আজঃ বুধবার ১২ মার্চ, ২০২৫

মহান বিজয় বিদস-২০২৩ উপলক্ষ্যে চবক এর শ্রমিক কর্মচারীদের বিশেষ প্রনোদনা প্রদান

ডেস্ক নিউজ:

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের অধীনে নিয়োজিত বার্থ/টার্মিনাল/শিপ হ্যান্ডিলিং অপারেটর শ্রমিক কর্মচারীদের কে মহান বিজয় দিবস-২০২৩ উপলক্ষে বিশেষ প্রণোদনা প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে শ্রমিক কমর্চারীদের মাঝে নদগ অর্থ প্রদান করেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল, ওএসপি, এনইউপি, পিপিএম, পিএসসি। তিনি ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে শ্রমিকদের জনপ্রতি ৮,০০০/-টাকা করে মোট ৫,২০,৯৬,০০০/-টাকার প্রণোদনা প্রদান করেন।

উল্লেখ্য যে, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এর স্বারক নং-১৮.০১৬.০২৮.০০.০০.০০১.২০১০-৪২৭ এর ভিত্তিতে চবক এর বিভিন্ন বিভাগ থেকে ১৬ টি পদ সাময়িকভাবে স্থানান্তর পুর্বক সদস্য (এডমিন এন্ড প্ল্যানিং), চবক এর অধীনে ১৬ জন কর্মচারীর সমন্বয়ে এডহক ভিত্তিতে শ্রম শাখা চালু করা হয়। ডক শ্রমিক পরিচালনা বোর্ডের অর্ন্তভুক্ত শ্রমিক কর্মচারীদের যাবতীয় কল্যাণমূলক কার্যাবলী এবং অবসরোত্তর আর্থিক সুবিধাদি যেমন-গ্র্যাচুয়িটি, প্রভিডেন্ট ফান্ড, মেয়ের বিয়ের আর্থিক সহায়তা ও দুর্ঘটনায় আহত হলে জীবিকা ভাতা ইত্যাদি শ্রম শাখা কর্তৃক শ্রমিক কল্যাণ ফান্ড হতে সম্পন্ন করা হয় এবং চবক এর কল্যাণ তহবিল নীতিমালা ২০১৩ অনুযায়ী উক্ত কল্যাণ ফান্ড পরিচালিত হয়।

বন্দরের বিভিন্ন বার্থ/টার্মিনাল/শিপ হ্যান্ডিলিং অপারেটরদের অধীনে নিয়োজিত শ্রমিক/কর্মচারীদের এ পযর্ন্ত শ্রম শাখা হতে ১০৪৩ জনকে শ্রমিক/কর্মচারীকে মেয়ের বিবাহের আর্থিক সহযোগিতা প্রদান, ১২৫ জন শ্রমিক কর্মচারীকে জীবিকা ভাতা প্রদানসহ ১৩৬৯ জন শ্রমিক/কর্মচারীকে গ্র্যাচুয়িটি ও প্রভিডেন্ড ফান্ড হতে অর্থ প্রদান করা হয়েছে।

এ পযর্ন্ত শ্রমিক/কর্মচারীদের প্রণোদনা বা উৎসাহ বোনাস হিসেবে ২০১৫ সালে ৬৫৬১ জনকে ৭,০০০/- টাকা করে মোট ৪,৫৯,২৭,০০০/-টাকা, ২০১৯ সালে ৬,৫০৯ জনকে ৮,৫০০/- টাকা করে মোট ৫,৫৩,২৬,৫০০০/- টাকা, ২০২০ সালে ৭,২৩৪ জনকে ১১,০০০/-টাকা করে মোট ৭,৯৫,৭৪,০০০/- টাকা, মে ২০২১ সালে ৭,৫৫৭ জনকে ১,৫০০/-টাকা করে মোট ১,০৫,৮৫,০০০/- টাকা, সেপ্টেম্বর ২০২১ সালে ৬,৭৫২ জনকে ২,৫০০/-টাকা করে মোট ১,৬৮,৮০,০০০ টাকা, ২০২২ সালে ৬,৬৯৮ জনকে ৯,০০০/-টাকা করে মোট ৬,০২,৮২,০০০/- টাকা, ২০২৩ সালে ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে ৬,৬৭১ জনকে ৫,০০০/- টাকা করে মোট ৩,৩৩,৫৫,০০০/-টাকা এবং সর্বশেষ ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জনপ্রতি ৮০০০/-টাকা করে মোট ৫,২০,৯৬,০০০/-টাকা প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন চবক এর সদস্যবৃন্দ, বিভাগীয় প্রধানগণ, বার্থ/টার্মিনাল/শিপ হ্যান্ডিলিং অপারেটর এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ, চবক এর কর্মকর্তাগণ, বন্দর কমর্চারী পরিষদের নেতৃবৃন্দ ও শ্রমিক/কমর্চারীগণ।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

পরিবেশ রক্ষায় চট্টগ্রামে চালু হয়েছে “ক্লিন বাংলাদেশ প্লাস্টিক এক্সচেঞ্জ কর্নার”

নগরীর জলাবদ্ধতা ও প্লাস্টিক দূষণ মোকাবিলায় ক্লিন বাংলাদেশ-এর উদ্যোগে এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন-এর সহযোগিতায় যাত্রা শুরু করলো “প্লাস্টিক এক্সচেঞ্জ কর্নার”। মাহে রমজান উপলক্ষ্যে চালু হওয়া এই বিশেষ কর্মসূচির মাধ্যমে ব্যবহৃত প্লাস্টিক ও পলিথিনের বিনিময়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য বিতরণ করা হচ্ছে।চকবাজার কাঁচাবাজারের সামনে শুক্রবার আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। এই সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন সমাজকর্মী, পরিবেশবাদী সংগঠনের প্রতিনিধি, সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তারা ও সাধারণ জনগণ।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র বলেন পরিবেশ রক্ষা ও জলাবদ্ধতা সমস্যা সমাধানে আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা দরকার। ক্লিন বাংলাদেশ-এর এই উদ্যোগ প্রশংসনীয়, কারণ এটি জনসচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি নগর পরিচ্ছন্নতার জন্য একটি বাস্তবসম্মত সমাধান দিচ্ছে। আমরা চাই এই কার্যক্রম আরও সম্প্রসারিত হোক এবং নগরবাসী প্লাস্টিক বর্জ্যের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে আরও সচেতন হোক।
ক্লিন বাংলাদেশ-এর প্রতিষ্ঠাতা শওকত হোসেন জনি বলেন আমাদের শহরের অন্যতম প্রধান সমস্যা হলো প্লাস্টিক বর্জ্য ও জলাবদ্ধতা। আমরা সবাই জানি, নালা ও ড্রেনগুলো প্লাস্টিকের কারণে বন্ধ হয়ে যায়, যার ফলে সামান্য বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। আমরা চেয়েছি সমস্যার একটি কার্যকর সমাধান দিতে—যেখানে পরিবেশ রক্ষা ও মানবিক সহায়তা একসাথে করা যায়। তাই, ‘প্লাস্টিক আনুন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য নিন’ এই ধারণা নিয়ে আমরা এই উদ্যোগ নিয়েছি। এটি শুধু প্লাস্টিক দূষণ রোধ করবে না, বরং নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য রমজানের সময়ে সহায়তা হিসেবে কাজ করবে।
রমজান মাসব্যাপী প্রতি শুক্রবার ও শনিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত নগরীর চকবাজার, বহদ্দারহাট ও আগ্রাবাদ কাঁচাবাজারের সামনে এই কার্যক্রম চলবে। ব্যবহৃত প্লাস্টিক ও পলিথিন জমা দিয়ে চনা, ছোলা, খেজুর, ছিড়া, আলু, পেঁয়াজ, ডিমসহ বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সংগ্রহ করতে পারবেন সাধারণ জনগণ।

এই আয়োজন সফলভাবে পরিচালনা করছেন ক্লিন বাংলাদেশ-এর সাধারণ সম্পাদক তানভীর রিসাত ও টিম লিড করছে ইমন, আলভি, জাহিদ, প্রমি, তানজিফা। পাশাপাশি সদস্য হিসেবে কাজ করছে সাকিব, ইয়াজ, মুনতাসির, পার্থ। উক্ত অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপির যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক বাদশা, বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও রাজনীতিবিদ মনিরুল ইসলাম ইউসুফ ও বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।ক্লিন বাংলাদেশ আশা করছে, এই উদ্যোগ নগরবাসীর মধ্যে প্লাস্টিক ব্যবহারের কুফল সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করবে এবং পরিবেশবান্ধব অভ্যাস গড়ে তুলতে সহায়তা করবে।

খালগুলো আবর্জনার স্তূপে পরিণত জনসচেতনতা বাড়ানো জরুরি: মেয়র

চট্টগ্রাম সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল খনন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। সোমবার সকালে নগরীর চান্দগাঁও থানার ওয়াপদা অফিসের মুখে ডোম খালের মাটি উত্তোলন কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এই কথা জানান ।

এ সময় মেয়র বলেন, আমরা কাজ শুরু করেছি যাতে এবারের বর্ষায় যতটুকু সম্ভব জলাবদ্ধতা কমিয়ে আনতে পারি। আমরা চেষ্টা করছি শহরের ভেতরে যতগুলো নালা ও সমুদ্র, নদীতে পানি যাওয়ার প্রবাহ সেগুলো চালু করার। পরের বর্ষায় যাতে পানি চলে যাওয়ার মতো অবস্থা হয়, সেজন্য আমরা কাজ করছি।

শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান একসময় গ্রামাঞ্চলে কৃষি উন্নয়নের জন্য খাল খনন কর্মসূচি গ্রহণ করেছিলেন, আর আজ শহরের জলাবদ্ধতা সমস্যা সমাধানে আমাদের সেই একই উদ্যোগ নিতে হচ্ছে। চট্টগ্রামের প্রধান সমস্যা জলাবদ্ধতা। ফরিদার পাড়া, বহদ্দারহাট, চান্দগাঁও, বাকলিয়া, মুরাদপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ৩৬টি খালে কাজ করছে। বাকী ২১টি খাল পরিষ্কারের কাজ আমাদের করতে হবে। কিন্তু খাল পরিষ্কার করাই যথেষ্ট নয়; জনসচেতনতা বাড়ানোও অত্যন্ত জরুরি।

আমি দেখেছি, খালগুলো আবর্জনার স্তূপে পরিণত হয়েছে। আপনাদের সবার কাছে অনুরোধ, নালার মধ্যে ময়লা ফেলবেন না, বিশেষ করে প্লাস্টিক, পলিথিন, চিপসের প্যাকেট, প্লাস্টিক বোতল, ও ককশিট। কারণ এগুলো জলাবদ্ধতার মূল কারণ। বর্তমানে পলিথিনের কারণে খালের উপর চার-পাঁচ ফিট স্তর জমে গেছে, যা জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করছে। পলিথিনের বিরুদ্ধে আমাদের সচেতন হতে হবে। এটার বিকল্প হিসেবে নতুন কিছু বাজারজাত করার পরিকল্পনা করছি। আমি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে গিয়ে পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালাচ্ছি। মশার স্প্রে কার্যক্রম সঠিকভাবে হচ্ছে কি না, তা মনিটরিং করছি। ওয়ার্ড কাউন্সিলর না থাকলেও নেতাকর্মীদের একসঙ্গে কাজ করতে বলছি। আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে জনগণের সেবা নিশ্চিত করতে হবে।

মেয়র আরও বলেন, নগরীর দোকানগুলোর সামনে ডাস্টবিন বসানো হবে। যদি কোনো দোকানের সামনে ময়লা পাওয়া যায়, তবে নিয়ম ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে তাদের ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করা হবে। আমরা পচনশীল ভাত, মাছ, ডিম ইত্যাদি এবং অপচনশীল পলিথিন, প্লাস্টিক বর্জ্য আলাদা করার পরিকল্পনা করছি। এসব বর্জ্য রিসাইক্লিংয়ের মাধ্যমে বিদ্যুৎ, জৈবসার এবং বায়োগ্যাস উৎপাদন সম্ভব। এতে বর্জ্য সম্পদে পরিণত হবে এবং যত্রতত্র বর্জ্য ফেলার প্রবণতা কমবে।পরিদর্শনের সময় আরো উপস্থিত ছিলেন প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার ইখতিয়ার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, ম্যালেরিয়া ও মশক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মো. শরফুল ইসলাম মাহিসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ