আজঃ বুধবার ১২ মার্চ, ২০২৫

নগরীর পাহাড়তলীস্থ উত্তর কাট্টলীতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনকৃত ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতায় বাস্তবায়নাধীন নতুন চট্টগ্রাম মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধে অস্থায়ী স্মৃতিসৌধ তৈরীর কার্যক্রম পরিদর্শন করছেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান

কাট্টলীতে অস্থায়ী স্মৃতিসৌধে ২৬ মার্চে শ্রদ্ধা নিবেদন

প্রেস রিলিজ

চট্টগ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রাণের দাবী পূরণ করতে আগামী ২৬ মার্চ মঙ্গলবার মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবসে প্রথমবারের মতো বীর শহিদদের স্মরণে পুস্পস্তবক অর্পণসহ শ্রদ্ধা নিবেদনের লক্ষ্যে চট্টগ্রাম মহানগরীর পাহাড়তলীস্থ উত্তর কাট্টলীতে আপাততঃ ৪৫ শতক জায়গার উপর প্রস্তাবিত নতুন মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধের জায়গায় অস্থায়ী স্মৃতিসৌধ তৈরী কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান। আজ ৯ মার্চ শনিবার দুপুরে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর ইউনিট কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদ ও জেলা সংসদের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএম সরোয়ার কামালকে সাথে নিয়ে তিনি সেখানে পরিদর্শনে যান। জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) সাদি উর রহিম জাদিদ, স্টাফ অফিসার টু ডিসি মোঃ আল-আমিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আহমদ ও ডিসি পার্ক ইনচার্জ মোঃ আবদুর রশিদ এসময় উপস্থিত ছিলেন। গত বছরের ২৮ অক্টোবর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধনের সময় সমুদ্রের পার্শ্ববর্তী উত্তর কাট্টলীতে ৩০ একর জায়গায় নতুন মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধ ও যাদুঘর নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। সরকারের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতায় আগামী ৩ থেকে ৫ বছরের মধ্যে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধের আদলে এটির নির্মাণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন হওয়ার কথা রয়েছে।
অস্থায়ী স্মৃতিসৌধ তৈরী কার্যক্রম পরিদর্শনকালে জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে চট্টগ্রামের অনন্য অবদান রয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে এখান থেকেই স্বাধীনতার ঘোষনা দেয়া হয়। এখানে ঐতিহাসিক লালদীঘি ময়দান ও বঙ্গবন্ধুর ৬ দফাসহ অনেক কিছু চট্টগ্রাম কেন্দ্রিক। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে এখানে নৌ-কমান্ডোরা কাজ করেছেন। কিন্তু দুঃখের বিষয়, চট্টগ্রামে মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিসৌধ, স্মৃতিস্তম্ভ ও মুক্তিযুদ্ধের যাদুঘর নেই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমপি ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর তারিখে যখন কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন করছিলেন তখন তিনি এখানে একটি নতুন মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভ ও যাদুঘর নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন। এখানে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে সমুদ্র পার্শ্বস্থ একটি দৃষ্টিনন্দন স্থানে ৩০ একর জায়গার উপর স্থায়ীভাবে একটি মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভ ও যাদুঘর করা হবে। সেটি সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হলে ঐ প্রকল্পের কাজ শেষ হতে ৩-৫ বছর সময় লাগতে পারে। এখানে অস্থায়ীভাবে হলেও একটি মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভ হবে-এটা চট্টগ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের দীর্ঘ দিনের দাবী ছিল। ২৬ মার্চ ও ১৬ ডিসেম্বর শহিদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে হয়, সেটি আমাদের মূল স্প্রিরিটের সাথে যায়না। সে জন্য মুক্তিযোদ্ধাদের দাবীর প্রেক্ষিতে আমরা এখানে অস্থায়ীভাবে মহান মুক্তিযুদ্ধের একটি স্মৃতিস্তম্ভ করতে যাচ্ছি। জাতীয় স্মৃতিসৌধের আদলে কম সময়ের মধ্যে অর্থ্যাৎ ১৭ মার্চের আগে এটির কাজ সম্পন্ন করতে পারবো এবং আগামী ২৬ মার্চ জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন করতে পারবো বলে আমরা আশা করছি। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী মহোদয় ইতোপূর্বে এ জায়গাটি পরিদর্শন করেছেন এবং সচিব মহোদয়ের সাথে এ ব্যাপারে কথা হয়েছে, আশাকরি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ ও যাদুঘর নির্মাণের কাজ শুরু হবে।
বধ্যভূমি সংরক্ষণের বিষয়ে তিনি বলেন, চট্টগ্রামে যে সকল বধ্যভূমি রয়েছে। সেগুলো সংরক্ষণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে। পাহাড়তলীর খুলশীতে যে সকল বধ্যভূমি রয়েছে সেগুলো সংরক্ষণের জন্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছি। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় মামলাজনিত কারণে এ কাজটি শেষ করতে পারেনি। এখন মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে, কিছুদিনের মধ্যে চট্টগ্রামের বধ্যভূমিগুলো সংরক্ষণের কাজ শুরু হবে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

অটোরিক্সায় মহিলাকে হেনস্তা, অবশেষে গ্রেফতার

ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় নারীকে হেনস্তা করা মো. রানাকে (৪২) নওগাঁ থেকে আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ (মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ) অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে।

বুধবার (১২ মার্চ) সকালে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরএমপি) অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) সাবিনা ইয়াসমিন আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আটককৃত রানা রাজশাহী মহা নগরীর কেশবপুর এলাকার বাসিন্দা।

জানা গেছে, মঙ্গলবার বিকেলে অটোরিকশায় বসে বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গি করে এক নারীকে হেনস্তা করেন রানা। এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে রানাকে আটকের দাবি ওঠে। এরপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাকে আটকের জন্য নগরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ জানতে পারে নওগাঁয় অবস্থান করছে রানা। এরপর রাতে নওগাঁয় অভিযান চালিয়ে রানাকে আটক করে পুলিশ।

এ বিষয়ে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরএমপি) অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, রানাকে নওগাঁ থেকে আটক করে রাজশাহীতে নিয়ে আসা হচ্ছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।

ঠাকুরগাঁওয়ে পঙ্গু ও দুস্থ শ্রমিকের মাঝে চেক বিতরণ ।

ঠাকুরগাঁওয়ে জেলা ট্রাক ট্যাংকলরী, কাভার্ড ভ্যান ও পিকআপ শ্রমিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে ৫৭ জন পঙ্গু-দুস্থ ও অসহায় শ্রমিকের মাঝে চেক বিতরণ করা হয়েছে। ১ মার্চ শনিবার দুপুরে ঠাকুরগাঁও জেলা ট্রাক ট্যাংকলরী, কাভার্ড ভ্যান ও পিকআপ শ্রমিক ইউনিয়নের প্রধান কার্যালয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে চেকগুলো বিতরণ করেন জেলা ট্রাক ট্যাংকলরী, কাভার্ড ভ্যান ও পিকআপ শ্রমিক ইউনিয়নের প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও পৌর বিএনপির সভাপতি শরিফুল ইসলাম শরিফ।

চেক বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক মামুনুর রশিদ মামুন, ঠাকুরগাঁও জেলা ট্রাক ট্যাংকলরী কাভার্ড ভ্যান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু কাশেম, দপ্তর সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বাবু,সড়ক সম্পাদক সাকিব বাবু, ঠাকুরগাঁও জেলা ট্রাক ট্যাংকলরী, কাভার্ড ভ্যান ও পিকআপ শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ভুট্ট, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জব্বার, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদুর রহমানসহ নেতা কর্মীরা। পরে এক আলোচনা শেষে ৫৭ জন পঙ্গু অসহায় ও দুস্থদের মাঝে প্রায় ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার চেক বিতরণ করা হয়।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ