আজঃ শনিবার ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

ফকিরহাটে গাছ থেকে পড়ে দিনমুজুরের মৃত্যু

বাগেরহাটের ফকিরহাটে নারকেল গাছ থেকে পড়ে ইউসুব শেখ (৬৫) নামে এক দিনমুজুর মারা গেছেন। উপজেলার মানসা সাহাপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত দিনমুজুর ইউসুব শেখ মধ্যবাহিরদিয়া গ্রামের মৃত কোহিল উদ্দিনের ছেলে।

পুলিশ জানান, মঙ্গলবার (১১ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ইউসুব শেখ মানসা সাহাপাড়া এলাকায় কল্পনা চক্রবর্তীর একটি নারকেল গাছে উঠেন পরিস্কার করার জন্য।

এসময় হাত ফসকে মাটিতে পড়ে যান তিনি। মাটিতে পড়ে যাওয়ার শব্দ পেয়ে স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। এরপর তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষনা করেন।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেন। পরে প্রাথমিক সুরোতহাল প্রতিবেদন তৈরী শেষে মরদেহ উদ্ধার করেন।

ফকিরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মু. আলীমুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

চেহারা ও ছবির বদলে আঙুলের ছাপে পরিচয় চায় পর্দানশীন নারীরা

চেহারা ও ছবির বদলে আঙুলের ছাপ দিয়ে পরিচয় যাচাইয়ের দাবিতে চট্টগ্রামে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছেন পর্দানশীন নারীরা। বৃহস্পতিবার সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে ‘চট্টগ্রাম পর্দানশীন নারী অধিকার পরিষদ’ নামে একটি সংগঠনের ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। তারা বলেছেন, সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিমের দেশ বাংলাদেশে একজন মুসলিম হওয়ার পরও তাদের ধর্মীয় স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।

সমাবেশ থেকে তিন দফা দাবি তুলে ধরা হয়। এগুলো হচ্ছে- গত ১৬ বছর ধরে নির্বাচন কমিশনের যেসব কর্মকর্তা ছবি না তোলায় পর্দানশীন নারীদের নাগরিকত্ব আটকে রেখে মানবাধিকার বঞ্চিত করেছেন, তাদের বিচারের আওতায় আনা, পর্দানশীন নারীদের ধর্মীয় ও প্রাইভেসির অধিকার অক্ষুন্ন রেখে অবিলম্বে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ও শিক্ষার অধিকার দেওয়া ও সকল ক্ষেত্রে পরিচয় শনাক্তে চেহারা-ছবি মেলানোর ‘সেকেলে’ পদ্ধতি বাতিল করে আধুনিক ফিঙ্গারপ্রিন্ট যাচাই পদ্ধতি বাধ্যতামূলক করা এবং পর্দানশীন নারীদের ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেওয়ার সময় পুরুষের পরিবর্তে নারী সহকারী রাখা বাধ্যতামূলক করা।

চট্টগ্রাম পর্দানশীন নারী অধিকার পরিষদ’র সংগঠক আহমদ ইউশা জাহান সাংবাদিকদের বলেন, আমরা সরকার প্রধানের কাছে দাবি জানাচ্ছি, তিনি যেন আমাদের দাবিগুলোর প্রতি সুদৃষ্টি দেন। কারণ, তিনি একজন মুসলিম, আমরাও মুসলিম। আমাদের সংবিধানে আছে, সকল ধর্মের মানুষ তার নিজ নিজ ধর্মীয় স্বাধীনতা ভোগ করবেন। তাহলে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিমের দেশে একজন মুসলমান হয়েও আমরা কেন আমাদের ধর্মীয় অধিকার ভোগ করতে পারছি না ? ফিঙ্গারপ্রিন্টের যে দাবি আমরা দিয়েছি, আশা করি সরকার প্রধান অচিরেই আমাদের এ সুযোগ সৃষ্টি করে দেবেন।

সমাবেশে পর্দানশীন নারীরা বলেন, একজন নারী ছবি তুললে দুটি গুণাহ হয়- একটি ছবি তোলার গুণাহ, অন্যটি বেপর্দা হওয়ার গুণাহ। আবার ওই ছবিটি পরবর্তীতে যতজন বেগানা পুরুষ দেখবে, বেপর্দা হওয়ার গুণাহ ততই বাড়তেই থাকবে। এমনকি মৃত্যুর পরও ওই ছবির কারণে বেপর্দার গুণাহ জারি থাকবে। পর্দানশীন নারীরা সেই গুণাহ থেকে বাঁচতে চান।কিন্তু বর্তমানে রাষ্ট্রে পর্দানশীন নারীদের গুণাহ করতে বাধ্য করছে, যা তার ধর্মীয় বা দ্বীনি অধিকারের লঙ্ঘন। আবার একজন

পর্দানশীন নারী যদি তার চেহারা কাউকে দেখাতে না চান, সেটা তার গোপনীয়তা বা প্রাইভেসির রক্ষার অধিকার। ফলে জোর করে চেহারা দেখাতে বাধ্য করা তার গোপনীয়তা বা প্রাইভেসির অধিকার লঙ্ঘন। পর্দানশীন নারীদের এ দাবী মানবাধিকার ও সাংবিধানিক অধিকারের অন্তর্ভূক্ত।

তারা আরও বলেন, শুধুমাত্র পরিপূর্ণ পর্দা করার কারণে পর্দানশীন নারীরা বৈষম্যের শিকার। গত ১৬ বছর যাবত অসংখ্য পর্দানশীন নারীর নাগরিকত্ব আটকে রাখা হয়েছে। শিক্ষাক্ষেত্রেও করা হচ্ছে বঞ্চিত। পরিচয় যাচাইয়ে জোর করে বেগানা পুরুষের সামনে চেহারা খুলতে বাধ্য করা হচ্ছে। পর্দনাশীন নারীরা এসব হেনস্থার অবসান চান।

চমেক হাসপাতালের একমাত্র এমআরআই মেশিন বন্ধে রোগীদের সীমাহীন ভোগান্তি

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের একমাত্র এমআরআই মেশিন বন্ধে প্রতিনিয়ত রোগীদের সীমাহীন ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। প্রায় চার বছর ধরে নষ্ট রয়েছে মেশিনটি। এতে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা করাতে ৮ থেকে ১৫ হাজার টাকা লাগছে। ফলে গরিব রোগীরা পরীক্ষাটি করাতে পারছেন না।

জানা গেছে, দুই হাজার ২০০ শয্যার চমেক হাসপাতালে গড়ে দিনে রোগী ভর্তি থাকে প্রায় সাড়ে তিন হাজার। বহির্বিভাগে প্রতিদিন চিকিৎসা নেন অন্তত তিন হাজার রোগী। সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) চট্টগ্রাম শাখার সাধারণ সম্পাদক আখতার কবির চৌধুরী বলেন, এত বড় হাসপাতালে এমআরআই মেশিন মাত্র একটি। তাও সেটি বছরের পর বছর অকেজো। কোনো সভ্য দেশে এমন হতে পারে না। রোগীদের ভোগান্তির দায় এড়াতে পারে না কর্তৃপক্ষ।

তবে চমেক কর্তৃপক্ষের ভাষ্য, এমআরআই মেশিন সচল করতে বিভিন্ন দপ্তরে অন্তত ৪০ বার চিঠি দেওয়া হয়েছে। শুধু সচল হচ্ছে-হবে প্রতিশ্রুতি দিয়ে দায় সারছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ফলে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ৪১টি ওয়ার্ডের পাশাপাশি ১৫ উপজেলার অসংখ্য রোগীর কপাল পুড়ছে। সরকারিভাবে যেখানে মাত্র তিন হাজার টাকায় পরীক্ষা হয়, সেখানে কয়েক গুণ অর্থ খরচ করতে হচ্ছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০১৭ সালে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্রায় ১০ কোটি টাকার জাপানি হিটাচি ব্র্যান্ডের (১.৫ টেসলা) এমআরআই মেশিন চমেক হাসপাতালকে দেয়। ঢাকার মেডিটেল প্রাইভেট লিমিটেড এটি সরবরাহ করার পর ওই বছরের ২৪ অক্টোবর হৃদরোগ বিভাগের নিচতলায় স্থাপন করা হয়। ২০১৮ সালের ১৯ এপ্রিল থেকে শুরু হয় কার্যক্রম। তিন বছরের ওয়ারেন্টির সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই ২০২০ সালের অক্টোবরে মেশিনটি অচল হয়ে পড়ে। প্রায় সাত মাস পর ২০২১ সালের মে মাসে মেরামত করে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান। তবে মাস না যেতে আবারও অকেজো হয়ে যায়। সেই থেকে হাসপাতালে বন্ধ রয়েছে এমআরআই সেবা।

চমেক হাসপাতালের পরিচালক মোহাম্মদ তসলিম উদ্দীন জানান, অত্যন্ত জরুরি এমআরআই মেশিন সচলের জন্য চিঠি চালাচালি করে তারা নিজেরাই এখন বিরক্ত। মেরামতে প্রায় সাত কোটি টাকা লাগবে। আবার নতুন মেশিন কিনতে গেলে লাগবে প্রায় ১৮ কোটি টাকা। অর্থ বরাদ্দের বিষয় চূড়ান্ত না হওয়ায় এটি নষ্ট রয়েছে বলে জানান তিনি।

কয়েক মাস আগে সড়ক দুর্ঘটনায় মাথায় প্রচণ্ড আঘাত পান শিক্ষার্থী ইমাম হোসেন। ভিক্ষাবৃত্তি করে সংসার চালানো পঙ্গু রমিজ হোসেন তাঁকে নিয়ে আসেন চমেক হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগে। চিকিৎসক দেখে এমআরআই করতে বলেন। কিন্তু বাবা-ছেলে এমআরআই কক্ষের সামনে গিয়ে দেখেন, তালা ঝুলছে। পরে

হাসপাতালের লোকজন জানান, চার বছর ধরেই তালা ঝুলছে এমআরআই কক্ষে। বাইরে খবর নিয়ে ৮ থেকে ১৫ হাজার টাকার কথা শুনে আর পরীক্ষা করা হয়নি। রমিজ হোসেন বলেন, এক টাকা দিয়ে পরীক্ষা করানোর সামর্থ্য নেই। এ জন্য বেশ কয়েকবার হাসপাতালে এসেছি। প্রতিবার ফেরত গেছি। ছেলের সুস্থতা আল্লাহর ওপর ছেড়ে দিয়েছি।

আরেক রোগীর মেয়ে জিন্নাত আরা বলেন, মা অন্যের বাসায় কাজ করেন। হঠাৎ এক দিন কাজ শেষে বাসায় ফেরার পথে বাসের ধাক্কায় মাথা, হাত, বুক ও পায়ে আঘাত পান। চিকিৎসক এমআরআই করতে দিয়েছেন। বেসরকারিতে করার সামর্থ্য নেই। চমেক হাসপাতালে অনেকবার এসেছি। কিন্তু কোনো কাজ হচ্ছে না। খুব দুশ্চিন্তায় রয়েছি।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ