আজঃ বৃহস্পতিবার ২৪ এপ্রিল, ২০২৫

প্রবাসীদের কল্যাণে আইনী সেবা দিয়ে অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন ব্যারিস্টার মনোয়ার

ডেস্ক নিউজ:

লন্ডনে নাগরিক সংবর্ধনায় বক্তারা

সম্প্রতি “বছরের সেরা প্রবাসী পেশাজীবী” অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তি এবং সফল আইনজীবী হিসেবে “গ্লোবাল বাংলাদেশী বিজনেস আইকন” মনোনীত হওয়ায় যুক্তরাজ্যের প্রখ্যাত বৃটিশ-বাংলাদেশী আইনজীবী ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠক ও বাংলাদেশ ও যুক্তরাজের কমিউনিটি সেবায় নিবেদিতপ্রাণ বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব, ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেনকে গ্রেটার চট্টগ্রাম এসোসিয়েশন ইউকে গত শুক্রবার সন্ধায় লন্ডনের চট্টগ্রাম সেন্টারে এক নাগরিক সংবর্ধনার আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে বক্তারা, ব্যারিস্টার মনোয়ারের পেশাগত জীবনে স্বচ্ছতা, সততার পাশাপাশি তাঁর মানবিক এবং রাজনৈতিক অঙ্গনে বলিষ্ঠ ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং তাঁর উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করে বলেন, তিনি হাজার হাজার বাংলাদেশি পরিবারকে যুক্তরাজ্যে স্থায়ী হতে অক্লান্তভাবে দুই যুগ ধরে সাহায্য করেছেন। এজন্যেই তাঁর ভূমিকা অনুসরণীয়।

এসোসিয়েশনের কার্যকরী কমিটির সভাপতি আকতার আলমের সভাপতিত্বে সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন এসাসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান মাহমুদ ফয়সাল ও সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদুল ইসলাম। এতে বক্তব্য রাখেন কাউন্সিল সাইদ ফিরোজ গণি, শওকত মাহমুদ টিপু, মোহাম্মদ ইসহাক চৌধুরী, ব্যারিস্টার চৌধুরী জিন্নাত আলী, ব্যারিস্টার তারেক চৌধুরী, ব্যারিস্টার আবুল কালাম চৌধুরী, আলমগীর খান, মোহাম্মদ আলী রেজা, অনুপম সাহা, মনির মাহমুদ, মোহাম্মদ মাসুদ, সুজন বড়ুয়া, নুরুন্নবী আলী, শওকত ওসমান, শেখ নিজাম, সেলিম হোসেন, মাসুদুর রহমান, লুৎফুন নাহার লীনা, লুনা তানজিনা, শাহনাজ ইবা, শেখ নাছের, ইব্রাহিম জাহান, জার মিনা চৌধুরী জেস ও সেলিম চৌধুরী প্রমুখ।

সংবর্ধিত অতিথি ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন বলেন, “আজকে যে আপনারা আমাকে সংবর্ধিত করেছেন। আমার কাছে মনে হচ্ছে আমি আপনাদেরকে সংবর্ধিত করছি। আপনারা আমার মন থেকে যে অবস্থানে আছেন সে অবস্থান আরো সুদৃঢ় হয়েছে। আর আপনাদের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে আজীবন মানুষের কল্যানেই কাজ করে যাব।”

বক্তারা বলেন, দেশ ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সুপরিচিত ব্যক্তিত্ব চট্টগ্রাম তথা বাংলাদেশের কৃতি সন্তান খ্যাতনামা আইনজীবী ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেনের নানান কর্মকাণ্ড ও সফলতায় তাঁকে বাংলাদেশে রাস্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব প্রদান করা উচিত। চট্টগ্রামের দৃশ্যমান উন্নয়নে ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেনের নাম জড়িয়ে আছে। তার সাহসী নেতৃত্বে আন্দোলনের ফলে বদলে যেতে শুরু করে চট্টগ্রামের দৃশ্যপট। ১৯৮৭ সাল থেকে চট্টগ্রাম উন্নয়নে ব্যারিস্টার মনোয়ারের ভূমিকার স্বীকৃতি স্বরুপ সভায় সর্ব সম্মতিক্রমে “চট্টগ্রাম উন্নয়নের বরপুত্র” হিসেবে উপাধি দেয়া হয়।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

যেখানে উম্মাহর দেহে যন্ত্রণা, সেখানে ফিলিস্তিন এক রক্তাক্ত হৃৎপিণ্ড।

“মুমিনগণ এক দেহের মতো—যদি দেহের এক অঙ্গ ব্যথিত হয়, গোটা শরীর তার ব্যথায় কাঁপে।” — (হাদীস, সহীহ মুসলিম।ফিলিস্তিন—পৃথিবীর মানচিত্রে ক্ষুদ্র এক ভূখণ্ড। অথচ ইতিহাসের সবচেয়ে ভারী অশ্রুগুচ্ছে নাম লিখিয়ে রেখেছে বহু শতাব্দী ধরে। গাজার ধূলোমলিন বাতাসে আজ আর বালুকণার ঘ্রাণ নেই, সেখানে শুধু বারুদের গন্ধ। আকাশে প্রজাপতির বদলে ড্রোন, শিশুর খেলনার স্থানে রকেটের ধ্বংসাবশেষ। ফিলিস্তিন আজ একটি জাতির নয়, বরং গোটা উম্মাহর হৃদয়ে গেঁথে থাকা এক দীর্ঘতর আর্তনাদ।

প্রতিদিন সূর্য ওঠে, কিন্তু গাজার মানুষ দেখে না আলো—দেখে ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়া স্বজনের হাত। প্রতিটি ভোর যেন এক নতুন শোকাবহ অধ্যায়। ঘুম ভাঙে বোমার শব্দে, আবার ঘুম পাড়ায় কান্নার চাপে। মৃত শিশুদের জন্য কাঁদে পৃথিবীর বিবেক, আর মুসলিম উম্মাহর মাঝে জন্ম নেয় এক প্রশ্ন—আমরা কী এখনো এক দেহ, নাকি শুধুই নামের উম্মাহ?

রাসূল (সা.) বলেছেন, “তোমরা যদি এক দেহের মতো না হও, তবে তোমাদের ঈমান অপূর্ণ।” কিন্তু আজ ফিলিস্তিন যখন পুড়ে যায়, আমরা দাঁড়িয়ে থাকি কেবল নীরব প্রত্যক্ষদর্শী হয়ে। বিশ্বের ক্ষমতাধর রাষ্ট্রগুলো তাদের নিজস্ব স্বার্থের পাল্লায় ফিলিস্তিনকে মাপে। আর মুসলিম রাষ্ট্রগুলো—তারা হয়তো সম্মেলন ডাকে, বিবৃতি দেয়, দোয়া করে। কিন্তু ফিলিস্তিনের শিশুরা কি তাতে বাঁচে?

আমরা কি ফিলিস্তিনিদের জন্য শুধু আহারে ব্যস্ত, নাকি অন্তরে তাদের বেদনা বয়ে চলেছি? যদি তারা আমাদের ভাই হয়, তবে কেন আমাদের প্রতিবাদ এত মৃদু? কেন আমাদের জবান এত জড়তা পূর্ণ, কেন আমাদের হৃদয় এত নির্লিপ্ত?

এই কলাম কোনো সাময়িক রাজনীতি বা সংবাদ বিশ্লেষণ নয়—এ এক অভ্যন্তরীণ আত্মপ্রকাশ। এক লেখকের নয়, এক মুসলিমের হাহাকার। ফিলিস্তিনকে আজ দয়ায় নয়, দায়িত্বে দেখতে হবে। এই ভূমি আমাদের কেবল দুঃখ দেয় না—এ আমাদের ঈমানের আয়না। সেখানে দেখা যায়, আমরা কতটা মুসলিম, কতটা মানুষ।

গাজা যখন পোড়ে, তখন মক্কার বাতাসও কাঁদে।
জেরুজালেম যখন কাঁদে, তখন মদিনার মসজিদও শিউরে ওঠে।
কিন্তু আমরা কি কান পেতে শুনি সেই কান্না?

‘এক উম্মাহ, এক দেহ’—এই পবিত্র বাণী যেন আর কেবল হাদীসের পাতায় না থাকে।
এই বাণী হোক হৃদয়ের স্পন্দন। যেন ফিলিস্তিনের কান্না আমাদের রাতের ঘুম কেড়ে নেয়,
জেগে তোলে আমাদের বিশ্বাস, উদ্দীপনা, প্রতিবাদ—আর সর্বোপরি, ভালোবাসা।

কারণ ফিলিস্তিন এখন শুধু নির্যাতনের নাম নয়, এ এক রক্তাক্ত হৃৎপিণ্ড, যা উম্মাহর বুকে প্রতিনিয়ত ধুকপুক করে।

ভারত ব্রিকস মুদ্রা প্রত্যাখ্যান করছে

ব্রিকস সদস্য ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বৈশ্বিক বাণিজ্য সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হওয়ার ঝুঁকি উল্লেখ করে একটি সাধারণ ব্রিকস মুদ্রার বিষয়ে সন্দিহান। ভারতে নেতৃস্থানীয় আমদানি ও রপ্তানি ব্যবসা এবং যারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছে তারা মার্কিন ডলারকে অক্ষত রাখতে চায়। ভারতীয় ব্যবসাগুলি এখন একটি সাধারণ মুদ্রা গ্রহণে সতর্ক কারণ এটি বাণিজ্যের স্বাভাবিক প্রবাহকে ব্যাহত করার ঝুঁকি রাখে।এরই মধ্যে ২৩টি দেশ ২০২৫ সালে ব্রিক্স যোগ দিতে আগ্রহ দেখায়।

ব্রিকস জোটের ক্রমবর্ধমান কাঠামো বাণিজ্যের জন্য একটি নতুন সাধারণ মুদ্রা গঠনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এটি বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জ করে তবে একটি সাধারণ মুদ্রার দিকে ধাক্কা দেয় সাধারণত চীন এবং রাশিয়া। ভারতীয় ব্যবসায়ীরা উদ্বিগ্ন যে একটি সাধারণ ব্রিকস মুদ্রা চীনকে শক্তি দেয় এবং এর অর্থনীতিকে প্রভাবশালী করে তোলে।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ