আজঃ বুধবার ১২ মার্চ, ২০২৫

ঝালকাঠিতে সরকারী খাল দখলের অভিযোগ।।খালটি উদ্ধার করে খননের দাবি

মশিউর রহমান রাসেল

ঝালকাঠিতে সরকারী খাল দখলের অভিযোগ, খালটি উদ্ধার করে খননের দাবি এলাকাবাসির

মশিউর রহমান রাসেল
ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলা শহরে জমির দাম আকাশচুম্বী হওয়ায় ভূমিদস্যুরা হাঁকডাক দিয়ে দিন দিন উপজেলার সরকারি খাল দখল করে নেওয়ার বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।

রাজাপুর উপজেলার এক সময়ের খরস্রোতা খালটি ভূমিদস্যুদের কারণে আজ কোথাও নিশ্চিহ্ন আবার কোথাও সরু নালায় পরিণত হয়েছে। সেই খাল ও নালা নানা কৌশলে দখলে নিলেও প্রভাবশালীদের ভয়ে কেউ উচ্চবাচ্য করতে পারছেন না। তবে নিরব হয়ে চুপ থাকলেও সচেতন মহলের মনের মধ্যে উপজেলা প্রশাসনের বিরুদ্ধে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।

খালটি দখলে ক্ষমতাসীন দলের নেতা, উঠতি পয়সাওয়ালা ও জনপ্রতিনিধিরা জড়িয়ে থাকায় রাজাপুর উপজেলা প্রশাসনও রহস্যজনক নীরবতা পালন করছে। এতে আরও উৎসাহী হচ্ছে ভূমিদস্যুরা। এই সুযোগে ভূমিদস্যুরা দিনের পর দিন খাল দখল করে একের পর এক অবৈধ পাকা স্থাপনা নির্মাণ করে যাচ্ছে। প্রশাসনের নাকের ডগায় একের পর এক খাল দখল করে পাকা স্থাপনা নির্মিত হচ্ছে। বিভিন্ন স্থানে খালের মাঝ পর্যন্ত পাকা ঘর নির্মাণ করেছে ভূমিদস্যুরা। সবকিছু দেখেও রাজাপুর উপজেলা প্রশাসন নিরব ভূমিকা পালন করছে।

রাজাপুর উপজেলা সদরে সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলা সদরের পুরোন বাজারের দক্ষিণ মাথার কামার পট্টি থেকে শুরু হয়ে দক্ষিণ দিক হয়ে জেল খানার পিছন থেকে বাইপাস মোড় এলাকা হয়ে বর্তমান পল্লিবিদ্যুত অফিসের সামনা হয়ে দক্ষিণ রাজাপুরের তুলাতলা এলাকার মধ্যদিয়ে পূর্ব দিকে জাঙ্গালিয়া নদীর সাথে ভারানি খাল হিসাবে মিসেছে। বাঁকে বাঁকে এই খালটি প্রায় দীর্ঘ চার কিলোমিটার খালটির বিভিন্ন স্থানে ময়লার ভাগার, ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান ও আবাসিক বাড়ি নির্মান করে খালটি দখল করা হয়েছে এবং এর ফলে স্রোত বন্ধ হওয়ায় বিভিন্ন অংশ নালায় পরিনত হয়েছে। এর কারণে বর্ষার মৌসুমে বৃষ্টির পানি জমা হয়ে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা নদীর রূপে পরিণত হয়ে যায়। স্বয়ং রাজাপুর উপজেলা প্রশাসনও স্বীকার করেছে খাল দখলের বিষয়ে তাদের কাছেও অনেক অভিযোগ রয়েছে।

একাধীক স্থানীয়দের সাথে কথা হলে তারা জানান, মধ্য বাজার এলাকা থেকে বয়ে যাওয়া ভারানি খালটি জেলখানার পেছনের এলাকা হয়ে টিঅ্যান্ডটি সড়কের মধ্য দিয়ে বাইপাস এলাকার ব্রিজ হয়ে তুলাতলার দিকে বয়ে গেছে। দখলে খালটির মৃতপ্রায় অবস্থার কারণে নৌকায় করে বাজার আসা, স’মিল ও ধান মিলে ধান নেয়া, বাজারের মালামাল বহনসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যবসায়ী ও কৃষকরা সমস্যায় পড়েছেন। জোয়ারের সময় সামান্য পানি থাকলেও ভাটায় খালে পানিই থাকে না। এ কারণে শহরের কোথাও আগুন লাগলেও পানির সঙ্কট দেখা দেয়। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পানির উৎস পাওয়া যায় না। এ ছাড়া খালটি ও তার ছোট ছোট শাখা নালাগুলো ভরাট হয়ে যাওয়ায় বৃষ্টি হলেই আশপাশে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। বাইপাস এলাকার নব আ’লীগ অফিস-সংলগ্ন এলাকার খালটি ভরাট করে বাড়ি নির্মানের কাজ করার বিষয়টি চোখে পড়ার মতো হলেও প্রশাসন নীরব বলে অভিযোগ রয়েছে।

রাজাপুর উপজেলা এলজিইডি কর্মকর্তা অভিজিৎ মজুমদার বলেন, সরকারী খালের জমির মালিকানা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। তিনি খালটি উদ্ধার করে দিলে খালটি খননের ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

রাজাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানা ইয়সমিন বলেন, চলতি জানুয়ারী মাসে বিএডিসি’র প্রকল্প পাওয়ার কথা রয়েছে। ওই প্রকল্প বরাদ্দ পেলে খালটি উদ্ধার করে একই সাথে খননের ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

পাহাড় কেটে ভবন নির্মাণ : খুলশী ক্লাবকে ৪৮ লাখ টাকা জরিমানা।

চট্টগ্রাম নগরের খুলশীর ফয়েজ লেক এলাকায় পাহাড় কেটে ভবন নির্মাণের দায়ে খুলশী ক্লাব কর্তৃপক্ষকে ৪৮ লাখ ৭৫ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ আরোপ করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগরের পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) সোনিয়া সুলতানা এ ক্ষতিপূরণ আরোপ করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন একই দপ্তরের পরিদর্শক রুম্পা শিকদার। তিনি জানান, খুলশী থানাধীন ফয়েজ লেক এলাকায় খুলশী ক্লাব সংলগ্ন পাহাড় কেটে ভবন নির্মাণের দায়ে ৪৮ লাখ ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত ৯ মার্চ দপ্তরের সিনিয়র কেমিস্ট রুবাইয়াত তাহরীম সৌরভ, পরিদর্শক রুম্পা শিকদার, মো. সাখাওয়াত হোসাইন, মনির হোসেনসহ এনফোর্সমেন্ট টিম পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
পরিদর্শনকালে তারা দেখতে পান খুলশী ক্লাব সংলগ্ন পাহাড়টি ঝুঁকিপূর্ণভাবে কাটা হয়েছে। খুলসী ক্লাব কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পাহাড় কেটে তারা ক্লাবের সীমানার ভিতরে অবকাঠামো উন্নয়ন কাজ

পরিচালনা করছিলেন। জানা যায় ওই ভূমিটির শ্রেণি পাহাড় ও টিলা। গত ১১ মার্চ পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত শুনানিতে বলা হয়, ৪৮ হাজার ৭৫০ ঘনফুট পাহাড় সরকারের অনুমতি ছাড়া কেটে পরিবেশের ক্ষতিসাধন করা হয়েছে। যা পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ অনুসারে দণ্ডনীয় অপরাধ। ওই আইনের ৬ এর খ ধারা অনুসারে ৪৮ লাখ ৭৫ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ আরোপ করা হলো।

বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষে রিকশাচালকের মৃত্যু

আ.লীগ নেতার ফ্ল্যাটে অভিযান নিয়ে বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষ, রিকশাচালকের মৃত্যু
রাজশাহীতে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষের সময় ছুরিকাঘাতে আহত রিকশাচালক গোলাম হোসেন রকি (৫৮) মারা গেছেন। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ২ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তিনি মারা যান।

রামেক হাসপাতালের মুখপাত্র ডা. শংকর কে বিশ্বাস জানান, ওই সংঘর্ষের সময় রিকশাচালক গোলাম হোসেনের বুকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছিল। এছাড়া তার মাথায় আঘাত ছিল। ঘটনার পর থেকেই তার জ্ঞান ফেরেনি। সন্ধ্যার পর তিনি মারা গেছেন।

বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাক হাসান বলেন, আহত রিকশাচালক মারা গেছে বলে শুনেছি। কেউ অভিযোগ দিলে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।

গত শুক্রবার সন্ধ্যায় নগরের দড়িখড়বোনা এলাকায় বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। আগের দিন রাতে স্থানীয় আওয়ামী লীগের এক নেতার ফ্ল্যাটে অভিযান এবং তার ভাইকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়ান বিএনপির দুই গ্রুপের নেতাকর্মীরা। প্রায় চার ঘণ্টা ধরে চলে ওই সংঘর্ষ।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রিকশাচালক গোলাম হোসেন ওই রাতে রিকশা রেখে হেঁটে ভাড়া বাসায় যাচ্ছিলেন। তখন একটি গ্রুপ তাকে আরেক গ্রুপের লোক ভেবে ছুরিকাঘাত করে। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।

নিহত গোলাম হোসেনের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার সাহেবপাড়ায়। রাজশাহী নগরের দড়িখড়বোনা মহল্লায় তিনি স্ত্রীকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন। শহরে রিকশা চালিয়ে তিনি সংসার চালাতেন।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ