আজঃ শনিবার ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫

কাশ্মীরে স*হিংসতা বাড়িয়ে লাদাখে চোখ চীন–পাকিস্তানের।

আন্তর্জাতিক নিউজ ডেস্ক:

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

জম্মু ও কাশ্মীরের পুঞ্চ সেক্টরে সম্প্রতি ভারতীয় সেনাদের ওপর হা*মলা চালিয়েছে স*ন্ত্রাসীরা। তাদের গু*লিতে ৫ সেনা নি*হতের খবরও পাওয়া গেছে। ভারতের সামরিক বাহিনীর দাবি, পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদীরা এই হা*মলা করেছে। এবার জানা গেল, লাদাখ থেকে ভারতীয় সেনা সরানোর জন্যই পাকিস্তান ও চীন মিলে কাশ্মীরে এই স*হিংস হা*মলা চালিয়েছে।

কয়েকটি সূত্রের বরাতে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে বলছে, জম্মু ও কাশ্মীরের পুঞ্চ সেক্টরে এই হামলা চালানোর মধ্য দিয়ে এই এলাকায় আবারও অস্থির পরিস্থিতি তৈরি করতে চায় ইসলামাবাদ ও বেইজিং। আর এভাবে ভারতীয় এই সীমান্তে হট্টগোল তৈরি করতে পারলে ভারত লাদাখ থেকে সেনা কমিয়ে নিতে পারে—এই ভাবনা থেকেই স*হিংসতা।

সূত্র বলছে, কাশ্মীরের পুঞ্চ এলাকার জঙ্গলে এরই মধ্যে অন্তত ৩০ সন্ত্রাসীকে পাঠিয়ে দিয়েছে পাকিস্তান। ভারতীয় সেনাদের দেখলেই যেন হামলা চালানো হয়—এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে তাদের।

২০২০ সালে গালওয়ান উপত্যকায় সংঘাতের পর সীমান্তে সেনা বাড়িয়েছে ভারত। লাদাখে সেনা বাড়ানোর কারণে চীন তেমন খুশি হওয়ার কথা না। তখন থেকেই লাদাখের এসব সেনাদের ভারত সরকার যাতে কাশ্মীর নিয়ে যায়, সেই চেষ্টা করছিল বেইজিং। এবার এতে পাকিস্তান সহায়তা করছে বলেই অভিযোগ ভারতের।

সবচেয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে ভারতের রাষ্ট্রীয় রাইফেলস নামক বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে। ২০২০ সালের ঘটনার পর এই বাহিনীর সেনাদের পুঞ্চ থেকে সরিয়ে লাদাখ নিয়ে যাওয়া হয়, যেটি চীনের জন্য মাথ্যাব্যথার কারণ বলে মনে করা হচ্ছে।

ভারতের প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ মনোজ কুমার বলেন, পুঞ্চ–রাজৌরিতে বর্তমান পরিস্থিতি ২০০৩ সালের অপারেশন সার্প বিনাশের কথাই মনে করিয়ে দিচ্ছে। ওই সময়ও স*ন্ত্রাসীরা এভাবে হা*মলা করেছিল। ওই সময় সেখানে ১৫ হাজার সেনা মোতায়েন করা হয়। মারা যায় ৬৫ স*ন্ত্রাসী।

এবার পুঞ্চে সংঘাতের পর এরই মধ্যে সেখানে বাড়তি সেনা পাঠিয়েছে ভারতের সামরিক বাহিনী। এরই মধ্যে ২০ সন্ত্রাসী নিহতের দাবি করেছে ভারত। এ ছাড়া চীন ও পাকিস্তানের বিষয়ও মাথায় রেখেছে ভারতের সামরিক বাহিনী। এমন কথাই বলেছেন বাহিনীর সাবেক প্রথম সারির কর্মকর্তা অজয় কোতিয়াল।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

ইরান ওমান উপসাগরে একটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করেছে ।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ইরান ওমান উপসাগরে একটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করেছে । তেলবাহী জাহাজটিতে বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলঙ্কার ১৮ নাবিক রয়েছে। ইরানি গণমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে। ইরানের আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা ফার্স জানায়- ছয় মিলিয়ন লিটার চোরাচালানকৃত ডিজেল বহনকারী একটি তেলবাহী জাহাজ ওমান উপকূলে আটক করা হয়েছে।

ওমান উপসাগরে একটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করেছে ইরান।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ইরান ওমান উপসাগরে একটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করেছে । তেলবাহী জাহাজটিতে বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলঙ্কার ১৮ নাবিক রয়েছে। ইরানি গণমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে। ইরানের আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা ফার্স জানায়- ছয় মিলিয়ন লিটার চোরাচালানকৃত ডিজেল বহনকারী একটি তেলবাহী জাহাজ ওমান উপকূলে আটক করা হয়েছে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ