আজঃ শনিবার ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫

চাঁদপুরে গণজোয়ার সৃষ্টি করতে মাঠে তৎপর ঈগল প্রতীকের প্রার্থীরা।

এস আর শাহ আলম চাঁদপুর:

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

চাঁদপুরের ৫টি আসনের মধ্যে চারটি আসনেই আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থীর বিপক্ষে ভোটারদের গণজোয়ার সৃষ্টির জন্য ক্রমোশ নির্বাচনী মাঠ গরম করতে সুক্ষ্ম পরিকল্পনা নিয়ে ব্যাস্ত হয়ে উঠছেন ঈগল প্রতীকের প্রার্থীরা। ওপেন সিক্রেট হলেও তাদের উৎসাহ যোগাচ্ছেন আওয়ামীলীগের গ্রুপিং রাজনীতির স্বীকার একাংশ নেতাকর্মী। এ তালিকায় প্রতিনিয়ত যোগ হচ্ছে নব্য ও হাইব্রিডদের ভীড়ে দলের অবমূল্যায়িত, অবহেলিত ও কোনঠাসা নেতাকর্মীরা দাবী ভোটারদের।

২০ ডিসেম্বর বুধবার সকালে চাঁদপুরের কয়েকটি নির্বাচনী এলাকা পর্যবেক্ষণকালে ভোটারদের সাথে কথা বললে তারা এসব তথ্য জানিয়েছেন।

চাঁদপুর-২ মতলব উত্তর ও দক্ষিণ আসনে ঈগল প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী এম ইসফাক আহসান। তিনি আওয়ামীলীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য। ইতিমধ্যেই তিনি সংবাদ সম্মেলন, সভা, গণসংযোগের মধ্য দিয়ে নিজেকে আসনটিতে ভোটারদের কাছে মেলে ধরতে সক্ষম হয়েছেন। তাঁর বিশ্বাস জনপ্রতিনিধি নির্বাচনে ভোটাররা উন্নয়নের স্বার্থে দল-মত-নির্বিশেষে সবাই তাকেই ঈগল প্রতীকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবেন।

এই আসনটিতে আওয়ামীলীগের নৌকার প্রার্থী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। তিনি আসনটি থেকে নির্বাচিত হয়ে একসময় মন্ত্রীও ছিলেন। বর্তমানে তিনি আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ভোটের মাঠে এই প্রবীণ দাপুটে নেতাকে হারানোর স্বপ্ন অনেকটা দুস্বপ্ন বলেও মন্তব্য অনেকের।

এদিকে চাঁদপুর-৩ সদর-হাইমচর এবং চাঁদপুর-৪ ফরিদগঞ্জ আসনে ঈগল প্রতীকে হেভিওয়েট স্বতন্ত্র প্রার্থী ড. শামসুল হক ভূঁইয়া। তিনি জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি এবং ফরিদগঞ্জ আসন হতে নির্বাচিত সংসদ সদস্যও ছিলেন। বর্তমানে তিনি আওয়ামীলীগের জাতীয় পরিষদের নির্বাহী সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। বিগত সময়ে চাঁদপুর শহরের হাসানআলী মাঠে আওয়ামীলীগের এক জনসভায় দলের খোঁজ খবর নিতে ভিডিও কনফারেন্সে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা নিজে সরাসরি ড. শামসুল হক ভূঁইয়ার নাম উচ্চারণ করে সাথে কথা বলতে চেয়েছিলেন এবং বলেওছিলেন। এতে স্পষ্ট দলের হাইকমান্ডে তাঁর অগাধ সুসম্পর্ক রয়েছে। এছাড়াও রাজনীতির মাঠে তিনি প্রবীণ লোক এবং নির্বাচন সম্পর্কে ভালো অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ব্যাক্তিত্বও। ইতিমধ্যেই সংবাদ সম্মেলন ও সভাসহ নানাভাবেই এবার দু’টি আসনেই তিনি ঈগল প্রতীকের জয়ের মালা পড়তে কর্মপরিকল্পনা সাজিয়েছেন।

ড. শামসুল হক ভূঁইয়া মনে করেন, গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের উদাহরণ হিসেবে এবারের নির্বাচন সবার মনে জায়গা করে নিবে। কাজেই সবাই ভোট কেন্দ্রে এসে দু’টি ঈগল প্রতীকে ভোট দিয়ে নিজেদের বিজয় উল্লাস প্রকাশ করবে।

তবে তার শক্ত প্রতিপক্ষ হিসেবে চাঁদপুর-৩ আসনে গোছালো নির্বাচনী মাঠে ড. দীপু মনির। তিনি আসনটি হতে টানা ৩ বার নির্বাচিত হয়েছেন। এরমধ্যে মন্ত্রীত্বের দায়িত্বই পালন করেছেন দুবার। বড় বড় রাঘব বোয়ালদের একাংশ চেষ্টা করেও টানা চতুর্থ বারে দলীয় প্রতীক নৌকার মনোনয়ন পাওয়া থেকে তাকে বঞ্চিত করতে পারেননি। কাজেই তাঁর আসনে ঈগল প্রতীক আদৌ প্রভাব ফেলতে পারবে কিনা এ নিয়ে সজাগ নৌকার কর্মীসমর্থকগণ।

অপরদিকে চাঁদপুর-৪ ফরিদগঞ্জ আসনটিতে ক্লিন ইমেজে রয়েছেন সাংবাদিক শফিকুর রহমান। যার কারনে অনেক মনোনয়ন প্রত্যাশী থাকা সত্ত্বেও শেখ হাসিনা তাকেই আসনটিতে পুনরায় নৌকার মনোনয়ন দিয়েছেন। যারা মনে প্রাণে নৌকা প্রতীকের ভক্ত তারা দলে মান-অভিমান ও সামান্য মনমানিল্য কোনভাবে হয়ে থাকলেও তা চাপা রেখেই তার সাথে এক সুরে এক হয়ে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করবে এমনটাই তিনি মনে করছেন। কাজেই ভোটের মাঠে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ঈগল প্রতীক এ আসনে চমক দেখাতে পারবেন কিনা তা স্পষ্ট নয়।

এদিকে চাঁদপুর-৫ হাজীগঞ্জ শাহরাস্তি আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ঈগল প্রতীক নিয়ে বেশ জোরেসোরেই মাঠে নেমেছেন গাজী মাঈনুদ্দিন। তিনি হাজীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন। তিনি নৌকা প্রতীকে এর আগেও নির্বাচন করে জয়লাভ করেছেন। তবে সেটি হচ্ছে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচন। যেই চেয়ার থেকে তিনি এমপি হওয়ার দৌঁড়ে এগিয়ে যেতে ইতিপূর্বেই পদত্যাগ করেছেন। তাছাড়া প্বার্শবর্তী উপজেলা বর্তমানে তার নির্বাচনী এলাকা শাহরাস্তিতেও তিনি নেতাকর্মীদের সাথে বেশ ভালো যোগাযোগ রেখেছেন। কাজেই দল মত নির্বিশেষে সকলে এক ও অভিন্ন হয়ে আসনটিতে পরিবর্তন আনতে ঈগল প্রতীকের বিজয় নিশ্চিত করবে বলে তার কর্মী সমর্থকরা মনে করছেন।

গাজী মাঈনুদ্দিন বলেন, তৃণমূলের চাহিদার প্রেক্ষিতে এমপি পদে প্রার্থীতা করছি। ভোটের মাঠে বিজয় নিশ্চিত করার কৌশল ও অভিজ্ঞতা দু’টোই আমার রয়েছে। তাই উৎসাহ উদ্দিপনা নিয়ে সবাইকে ভোট কেন্দ্রে এসে ঈগল প্রতীকে ভোট দিতে অনুরোধ জানাচ্ছি।

এই আসনে এবারও নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মহান মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম। তাঁর গ্রহণযোগ্যতা আওয়ামীলীগসহ সবার কাছেই। অনেকেই তাই মনে করেন, যতদিন তিনি বেঁচে থাকবেন আসনটিতে তার বিকল্প তিনি নিজেই। এ আসনটি হতে নির্বাচিত হয়ে তিনি মন্ত্রীত্বের দায়িত্বও পালন করেছিলেন। কাজেই নির্বাচনী মাঠে তিনি প্রবীণ এবং দক্ষ। সেক্ষেত্রে আসনটিতে ঈগল প্রতীকের প্রার্থী শেষ পর্যন্ত জয় নিয়ে বেড়িয়ে আসতে পারবে কিনা সেই সমীকরণ বড়ই জটিল।

উল্লেখ্য, চাঁদপুরের ৫টি আসনে চাঁদপুর-১ কচুয়া আসন বাদে বাকি চারটি আসনেই একজন করে স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীক নিয়ে নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন। এছাড়াও প্রতিটি আসনে নৌকার প্রার্থীর প্রতিপক্ষ হিসেবে ঈগল ছাড়াও একাধিক প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। যারা প্রত্যেকেই ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের ভোট চেয়ে প্রচারণা শুরু করেছেন।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের বর্ণাঢ্য আয়োজন।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

যথাযথ মর্যাদা ও উৎসবমূখর পরিবেশে আগামী ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস-২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে। অনুষ্ঠানের কর্মসূচীতে রয়েছে-১৬ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সূর্যোদয়ের সাথে সাথে কাট্টলীস্থ’ মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভে (ডিসি পার্কের দক্ষিণ পার্শ্বে) ৩১ বার তোপধ্বনি ও পুস্পস্তবক অর্পণ, সকল সরকারী-বেসরকারী, আধা-সরকারী ও বেসরকারী ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল ৮টায় চট্টগ্রাম জেলা স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সংগীত পরিবেশন, বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে মহান বিজয় দিবসের শুভ উদ্বোধন, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদেও সমাবেশ, কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে প্রদর্শন।

ঐদিন সকাল সাড়ে ১১টায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজ প্রাঙ্গনে বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ পরিবার ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সম্মানে সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠান। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিতব্য মহান বিজয় দিবস ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিভাগীয় কমিশনার ড. মোঃ জিয়াউদ্দীন।

বিশেষ অতিথি থাকবেন চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার হাসিব আজিজ, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি মোঃ আহসান হাবীব পলাশ ও জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ নাজির আহমেদ খাঁন। বেলা ১২টায় সিনেমা হলসমূহে বিনা টিকেটে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চল”িচত্র প্রদর্শনী, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে মিলনায়তনে বা উন্মুক্ত ¯’ানে ব¯‘ুনিষ্ট ও নৈর্ব্যত্তিক মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রামাণ্য চল”িচত্র প্রদর্শনী। এছাড়া বিজয় দিবসের দিন সুবিধাজনক সময়ে শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদেও বিদেহী আত্মার মাগফেরাত,

বীর মুক্তিযোদ্ধা ও যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সুস্বা¯’্য, জাতির শান্তি-সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে মসজিদ, মন্দির, গির্জা, প্যাগোড়া ও অন্যান্য উপাসনালয়ে বিশেষ মোনাজাত/প্রার্থনা, জেলা পর্যায়ে স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা ও অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণে ক্রীড়া অনুষ্ঠান, টি-২০ ক্রিকেট টুর্ণামেন্ট, প্রদর্শনী ফুটবল ম্যাচ, কাবাডি, হা-ডু-ডু ইত্যাদি খেলার আয়োজন। এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে সুবিধাজনক সময়ে শিশুদের অংশগ্রহণে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক রচনা, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, আবৃত্তি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। দুপুর দেড়টায় হাসপাতাল, জেলখানা, বৃদ্ধাশ্রম, এতিমখানা, ডে-কেয়ার, শিশু বিকাশ কেন্দ্র, শিশু পরিবার, পথশিশু পুনর্বাসন কেন্দ্র, প্রতিবন্ধী কর‌্যাণ কেন্দ্র, শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র ও ভবঘুরে পুনর্বাসন কেন্দ্রসমূহে প্রীতিভোজের আয়োজন।

দিনব্যাপী শিশু পার্ক, ডিসি পার্ক, জাদুঘর ও চিড়িয়াখানা শিশুদের জন্য সকাল-সন্ধ্যা উন্মুক্ত রাখা ও বিনা টিকেটে প্রদর্শনীর ব্যবস্থাকরণ, পর্যটন কেন্দ্রে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন এবং ডিশ ক্যাবল অপারেটর/ মালিকগণ কর্তৃক মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচিত্র প্রদর্শন। ১৫-১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেলা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান/ স্থাপনায় আলোকসজ্জাকরণ এবং মহান বিজয় দিবসের পরদিন ১৭ ডিসেম্বর বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় ‘চট্টগ্রাম হানাদার মুক্ত দিবস পালন উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও সর্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।

আওয়ামিলীগের সাবেক পৌর কাউন্সিলর জুলফিকার মিয়ার বিএনপিতে যোগদান।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

লালমোহন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজী জুলফিকার মিয়া বিএনপিতে যোগদান করেছেন। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে তিনি ঢাকায় বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ভোলা-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ (বীর বিক্রম) এর বাসায় গিয়ে ফুল দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদান সম্পন্ন করেন।

এ সময় মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ তাকে দলে স্বাগত জানান। দলীয় একটি সূত্র বলছে, আগাম রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে সামনে রেখে জুলফিকার মিয়ার এই যোগদান বিএনপির স্থানীয় রাজনীতিতে নতুন উদ্দীপনা তৈরি করবে বলে সকলে মনে করছেন।

অন্যদিকে বিগত ফ্যাসিস্ট আমলে আওয়ামিলীগের এমপি নুরনবী চৌধুরী শাওন কর্তৃক নির্যাতিত, নিষ্পেষিত বিএনপির অনেক ত্যাগি নেতারা এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। নাম জানাতে অনিচ্ছুক এক নেতা বলেন- বিএনপির এমন দিন আসবে কখনো চিন্তাও করিনি। তবে কী আওয়ামিলীগ দিয়ে বিএনপির ত্যাগীদের আবার নির্যাতনের স্বীকার করতে চায় মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ? কেন আমরা এতদিন নির্যাতিত ছিলাম? এই দিন দেখার জন্য?

এ বিষয়ে জুলফিকার মিয়াকে একাধিকবার ফোন করলে তার মুঠো ফোনটি বন্ধ দেখায়। তবে স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে তার এই সিদ্ধান্ত ঘিরে আলোচনা সমালোচনার শুরু হয়েছে। কেউ কেউ মনে করছে; এভাবে আওয়ামিলীগ দ্বারা বিএনপি সাজাতে থাকলে ভোটের মাঠে এর প্রভাব বিস্তার করবে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ