
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি)’র উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে শিক্ষক সমিতি। পূর্বঘোষিত কর্মসূচী অনুযায়ী ভিসি কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচী পালন করেছে শিক্ষকরা। বিভিন্ন অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার অভিযোগে আন্দোলনরত শিক্ষকরা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের দুর্নীতি ও অনিয়ম চরম মাত্রায় পৌঁছেছে। শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগ বাণিজ্য করে চলেছে। ৪৪ লক্ষ টাকা ভবন নির্মানে দূর্নীতির জন্য ব্যাখা চেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরী কমিশন। বর্তমান ভিসি ও প্রভিসি মিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনিয়ম ও দুর্নীতির আখরায় পরিণত করেছে। এভাবে চলতে দেয়া যায়না। যারা অনিয়ম ও দুর্নীতি প্রতিরোধ করবে তারাই দুর্নীতি করে চলেছে, আর এসব দেখে শিক্ষার্থীরা শিখবে। আমরা শিক্ষক সমিতি আজকের রবিবারের কর্মসুচীর মধ্য দিয়ে জানিয়ে দিতে চাই যেখানে অন্যায় হবে শিক্ষক নেতৃবৃন্দের নেতৃত্বে শিক্ষকরা প্রতিবাদ করবে। প্রশাসনের এ কর্তাদ্বয় দায়িত্ব নেয়ার পর একের পর এক নিযোগ বাণিজ্য হয়েছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববদ্যিালয়ের অতীতের সুনাম ধ্বংস করে চলেছেন তারা। তাদের এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমরা ঐক্যবদ্ধ। অবিলম্বে তাদের অপসারণ করা দরকার। অবস্থান কর্মসুচীতে অংশ গ্রহন করেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মো. আব্দুল হক, সহ-সভাপতি প্রফেসর ড. মো. আলউদ্দিন, সদস্য মো. শেখ সাদী, সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর সিরাজ উদ দৌল্লা, প্রফেসর ড. খসরুর আলম কুদ্দুসি, প্রফেসর ড. আবু নোমান, প্রফেসর ড. সুকান্ত ভট্টাচার্য্য, প্রফেসর ড. সফিউল আলম ডালিম, প্রফেসর ড. গোলাম কবির, প্রফেসর আসাদুল হক, প্রফেসর ড. জসিম উদ্দিন, ড. আব্দুল করিম, ড. লিটন মিত্র, মো. বখতিয়ার উদ্দিন, মো. সাখাওয়াত হোসেন ও তানভির আহমেদ প্রমূখ।