আজঃ রবিবার ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫

অবকাশ যাপনে সাজেকে রাষ্ট্রপতি সফর অনিবার্য কারণে স্থগিত ঘোষণা।

ঢাকা অফিস:

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

অবকাশ যাপনে সাজেকে মহামান্য রাষ্ট্রপতি সফরে আসার কথা থাকলেও অনিবার্য কারণে স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। পূর্বনির্ধারিত সময় অনুযায়ী আগামী ২০-২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত মহামান্য রাষ্ট্রপতি মোঃ শাহাবুদ্দিন রাঙ্গামাটি জেলার সাজেক সফর অনিবার্য কারণবশতঃ স্থগিত করা হয়।

রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসন সূত্রে ও রাষ্ট্রপতি কার্যালয়ের প্রটোকল শাখার প্রটোকল অফিসার মুহাম্মদ মামুনুল হক স্বাক্ষরিত চিঠিতে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলা হয় যে, উপযুক্ত বিষয় ও সূত্রোক্ত পত্রের পরিপ্রেক্ষিতে জানানো যাচ্ছে যে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন এর আগামী ২০-২২ ডিসেম্বর, ২০২৩ তারিখ পর্যন্ত রাঙ্গামাটি জেলার সাজেক সফর অনিবার্য কারণবশতঃ স্থগিত করা হলো। বিষয়টি নিশ্চিত করে রাঙ্গামাটি পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ বিপিএম (বার) মুঠোফোনে বলেন, রাষ্ট্রপতি ২০-২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাঙ্গামাটির সাজেক সফর অনিবার্য কারণবশতঃ স্থগিত করা হয়েছে।

এদিকে, রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার পর্যটন নগরী নয়াভিরাম সাজেকে তিনদিনের জন্য অবকাশ যাপনে দেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন আসার কথা ছিলো। এসময় তিনি সাজেকের বিভিন্ন নয়াভিরাম দৃশ্য অবলোকন করার কথা ছিলো।
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) রাতে এমন তথ্য নিশ্চিত করে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খাঁন বলেন, তিন দিনের জন্য অবকাশ যাপনের জন্য মহামান্য রাষ্ট্রপতি পর্যটন নগরী সাজেকে আসছেন। এই কারণে সব কটেজ, রিসোর্ট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ৫ দিনের জন্য বন্ধ থাকবে।
জানা গেছে, রাষ্ট্রপতির আগমন উপলক্ষ্যে আগামী ১৮ থেকে ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত সাজেকের সব কটেজ, রিসোর্ট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। যারা এই সময়ের মধ্যে কটেজ-রিসোর্ট বুকিং দিয়েছেন তাদের বুকিং বাতিল করা হয়েছে এবং পরবর্তী তারিখে বুকিং দেওয়ার পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে।
এদিকে রাষ্ট্রপতির আগমন উপলক্ষ্যে নিরাপত্তা বলয় জোরদার রাখতে প্রস্তুতি সভা করেছে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খাঁন, পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদসহ সংশ্লিষ্টরা। বৈঠকে সাজেকের কটেজ ও রিসোর্ট মালিক সমিতির নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।

সাজেক কটেজ-রিসোর্ট মালিক সমিতির সভাপতি সুপর্ন দেব বর্মণ বলেন, রাষ্ট্রপতির আগমন উপলক্ষ্যে চলতি মাসের ১৮ ডিসেম্বর থেকে ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত সাজেকের সব রিসোর্ট বন্ধ থাকবে।
রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খাঁন আরও বলেন, মহামান্য রাষ্ট্রপতির আগমন উপলক্ষ্যে ১৮ ডিসেম্বর থেকে ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত নিরাপত্তার স্বার্থে সাজেক ভ্রমণে পর্যটকদের নিরুৎসাহিত করার ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। পুরো সাজেক এলাকায় নিরাপত্তা জোর করা হয়েছে।
এদিকে, রাষ্ট্রপতি কার্যালয়ের প্রটোকল শাখার প্রটোকল অফিসার মুহাম্মদ মামুনুল হক স্বাক্ষরিত চিঠিতে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলা হয় যে, পূর্বনির্ধারিত সময় অনুযায়ী আগামী ২০-২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত মহামান্য রাষ্ট্রপতি মোঃ শাহাবুদ্দিন রাঙ্গামাটি জেলার সাজেক সফর অনিবার্য কারণবশতঃ স্থগিত করা হয়েছে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান জামায়াতে যোগ দিলেন

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে জামায়াতে যোগ দিয়েছেন সাবেক মন্ত্রী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান। শনিবার ১৩ ডিসেম্বর সকাল ৯টায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

জামায়াত আমিরের উপস্থিতিতে মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নীতি ও আদর্শ, দেশপ্রেম এবং দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর অবিচল অবস্থানের প্রতি গভীর আস্থা ও সন্তোষ প্রকাশ করেন। এ সময় তিনি সংগঠনের প্রাথমিক সহযোগী সদস্য ফরম পূরণ করে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান করেন।

ওসমান হাদিকে দেখতে এসে তোপের মুখে মির্জা আব্বাস।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

সেনাবাহিনীর সদস্যরা মির্জা আব্বাসকে নিরাপত্তা দিয়ে হাসপাতালের ভেতরে প্রবেশ করার সুযোগ করে দেন।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ