আজঃ মঙ্গলবার ২৯ এপ্রিল, ২০২৫

ইতিহাস গড়ে ৫৪৬ রানের জয় বাংলাদেশের

টেস্ট ইতিহাসে সবচেয়ে বড় জয়ের রেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ। মিরপুর টেস্টে আফগানিস্তানকে ৫৪৬ রানে হারিয়েছে টাইগাররা।

১৯২৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৬৭৫ রানে জিতেছিল ইংল্যান্ড। এরপর ১৯৩৪ সালে ইংল্যান্ডকে ৫৬২ রানে হারায় অস্ট্রেলিয়া। ২ উইকেটে ৪৫ রান নিয়ে আজ শনিবার ঢাকা টেস্টের চতুর্থ দিন শুরু করেছিল আফগানিস্তান। তৃতীয় ওভারেই এবাদত হোসেন সাফল্য উপহার দেন।

তার বলে লিটন দাসের গ্লাভসবন্দি হন নাসির জামাল (৬)। এরপর মঞ্চে শরীফুলের আবির্ভাব। তার বলে মেহেদি মিরাজের হাতে ধরা পড়েন আফসার জাজাই (৬)। এভাবেই নিয়মিত উইকেট হারাতে থাকে আফগানিস্তান।

বাহির শাহ (৭) শরীফুলের তৃতীয় শিকারে পরিণত হলে ২০.৫ ওভারে ৭৮ রানে তারা পাঁচ উইকেট হারায়। আফগানদের ৬ষ্ঠ উইকেটের পতন ঘটান তাসকিন আহমেদ।অনেকটা সময় উইকেট আগলে রাখা রহমত শাহ (৩০) ক্যাচ তুলে দেন লিটন দাসের গ্লাভসে। ফিরতি ওভারে এসেই করিম জানাতকে (১৮) বোল্ড করে দেন তাসকিন। পেসারদের দাপটের পর মেহেদি মিরাজকে আক্রমণে আনেন অধিনায়ক লিটন।

মিরাজ তার দ্বিতীয় ওভারেই তুলে নেন আমির হামজাকে (৫)। ক্যাচের আবেদনে আম্পায়ার প্রথমে সাড়া না দিলে রিভিউ নিয়ে জয়ী হয় বাংলাদেশ। খেলা শেষের প্রত্যাশায় মধ্যহ্ণ বিরতি আধঘণ্টা পিছিয়ে দেওয়া হয়। ইয়েমিন আহমেদজাইকে (১) মুশফিকের তালুবন্দি করে চতুর্থ শিকার ধরেন তাসকিন।

পরের বলেই জহির খানকে আউট দিয়েছিলেন আম্পায়ার। রিভিউতে দেখা যায় বল ব্যাট স্পর্শ করেনি। অবশ্য ততক্ষণে পাঁচ উইকেট শিকারের উদযাপন করে ফেলেছিলেন তাসকিন। পরের বলে আবারও তাকে হতাশ হতে হয়। তৃতীয় বলেই দুর্দান্ত এক ফুলটসে জহির খানের (৪) স্টাম্প ছত্রখান করেছিলেন তাসকিন। কিন্তু সেটাকে নো বল ডাকেন আম্পায়ার। ওভারের শেষ বলটি ছিল শর্ট বল। যেটি গিয়ে জহিরের কনুইয়ে লাগে। তিনি আর ব্যাটিং করার অবস্থায় ছিলেন না। তাই ৯ উইকেটে ১১৫ রানেই শেষ হয় আগানিস্তানের দ্বিতীয় ইনিংস। বাংলাদেশ পায় ৫৪৬ রানের বিশাল জয়। ৯ ওভার বল করে ২ মেডেনসহ ৩৭ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন তাসকিন। ২৮ রানে ৩টি নিয়েছেন শরীফুল ইসলাম। এছাড়া ১টি করে নিয়েছেন ইবাদত হোসেন আর মেহেদি মিরাজ।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

মির্জাপুর খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতির সভায় সৈয়দ মসউদ্দৌল্লাহ মাষ্টার স্মৃতি গোল্ডকাপ টুর্ণামেন্ট


উত্তর চট্টলার ঐতিহ্যবাহী হাটহাজারী উপজেলার একমাত্র ক্লাব চট্টগ্রাম জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের অনুমোদনপ্রাপ্ত সামাজিক, সাংস্কৃতিক, শিক্ষা ও ক্রীড়া প্রতিষ্ঠান “মির্জাপুর খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতির” এক সভা ২৫/০৪/২০২৫ ইং তারিখ সন্ধ্যায় মুহুরীহাট বাজারস্থ ক্লাবের স্থায়ী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংগঠনের সভাপতি মাহাম্মদ ইসহাকের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন সাবেক সভাপতি ও আলোকিত হাটহাজারী উন্নয়ন ফোরামের চেয়ারম্যান সৈয়দ মোস্তফা আলম মাসুম, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান নান্টু, অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক এম এইচ সাহেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মফিজ উদ্দীন, অর্থ সম্পাদক ব্যাংকার মোঃ সালাহউদ্দিন, ক্রীড়া সম্পাদক মোঃ মোস্তাফিজ রহমান, প্রচার সম্পাদক মোঃ জসিম উদ্দিন, দপ্তর সম্পাদক মোঃ করিমসহ অন্যান্য কর্মকর্তা ও সদস্যবৃন্দ। সভায় চলমান এস.এস.সি পরীক্ষার পর পর মির্জাপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে একটি গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্ণামেন্ট আয়োজনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। সংগঠনের সম্মানিত প্রধান উপদেষ্টা আলহাজ্ব ছৈয়দ ফরিদ উদ্দীন আহমেদ এর পিতা মরহুম সৈয়দ মসউদ্দৌল্লাহ মাষ্টার স্মৃতি গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্ণামেন্ট ২০২৫ নামকরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। সভায় উপস্থিত সাবেক সভাপতি সৈয়দ মোস্তফা আলম মাসুমের শ্রদ্ধেয় নানার নামে ফুটবল টুর্ণামেন্টে নিজে পৃষ্ঠপোষকতা করবেন বলে নিশ্চিত করেছেন। উক্ত টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন প্রাইজ মানি ২৫ হাজার টাকা + ট্রপি, রানার্স আপ প্রাইজ মানি ১৫ হাজার টাকা+ ট্রপি, সুশৃঙ্খল দল ট্রপি, প্রতি খেলায় ম্যান অব দ্যা ম্যাচের পুরস্কার, সেরা গোলদাতা, সেরা খেলোয়াড়, সেরা গোলরক্ষকসহ অন্যান্য পুরস্কার প্রদান করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এন্ট্রি ফি ৭ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়। আগামী ১ মো ২০২৫ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ৭ টায় ক্লাব কার্যালয়ে ফুটবল টুর্ণামেন্ট সুন্দর, সুষ্ঠু ও সফল ভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে একটি শক্তিশালী ফুটবল টুর্ণামেন্ট পরিচালনা কমিটি গঠন করা হবে। উক্ত সভায় যথা সময়ে সকলকে উপস্থিত থাকার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।

জব্বারের বলীখেলায় চ্যাম্পিয়ন আবারও বাঘা শরীফ।

ঐতিহ্যবাহী জব্বারের বলীখেলার ১১৬ তম আসরের চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন আবারো কুমিল্লার বাঘা শরীফ। শুক্রবার বিকেলে এবারও তিনি কুমিল্লা সদরের রাশেদ বলীকে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হন। এদিকে চলতি আসরে অংশ নিয়েছেন ১২০ জন বলী।নগরের লালদীঘি মাঠের অস্থায়ী মঞ্চে এ প্রতিযোগিতার মূল পর্ব শুরু হয় বিকেল ৪টায়। দেখা গেছে, বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে এবারও ফাইনালে মুখোমুখি হন বাঘা শরীফ ও রাশেদ বলী।

এ প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী আয়োজনে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন সিএমপি কমিশনার হাসিব আজিজ। প্রধান অতিথি ছিলেন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।এর আগে বলীখেলা দেখতে দুপুর থেকে নানা বয়সী দর্শনার্থী ভিড় করেছেন লালদীঘি প্রাঙ্গণে। এ বলীখেলাকে ঘিরে বৃহস্পতিবার থেকে জমে উঠেছে তিন দিনের বৈশাখী মেলা। চারিদিকে উৎসবের আমেজ।

বৈশাখের তপ্ত রোদ উপেক্ষা করে বলীখেলা দেখতে দুপুর থেকে নগরের লালদীঘি ময়দান ছিল উপচেপড়া দর্শকের ভিড়। ঐতিহ্যবাহী এ বলীখেলা দেখতে চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে এসেছেন হাজারো মানুষ। ঢোলের তালে তালে দর্শকদের উচ্ছ্বাসে মুখর ছিল পুরো মাঠ।
জব্বারের বলীখেলা ও মেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক, আব্দুল জব্বার সওদাগরের নাতি শওকত আনোয়ার বাদল জানান, বলীখেলার ১১৬তম আসরে এবার রেজিস্ট্রেশন করেছেন ১৪৭ জন বলী। এতে জাতীয় পর্যায়ের বলীরাও এবার অংশ নিয়েছেন।

এদিকে, আবদুল জব্বারের বলীখেলা ঘিরে নগরের লালদীঘি মাঠ ও এর আশপাশজুড়ে বসেছে তিন দিনব্যাপী ঐতিহ্যবাহী বৈশাখী মেলা। সিনেমা প্যালেস থেকে লালদীঘি মোড় হয়ে শাহ আমানত মাজার গেট। অন্যদিকে আন্দরকিল্লা এলাকা থেকে কোতোয়ালী মোড় পর্যন্ত বসেছে এ মেলার দোকানপাট। মেলা থেকে ঘুরে ঘুরে পছন্দ মতো প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনছেন নারী-পুরুষ, শিশু সবাই।

১৯০৯ সালে চট্টগ্রামের বদরপাতি এলাকার ধনাঢ্য ব্যবসায়ী আবদুল জব্বার সওদাগর এই বলীখেলার সূচনা করেন। তার মৃত্যুর পর এটি জব্বারের বলীখেলা নামে পরিচিতি লাভ করে। ১৯০৯ সাল থেকে চট্টগ্রামের লালদীঘি ময়দানে প্রতি বছরের ১২ বৈশাখ অনুষ্ঠিত হয় এই জব্বারের বলীখেলা।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ