আজঃ রবিবার ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫

নগরকান্দায় রাস্তার জায়গায় দোকান ঘর নির্মান করার অভিযোগ

মিজানুর রহমান নগরকান্দা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার মিরাকান্দা – সলিথা রাস্তার জায়গা দখল করে পাকা দোকান ঘর উত্তোলন কাজ চলমান থাকায় প্রশাসনের কাছে সাবেক পৌর কাউন্সিলর ওবাদুর মাতুব্বর লিখিত অভিযোগ করেন। সাবেক কমিশনার বলেন এই সম্পত্তি ৩৫ বছর আগে একওয়ার করে নেয় সড়ক বিভাগ। রাস্তার জায়গা দখল করে মোশাররফ হোসেন পিতা – আব্দুর রশিদ মিয়া দোকান ঘর উত্তোলন করছে। জনস্বার্থে আমি গত ২৯ জানুয়ারী ২০২৪ তারিখে ইউএনও বরাবর লিখিতভাবে অভিযোগ করেছি কিন্তু প্রশাসনিক ভাবে এর কোন ব্যবস্হা না নেওয়ার কারনে দোকান ঘর উত্তোলন কাজ চলছে। স্হানীয় লোকজন বলেন সরকারি রাস্তার জায়গা দখল করে মোশাররফ দোকান ঘর উত্তোলন করছে।
মোশারফ হোসেন বলেন আমাদের জমি রাস্তার জন্য একওয়ার করে নেয় সড়ক বিভাগ। এর বিনিময় সড়ক বিভাগ টাকাও দেয় দুই কিস্তি । জমির দক্ষিন পাশে ৫০ ফুট থাকলেও সেখানে ৩৮ ফুট রাস্তার জন্য একওয়ার করে নেয় এবং অবশিষ্ট ১২ ফুট সম্পত্তি রাস্তার পাশে থাকায় দোকান ঘর উত্তোলন করছি।তিনি কাগজপত্রের বিষয়ে উক্ত জমির অস্পষ্ট একটি বি,এস পর্চার ফটোকপি দেখান তাহাতে দেখা যায়
৬২৪ খতিয়ানের ১৫৬ নং গাং জগদিয়া মৌজার ১০৭৬ দাগে মাটিয়াল,১০৭৯ নং দাগে ভিটা,১০৮০ নং দাগের সম্পত্তি মাটিয়াল বর্তমান বি,এস মালিক মোশাররফ হোসেন পিতা- আব্দুর রশিদ মিয়া ও সিদ্দিকুর রহমান পিতা- আমজেদ মিয়া সাং নিজ। তাতে জমির পরিমাণ ০,৩১ শতাংশ।
উক্ত দাগে আরও বেশি জমি ছিল।
স্হানীয় লোকজন বলেন মোশারফ হোসেন তার সম্পত্তি সব রাস্তার কাজে বিক্রি করে দেন। সব সম্পত্তি একওয়ার করে নিয়ে গেছে। এছাড়া সেই বিক্রি করা সরকারি রাস্তার জায়গায় পাকা দোকান ঘর উত্তোলন করছে।
এবিষয় নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন অভিযোগ দিয়ে গেছে বিষয়টি খতিয়ে দেখে পরবর্তী ব্যবস্হা নেওয়া হবে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

ইরান ওমান উপসাগরে একটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করেছে।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ইরান ওমান উপসাগরে একটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করেছে । তেলবাহী জাহাজটিতে বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলঙ্কার ১৮ নাবিক রয়েছে। ইরানি গণমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে। ইরানের আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা ফার্স জানায়- ছয় মিলিয়ন লিটার চোরাচালানকৃত ডিজেল বহনকারী একটি তেলবাহী জাহাজ ওমান উপকূলে আটক করা হয়েছে।

চন্দ্রগঞ্জ থানা পরিদর্শন করেন নবাগত পুলিশ সুপার মো:আবু তারেক

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

লক্ষ্মীপুর জেলার সদ্য যোগদান করা পুলিশ সুপার জেলার বিভিন্ন থানা পরিদর্শন ও থানায় কর্মরত অফিসারদের সাথে সৌজন্যে সাক্ষাৎ করেন।
তারই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানা আকস্মিক পরিদর্শন করেন লক্ষ্মীপুর জেলার নবাগত পুলিশ সুপার মোঃ আবু তারেক। এসময় চন্দ্রগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ও কর্মরত সবাই ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

থানা পরিদর্শনকালে পুলিশ সুপার ফোর্সদের থাকার ব্যারাক ও বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শন করেন এবং সকল পুলিশ সদস্যদের সাথে কুশল বিনিময় করেন। এছাড়াও সকল পুলিশ সদস্যদের আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা প্রদান করেন।

উল্লেখ্য চন্দ্রগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মোরশেদ আলম চলতি মাসের ৬ তারিখে এ থানায় যোগদান করেন।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ