আজঃ শনিবার ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫

ফ্রান্সে আটকে ফেলা হলো ভারতীয়দের বহনকারী বিমান।

আন্তর্জাতিক নিউজ ডেস্ক:

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ভারতের ৩০৩ যাত্রীকে বহনকারী একটি বিমানকে ফ্রান্সে আটকে ফেলা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) উত্তর-পূর্ব ফ্রান্সের মার্নের ছোট্ট ভাত্রি বিমানবন্দরে জ্বালানি রিফুয়েলিংয়ের জন্য অবতরণ করে ভারতীয়দের বহনকারী বিমানটি। এরপর সেটি ঘিরে ফেলা হয়।

এয়ারবাস এ৩৪০ বিমানটি সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে নিকারুগুয়ার রাজধানী মানাগুয়াতে যাচ্ছিল। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, ‘মানব পা*চারের’ সন্দেহ থেকে বিমানটি ফ্রান্সে আটকে ফেলা হয়েছে।

ফ্রান্সের প্রসিকিউটররা জানিয়েছেন, ওই যাত্রীরা নিকারুগুয়া থেকে অন্য দেশে পাড়ি জমানোর পরিকল্পনা করছিলেন, অজ্ঞাত সূত্রের কাছ থেকে এমন একটি তথ্য পান তারা। এই তথ্যের ভিত্তিতেই বিমানটি আটক করা হয়।

বিমানবন্দরটির বেশ কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে, বিমানটি অবতরণের পরই বিমানবন্দর ঘিরে ফেলে পুলিশ।

স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ওই ভারতীয়রা সত্যিকার অর্থে কেন নিকারুগুয়া যাচ্ছিলেন এখন সেটি তদন্ত করা হচ্ছে। তারা আরও জানিয়েছেন, যাত্রীদের কয়েকজন অবৈধ অভিবাসী ছিলেন।

মার্নের প্রধান কর্মকর্তার দপ্তর থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, প্রথমে যাত্রীদের বিমানের ভেতর অবস্থান করার সুযোগ দেওয়া হয়। পরবর্তীতে বিমানবন্দরে অ্যারাইভাল লাউঞ্জকে একটি ওয়েটিং এরিয়ায় রূপান্তরিত করা হয়। যাত্রীদের জন্য সেখানে বিছানার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

বিমানটি রোমানিয়ার লিজেন্ড এয়ারলাইন্স পরিচালনা করত। বর্তমানে এটি ওই বিমানবন্দরেই রয়েছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, ওই যাত্রীদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে সমর্থ হয়েছেন ফ্রান্সে অবস্থিত ভারতের দূতাবাসের কর্মকর্তারা। তারা কেন একসঙ্গে এতজন নিকারুগুয়ায় যাচ্ছিলেন; সেটির কারণ নিরূপণের চেষ্টা চলছে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

ইরান ওমান উপসাগরে একটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করেছে ।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ইরান ওমান উপসাগরে একটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করেছে । তেলবাহী জাহাজটিতে বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলঙ্কার ১৮ নাবিক রয়েছে। ইরানি গণমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে। ইরানের আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা ফার্স জানায়- ছয় মিলিয়ন লিটার চোরাচালানকৃত ডিজেল বহনকারী একটি তেলবাহী জাহাজ ওমান উপকূলে আটক করা হয়েছে।

ওমান উপসাগরে একটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করেছে ইরান।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ইরান ওমান উপসাগরে একটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করেছে । তেলবাহী জাহাজটিতে বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলঙ্কার ১৮ নাবিক রয়েছে। ইরানি গণমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে। ইরানের আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা ফার্স জানায়- ছয় মিলিয়ন লিটার চোরাচালানকৃত ডিজেল বহনকারী একটি তেলবাহী জাহাজ ওমান উপকূলে আটক করা হয়েছে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ