আজঃ শনিবার ১২ জুলাই, ২০২৫

টেকনাফে ২৪ হাজার পিস ইয়াবাসহ ১ মাদক কারবারি আটক

নিউজ ডেস্ক:

 

কক্সবাজার র‌্যাব-১৫ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে, জেলার টেকনাফ থানাধীন হোয়াইক্যং ইউনিয়নের কুতুবদিয়াপাড়া এলাকায় কতিপয় ব্যক্তি অবৈধ মাদকদ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট ক্রয়-বিক্রয় অথবা অন্যত্র প্রেরণের উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে।

উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে ২৩ অক্টোবর ২০২৩ তারিখ অনুমান ১২.৪৫ ঘটিকায় র‌্যাব-১৫, সিপিসি-২, হোয়াইক্যং ক্যাম্পের একটি চৌকস আভিযানিক দল বর্ণিত স্থানে মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। আভিযানিক দল হোয়াইক্যং ইউনিয়নের কতুবদিয়াপাড়া এলাকার জনৈক মৌলভী আব্দুল জলিল এর বাড়ীর উত্তর পাশে পৌঁছালে র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে কৌশলে পালানোর চেষ্টাকালে একজন মাদক কারবারীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

আসামী জিজ্ঞাসাবাদে তার বসত ঘরের শয়ন কক্ষের খাটের নিচে লুকায়িত অবস্থায় শপিং ব্যাগের ভিতর অবৈধ মাদকদ্রব্য ইয়াবা মজুদ রয়েছে মর্মে স্বীকার করে। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত ব্যক্তি ও তার বসত ঘর বিধি মোতাবেক তল্লাশী করে সর্বমোট ২৪,০০০ (চব্বিশ হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।

 

 

গ্রেফতারকৃত মাদক কারবারীর বিস্তারিত পরিচয়ঃ
মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন (২৫), পিতা-আব্দুল জলিল, মাতা-রেহেনা বেগম, সাং-কুতুবদিয়াপাড়া, ওয়ার্ড নং-০৩, ইউনিয়ন-হোয়াইক্যং, থানা-টেকনাফ, জেলা-কক্সবাজার বলে জানা যায়। এছাড়াও ধৃত ব্যক্তি তার সাথে থাকা অন্য একজন সহযোগীর নাম ও ঠিকানা প্রকাশ করে এবং সে র‌্যাবের উপস্থিতি বুঝতে পেরে কৌশলে পালিয়ে যায় মর্মে স্বীকার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সে এবং পলাতক মাদক কারবারী পরস্পর যোগসাজসে দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ব্যবসায়ের সাথে জড়িত। তারা সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদক সংগ্রহ করে নিজেদের হেফাজতে মজুদ রেখে টেকনাফ ও কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন এলাকায় বিক্রয় করে থাকে বলে জানা যায়।

উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য ইয়াবাসহ ধৃত ও পলাতক মাদক কারবারীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণার্থে কক্সবাজার জেলার টেকনাফ মডেল থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করা হয়েছে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

পটিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে ৫১২টি গ্যাস সিলিন্ডার উদ্ধার।

চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলা খরনা ইউনিয়নের মুজাফরাবাদ নাইতপাড়া এলাকায় গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ যৌথ অভিযান পরিচালনা করে একটি অবৈধ কারখানা হতে গ্যাসের সরঞ্জাম ও ৫১২টি গ্যাস সিলিন্ডার উদ্ধার করে।

স্হানীয়রা জানান, চন্দনাইশ উপজেলার আবদুর রহিম দীর্ঘদিন ধরে পটিয়ার মুজাফরবাদ এলাকায় প্রশাসনকে ফাঁকি দিয়ে অবৈধ গ্যাস ফিলিং কারখানা চালু করেন।এখানে খালি বোতলে পরিমাণে কম দিয়ে তা পুনরায় বাজারে বিক্রি করা হয়। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ যৌথ অভিযানে গ্যাস সরঞ্জাম সহ ৫১২টি বিভিন্ন কোম্পানির নতুন পুরান গ্যাস সিলিন্ডার, গ্যাস ফিলিং এর হাওয়া মেশিন ও বিভিন্ন যন্ত্রপাতি

উদ্ধার করা হয়। মালিক আবদুর রহিম ও কর্মচারী যৌথ অভিযানের খবর পেয়ে পালিয়ে যায়। পটিয়া থানার এস আই সমীর ভট্টাচার্য জানান,গোপন সুত্রে খবর পেয়ে, সেনাবাহিনী ও পুলিশ যৌথ অভিযান পরিচালনা করে ৫১২টি গ্যাস সিলিন্ডার, গ্যাস ফিলিং সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।

সন্ত্রাসীরা খুলে নিল স্পিড বোটের ইঞ্জিন

সন্রীসীরা গুলি করে খুলে নিল ষ্পীড বোর্ডের ইঞ্জিন। ঘটনাটি রাজশাহীর বাঘায়, পদ্মার চরাঞ্চলে বৈধ ইজারা নেওয়া বালুমহলের খেয়া ঘাটে চাঁদা দিতে না চাওয়ায় গভীর রাতে গুলি ছুঁড়ে দুইটা স্পিডবোট ভাঙচুর ও একটি স্পিড বোর্ডের ইঞ্জিন খুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তবে ঘটনার সাথে জড়িতদের চিহিৃত করতে পারেনি পুলিশ।

স্থানীয়রা জানান, মাঝে মধ্যে গভীর রাতে নদীর পাঁড়ের খেয়াঘাট এলাকায় গুলির শব্দ শুনতে পান তারা। গভীর রাতে একই ভাবে গুলির শব্দ শুনেছেন। সোমবার সকালে দেখতে পান দুইটা স্পিডবোট ভাঙচুর ও একটি স্পিড বোর্ডের ইঞ্জিন খুলে নিয়ে গেছে।

জানা যায়, রাজশাহী জেলা প্রশাসনের আওতাধীন উপজেলার চকরাজাপুর ইউনিয়নের লক্ষীনগর মৌজায় ২৪.০০ একর বালুমহালটি এবছর(বাংলা১৪৩২ সন) মেসার্স সরকার ট্রেডার্সকে ইজারা দেওয়া হয়েছে। ইজারাদার এসএম এখলাসের লোকজন সেখানে ড্রেজার মেশিনের মাধ্যমে বালু উত্তোলন করে ক্রয়-বিক্রয় করেন।

সোমবার (৭ জুলাই’২৫) সরেজমিন কথা হলে ইজারাদারের কর্মরত ম্যানেজার বেলাল হোসেন জানান, এখানকার বালু নদীপথে ইঞ্জিনচালিত নৌকায় নিয়ে বিভিন্ন জেলাতে বিক্রি করা হয়। তবে এই বালু নিয়ে যেতে হলে বিভিন্ন স্থানে চাঁদা দিতে হয়। আর না দিলেই বিরোধিতা শুরু হয়। রোববার দিবাগত (৬ জুলাই) রাত সাড়ে ৩টার দিকে সেই ঘটনাই ঘটেছে।
ওয়াজেদ সিকদার নামে একজন বলেন, ভোরে মাছ ধরার জন্য এই খেয়া ঘাটে এসে সবার মুখে গুলাগুলি, দুইটা পিডবোট ভাঙচুর এবং একটি পিডবোটের ইঞ্জিন নিয়ে গেছে বলে শুনেছি।

স্পিডবোটের ড্রাইভার সালাম বিশ্বাস বলেন, সেই রাতে হঠাৎ করে ৩ টি নৌকায় প্রায় ৩৫-৪০ জন সন্ত্রাসী ঘাটে এসে এলোপাথাড়ি গুলি ছুড়তে থাকে।

খেয়া ঘাটে থাকা দুইটা স্পিডবোট নদীর মাঝখানে নিয়ে গিয়ে ভাঙচুর করে এবং একটি স্পিড বোটের ইঞ্জিন খুলে নিয়ে গেছে। ড্রেজারের মধ্যে থাকা ড্রাইভাররা ভয়ে নদীর ঘাট থেকে উপরে উঠে নিজেকে রক্ষার জন্য আত্মগোপন করেন। পরে গুলির খোশা দেখে গুলি ছুঁড়ার বিষয়টি নিশ্চিত হতে পেরেছেন।

খেয়া ঘাটের পাড়ের একজন গ্রাম পুলিশের ভাষ্য, রাত আনুমানিক সাড়ে তিনটার দিকে গুলির শব্দ পাই। এসময় ঘরের ফাঁক দিয়ে দেখেন তিনটা নৌকাতে প্রায় ৪০ জনের মতো লোক এদিক ওদিক ছোটা ছুটি করে গুলি ছুড়ছেন। এসময় ড্রেজার মেশিনের ড্রাইভাররা আমার বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেন।

রাজশাহী জেলা ছাত্রদলের আহবায়ক শামীম সরকার বলেন,বৈধ ইজারা নিয়ে তারা বালু উত্তোলন করছেন। কিছু দিন আগে লালপুরের কাকন বাহিনীর লোক যৌথভাবে খাল এন্টারপ্রাইজ নামে ¯স্লিপ দিয়ে খাজনা আদায় করে। যেটা বৈধ কিনা তার কোন প্রমাণ নেই। আমার এখানকার বালুবাহি ট্রলার বা ড্রেজার থেকে তারা চাঁদা দাবি করে। আমরা চাঁদা দিতে রাজি না হওয়াই তারা হয়তো এমন ঘটনা ঘটিয়েছে।

যৌথভাবে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে নৌ পুলিশ ও থানা পুলিশ। নৌ পুলিশের চারঘাট ফাঁড়ির ইনচার্জ হুমায়ূন রশীদ জানান, এপারে বৈধ ইজারা বালু উত্তোলন করছে। উত্তোলন করা বালু ঈশ্বরদীর দিকে নিয়ে বিক্রি করে। মূলতঃ সেই বালু ঈশ্বরদী বিক্রি করতে দিবে না। এনিয়ে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর এলাকার লোকজনের সঙ্গে দ্ব›দ্ব। এনিয়ে হয়তো রাতের অন্ধকারে গুলি ছুঁড়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। তবে মুঠোফোনে দৌলতপুর থেকে জানানো হয়েছে,তাদের এলাকাতে গিয়ে রাতের অন্ধকারে গুলি ছুড়েছে।

বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ আফম আছাদুজ্জামান জানান, এ বিষয়ে নৌপুলিশ সহ থানা পুলিশের পক্ষ থেকে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ