আজঃ বৃহস্পতিবার ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

বাংলাদেশর সড়ক দুর্ঘটনার চিত্র দেখলে মনে হয় রাশিয়া ইউক্রেন ভয়াবহ যুদ্ধ চলছে : যাত্রী কল্যান সমিতি।

ঢাকা অফিস:

জাতীয়:

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ‘সড়কের দুর্ঘটনা, প্রাণহানির চিত্র দেখলে মনে হয় দেশের সড়কে রাশিয়া ইউক্রেন একটি ভয়াবহ যুদ্ধ চলছে। আমাদের সীমিত সামর্থ্যরে কারণে প্রাথমিক উৎস থেকে সড়ক দুর্ঘটনার ডাটাবেজ সংগ্রহ করা সম্ভব হয় না। তাই সংবাদপত্র তথা সেকেন্ডারি উৎস থেকে সড়ক দুর্ঘটনার প্রতিবেদন তৈরি করছি।

আজ রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকালে ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটিতে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি আয়োজিত ‘এসডিজি’র লক্ষ্য অর্জনে সরকারি উদ্যোগে প্রাথমিক উৎস থেকে সড়ক দুর্ঘটনার পূর্ণাঙ্গ ডাটা ব্যাংক চাই’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে সরকারি উদ্যোগে বিআরটিএর অধীনে প্রাথমিক উৎস থেকে পূর্ণাঙ্গ ডাটা ব্যাংক চালু করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। প্রাতিষ্ঠানিক অকার্যকারিতা সংস্কার করা জরুরি বলে ও মনে করেন সংস্থাটি। দেশে সড়ক দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি কমাতে সড়কে সুশাসন প্রতিষ্ঠা জরুরি বলে অভিমতদেন বক্তারা। ফলে সংগঠিত সড়ক দুর্ঘটনার প্রকৃতচিত্র আমাদের প্রতিবেদনে উঠে আসে না। আমরা মনে করি, দেশের গণমাধ্যমে সংগঠিত সড়ক দুর্ঘটনার ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত স্থান পায়।
মোজাম্মেল হক চৌধুরী আরও বলেন, সব সংবাদপত্র আমরা মনিটরিং করতে পারি না, তাই ২০ থেকে ২৫ শতাংশের চিত্র তুলে ধরতে পারি। বিআরটিএ এই সেকেন্ডারি সোর্সের তথ্যকে অতিরঞ্জিত বলে বিভিন্ন সময়ে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করছে। কিন্তু প্রাথমিক উৎসগুলোতে সড়ক দুর্ঘটনার প্রকৃত অবস্থা কী বা বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদনে সত্যতা কি তা খতিয়ে দেখার প্রয়োজন মনে করছে না। ফলে সরকারের কাছে সড়ক দুর্ঘটনার সঠিক চিত্র পৌঁছায় না। এ কারণে সরকার সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে সঠিক পদক্ষেপ নিতে পারছে না।

যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব বলেন, ‘বিআরটিএর রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৩ সালে ৫ হাজার ৪৯৫টি সড়ক দুর্ঘটনায় পাঁচ হাজার ২৪ জন নিহত, সাত হাজার ৪৯৫ জন আহত হয়েছে। এই সড়ক দুর্ঘটনার তথ্য বিআরটিএ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া এবং জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের সাথে সমন্বয় করে তৈরি করা হয়েছে বলে দাবি করা হলে ও এখানে কোনো হাসপাতালের তথ্য নেওয়া হয়নি। বিআরটিএ কর্তৃকপক্ষ তাদের সড়ক দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান সঠিক এবং নির্ভূল মর্মে দাবি করলে ও যাত্রী কল্যাণ সমিতির পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালে (পঙ্গু হাসপাতাল) ২০২৩ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে ১৪ হাজার ৩৫৭ জন রোগী জরুরি বিভাগে ভর্তি হয়েছে।

একই সময়ে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ৯ হাজার ৮৭৯ জন। খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ৯ হাজার ২৯৩ জন। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিত্রও ফুঠে উঠেছে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

সড়ক সংস্কারে জোরালো কার্যক্রম শুরু করছে চসিক: মেয়র ডা. শাহাদাত

জনভোগান্তি নিরসনে সড়ক সংস্কারে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন শীঘ্রই জোরালো কার্যক্রম শুরু করছে বলে মন্তব্য করেছেন মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। আগামী ৩ দিনের মধ্যে মাঠ পর্যায়ে প্রতিটি জোনে থমকে থাকা কাজ শুরু এবং ৩ মাসের মধ্যে দৃশ্যমান উন্নয়নের নির্দেশনা দেন মেয়র। সোমবার টাইগারপাসস্থ চসিক কার্যালয়ে প্রকৌশল বিভাগের সাথে মতবিনিময়কালে মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন এ ঘোষণা দেন। সভায় প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবুল কাশেম জানান, পরিবর্তিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে অনেক ঠিকাদার অনুপস্থিত থাকায় কাজ ব্যাহত হচ্ছে।

এসময় মেয়র বলেন, “সড়ক সংস্কার কাজ দ্রুততম সময়ে সম্পন্ন করতে হবে। নগরবাসীর দুর্ভোগ কমাতে মানসম্মত ও টেকসই সংস্কার নিশ্চিত করা হবে। চট্টগ্রাম নগরীর প্রধান ও গলিপথের ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সংস্কার করা হবে। আগামী ৩ দিনের মধ্যে মাঠ পর্যায়ে প্রতিটি জোনে থমকে থাকা কাজ শুরু এবং ৩ মাসের মধ্যে দৃশ্যমান উন্নয়ন করতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “সংস্কার কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা হবে। নগরবাসীকে ভোগান্তি থেকে মুক্তি দিতে আমরা দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ নেব।”

এসময় মেয়র আরও বলেন, “সড়ক সংস্কার কাজে গাফিলতি বরদাশত করা হবে না। জনগণের দুর্ভোগ লাঘবে দ্রুত এবং মানসম্মত কাজ নিশ্চিত করতে হবে। যেসব ঠিকাদার ঠিকমতো কাজ করছেন না, তাদের ওয়ার্ক অর্ডার বাতিল করুন। কোনো প্রকৌশলী দায়িত্বে ফাঁকি দিলে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিন। যদি লোকবল ঘাটতি থাকে, তবে নতুন নিয়োগের ব্যবস্থা করুন এবং প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি কিনে দ্রুত সংস্কার কার্যক্রম সম্পন্ন করুন।”

তিনি আরও বলেন, “শুধু সাময়িক মেরামত নয়, দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের জন্য মানসম্মত উপকরণ ব্যবহার করতে হবে। জনগণের ট্যাক্সের টাকায় পরিচালিত প্রকল্পে কোনো অনিয়ম বা দুর্নীতি মেনে নেওয়া হবে না।”
মেয়র আরও নির্দেশনা দিয়ে বলেন, “সড়ক নির্মাণ ও সংস্কারে ব্যবহৃত বিটুমিনসহ সকল নির্মাণ সামগ্রীর গুণগত মান নিশ্চিত করতে ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করাতে হবে। কোনো ঠিকাদার যদি চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করে নিম্নমানের মালামাল সরবরাহ করে, তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়ে মামলা করুন। কাজের মান বজায় রাখতে কোনো প্রকার আপস করা যাবে না।”

তিনি আরও বলেন, “নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও মোড়গুলোতে রোড সাইন ও সচেতনতামূলক বার্তা স্থাপন করতে হবে, যাতে জনসাধারণ ও যানবাহন চালকরা সাবধানে চলাচল করতে পারেন। পাশাপাশি, সঠিক নির্দেশনা অনুসরণ করে যানজট ও দুর্ঘটনা কমানোর ব্যবস্থা নিতে হবে।”

সভায় উপস্থিত প্রকৌশল বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা মেয়রের নির্দেশনা বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, সচিব মো. আশরাফুল আমিন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের আওতায় এয়ারপোর্ট রোডসহ বিভিন্ন সড়ক উন্নয়ন ও গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগত উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের পিডি মো. আনিসুর রহমান, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ফরহাদুল আলমসহ প্রকৌশলীবৃন্দ।

টেকসই জ্বালানির দাবিতে চট্টগ্রামে মানববন্ধন: নবায়নযোগ্য শক্তির প্রসারের আহ্বান

টেকসই ও পরিবেশবান্ধব জ্বালানির দাবিতে আইএসডিই বাংলাদেশ, CLEAN, এবং BWGED-এর যৌথ উদ্যোগে চট্টগ্রামের চাঁদগাঁও থানাস্থ প্রাইম স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, পরিবেশবাদী সংগঠনের কর্মী ও সাধারণ নাগরিকরা অংশ নেন। জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলা এবং নবায়নযোগ্য শক্তির প্রসারের লক্ষ্যে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে বক্তারা জীবাশ্ম জ্বালানির ক্ষতিকর দিক এবং নবায়নযোগ্য শক্তির সম্ভাবনা তুলে ধরেন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, “জীবাশ্ম জ্বালানির উপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে নবায়নযোগ্য শক্তির দিকে অগ্রসর হওয়াই ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য নিরাপদ পথ। এলএনজি ও অন্যান্য জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার আমাদের পরিবেশের ক্ষতি করছে, বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যয় বাড়িয়ে দিচ্ছে এবং দেশের অর্থনীতির ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করছে।”

প্রচারণা কর্মসূচিত সংহতি জানা কনজিউমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)-এর চট্টগ্রাম সমন্বয়ক সৈয়দ আবুল হাসান আজামী, আইএসডিই বাংলাদেশের অফিসার রাইসুল ইসলাম, ক্যাব নেতা ও সমাজসেবক জনাব জানে আলম, প্রাইম স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরিচালক মো. আবু ইউনুস

বক্তব্যে তারা বলেন: নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার বাড়াতে হলে সৌর ও বায়ু শক্তির প্রসার ঘটাতে হবে।

এলএনজি আমদানির ফলে জ্বালানির খরচ বেড়ে যাচ্ছে, যা দেশের জন্য একটি দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা তৈরি করছে। জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানোর ফলে কার্বন-ডাই-অক্সাইড ও মিথেন নির্গমন বাড়ছে, যা বৈশ্বিক উষ্ণায়নকে ত্বরান্বিত করছে। নবায়নযোগ্য শক্তিতে বিনিয়োগ বাড়ালে শুধু বিদ্যুৎ সংকট সমাধান হবে না, বরং নতুন কর্মসংস্থানও সৃষ্টি হবে।

শিক্ষার্থী ও তরুনরা মানববন্ধনে প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেন: “জীবাশ্ম জ্বালানি নয়, নবায়নযোগ্য শক্তিই হোক আমাদের ভবিষ্যৎ!”

“এলএনজি আমদানি বন্ধ কর, নবায়নযোগ্য শক্তিকে সমর্থন কর!” “সবুজ শক্তি, সবুজ ভবিষ্যৎ!”মানববন্ধনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা বলেন, “আমরা চাই বাংলাদেশ একটি পরিবেশবান্ধব, টেকসই জ্বালানি ব্যবস্থার দিকে এগিয়ে যাক। আমাদের ভবিষ্যৎ নিরাপদ করার জন্য নবায়নযোগ্য শক্তির বিকল্প নেই।”

আয়োজক আইএসডিই বাংলাদেশ, CLEAN এবং BWGED জানিয়েছে, “আমরা নবায়নযোগ্য শক্তির প্রসারের দাবিতে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আরও কর্মসূচি গ্রহণ করব এবং দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এই আন্দোলনকে বিস্তৃত করব।”

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ