আজঃ শনিবার ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫

দুর্গাপুরে নিজস্ব শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে প্রস্তুত ১৫হাজার কোমলমতি শিক্ষার্থী

এমডি আলিফ, দুর্গাপুর (রাজশাহী) প্রতিনিধি:

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

রাজশাহীর দুর্গাপুরে বিদ্যালয়ের নিজস্ব শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে প্রস্তুত উপজেলার ৮৩ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় এর ১৫ হাজার কোমলমতি শিক্ষার্থী। নিজ বিদ্যালয়ে নিজস্ব শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পেরে অনেক খুশি ও আনন্দিত বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, দুর্গাপুর উপজেলায় মোট ৮৩ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। স¤প্রতি সকল বিদ্যালয়ে নিজস্বভাবে শহীদ মিনার নির্মিত হয়েছে। নিজস্ব শহীদ মিনারে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে অন্য প্রস্তুত সকল বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগণ।

উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার শহিদুল ইসলাম বলেন, সকল বিদ্যালয়ে আগে শহিদ মিনার ছিল না। ফলে আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস সহ বিভিন্ন জাতীয় দিবসে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পারত না বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। তবে উপজেলার শিক্ষা অফিসের উদ্যোগে ৮৩টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শহীদ নির্মাণ সম্পূর্ণ হওয়ায় সকল বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নিজস্ব শহিদ মিনারে আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করবে।

জানা যায়, উপজেলায় ৮৩টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এ সব বিদ্যালয়ে আগে কোন শহিদ মিনার ছিল না। ফলে আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা, জাতীয় শহীদ দিবস সহ বিভিন্ন দিবসে এসব শিক্ষার্থীকে যেতে হতো অন্য কোন প্রতিষ্ঠানের শহিদ মিনারে। কোন কোন প্রতিষ্ঠানে অস্থায়ী ভাবে শহিদ মিনার তৈরি করে দিবসটি পালন করা হতো। ২০২১ সালে উপজেলায় শিক্ষা কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দেন মো. মোখলেছুর রহমান। তিনি এরপর পরিকল্পনা করেন সব স্কুলে শহিদ মিনার তৈরির। সরকারী কোন বরাদ্দ নয়, স্কুলের নিজস্ব ফান্ডের নিজস্ব তহবিল থেকে ৮৩টি স্কুলে নান্দনিক শহিদ মিনার তৈরি উদ্দ্যেগ নেন তিনি। এরপর গত তিন বছরে ক্রমাš^য়ে গড়ে তোলা হয়েছে সব বিদ্যালয়ে শহিদ মিনার। প্রতিটি স্কুলের শহিদ তৈরিতে খরচ হয়েছে ৫০ থেকে ৭০ হাজারের মধ্যে। উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি ও সিংগা মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাক্তিবুল ইসলাম জানান, আগে বিদ্যালয়ে কোন শহিদ মিনার ছিল না। ফলে অনেক বিদ্যালয়ে আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস সহ বিভিন্ন জাতীয় দিবসে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পারত না বিদ্যালয়ের শি¶ার্থীরা। বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার হওয়ায়, শি¶ক শি¶ার্থী ও অভিভাবকরা খুশি। তিনি বলেন, তৎকালীণ শি¶া কর্মকর্তা মোকলেছুর রহমান প্রতিটি বিদ্যালয়ে শহিদ মিনার তৈরির উদ্দ্যেগ নেন। তারপর থেকে একে একে প্রতিটি বিদ্যালয়ে কাজ শুরু হতে থাকে। প্রতিটি বিদ্যালয়ের নিজ¯^ ফান্ড হতে এসব শহিদ মিনার তৈরি করা হয়েছে। পৌর এলাকার দেবীপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেনির শি¶ার্থী আফসানা হক বলেন, আগে স্কুলে শহিদ মিনার ছিল না। বিভিন্ন দিবসে শ্রদ্ধ্যা জানাতে বাহিরের প্রতিষ্ঠানে যেত হতো অথবা অনেক সময় আবার আমরা নিজেরাই অস্থায়ী শহিদ মিনার তৈরি করে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতাম। এখন থেকে আমরা বিদ্যালয়ের শহিদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে পারবো। দুর্গাপুর উপজেলা শি¶া কর্মকর্তা ভারপ্রাপ্ত লায়লা আনজুমান্দ বলেন, এটা খুবই ভাল উদ্দ্যোগ। উপজেলার সব বিদ্যালয়ে এখন শহিদ মিনার। এতে ক্ষুদে শি¶ার্থীরা মুক্তিযুদ্ধ ও ভাষা আন্দোলনের চেতনায় উজ্জীবিত হবে। তৎকালীণ শি¶া কর্মকর্তা মোখলেছুর রহমান প্রতিটি বিদ্যালয়ে শহিদ মিনার তৈরির উদ্দ্যেগ নিয়ে ছিলেন। সেটা এখন সফল ভাবে বাস্তবায়ন হয়েছে। প্রতিটি বিদ্যালয়ের নিজ¯^ ফান্ড (তহবিল) থেকে শহিদ মিনার তৈরি হয়েছে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

ইরান ওমান উপসাগরে একটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করেছে।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ইরান ওমান উপসাগরে একটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করেছে । তেলবাহী জাহাজটিতে বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলঙ্কার ১৮ নাবিক রয়েছে। ইরানি গণমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে। ইরানের আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা ফার্স জানায়- ছয় মিলিয়ন লিটার চোরাচালানকৃত ডিজেল বহনকারী একটি তেলবাহী জাহাজ ওমান উপকূলে আটক করা হয়েছে।

চন্দ্রগঞ্জ থানা পরিদর্শন করেন নবাগত পুলিশ সুপার মো:আবু তারেক

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

লক্ষ্মীপুর জেলার সদ্য যোগদান করা পুলিশ সুপার জেলার বিভিন্ন থানা পরিদর্শন ও থানায় কর্মরত অফিসারদের সাথে সৌজন্যে সাক্ষাৎ করেন।
তারই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানা আকস্মিক পরিদর্শন করেন লক্ষ্মীপুর জেলার নবাগত পুলিশ সুপার মোঃ আবু তারেক। এসময় চন্দ্রগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ও কর্মরত সবাই ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

থানা পরিদর্শনকালে পুলিশ সুপার ফোর্সদের থাকার ব্যারাক ও বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শন করেন এবং সকল পুলিশ সদস্যদের সাথে কুশল বিনিময় করেন। এছাড়াও সকল পুলিশ সদস্যদের আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা প্রদান করেন।

উল্লেখ্য চন্দ্রগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মোরশেদ আলম চলতি মাসের ৬ তারিখে এ থানায় যোগদান করেন।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ