরুজন ও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সম্মান করতে হবে। শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতকে অগ্রাধিকার দিয়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

মেয়র বলেন, গত এক বছরে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন জলাবদ্ধতা নিরসনে ৫০ শতাংশ অগ্রগতি অর্জন করেছে। ৫৭টি খালের মধ্যে বেশিরভাগই সংস্কার করা হয়েছে। বাকি খালগুলো দ্রুত সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জসিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে চসিকের প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা ড. কিসিঞ্জার চাকমা, সিনিয়র সহকারী সচিব ও শিক্ষা কর্মকর্তা নাজমা বিনতে আমিন, স্কুল পরিচালনা কমিটির সদস্য এসএম জিয়া উল হুদা, মোহাম্মদ নুরুল আকবর কাজল, মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, ফিরোজ শাহ সিটি করপোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ