আজঃ শনিবার ১৭ মে, ২০২৫

আত্রাইয়ে অধিক পরিমাণ জমিতে ভুট্টা চাষ: বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

মোঃ ফিরোজ আহমেদ আত্রাই প্রতিনিধি:

আবহাওয়া অনুক’লে থাকায় দেশের উত্তর জনপদের ধানের রাজ্য হিসেবে খ্যাত নওগাঁর আত্রাইয়ে এবার চলতি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক পরিমাণ জমিতে ভুট্টা চাষ করা হয়েছে। ভুট্টার বাম্পার ফলনের আশাবাদী কৃষকরা। অনুকুল আবহাওয়া ও আধুনিক কৃষি প্রযুক্তিতে কৃষকদের আগ্রহ সৃষ্টি হওয়ায় স্বল্প খরচে যথাসময়ে কৃষকরা এবার ভুট্টার বাম্পার ফলন পাবে বলে অভিজ্ঞ মহল ধারণা করছেন।

উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এবারে উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে ৪ হাজার ৬শত ৪০ হেক্টর জমিতে ভুট্টার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এবার ভুট্টা চাষে উপজেলার কৃষকরা বেশি ঝুঁকে পড়ছে। ভুট্টা চাষে খরচ কম অথচ ফলন ও দাম বেশি পাওয়ায় কৃষকদের মধ্যে ভুট্টা চাষের আগ্রহ বেশি পরিলক্ষিত হচ্ছে। ভালো ফলনের আশায় উপজেলার কৃষকেরা রাতদিন পরিশ্রম করে যাচ্ছে। কৃষকের পাশাপাশি বসে নেই কৃষি কর্মকর্তারাও। উপজেলার শাহাগোলা, ভোঁপাড়া, কালিকাপুর, মনিয়ারী ও আহসানগঞ্জ ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি ভুট্টা চাষ হয়েছে বলে কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে।

উপজেলার রসুলপুর গ্রামের কৃষক আবুল কালাম আজাদ বলেন, এলাকার যেসব জমিতে পূর্বে বোরোচাষ করা হত সেসব জমির অনেক গুলোতেই আমারা এবার ভুট্টা চাষ করছি। বোরোচাষে উৎপাদন খরচ অনেক বেশি অথচ যখন ধান কাটা মাড়াই শুরু হয় তখন ধানের বাজারে ধস নামে। ফলে অনেক ক্ষেত্রে উৎপাদন খরচই উঠেনা। কিন্তু ভুট্টার উৎপাদন খরচ যেমন কম দামও তেমন বেশি থাকে। এ জন্য আমরা ভুট্টা চাষে এবার ঝুঁকে পড়েছি।

উপজেলার চৌবাড়ি গ্রামের কৃষক রফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের এলাকা আলু চাষের জন্য দীর্ঘদিন থেকে বিখ্যাত। উপজেলার সিংহভাগ আলু আমাদের এলাকায় উৎপন্ন হয়ে থাকে। মৌসুমের শেষদিকে আলুর দাম বাড়লেও এর মুনাফা কৃষকরা পায়নি। মুনাফা পেয়েছে মজুদদাররা। তাই এবার ভুট্টা চাষ করছি। আশা করি ফলনও বাম্পার হবে। তবে ন্যায্য দাম পেলে কষ্ট সার্থক হবে।

উপজেলার শাহাগোলা ইউনিয়নের তারাটিয়া ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা জাহিদ হাসান জনান, এবার গত বছরের তুলনায় আমাদের এলাকায় ভুট্টার আবাদ অনেক বেশি হয়েছে। আশা করছি ভুট্টার বাম্পার ফলন হবে। কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে আমরা নিয়োমিত কৃষকদের পর্যবেক্ষণ ও পরামর্শ দিয়ে আসছি।

উপজেলার ভবানীপুর ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মার্জিয়া পারভিন বলেন, এলাকার কৃষকরা যাতে ভুট্টা যথাযথভাবে উৎপাদন করতে পারে এবং স্বল্প খরচে উচ্চ ফলনশীল ভুট্টা উৎপাদন করতে পারে এ জন্য আমরা প্রতিনিয়ত কৃষকদের নিকট গিয়ে পরামর্শ প্রদান করছি। বিভিন্ন রোগবালাই থেকে ভুট্টাকে মুক্ত রাখতেও পরিমিত পরিমান ঔষধ প্রয়োগের পরামর্শ দিয়ে থাকি।

এবিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তাপশ কুমার রায় জানান, সকল প্রকার ফসল উৎপাদনে আমরা কৃষকদের আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করছি। যাতে করে কৃষকরা সহজভাবে কৃষি উপকরণ পায়। বিশেষকরে বীজ, সার ও তেল এর জন্য সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছি। এবার ভুট্টার ফলন । হ

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

নেত্রকোনায় পাহাড় না কেটেই রাস্তায় উন্নয়ন।

নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার লেংঙ্গুরা ইউনিয়নের একটি পুরোনো পাহাড়ি পথকে চলাচলযোগ্য করতে গিয়ে বন ও পরিবেশ ধ্বংসের অভিযোগ উঠলেও স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা বলছেন, প্রকৃতপক্ষে কোনো পাহাড় কাটা হয়নি, কাটা হয়নি গাছও। সাম্প্রতিক কালবৈশাখী ঝড়ে উপড়ে পড়া গাছগুলো সরিয়েই রাস্তাটি সংস্কারের কাজ চলছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, লেংঙ্গুরা ইউনিয়নের কাঁঠালবাড়ী সুবেন ঘাঘড়ার টিলা থেকে চৈতানগর মহসিন মেম্বারের বাড়ি পর্যন্ত প্রায় ১ দশমিক ১২৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই পথ কয়েক দশক ধরে পাহাড়ি জনগোষ্ঠী এবং পর্যটকদের যাতায়াতের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। বর্ষায় কাঁদায় মাখা পিচ্ছিল এই পথে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ে। দীর্ঘদিনের দাবি পূরণে স্থানীয় প্রশাসন কাবিখা প্রকল্পের আওতায় রাস্তাটির সমতলকরণ ও মাটি ফেলার কাজ শুরু করেছে।

লেংঙ্গুরা ইউপি চেয়ারম্যান ও কলমাকান্দা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সাইদুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, “এটি বহু পুরোনো চলাচলের রাস্তা। এখানে কোনো নতুন পাহাড় কাটা হয়নি। ঝড়ে ভেঙে পড়া কিছু গাছ রাস্তা থেকে সরিয়ে সংস্কারকাজ চলছে। এলাকাবাসীর বহুদিনের চাওয়া ছিল এই পথটি উন্নয়ন করার—এখন সেটিই বাস্তবায়ন হচ্ছে।”

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, পাহাড়ের গা ঘেঁষা পুরোনো এই পথে মাটি ফেলে সমান করা হয়েছে। আশপাশে পাহাড় কাটা বা গাছ কাটার কোনো চিহ্ন দেখা যায়নি। স্থানীয় বাসিন্দারাও জানিয়েছেন, এটি পুরোনো পথ, নতুন করে কিছুই ধ্বংস করা হয়নি।

এই পথে হেঁটে যাচ্ছিলেন নব্বই বছরের ক্ষুদ্র নৃ-জাতিগোষ্ঠীর সদস্য সুবেন মানখিন। তিনি বলেন, “আমি ছোটবেলা থেকে এই রাস্তা দিয়ে বাবা-দাদার সঙ্গে চলাফেরা করেছি। অনেক কষ্ট করে চলতে হতো। এখন রাস্তা সংস্কার হওয়ায় আমরা খুব খুশি।”

স্থানীয়রা—তপন সাংমা, চুহিন হাজং, জুই ঘ্রা, পীযূষ বণিক ও রফিকুল ইসলাম—সবাই বলেন, “এটি পুরোনো রাস্তা, নতুন করে কিছুই কাটা হয়নি। বরং আমাদের চলাচলের সুবিধার জন্য যেই পথে আমরা আগে চলতাম, সেটাই উন্নয়ন করা হচ্ছে। এজন্য আমরা উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সরকারকে ধন্যবাদ জানাই।” একইসঙ্গে তারা রাস্তা পাকাকরণের দাবি জানান সরকারের কাছে।

এ বিষয়ে লেংঙ্গুরা বনবিভাগের বিট অফিসে কর্মরত বনরক্ষী আখতারুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

কলমাকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাইযুল ওয়াসীমা নাহাত বলেন, “এই রাস্তা পাহাড়ি জনগোষ্ঠী ও পর্যটকদের যাতায়াতের একমাত্র পথ। পুরোনো রাস্তাটিকে কাবিখা প্রকল্পের আওতায় সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নতুন করে কোনো পাহাড় কাটা হয়নি।”

স্থানীয়দের অভিমত, উন্নয়ন প্রকল্পে পরিবেশ সংরক্ষণ ও জনগণের স্বার্থ—উভয়কেই সমান গুরুত্ব দেওয়া উচিত। এই প্রকল্পে সেই ভারসাম্য বজায় রেখেই কাজ হচ্ছে বলে তারা মত দিয়েছেন।

প্রধান উপদেষ্টার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে চট্টগ্রামে আনন্দ মিছিল।

‘বোয়ালখালী নাগরিক সমাজ’ নামে একটি সংগঠন চট্টগ্রামের কালুরঘাটে সড়কসহ রেলসেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করায় আনন্দ মিছিল করেছে। তারা প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।বৃহস্পতিবার সকালে বিদ্যমান শতবর্ষী কালুরঘাট সেতুর পশ্চিম প্রান্ত থেকে মিছিল শুরু হয়ে পূর্ব প্রান্তে গিয়ে শেষ হয়। এতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন।

মিছিল শেষে বোয়ালখালী-কালুরঘাট সেতু বাস্তবায়ন পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মুস্তফা নঈমের সভাপতিত্বে ও সাংবাদিক মোহাম্মদ আলীর পরিচালনায় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য দেন সাংবাদিক সৈয়দ জাকির হোসাইন, মনজুর মোর্শেদ, প্রকৌশলী মো. ইকবাল, শহিদুল্লাহ চৌধুরী, এস এম সেলিম, মোহাম্মদ রফিক, হাজী আবু আকতার, আ ন ম ইলিয়াস, নুরুল আবছার, ফায়াজ মেহের, ইব্রাহিম তালুকদার, গোলাম হোসেন নান্নু ও ইব্রাহিম চৌধুরী মানিক।

সভায় মুস্তফা নঈম বলেন, একটি সেতুর জন্য বছরের পর বছর, যুগের পর যুগ আমরা অপেক্ষায় ছিলাম। বোয়ালখালী-কালুরঘাট সেতু বাস্তবায়ন পরিষদ ২০১৩ সাল থেকে নতুন সেতুর দলমত নির্বিশেষে একটি প্লাটফর্মে এনে এ জনদাবিকে জোরালো করে। সেই বহুল প্রত্যাশিত কালুরঘাট রেল ও সড়ক সেতু নির্মাণ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হয়েছে। এজন্য আমরা শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি। একইসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।এর আগে, বুধবার (১৪ মে) প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস চট্টগ্রাম সফরে এসে কালুরঘাট রেল ও সড়ক সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ