আজঃ রবিবার ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫

যাদের নয়া পল্টন কার্যালয়ের তালা খোলার মানুষ নেই তারা আবার কি নির্বাচন করবে -তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী

রাঙ্গুনিয়া সংবাদদাতা

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিএনপি বলেছিল তাদের জোটের সঙ্গীদের নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে। অথচ তাদের সঙ্গীরা তাদের ছেড়ে চলে যাচ্ছে। গতকাল জেনারেল ইব্রাহীমের নেতৃত্বে ৬ টা দল ১২ দলীয় জোট থেকে বের হয়ে গেছে। যাদের নয়া পল্টন কার্যালয়ের তালা খোলার মানুষ নেই তারা আবার কি নির্বাচন করবে।

আজ রাঙ্গুনিয়া পৌরসভায় এডভোকেট নুরুচ্ছফা তালুকদার অডিটোরিয়ামে উপজেলা আওয়ামী মৎসজীবী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এসব কথা বলেন।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, ইসরাইলিরা ফিলিস্তানের ১৪ হাজার মানুষ মেরেছে। তার মধ্যে সাড়ে ৯ হাজার শিশু এবং নারী। তা নিয়ে ইসরাইলে বসবাসরত ইহুদীরাও প্রতিবাদ জানিয়েছে। কিন্তু ইসরাইল ও তাদের সমর্থকদের সাথে সম্পর্ক ঠিক রাখতে তা নিয়ে বিএনপি কোন বিবৃতি দেয়নি। তাদের পক্ষে কিভাবে দেশের মানুষ থাকবে। অথচ বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘে গিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এছাড়াও দলের পক্ষে থেকে আমি প্রতিদিন প্রতিবাদ জানিয়েছি। তারা এখন ইঁদুরের মতন গর্ত থেকে বের হয়ে আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করছে। তাদের কর্মসূচি হচ্ছে আন্দোলনের নামে গাড়ি পুরানো আর মানুষ হত্যা করা। এমন কি তারা বিদ্যালয়ে পর্যন্ত আগুন দিয়েছে।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী আরো বলেন, চট্টগ্রামের সাগরের তলদেশ দিয়ে টানেল নির্মিত হয়েছে। ১৩৩ বছর আগে কক্সবাজারে ট্রেন চালু করা সমীক্ষা হয়েছিল। এরপর ব্রিটিশ থেকে পাকিস্তান হয়েছে, পাকিস্তান ভেঙে বাংলাদেশ হয়েছে। তার পর সাড়ে ৩ বছরের মাথায় বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে যার কারণে তখনও সে স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। এখন বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে সে স্বপ্নও সত্যি হয়েছে। এসময় তিনি প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে এ অভূতপূর্ব উন্নয়নে বিরোধীতাকারীদের জাতির কাছে ক্ষমা চেয়ে টানেল কিংবা কক্সবাজার ট্রেনে উঠতে অনুরোধ জানিয়েছেন। কারন তারা পদ্মাসেতুর উপর দিয়ে জনসভায় যায় আর সেখানে বক্তব্যে বলে দেশে কোন উন্নয়ন হয়নি।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আপনারা জানেন নির্বাচন কে বাধাগ্রস্ত করতে দেশ বিদেশে অনেক অপতৎপরতা চলছে। তা স্বত্তেও নির্বাচন নিয়ে যেভাবে উৎসাহ উদ্দীপনা সৃস্টি হয়েছে তা অভাবনীয়। আমি ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে নমিনেশন ফরম কিনতে গিয়েছি সোয়া কিলোমিটার হেঁটে। কারণ গাড়ির এতো চাপ ছিল গাড়ি নড়ছিল না। পরে সচিবালয়ে যাওয়ার সময়ও হেঁটে যেতে বাধ্য হয়েছি।

উপজেলা আওয়ামী মৎসজীবী লীগের সভাপতি এম ইসকান্দর মিয়া তালুকদার এর সভাপতিত্বে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী মৎসজীবী লীগের সভাপতি উদ্বোধক এবং সাধারণ সম্পাদক লায়ন মোহাম্মদ শফিউল আলম প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন।

এছাড়াও রাঙ্গুনিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান স্বজন কুমার তালুকদার, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও জেলা পরিষদ সদস্য আবুল কাশেম চিশতী পৌরসভার মেয়র শাহজাহান শিকদার, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও সিডিএ’র বোর্ড সদস্য আলীশাহ, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদার, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আকতার হোসেন খান বক্তব্য রাখেন। আওয়ামী মৎসজীবী লীগের অসংখ্য নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।এসময় বক্তারা আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কে আবারও বিপুল ভোটে বিজয়ী করতে একযোগে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।পরে তিনি রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত বর্ধিত সভায় অংশগ্রহণ করা।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান জামায়াতে যোগ দিলেন

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে জামায়াতে যোগ দিয়েছেন সাবেক মন্ত্রী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান। শনিবার ১৩ ডিসেম্বর সকাল ৯টায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

জামায়াত আমিরের উপস্থিতিতে মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নীতি ও আদর্শ, দেশপ্রেম এবং দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর অবিচল অবস্থানের প্রতি গভীর আস্থা ও সন্তোষ প্রকাশ করেন। এ সময় তিনি সংগঠনের প্রাথমিক সহযোগী সদস্য ফরম পূরণ করে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান করেন।

ওসমান হাদিকে দেখতে এসে তোপের মুখে মির্জা আব্বাস।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

সেনাবাহিনীর সদস্যরা মির্জা আব্বাসকে নিরাপত্তা দিয়ে হাসপাতালের ভেতরে প্রবেশ করার সুযোগ করে দেন।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ