আজঃ শনিবার ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫

বিদ্যুতসহ জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি ও সরকারের ভুল নীতি দূর্নীতির প্রতিবাদে চট্টগ্রামে বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমাবেশ

ডেস্ক নিউজ:

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিদ্যুৎ সহ জ্বালানির অযৌক্তিক ও গনবিরোধী মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার এবং সরকারের ভুল নীতি দূর্নীতির প্রতিবাদ জানিয়ে চট্টগ্রাম নগরীতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বাম গণতান্ত্রিক জোট।

বাম গণতান্ত্রিক জোট চট্টগ্রাম জেলা সমন্বয়ক ও সিপিবি চট্টগ্রাম জেলা শাখার সভাপতি কমরেড অশোক সাহার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সিপিবি চট্টগ্রাম জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মুহম্মদ জাহাঙ্গীর, বাসদ চট্টগ্রাম জেলা শাখার ইনচার্জ আল কাদেরী জয়, বাসদ নেতা মুজিবুল হক বিএসসি। সমাবেশ পরিচালনা করেন বাসদ চট্টগ্রাম জেলা শাখার সদস্য আহমদ জসীম।
সমাবেশে বক্তারা বলেন,
“সরকার বিদ্যুৎখাতে ক্রমাগত লোকসানের অজুহাত তুলে ভতুর্কি কমানোর নামে মাসে মাসে দাম সমন্বয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে । এই দাম সমন্বয়ের মানে হলো দাম বৃদ্ধি । মার্চ মাস থেকে বিদ্যুতের মূল্য মাসে মাসে বাড়বে। এদফায় ইউনিট প্রতি দর ৩৪ থেকে ৭০ পয়সা বাড়তে পারে । ভোক্তা পর্যায়ে এখন বিদ্যুৎ বিক্রি হচ্ছে প্রতি ইউনিট ৮ টাকা ২৫ পয়সায় । আইএমএফ’র শতার্নুযায়ী সরকার বিদ্যুতে পাইকারি মূল্য ৬ টাকা ৭০ পয়সা থেকে ১২ টাকা ১১ পয়সায় উন্নীত করার পরিকল্পনা করছে। সেক্ষেত্রে ভোক্তা পযার্য়ে প্রায় ১৫ টাকা পর্যন্ত দাম বাড়বে। উল্লেখ্য যে, উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধির অজুহাতে সরকার গত ১৫ বছরে পাইকারি পর্যায়ে ১১বার ও খুচরা পর্যায়ে ১৩ দফা দাম বাড়ানো হয়েছে।”
বক্তারা আরো বলেন, ” এমনিতেই নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের অসহনীয় মূল্যবৃদ্ধিতে দেশের মানুষ বিপর্যস্ত । বিদ্যুৎ , গ্যাসের মূল্য বাড়লে জিনিসপত্রের দাম আরো বাড়বে । ফলে নিম্নবিত্ত মধ্যবিত্ত জনসাধারণ অবর্ণনীয় ভোগান্তিতে পড়বে । সরকার মুখে দ্রব্যমূল্য কমানোর কথা বললেও বাস্তবে উল্টো পদক্ষেপ গ্রহণ করছে । মূল্যবৃদ্ধির ফলে জনসাধারণের ক্ষোভের মুখে সরকার মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণের কথা বললেও বিদ্যুৎ গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির মধ্য দিয়ে দেশের বৃহৎ ব্যবসায়ী শ্রেণীর স্বার্থ রক্ষার পথেই হাঁটছে।
বিগত সময়ে আমরা বলেছি বিদ্যুৎ গ্যাসসহ জ্বালানিখাতে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় লুটপাট চলছে । সরকারের ঘোষিত উৎপাদন ক্ষমতার প্রায় অর্ধেকটাই অলস পড়ে থাকছে । কিন্তু কেন্দ্র ভাড়া বাবদ বিপুল পরিমাণ টাকা তাদের দিতে হচ্ছে । গত ২০২২—২৩ অর্থবছরেও ২৬ হাজার কোটি টাকার বেশি ক্যাপাসিটি চার্জ দিতে হয়েছে । কুইক রেন্টাল চুক্তি বাতিল, ভুল জ্বালানি নীতি প্রত্যাহার ও লুটপাট—দুনীর্তি বন্ধ করে দক্ষ ব্যবস্থানার মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ কমিয়ে আনা সম্ভব ছিল। সরকার সে পথে না গিয়ে ব্যবসায়ী শ্রেণীর স্বার্থ রক্ষায় মূল্য বৃদ্ধির পথেই হাঁটছে । এর খেসারত দিতে হচ্ছে দেশের সাধারণ জনগণকে । এর দায় কোনোমতেই জনগণ নেবে না।”
সমাবেশে বক্তারা অবিলম্বে বিদ্যুত , গ্যাস , নিত্যপণ্যের দাম কমানোর দাবি জানিয়ে এবং ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে বামপন্থীদের নেতৃত্বে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে গণআন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান জামায়াতে যোগ দিলেন

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে জামায়াতে যোগ দিয়েছেন সাবেক মন্ত্রী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান। শনিবার ১৩ ডিসেম্বর সকাল ৯টায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

জামায়াত আমিরের উপস্থিতিতে মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নীতি ও আদর্শ, দেশপ্রেম এবং দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর অবিচল অবস্থানের প্রতি গভীর আস্থা ও সন্তোষ প্রকাশ করেন। এ সময় তিনি সংগঠনের প্রাথমিক সহযোগী সদস্য ফরম পূরণ করে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান করেন।

আওয়ামিলীগের সাবেক পৌর কাউন্সিলর জুলফিকার মিয়ার বিএনপিতে যোগদান।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

লালমোহন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজী জুলফিকার মিয়া বিএনপিতে যোগদান করেছেন। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে তিনি ঢাকায় বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ভোলা-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ (বীর বিক্রম) এর বাসায় গিয়ে ফুল দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদান সম্পন্ন করেন।

এ সময় মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ তাকে দলে স্বাগত জানান। দলীয় একটি সূত্র বলছে, আগাম রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে সামনে রেখে জুলফিকার মিয়ার এই যোগদান বিএনপির স্থানীয় রাজনীতিতে নতুন উদ্দীপনা তৈরি করবে বলে সকলে মনে করছেন।

অন্যদিকে বিগত ফ্যাসিস্ট আমলে আওয়ামিলীগের এমপি নুরনবী চৌধুরী শাওন কর্তৃক নির্যাতিত, নিষ্পেষিত বিএনপির অনেক ত্যাগি নেতারা এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। নাম জানাতে অনিচ্ছুক এক নেতা বলেন- বিএনপির এমন দিন আসবে কখনো চিন্তাও করিনি। তবে কী আওয়ামিলীগ দিয়ে বিএনপির ত্যাগীদের আবার নির্যাতনের স্বীকার করতে চায় মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ? কেন আমরা এতদিন নির্যাতিত ছিলাম? এই দিন দেখার জন্য?

এ বিষয়ে জুলফিকার মিয়াকে একাধিকবার ফোন করলে তার মুঠো ফোনটি বন্ধ দেখায়। তবে স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে তার এই সিদ্ধান্ত ঘিরে আলোচনা সমালোচনার শুরু হয়েছে। কেউ কেউ মনে করছে; এভাবে আওয়ামিলীগ দ্বারা বিএনপি সাজাতে থাকলে ভোটের মাঠে এর প্রভাব বিস্তার করবে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ