আজঃ রবিবার ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫

লন্ডনে বসে,দন্ডিত আসামি তারেক রিমোট কন্ট্রোলে বিএনপি চালায়: কাদের।

রিপন মজুমদার নোয়াখালী:

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি হলো একটি ভুয়া দল। বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিএনপি হল পরগাছা। এ পরগাছাকে রাজনীতি থেকে অস্তিত্ব বিলীন করতে হবে। তিনি বলেন, বিএনপি লাল কার্ড খেয়ে খেলা থেকে বাদ পড়েছে, কেন বাদ পড়েছে ফাউল করে। তাদের আর রাজনীতির মাঠে খেলার সুযোগ নেই।

শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেল সোয়া ৪টার দিকে নোয়াখালীর কবিরহাট বাজারের বঙ্গবন্ধু চত্বরে এক পথ সভায় তিনি এসব কথা বলেন। উপজেলার সর্বষ্তরের জনগণের ব্যানারে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

তারেক রহমানকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন,আজকে লন্ডনে বসে,দন্ডিত আসামি তারেক রিমোট কন্ট্রোলে বিএনপি চালায়। তারেক মনে করেছে বঙ্গবন্ধুর ডাকে ৭১ সালে অসহযোগ হয়েছে। আজ তারেকের কথায় অসহযোগ নেই। বাংলাদেশের জনগণ তারেকের সাথে অসহযোগিতা করবে, অসহযোগ করবে। অসহযোগ করে বিএনপি নামক পরগাছাকে হটিয়ে দেবে।

বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে মন্ত্রী বলেন,এরা বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধ মানেনা,স্বাধীনতা মানেনা। এরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে। মোস্তাক আর জিয়া জেল খানায় হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে। এরা বিএনপি পল্টনে প্রকাশ্য দিবালোকে একজন পুলিশকে পিটিয়ে পিটিয়ে কুপিয়ে হত্যা হত্যা করেছে। এরা প্রধান বিচারপতির বাড়িতে হামলা করেছে, পুলিশের হাসপাতালে হামলা করেছে।

বিএনপির অসহযোগের প্রসঙ্গ টেনে কাদের বলেন, বাংলার জনগণ তাদের সঙ্গে অসহযোগ করবে। বিএনপি আজকে প্ল্যান করছে, খাজনা দিবেনা, ট্যাক্সস দিবেনা। বিএনপির মুখে গণতন্ত্রের কথা শুনলে ঘোড়াও হাসে। বিএনপি গণতন্ত্র করবে এটা শুনছে ঘোড়াও ডিম পাড়ে। পল্টনের রাস্তা থেকে পালিয়ে গেল কারা। এক দফা গেল কোথায়। ৫৪ দল কোথায় গেল. ৩২ দফা কোথায় গেল। এ বিএনপি বঙ্গবন্ধুর গোটা পরিবার শেষ করেছে।

তিনি এলাকার ভোটারদের উদ্দেশ্য করে বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব যদি বাঁচাতে চান, ক্ষমতার মঞ্চে আমরা শেখ হাসিনাকে আবারও চাই। গণতন্ত্রকে বাঁচাতে হলে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় থাকতে হবে। স্বাধীনতা ও উন্নয়ন বাঁচাতে হলে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই। ক্ষমতার মঞ্চে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই।

ওবায়দুল কাদের বিএনপির সমালোচনা করে বলেন, বিএনপি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা মানে না।ইসরাইল যেভাবে ফিলিস্তিনিতে মানুষ হত্যা করা ঠিক সেইভাবে আন্দোলনের নামে তারা মায়ের বুকে শিশুকে পুড়িয়ে মারে। এরা গণতন্ত্র হত্যাকারী দল। যারা ২০০৬ সালে ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার তৈরি করে প্রহসনের নির্বাচন করতে চেয়েছে।

নিজ এলাকার উন্নয়নের বিষয় বলেন, এই কবিরহাট এক সময় অবহেলিত ছিল এখানে গত ১৫ বছরে রাস্তাঘাট, বিদ্যুৎ, কালবার্ট, স্কুল, কলেজসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক উন্নয়ন করা হয়েছে । আগামী দিনে শেখ হাসিনার উন্নয়নকে রক্ষা করতে, হলে মুক্তিযুদ্ধকে বাঁচাতে হলে ৭ তারিখ ফাইনাল খেলায় জিততে হবে

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ফেনী ২ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী, নোয়াখালী-২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ মোরশেদ আলম এমপি,নোয়াখালী -৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী, কবিরহাট উপজেলা আওয়ামীগের সভাপতি মোহাম্মদ.ইব্রাহীম, সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক রায়হান প্রমূখ।

এর আগে সকালে ওবায়দুল কাদের নিজ নির্বাচনী এলাকা নোয়াখালী -৬ আসনের কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট, শান্তিরহাট, রংমালা বাজার, বাংলা বাজার, পেশকারহাট, নতুন বাজার টেকেরবাজারসহ আশপাশের কয়েকটি এলাকায় গণসংযোগ করেন।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান জামায়াতে যোগ দিলেন

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে জামায়াতে যোগ দিয়েছেন সাবেক মন্ত্রী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান। শনিবার ১৩ ডিসেম্বর সকাল ৯টায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

জামায়াত আমিরের উপস্থিতিতে মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নীতি ও আদর্শ, দেশপ্রেম এবং দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর অবিচল অবস্থানের প্রতি গভীর আস্থা ও সন্তোষ প্রকাশ করেন। এ সময় তিনি সংগঠনের প্রাথমিক সহযোগী সদস্য ফরম পূরণ করে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান করেন।

আওয়ামিলীগের সাবেক পৌর কাউন্সিলর জুলফিকার মিয়ার বিএনপিতে যোগদান।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

লালমোহন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজী জুলফিকার মিয়া বিএনপিতে যোগদান করেছেন। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে তিনি ঢাকায় বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ভোলা-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ (বীর বিক্রম) এর বাসায় গিয়ে ফুল দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদান সম্পন্ন করেন।

এ সময় মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ তাকে দলে স্বাগত জানান। দলীয় একটি সূত্র বলছে, আগাম রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে সামনে রেখে জুলফিকার মিয়ার এই যোগদান বিএনপির স্থানীয় রাজনীতিতে নতুন উদ্দীপনা তৈরি করবে বলে সকলে মনে করছেন।

অন্যদিকে বিগত ফ্যাসিস্ট আমলে আওয়ামিলীগের এমপি নুরনবী চৌধুরী শাওন কর্তৃক নির্যাতিত, নিষ্পেষিত বিএনপির অনেক ত্যাগি নেতারা এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। নাম জানাতে অনিচ্ছুক এক নেতা বলেন- বিএনপির এমন দিন আসবে কখনো চিন্তাও করিনি। তবে কী আওয়ামিলীগ দিয়ে বিএনপির ত্যাগীদের আবার নির্যাতনের স্বীকার করতে চায় মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ? কেন আমরা এতদিন নির্যাতিত ছিলাম? এই দিন দেখার জন্য?

এ বিষয়ে জুলফিকার মিয়াকে একাধিকবার ফোন করলে তার মুঠো ফোনটি বন্ধ দেখায়। তবে স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে তার এই সিদ্ধান্ত ঘিরে আলোচনা সমালোচনার শুরু হয়েছে। কেউ কেউ মনে করছে; এভাবে আওয়ামিলীগ দ্বারা বিএনপি সাজাতে থাকলে ভোটের মাঠে এর প্রভাব বিস্তার করবে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ