আজঃ শনিবার ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫

প্রবাসীদের কল্যাণে আইনী সেবা দিয়ে অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন ব্যারিস্টার মনোয়ার

ডেস্ক নিউজ:

লন্ডনে নাগরিক সংবর্ধনায় বক্তারা

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

সম্প্রতি “বছরের সেরা প্রবাসী পেশাজীবী” অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তি এবং সফল আইনজীবী হিসেবে “গ্লোবাল বাংলাদেশী বিজনেস আইকন” মনোনীত হওয়ায় যুক্তরাজ্যের প্রখ্যাত বৃটিশ-বাংলাদেশী আইনজীবী ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠক ও বাংলাদেশ ও যুক্তরাজের কমিউনিটি সেবায় নিবেদিতপ্রাণ বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব, ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেনকে গ্রেটার চট্টগ্রাম এসোসিয়েশন ইউকে গত শুক্রবার সন্ধায় লন্ডনের চট্টগ্রাম সেন্টারে এক নাগরিক সংবর্ধনার আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে বক্তারা, ব্যারিস্টার মনোয়ারের পেশাগত জীবনে স্বচ্ছতা, সততার পাশাপাশি তাঁর মানবিক এবং রাজনৈতিক অঙ্গনে বলিষ্ঠ ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং তাঁর উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করে বলেন, তিনি হাজার হাজার বাংলাদেশি পরিবারকে যুক্তরাজ্যে স্থায়ী হতে অক্লান্তভাবে দুই যুগ ধরে সাহায্য করেছেন। এজন্যেই তাঁর ভূমিকা অনুসরণীয়।

এসোসিয়েশনের কার্যকরী কমিটির সভাপতি আকতার আলমের সভাপতিত্বে সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন এসাসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান মাহমুদ ফয়সাল ও সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদুল ইসলাম। এতে বক্তব্য রাখেন কাউন্সিল সাইদ ফিরোজ গণি, শওকত মাহমুদ টিপু, মোহাম্মদ ইসহাক চৌধুরী, ব্যারিস্টার চৌধুরী জিন্নাত আলী, ব্যারিস্টার তারেক চৌধুরী, ব্যারিস্টার আবুল কালাম চৌধুরী, আলমগীর খান, মোহাম্মদ আলী রেজা, অনুপম সাহা, মনির মাহমুদ, মোহাম্মদ মাসুদ, সুজন বড়ুয়া, নুরুন্নবী আলী, শওকত ওসমান, শেখ নিজাম, সেলিম হোসেন, মাসুদুর রহমান, লুৎফুন নাহার লীনা, লুনা তানজিনা, শাহনাজ ইবা, শেখ নাছের, ইব্রাহিম জাহান, জার মিনা চৌধুরী জেস ও সেলিম চৌধুরী প্রমুখ।

সংবর্ধিত অতিথি ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন বলেন, “আজকে যে আপনারা আমাকে সংবর্ধিত করেছেন। আমার কাছে মনে হচ্ছে আমি আপনাদেরকে সংবর্ধিত করছি। আপনারা আমার মন থেকে যে অবস্থানে আছেন সে অবস্থান আরো সুদৃঢ় হয়েছে। আর আপনাদের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে আজীবন মানুষের কল্যানেই কাজ করে যাব।”

বক্তারা বলেন, দেশ ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সুপরিচিত ব্যক্তিত্ব চট্টগ্রাম তথা বাংলাদেশের কৃতি সন্তান খ্যাতনামা আইনজীবী ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেনের নানান কর্মকাণ্ড ও সফলতায় তাঁকে বাংলাদেশে রাস্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব প্রদান করা উচিত। চট্টগ্রামের দৃশ্যমান উন্নয়নে ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেনের নাম জড়িয়ে আছে। তার সাহসী নেতৃত্বে আন্দোলনের ফলে বদলে যেতে শুরু করে চট্টগ্রামের দৃশ্যপট। ১৯৮৭ সাল থেকে চট্টগ্রাম উন্নয়নে ব্যারিস্টার মনোয়ারের ভূমিকার স্বীকৃতি স্বরুপ সভায় সর্ব সম্মতিক্রমে “চট্টগ্রাম উন্নয়নের বরপুত্র” হিসেবে উপাধি দেয়া হয়।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

শান্তিতে নোবেল বিজয়ী নার্গিস ইরানে গ্রেপ্তার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

শান্তি নোবেল পুরস্কার বিজয়ী নার্গিস মোহাম্মাদিকে ইরানি নিরাপত্তা বাহিনী গ্রেপ্তার করেছে। এ মাসের শুরুর দিকে মৃত্যুবরণ করা একজন আইনজীবীর স্মরণসভায় যোগ দেওয়ার সময় ২০২৩ সালের এ নোবেল বিজয়ীকে আটক করা হয় বলে তার সমর্থকেরা জানিয়েছেন।

২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে কারামুক্তির অস্থায়ী অনুমতি পান মোহাম্মাদি। মোহাম্মাদির ফাউন্ডেশন এক্স (পূর্বে টুইটার)-এ দেওয়া এক পোস্টে জানিয়েছে- একজন আইনজীবীর স্মরণসভায় তিনি যোগ দিয়েছিলেন। ঐ আইনজীবীকে গত সপ্তাহে তার কার্যালয়ে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।

নার্গিস মোহাম্মাদি বহু বছর ধরে ইরানে মানবাধিকার ও নারী স্বাধীনতার পক্ষে সংগ্রাম করে আসছেন এবং বারবার কারারুদ্ধ হয়েছেন। তার গ্রেপ্তার বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।

বিক্ষোভের মুখে পদত্যাগ করল বুলগেরিয়ার সরকার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

দুর্নীতিবিরোধী ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছে বুলগেরিয়ার সরকার। প্রধানমন্ত্রী রোসেন ঝেলিয়াজকভের সরকার পদত্যাগে বাধ্য হলো ক্ষমতায় আসার এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে। দেশটির ক্ষমতাসীন জোটের নেতাদের এক বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রী রোসেন ঝেলিয়াজকভ গণমাধ্যমকে জানান- সরকার আজ পদত্যাগ করছে।

এএফপি’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকার দুর্নীতি দমনে ব্যর্থ হয়েছে—এই অভিযোগ তুলে প্রথমে বিক্ষোভ শুরু হয়। পরে ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে শেষ পর্যন্ত প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হয় সরকার।বুলগেরিয়ায় গত চার বছরে সাতটি জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে, যা দেশটিতে প্রকট রাজনৈতিক ও সামাজিক অস্থিরতার ইঙ্গিত দেয়। সর্বশেষ ২০২৪ সালের অক্টোবরে দেশটিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ