আজঃ বৃহস্পতিবার ২৪ এপ্রিল, ২০২৫

সরকার দেশে গণতন্ত্রের ভিত্তি শক্তিশালী করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী

ঢাকা অফিস:

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার দেশে সবসময় গণতন্ত্র, সংবিধান, আইনের শাসন ও মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে অঙ্গীকারবদ্ধ।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ’৯০ পরবর্তী সময় থেকে দেশে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার রক্ষায় দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করে আসছে। ২০০৯ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেয়ে আমাদের সরকার দেশে গণতন্ত্রের ভিত্তিকে শক্তিশালী করতে এবং প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

আওয়ামী লীগ সরকার দেশে সবসময় গণতন্ত্র, সংবিধান, আইনের শাসন ও মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে অঙ্গীকারবদ্ধ। সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের পথ বন্ধ হয়েছে। দেশে গণতন্ত্র আরো সুসংহত হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল ‘গণতন্ত্র মুক্তি দিবস’ উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) দেয়া এক বাণীতে একথা বলেন। তিনি বলেন, ৬ ডিসেম্বর ‘গণতন্ত্র মুক্তি দিবস’। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের ইতিহাসে এক তাৎপর্যপূর্ণ দিন। দীর্ঘ ৯ বছরের স্বৈরাচার বিরোধী অব্যাহত লড়াই-সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় ১৯৯০ সালের এই দিনে তৎকালীন স্বৈরশাসকের পতনের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হয়। জনগণ ফিরে পায় ভোটাধিকার। এ মহান দিবসে গণতন্ত্রের অতন্দ্র প্রহরী সংগ্রামী দেশবাসীকে তিনি আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দূরদর্শী ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাঙালি জাতি পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙ্গে ছিনিয়ে এনেছিল আমাদের মহান স্বাধীনতা। সদ্য স্বাধীন যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব যখন সোনার বাংলাদেশ গড়ার সংগ্রামে নিয়োজিত, তখনই স্বাধীনতা বিরোধী-যুদ্ধাপরাধী চক্র তাঁকে পরিবারের বেশিরভাগ সদস্যসহ হত্যা করে।

ইতিহাসের এই বর্বরতম হত্যার মাধ্যমে অসাংবিধানিক ও অবৈধ সরকার ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে জনগণের ভোটের অধিকার হরণ করে। গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ধ্বংস করে। মহান স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসকে বিকৃত করে দেশে সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য কায়েম করে। ইনডেমনিটি অর্ডিনেন্স জারি করে জাতির পিতার হত্যার বিচারের পথ বন্ধ করে দেয়।

দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, জনগণের ভোট ও মৌলিক অধিকারসমূহ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ আবারো দীর্ঘ সংগ্রাম করে যেখানে দেশের মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে জানিয়ে তিনি বলেন।

গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের এই সংগ্রামে যুবলীগ নেতা নূর হোসেন, নূরুল হুদা, বাবুল, ফাত্তাহ, ছাত্রলীগ নেতা সেলিম-দেলোয়ার, পেশাজীবী নেতা ডা. শামসুল আলম খান মিলন, কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরের ক্ষেতমজুর নেতা আমিনুল হুদা টিটোসহ আরো নাম না জানা অগণিত গণতন্ত্রকামী মানুষের রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার রাজপথ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, অব্যাহত আন্দোলনের ফলে স্বৈরাচারী শাসক গণআন্দোলনের কাছে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর নতি স্বীকার করে পদত্যাগে বাধ্য হয়। বহু শহীদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে বাংলাদেশে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয় ভোটের অধিকার। গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় জাতি সকল শহীদের অবদান শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে। তিনি গণতন্ত্র মুক্তি দিবসে গণতন্ত্র ও অধিকার আদায়ের সংগ্রামে জীবন উৎসর্গকারী সকল শহীদের আত্মার মাগফেরাত ও শান্তি কামনা করেন।

স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রবিরোধী চক্র এখনও নানাভাবে গণতন্ত্র ও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রায় শহীদের রক্ত বৃথা যেতে দিব না- গণতন্ত্র মুক্তি দিবসে এই হোক আমাদের সুদৃঢ় প্রত্যয়। আসুন, সকলে মিলে গণতন্ত্র ও দেশবিরোধী সকল চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে গণতন্ত্রের ভিত্তিকে আরো শক্তিশালী করি এবং দেশের উন্নয়ন ও জনগণের কল্যাণে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করে জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলি।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর ওপর রেলসহ সড়ক সেতুর নির্মাণকাজ আগামী মাসে শুরু।

চট্টগ্রামের কালুরঘাটে বহুল প্রত্যাশিত কর্ণফুলী নদীর ওপর রেলসহ সড়ক সেতুর নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হতে পারে আগামী মে মাসে। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করতে পারেন। তবে পুরোপুরি নির্মাণকাজ শুরুর জন্য অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে আরও অন্তত দেড় বছর।

ছয় মাস আগে প্রকল্পটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) অনুমোদন পেয়েছে। কিন্তু পরামর্শক নিয়োগেই পার হয়ে যাচ্ছে এক বছরেরও বেশিসময়। এর পর আনুষাঙ্গিক প্রক্রিয়া শেষ করে নির্মাণকাজ শুরু করতে ২০২৬ সালের শেষ কিংবা ২০২৭ সালের শুরু নাগাদ লাগবে বলে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

অন্তবর্তী সরকারের মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বীরপ্রতীক জানিয়েছেন, আগামী ১৪ মে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে প্রধান উপদেষ্টা চট্টগ্রামে আসবেন। একইদিন কালুরঘাট সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের একটি প্রাথমিক সিদ্ধান্ত আছে। বুধবার (২ এপ্রিল) চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলায় জুলাই অভ্যুত্থানে শহিদ ওমর ফারুকের কবর জিয়ারতের পর সাংবাদিকদের তিনি একথা জানান।

অন্তবর্তী সরকার ক্ষমতা নেওয়ার পর ২০২৪ সালের ৭ অক্টোবর তাদের দ্বিতীয় জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় চট্টগ্রামের কালুরঘাটে কর্ণফুলী নদীর ওপর রেল-কাম-রোড সেতু নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদন হয়। এতে ব্যয় ধরা হয় ১১ হাজার ৫৬০ কোটি টাকা, যা বাস্তবায়ন করবে রেল কর্তৃপক্ষ।

একনেকে অনুমোদনের পর প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছিলেন, এক বছরের মধ্যে পরামর্শক নিয়োগসহ আনুষাঙ্গিক প্রক্রিয়া শেষ করে ২০২৬ সালের শুরুর দিকে নতুন সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হবে এবং ২০৩০ সাল নাগাদ সেই সেতু দিয়ে যানবাহন চলাচল করবে। কিন্তু পুরো প্রক্রিয়া শেষ করতে আরও একবছর বেশি সময় লাগছে বলে জানিয়েছেন তারা।

এর মধ্যে কালুরঘাট সেতু নির্মাণে একজন পূর্ণকালীন প্রকল্প পরিচালক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এতদিন রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী (সেতু) মো. গোলাম মোস্তফা অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে প্রকল্পের কাজ এগিয়ে নিচ্ছিলেন। গত ফেব্রুয়ারিতে প্রকৌশলী আবুল কালাম চৌধুরীকে প্রকল্প পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তিনি দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্পের অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

সূত্রমতে, ফেব্রুয়ারিতে প্রকল্প পরিচালক নিয়োগের পর পরামর্শক নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ইওআই (এক্সপ্রেশন অব ইন্টারেস্ট) আহ্বান করা হয়েছে। ১৭ মার্চ ছিল আগ্রহীদের কাছ থেকে প্রস্তাব গ্রহণের শেষ সময়। ঈদুল ফিতরের ছুটি শেষে আগ্রহী প্রতিষ্ঠানগুলোর দেওয়া প্রস্তাব যাচাইবাছাই শুরু হবে।

কালুরঘাট সেতুর প্রকল্প পরিচালক রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রকৌশলী আবুল কালাম চৌধুরী বলেন, কোরিয়ান প্রতিষ্ঠানের কাছে প্রস্তাব চেয়ে ইওআই কল করা হয়েছে। যারা প্রস্তাব দেবেন, তাদের কোয়ালিটি যাচাইবাছাই করতে হবে। ঈদের ছুটির পর এটা আমরা শুরু করব। এটা একেবারে প্রাথমিক প্রক্রিয়ায় আছে। চূড়ান্তভাবে কনসালট্যান্ট নিয়োগ দিতে আমাদের চলতি বছর পর্যন্ত সময় লাগবে। এরপর ডিটেইল ডিজাইন হবে। এরপর আমরা টেন্ডার কল করব। এটা করতে আরও এক বছরের মতো লাগবে। কন্ট্রাক্টর নিয়োগ হওয়ার পর কাজ শুরু হবে।

তিনি বলেন, আশা করছি ২০২৬ সালের শেষদিকে অথবা বড়জোড় ২০২৭ সালের শুরুর দিকে আমরা সেতুর নির্মাণকাজ শুরু করতে পারব। প্রকল্প প্রস্তাবনা অনুযায়ী, ২০৩০ সালের শেষদিকে সেতুর নির্মাণকাজ শেষ করে রেল ও সড়কযান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া সম্ভব হবে।

সূত্রমতে, সেতু নির্মাণের জন্য বাংলাদেশ দক্ষিণ কোরিয়ার কাছ থেকে সহজ শর্তে ৮১ কোটি ৪৯ লাখ ১০ হাজার ডলার ঋণ পাচ্ছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ৯ হাজার ৫৩৪ কোটি ৪৪ লাখ ৭০ হাজার টাকা (প্রতি ডলার ১১৭ টাকা হিসেবে)। এর মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ার ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন ফান্ড (ইডিসিএফ) থেকে ৭২ কোটি ৪৭ লাখ ৩০ হাজার ডলার এবং ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট প্রমোশন ফ্যাসিলিটি (ইডিপিএফ) তহবিল থেকে ৯ কোটি ১ লাখ ৮০ হাজার ডলার ঋণ দেওয়া হচ্ছে।

ইডিসিএফ’র আওতায় ঋণচুক্তির সুদের হার ০.০১ শতাংশ এবং ঋণ পরিশোধের মেয়াদ সাড়ে ১৫ বছর, তবে গ্রেস পিরিয়ডসহ সাড়ে ৪০ বছর। ইডিপিএফ তহবিলের আওতায় ঋণচুক্তির সুদের হার ১ শতাংশ ও ঋণ পরিশোধের মেয়াদ ৭ বছর, গ্রেস পিরিয়ডসহ মেয়াদ ৩০ বছর। সুদের হার ও শর্তাবলী উভয় ঋণের ক্ষেত্রেই নমনীয়। দক্ষিণ কোরিয়ার ঋণের পর বাকি টাকা সরকার নিজস্ব তহবিল থেকে যোগান দেবে বলে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

গত বছরের ২৭ জুন দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে এ সংক্রান্ত চুক্তি সই হয়েছিল। তখন রেল কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন, জুলাইয়ে প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদন হবে। কিন্তু ছাত্র-জনতার প্রবল গণআন্দোলনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হলে প্রকল্পটি আলোর মুখ দেখবে কি না, তা নিয়ে নানামুখী আলোচনা তৈরি হয়। তবে শেষপর্যন্ত অন্তবর্তী সরকার প্রকল্পটি দ্রুততার সঙ্গে একনেকে অনুমোদন দেয়।

সূত্রমতে, পরামর্শক নিয়োগ, ডিটেইল ডিজাইন ও দরপত্র আহ্বানের প্রক্রিয়ার মধ্যেই ভূমি অধিগ্রহণের কাজ এগিয়ে রেখেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। সেতুর জন্য মোট ১৪০ একর ভূমি অধিগ্রহণ করতে হবে। এর মধ্যে ষাট শতাংশ রেলওয়ের মালিকানাধীন ও সরকারি খাসজমি। বাকি চল্লিশ শতাংশের মতো ব্যক্তিমালিকানাধীন ভূমি।
কালুরঘাট সেতুর প্রস্তাবিত নকশা অনুযায়ী, কর্ণফুলী নদীর ওপর বিদ্যমান রেলসেতুর ৭০ মিটার উজানে নতুন সেতু নির্মিত হবে। সেতুর দুই পাশে দুই লেন করে চার লেনের সেতু তৈরি করা হবে। এক পাশে চলবে ট্রেন, অন্যপাশে বাস-ট্রাকসহ সাধারণ যানবাহন। মূল সেতুর দৈর্ঘ্য ৭০০ মিটার। পানি থেকে সেতুর উচ্চতা ১২ দশমিক ২ মিটার। ভায়াডাক্টসহ সেতুর দৈর্ঘ্য হবে প্রায় ৬ কিলোমিটার।

সমীক্ষা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, নতুন সেতু দিয়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে প্রতিদিন ২০ জোড়া ট্রেন এবং দিনে প্রায় ১৫ হাজার যানবাহন চলাচল করবে। এর মাধ্যমে আনুমানিক ১০ মিলিয়ন মানুষ সরাসরি উপকৃত হবে। সাড়ে তিন দশকেরও বেশিসময় ধরে দক্ষিণ চট্টগ্রামের কোটি মানুষ কালুরঘাট সেতুর অপেক্ষায় আছে। অন্তবর্তী সরকার দ্রুততার সঙ্গে একনেকে অনুমোদন দেয়ায় বোয়ালখালী ও পটিয়া উপজেলাসহ দক্ষিণ চট্টগ্রামের মানুষের মধ্যে আশার সঞ্চার হয়।
বোয়ালখালী-কালুরঘাট সেতু বাস্তবায়ন পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক মুস্তফা নঈম বলেন, আমরা চাই সকল প্রক্রিয়া সুচারুরূপে সম্পন্ন করে দ্রুততার সঙ্গে কালুরঘাট সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হোক।

একনেকে দ্রুত অনুমোদন দিয়ে অন্তর্র্বতী সরকার চট্টগ্রামের প্রতি তাদের আন্তরিকতার প্রমাণ দিয়েছে। মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের মধ্য দিয়ে সেটার আরও অগ্রগতি হবে। সরকারের কাছে আমাদের প্রত্যাশা অনেক। আমরা চাই, সেতুটির নির্মাণকাজ প্রত্যাশিত সময়ে সুন্দরভাবে সম্পন্ন হোক। আমাদের অনুরোধ, আর কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত জটিলতা কিংবা কালক্ষেপণ যেন না হয়। সেজন্য সরকারের বিশেষ নজর প্রত্যাশা করছি।

এনআইডি পরিষেবা নতুন কমিশনে স্থানান্তরের পরিকল্পনায় চট্টগ্রামে মানববন্ধন।

জাতীয় পরিচয় পত্র (এনআইডি) পরিষেবা স্বাধীন নির্বাচন কমিশন হতে সংবিধিবদ্ধ নতুন কমিশনে স্থানান্তরের কূট পরিকল্পনার বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম অঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত লাভ লেইন মোড়ে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচী পালন করা হয়। চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ বশির আহমেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত কর্মসূচীতে

আঞ্চলিক ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী অংশ নেন। মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচী পালনকালে নির্বাচন কর্মকর্তারা বলেন, জাতীয় পরিচয় পত্রকে (এনআইডি) বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন থেকে নতুন একটি কমিশনে নিয়ে যাওয়ার অপচেষ্টা রাতের ভোটের আয়োজক ও কুশীলবদেও সাজানো একটি ষড়যন্ত্র ছিল। একই অবস্থা সামনের দিনগুলোকে আরও বেশি অস্থির করে তুলবে বলে আমরা আশঙ্কা করছি। নির্বাচন কমিশনে ৩৫টি বা তার বেশি তথ্য উপাত্ত বোনাস হিসেবে আসেনি। এটি বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদেও দিনরাত

পরিশ্রমের ফল। ভোটার তালিকা প্রণয়ন বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের সাংবিধানিক দায়িত্ব। যদি সকল তথ্য ভান্ডারকে একসাথে করতে হয় এবং স্বাধীন কর্তৃপক্ষের অধীনে নিতে হয় তাহলে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন একটি সর্বোত্তম সাংবিধানিক ও শক্তিশালী জাতীয় প্লাটফর্ম হিসেবে বিবেচিত হওয়া অতি স্বাভাবিক।

কর্মসূচীতে বক্তারা আরও বলেন, এক বা একাধিক
নির্বাচন কমিশনার নিয়োগদান করে এনআইডিসহ অন্যান্য তথ্য ভান্ডারকে আরও সুসংগত করা যায়। নির্বাচন
কমিশনকে একই সময়ে বিদায় না দিয়ে প্রতি দুই বছর অন্তর অন্তর নিয়মতান্ত্রিকভাবে দুই জন করে নিয়োগ ও বিদায় নিলে তথ্য ভান্ডারসহ নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে আরও
সুশৃঙ্খলতায় আনা যায় এবং মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে সিনেটের মত জাতীয় অভিজ্ঞতা ও ধারাবাহিকতাও রক্ষা করা সম্ভব। এতে করে আমাদের ঘুণেধরা ও ক্ষয়িষ্ণু সহমর্মিতা রক্ষা করাসহ জাতীয় স্বার্থ ও সংহতি আরো উত্তরোত্তর বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে।

বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনকে সাংবিধানিক অতি মর্যাদা বিবেচনা করে তাকে কর্মহীন করা ও তার অর্জিত কর্মক্ষমতাকে কেড়ে নেয়ার অর্থ হলো ধর্মীয় গ্রন্থকে না পড়ে গিলাব বেঁধে উপরের থাকে তুলে রাখা একই অন্ধত্ব ও জাতীয় বিভ্রান্তি। অন্যথায় ডাল হৌসির নীতির মত এক ডিপার্টমেন্টের অর্জনকে অন্য ডিপার্টমেন্টে/কমিশনে নিয়ে গেলে বিভিন্ন বিভাগের

ইনোভেশনসহ জাতীয় উন্নয়নের মনোবল ধ্বংস হতে পারে। তাই জাতীয় পরিচয় পত্র (এনআইডি) পরিষেবা বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের অধীনে রাখার জোর দাবী জানান নির্বাচন কর্মকর্তারা।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ