আজঃ শুক্রবার ৫ ডিসেম্বর, ২০২৫

বদলি করা হলো যেই ৪৭ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে

ঢাকা অফিস:

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে ধারাবাহিক বদলির অংশ হিসেবে প্রাথমিকভাবে ৪৭ জন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বিষয়ে সম্মতি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই ইউএনওদের বদলির বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবে সম্মতি দেয় ইসি। ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ সোমবার (৪ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান। এ ছাড়া আরও ২০ জন ইউএনও’র বদলির চিঠি অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে বলে জানা গেছে।

এদিকে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (ওসি) বদলির সময় তিন দিন বাড়িয়ে পুনরায় চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। রবিবার (৩ ডিসেম্বর) এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে সাংবিধানিক সংস্থাটি। ইসির উপসচিব মো. মিজানুর রহমানের সই করা চিঠিতে বলা হয়েছে—সব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (ওসি) পর্যায়ক্রমে বদলির প্রস্তাব নির্বাচন কমিশনে ৫ ডিসেম্বরের পরিবর্তে ৮ ডিসেম্বরের মধ্যে পাঠানো নিশ্চিত করতে হবে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের আন্তবিভাগে বদলি করা হয়েছে। এক্ষেত্রে যে বিভাগের কর্মকর্তা (ইউএনও) সেই বিভাগেরই অন্য কোনও উপজেলায় তাকে দেওয়া হয়েছে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে পরস্পরের মধ্যেও বদলি করা হয়েছে।

বদলি হওয়া ইউএনও

চট্টগ্রাম বিভাগ: রাঙামাটি সদরের ইউএনও নাজমা বিনতে আমিনকে লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে, বান্দরবানের লামার ইউএনও মোস্তফা জবেদ কাওসারকে রাঙামাটি সদরে, রাঙামাটির রাজস্থলীর ইউএনও শান্তনু কুমার দাশকে বান্দরবানের লামায়, খাগড়াছড়ির পানছড়ির ইউএনও রুবাইয়া আফরোজকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে, কক্সবাজারের পেকুয়ার ইউএনও পূর্বিতা চাকমাকে চাঁদপুরের হাইমচরে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরের ইউএনও এএইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদকে রাঙামাটির রাজস্থলী, লক্ষ্মীপুরের রায়পুরের ইউএনও অঞ্জন দাশকে খাগড়াছড়ির পানছড়ি, চাঁদপুরের হাইমচরের ইউএনও চাই থোয়াইহলা চৌধুরীকে কক্সবাজারের পেকুয়ায় বদলি করা হয়েছে।

ঢাকা বিভাগ: কিশোরগঞ্জের ভৈরবের ইউএনও মো. সাদিকুর রহমান সবুজকে টাঙ্গাইলের মধুপুর, নারায়ণগঞ্জের বন্দরের ইউএনও বি এম কুদরত এ-খুদাকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা, গাজীপুরের কাপাসিয়ার ইউএনও একেএম গোলাম মোর্শেদ খানকে কিশোরগঞ্জের ভৈরবে, কিশোরগঞ্জ সদরের ইউএনও মোহাম্মদ আলী সিদ্দিককে গাজীপুরের কাপাসিয়া, কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ার ইউএনও রোজলিন শহীদ চৌধুরীকে নরসিংদীর রায়পুরায়, গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার ইউএনও ফেরদৌস ওয়াহিদকে ঢাকার সাভারে, ঢাকার ধামরাইয়ের ইউএনও হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকীকে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে,

গাজীপুরের শ্রীপুরের ইউএনও মো. তরিকুল ইসলামকে কিশোরগঞ্জের সদর, গাজীপুরের কালিয়াকৈরের ইউএনও তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদকে ঢাকার ধামরাইয়ে, নরসিংদীর রায়পুরার ইউএনও মো. আজগর হোসেনকে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায়, ঢাকার সাভারের ইউএনও মো. মাজহারুল ইসলামকে বন্দর নারায়ণগঞ্জ, টাঙ্গাইলের মধুপুরের ইউএনও শামীমা ইয়াসমিনকে গাজীপুরের শ্রীপুরে, ফরিদপুরের ভাঙ্গার ইউএনও আজিম উদ্দিনকে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া বদলি করা হয়েছে।

বরিশাল বিভাগ: বরিশাল সদরের ইউএনও মনিরুজ্জামানকে পিরোজপুরের নেছারাবাদ এবং পিরোজপুরের নেছারাবাদের ইউএনও মো. মাহাবুব উল্লাহ মজুমদারকে বরিশাল সদরে বদলি করা হয়েছে।

খুলনা বিভাগ: চুয়াডাঙ্গা সদরের ইউএনও শামীম ভূঁইয়াকে সাতক্ষীরা সদরে, কুষ্টিয়ার কুমারখালীর ইউএনও বিতান কুমার মণ্ডলকে ঝিকরগাছা যশোর, সাতক্ষীরা সদরের ইউএনও ফাতেমা-তুজ-জোহরাকে চুয়াডাঙ্গা সদরে, যশোরের ঝিকরগাছার ইউএনও মো. মাহবুবুল হককে কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে বদলি করা হয়েছে।

ময়মনসিংহ বিভাগ: ঈশ্বরগঞ্জের ইউএনও হাফিজা জেসমিনকে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ, ময়মনসিংহের তারাকান্দার ইউএনও মিজাবে রহমতকে শেরপুর সদরে, নেত্রকোনার মোহনগঞ্জের ইউএনও ছাব্বির আহমেদ আকুঞ্জিকে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ, জামালপুর সদরের ইউএনও লিটুস লরেন্স চিরানকে নেত্রকোনার আটপাড়ায়, শেরপুর সদরের ইউএনও মেহনাজ ফেরদৌসকে জামালপুর সদর, নেত্রকোনার আটপাড়ার ইউএনও মো. শাকিল আহমেদকে ময়মনসিংহের তারাকান্দায় বদলি করা হয়েছে।

সিলেট বিভাগ: হবিগঞ্জ জেলার বাহুবলের ইউএনও মহুয়া শারমিন ফাতেমাকে সিলেটের ওসমানীনগরে, সিলেটের ওসমানীগরের ইউএনও নীলিমা রায়হানাকে হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে, সিলেটের গোয়াইনঘাটের ইউএনও তাহমিলুর রহমানকে হবিগঞ্জ জেলার বাহুবলে, হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের সিদ্ধার্থ ভৌমিককে সিলেটের গোয়াইনঘাট, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের ইউএনও মো. সাজেদুল ইসলামকে সিলেটের জৈন্তাপুর এবং সিলেটের জৈন্তাপুরের ইউএনও আল-বশিরুল ইসলামকে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে বদলি করা হয়েছে।

রাজশাহী বিভাগ: নওগাঁর বদলগাছীর ইউএনও আলপনা ইয়াসমিনকে পাবনার সাঁথিয়া, নওগাঁর সাপাহারের ইউএনও মো. আবদুল্যাহ আল মামুনকে জয়পুরহাট সদরে, জয়পুরহাট সদরের ইউএনও মো. আরাফাত হোসেনকে পাবনার ভাঙ্গুরা, সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জের ইউএনও তৃপ্তি কণা মণ্ডলকে নওগাঁর বদলগাছী, পাবনার ভাঙ্গুরার মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খানকে সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ এবং পাবনার সাথিঁয়ার ইউএনও মো. মাসুদ হোসেনকে নওগাঁর সাপাহারে বদলি করা হয়েছে।

রংপুর বিভাগ: কুড়িগ্রাম সদরের ইউএনও রাসেদুল হাসানকে পঞ্চগড়ের অটোয়ারী এবং অটোয়ারীর ইউএনও মো. মুসফিকুল আলম হালিমকে কুড়িগ্রাম সদরে বদলি করা হয়েছে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

তারা রক্তাক্ত হাতে ক্ষমতায় এসেছিল রক্তাক্ত হাতেই বিদায় নিয়েছে : জামায়াত আমির।

ক্ষমতায় না গিয়েও অনেকে ক্ষমতার দাপট দেখাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেছেন, ৫ আগস্ট বিপ্লবের পরদিন থেকে একটি গোষ্ঠী প্রভাব বিস্তারের জন্য জনগণের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছে। চাঁদাবাজি, দুর্নীতি অব্যাহত রেখেছে। ক্ষমতায় না গিয়েও অনেকে ক্ষমতার দাপট দেখাচ্ছে। প্রশাসনের ওপর প্রভাব বিস্তার করছে।

শুক্রবার দুপুর ২টায় ৮ দলের উদ্যোগে আয়োজিত চট্টগ্রাম বিভাগীয় মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।তিনি আরও বলেন, আমরা ৮ দলের বিজয় চাই না, ১৮ কোটি মানুষের বিজয় চাই। সেই আকাঙ্খার বিজয় হবে কুরআনের মাধ্যমে। চট্টগ্রাম থেকে ইসলামের বিজয়ের বাঁশি বাজানো হবে। আগামীর বাংলাদেশ হবে কুরআনের বাংলাদেশ।

তিনি বলেন, গাড়ি দিয়ে পালানোর সাহস তারা হারিয়ে ফেলেছিল। সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিজিবিকে এই অপকর্মে লাগানোর চেষ্টা করেছিল। দেশের সবকিছু তারা ধ্বংস করেছিল। ফ্যাসিবাদ বিদায় নিলেও দেশ ফ্যাসিবাদমুক্ত হয়নি। ফ্যাসিবাদকে নতুন করে রুখে দাঁড়াতে দেওয়া হবে না।

জামায়াতের আমির বলেন, তারা নিজেদের উন্নয়ন করেছিল। রাস্তাঘাট তৈরি করেছিল রডের বদলে বাঁশ দিয়ে। বাংলাদেশের টাকা লুট করে সিঙ্গাপুরে গিয়ে তারা ব্যবসা শুরু করে দিয়েছে। শাপলা চত্বরে অসংখ্য মাওলানাকে হত্যা করা হয়েছিল। এরপর কুখ্যাত প্রধানমন্ত্রী বলেছিল রঙ দিয়ে শুয়ে ছিল। তারা রক্তাক্ত হাতে ক্ষমতায় এসেছিল রক্তাক্ত হাতেই বিদায় নিয়েছে।
আন্দোলনরত ৮ দলের ৫ দফা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত রাজপথের লড়াই অব্যাহত থাকবে ঘোষণা দিয়ে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ইসলামি দলগুলোর মধ্যে যে ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এই ঐক্য আমাদেরকে জাতীয় সংসদ পর্যন্ত নিয়ে যাবে। প্রয়োজনে আবারও ৫ আগস্ট সংঘটিত হবে বলে হুঁশিয়ার করেন তিনি।

৮ দলের প্রধানদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির আমির অধ্যক্ষ মাওলানা সরওয়ার কামাল আজিজী, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহ-সভাপতি ও মুখপাত্র ইঞ্জিনিয়ার রাশেদ প্রধান এবং বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট একেএম আনোয়ারুল ইসলাম চাঁন।

জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির এটিএম আজহারুল ইসলাম বলেছেন, বাংলাদেশের ইসলামি শক্তিকে কেউ নিস্তব্ধ করতে পারবে না। আগামীর বাংলাদেশ হবে ইসলামপন্থীদের। এখানে কোনো ষড়যন্ত্র বরদাস্ত করা কবে না।তিনি বলেন, আসুন আমরা ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে চট্টগ্রামকে ইসলামের ঘাঁটি বানাই। চট্টগ্রামের মাটি ইসলামের ঘাঁটি। ৮ দলের এই শক্তি ক্ষমতায় গেলে আপনারই দেশ শাসন করবেন। কারও দাদার শক্তিতে এ দেশ আর চলবে না।

এটিএম আজহার বলেন, বাংলাদশ এমন পর্যায়ে দাঁড়াবে বিদেশিরা এখানে পড়ালেখা করতে আসবে। আসুন আমরা সবাই মিলে সেই দেশ গড়ি।খেলাফতে মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, আগামীতে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের বিজয়ের মাধ্যমে কোরআনের শাসন শুরু হবে। সোনার বাংলাদেশ দেখা শেষ, ডিজিটাল বাংলাদেশ দেখা শেষ- এবার আল কোরআনের বাংলাদেশ দেখতে চাই, ইসলামের বাংলাদেশ দেখতে চাই।

তিনি আরও বলেন, আমরা বাংলাদেশে আমাদের অধিকার চাই, মালিকানা কায়েম করতে চাই। গরিব মেহনতী মানুষকে ইসলামের বার্তা পৌঁছে দিতে চাই। ইসলাম যে বৈষম্যহীনের কথা বলা হয়েছে। পুঁজিবাদর অর্থ ব্যবস্থা করব দিয়ে কোরআনের অর্থ ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করতে হবে।

মামুনুল হক বলেন, বাংলাদেশে কোরআনের অর্থ ব্যবস্থা বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে নিজেদের অধিকার ও মালিকানা কায়েম করতে। পুঁজিবাদী অর্থ ব্যবস্থার কবর তৈরি করে সেই ধ্বংস স্তূপের ওপর আল্লাহর কুরআনের ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করা হবে ইনশাআল্লাহ। আমাদের বিগত দিনগুলো শুধু উন্নয়নের গল্প শুনানো হয়েছে। কিন্তু নিজেরাই হাজার কোটি টাকার মালিক বনে গেছে।

সাধারণ কেটে খাওয়া মানুষের কোন পরিবর্তন হয়নি। এই তো উন্নয়ন। বাংলার মানুষ আজ ঐক্যবদ্ধ উল্লেখ করে মামুনুল হক বলেন, দলীয় প্রতীকে ভোট দেওয়ার পাশাপাশি হ্যাঁ ভোটের বাক্স ভরতে হবে। নির্বাচন নিয়ে কোনো অনিশ্চয়তা দেখা দিলে সরকারকে তার দায় নিতে হবে। এসময় তিনি বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য সবার কাছে দোয়া কামনা করেন।
সমাবেশে ৮ দলের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির নায়েবে আমির আলহাজ¦ মাওলানা আব্দুর রহমান চৌধুরী, জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ড. এএইচএম হামিদুর রহমান আজাদ, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের যুগ্ম

সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান মুন্সি, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব আলাউল্লাহ আমিন, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির মহাসচিব আল্লামা মুফতি মুসা বিন ইজহার, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমির মাওলানা আলী উসমান, জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান, খেলাফত মজসিলের যুগ্ম মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সাল, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক আহসানুল্লাহ ভূঁইয়া, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য আলহাজ¦ শাহজাহান চৌধুরী, ইসলামী আন্দোলন

বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মুফতি রেজাউল আববার, খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতান মহিউদ্দিন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরীর আমির মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগরী আমির মুহাম্মদ জান্নাতুল ইসলাম, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির চট্টগ্রাম মহানগরী সহ-সভাপতি এডভোকেট আব্দুল মোতালেব, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি আবু মুজাফফর মোহাম্মদ আনাছ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস চট্টগ্রাম মহানগর আমির মাওলানা এমদাদ উল্লাহ সোহাইল, খেলাফত মজলিস চট্টগ্রাম মহানগরী সভাপতি অধ্যাপক খুরশিদ আলম এবং বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি চট্টগ্রাম মহানগর আমির মাওলানা জিয়াউল হোসাইন।

সেনাবাহিনীকে সমরাস্ত্রে সজ্জিত পেশাদার বাহিনী গড়ার প্রত্যয় সেনাপ্রধানের

সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে একটি প্রশিক্ষিত, সুশৃঙ্খল ও আধুনিক সমরাস্ত্রে সজ্জিত পেশাদার বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে (বিএমএ) শীতকালীন রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমির ৮৯তম বিএমএ দীর্ঘমেয়াদি কোর্স এবং ৬০তম বিএমএ স্পেশাল কোর্সের অফিসার ক্যাডেটদের কমিশনপ্রাপ্তি উপলক্ষে এ রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজের আয়োজন করা হয়। বিএমএ প্যারেড গ্রাউন্ডে সেনাবাহিনী প্রধান উপস্থিত থেকে কুচকাওয়াজ পরিদর্শনের পাশাপাশি প্যারেডের অভিবাদন গ্রহণ করেন। পাশাপাশি তিনি কৃতি ক্যাডেটদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।

সেনাবাহিনী প্রধান প্রশিক্ষণ জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান নবীন ক্যাডেটদের উদ্দেশ্যে বলেন, শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে সদ্য কমিশনপ্রাপ্ত অফিসারদের ওপর ন্যস্ত হলো দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার পবিত্র দায়িত্ব। সেনাবাহিনীকে একটি প্রশিক্ষিত, সুশৃঙ্খল এবং আধুনিক সমরাস্ত্রে সজ্জিত পেশাদার বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা হবে। সামরিক প্রশিক্ষণ শেষে বিএমএ দীর্ঘমেয়াদি কোর্সের ১৮৪ জন ও বিএমএ স্পেশাল কোর্সের ২০ জন অফিসার ক্যাডেট বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কমিশন লাভ করেছেন। এর মধ্যে ১৮৩ জন পুরুষ ও ২১ জন মহিলা সেনা কর্মকর্তা রয়েছেন।

কোম্পানি সিনিয়র আন্ডার অফিসার আজমাইন ইশরাক দীর্ঘমেয়াদি কোর্সের সেরা চৌকস ক্যাডেট নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ‘সোর্ড অব অনার’ এবং সামরিক বিষয়ে শ্রেষ্ঠত্বের জন্য ‘সেনাবাহিনী প্রধান স্বর্ণপদক’ অর্জন করেন।

প্রশিক্ষণ সমাপনকারী ক্যাডেটরা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার আনুষ্ঠানিক শপথ গ্রহণ করেন। আনুষ্ঠানিকতার শেষ পর্বে নবীন অফিসারদের র‌্যাঙ্ক ব্যাজ পরিয়ে দেন সেনাপ্রধান ও তাদের অভিভাবকরা।
এর আগে, অনুষ্ঠানের শুরুতে সেনাপ্রধান বিএমএ প্যারেড গ্রাউন্ডে পৌঁছলে আর্মি ট্রেনিং এন্ড ডকট্রিন কমান্ডের জিওসি, ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি এবং বিএমএ কমান্ড্যান্ট তাকে অভ্যর্থনা জানান।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ