আজঃ শুক্রবার ২৫ এপ্রিল, ২০২৫

উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ডে ইফতার সামগ্রী বিতরণকালে ডা. শাহাদাত হোসেন

দেশের মানুষকে গরীব বানিয়ে দিয়েছে সরকার

প্রেস রিলিজ

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, দেশের সাধারণ মানুষ কষ্টের মধ্যে দিন যাপন করছে। পবিত্র রমজান মাসে নিত্য প্রয়োজনীয় চাল ডাল তেলসহ বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্য লাগামহীনভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে করে মানুষ আর্থিক দিক থেকে আক্রান্ত হচ্ছেন। তাদের প্রকৃত আয় অনেক কমে গেছে। মানুষ মধ্যবিত্ত থেকে নিন্মবিত্তে চলে গেছে। দেশে এমন সরকার রয়েছে যারা নির্বাচিত নন। তাই জনগণের প্রতি সরকারের কোন দরদ নেই। দেশের মানুষকে গরীব বানিয়ে দিয়েছে সরকার।বিএনপি দীর্ঘদিন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার বাইরে। তারপরও জনগনের দল হিসিবে বিএনপি মানুষের পাশে থাকে।

তিনি মঙ্গলবার (১২ মার্চ) বিকালে অলংকার মোড় আবদুল আলী নগরস্থ ইসাক নুর ভবনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক এস এম জিয়াউল হুদার (শাহরিয়ার জিয়া) পক্ষ থেকে পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ডের অসহায় হতদরিদ্র মানুষ ও ইমাম মুয়াজ্জিনের মাঝে ইফতার ও সেহেরী সামগ্রী বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

এসময় তিনি সমাজের বিত্তশালী ব্যক্তি ও বিএনপি নেতাকর্মীদেরকে অসহায় হতদরিদ্র মানুষের সহয়তায় এগিয়ে আসার আহবান জানান।

এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর।

আবুল হাশেম বক্কর বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে সকলের মধ্যে নাভিশ্বাস উঠেছে। এই মূল্যবৃদ্ধির জন্য সরকারের সিন্ডিকেট দায়ী। সরকার দুর্নীতিবাজদের রক্ষা করার জন্য দায়মুক্তি আইন করেছে। হাজার কোটি টাকা আওয়ামী সিন্ডিকেটের সদস্যরা প্রতি বছর পাচার করছে। তাদের জন্য আবার সংসদে দায়মুক্তি আইন করা হয়েছে। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসলে দশ টাকা কেজি চাল খাওয়াবে বলেছিল। এখন কোথায় সে দশ টাকা কেজির চাল? আওয়ামী লীগ আসলে এদেশের মানুষের সাথে প্রতারণা করেছে।

চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক এস এম জিয়াউল হুদার (শাহরিয়ার জিয়া) সভাপতিত্বে ও সহ সভাপতি ফজলুল হক সমুনের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপি নেতা নূরুল আকবর কাজল, আলী আজম চৌধুরী, আকবর শাহ থানা বিএনপির সাধারন সম্পাদক মাঈনুদ্দিন চৌধুরী মাঈনু, মহানগর যুবদলের সহ সভাপতি নুর আহমদ গুড্ডু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, জাসাসের শেখ জামিল হোসেন প্রমূখ।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

মাতারবাড়ি দেশিয় অর্থনীতির গেম চেঞ্জার।

ছবি-১
চট্টগ্রাম ব্যুরো: বিজনেস সামিটে নতুন বিনিয়োগ আসায় চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বাড়াতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ (চবক)’র চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এসএম মনিরুজ্জামান। চবক চেয়ারম্যান বলেন, দেশের প্রবৃদ্ধির মূল চালিকা শক্তি চট্টগ্রাম বন্দর। দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ট্রেড অ্যাগ্রিমেন্টের কারণে সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ১৩৮তম বন্দর দিবস উপলক্ষে শহীদ মো. ফজলুর রহমান মুন্সী মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সম্মেলনে চবক সদস্যসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
চট্টগ্রাম বন্দরের গতি বৃদ্ধি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রতিযোগী বিশ্বে টিকতে হলে বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানোর বিকল্প নেই। পাঁচ বছর পর ৫ মিলিয়ন টিইইউস কনটেইনারে হ্যান্ডলিং করতে হবে। মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দরে টার্মিনাল ও বে-টার্মিনাল নির্মাণে চুক্তি হয়েছে। এ মাস দেশ ও বন্দরের জন্য সৌভাগ্যের। ২০২৯ সালে মাতারবাড়ি সমুদ্র্রবন্দর অপারেশনে চলে যাবে।
এ সময় চবক চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের তরুণ প্রজন্ম বড় সম্ভাবনা। তাদের কর্মসংস্থান করতে হবে। চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার হবে সিঙ্গাপুর। বিনিয়োগকারী প্রস্তুত। নিরাপত্তা, আস্থা, সুন্দর পরিবেশ চায় তারা। মেরিটাইম ও পোর্ট সিকিউরিটি নিয়ে নিশ্চিন্ত হতে চায়।
বন্দর ও কাস্টমসের সমন্বয়ে সুফল পাওয়ার কথা জানিয়ে এসএম মনিরুজ্জামান বলেন, বন্দর ও কাস্টমসকে একসঙ্গে কাজ করতে হয়। এর সুফল দেখতে পাচ্ছেন। নিলামে গতি এসেছে। বন্দরে ইউএস এইডের অর্থায়নে রেফার কনটেইনার ইয়ার্ড ও কোল্ড স্টোরেজ তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
অটোমেশনের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘ই-টিকিটিং চালু করায় সব সিস্টেমে চলে আসছে। মেরিটাইম সিঙ্গেল উইন্ডো চালু করছি। এতে বহির্বিশ্বে ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে। পেমেন্ট ডিজিটাল হয়ে যাবে। ডিজিটালাইজেশন ও ডি-কার্বোনাইজেশনের বিকল্প নেই। জুনের মধ্যে বন্দরের পুরো কার্যক্রম অটোমেশন করে ফেলব। গ্রিন মেরিটাইম করিডোর হবে চট্টগ্রাম বন্দর। মাতারবাড়ি, বে-টার্মিনাল, লালদিয়া হবে গ্রিন পোর্ট। এ টার্মিনালগুলো চালু হলে নতুন শিপিং রুট খুলে যাবে।
চট্টগ্রাম বন্দরে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি নিয়ে চেয়ারম্যান বলেন, বে-টার্মিনাল হলে টানেলের ব্যবহার বেড়ে যাবে। ৬৬৩ জনকে পদোন্নতি এবং ৩৬৩ জন নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। আমরা চেষ্টা করছি বন্দর যাতে ব্যবহারবান্ধব হয়। ১৬ মিটার ড্রাফট মেইনটেইনের উপযোগী দুইটি ড্রেজার কিনবে বন্দর।‘বে-টার্মিনালের কন্টেইনার টার্মিনাল-১ এবং কন্টেইনার টার্মিনাল-২ নির্মাণের জন্য পিপিপি অংশীদার পিএসএ সিঙ্গাপুর এবং ডিপি ওয়ার্ল্ডের সাথে চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। গত ২০ এপ্রিল বে-টার্মিনালের ডিপিপি একনেকে অনুমোদিত হয়েছে। এছাড়া, গতকাল বে-টার্মিনালের চ্যানেলে ব্রেক ওয়াটার নির্মাণের লক্ষ্যে ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের সাথে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, চট্টগ্রাম বন্দরের বে-টার্মিনাল প্রকল্প আগামী ২০২৯-২০৩০ সালের মধ্যে সমাপ্ত করা সম্ভব হবে।
মাতারবাড়িকে দেশিয় অর্থনীতির গেম চেঞ্জার উল্লেখ করে বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এসএম মনিরুজ্জামান বলেন, দেশের অর্থনীতির গেম চেঞ্জার খ্যাত মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর প্রকল্পটির প্যাকেজ-১ ( ২টি জেটি নির্মাণ) এর জন্য জাপানিজ প্রতিষ্ঠান পেন্টা ওশান কনস্ট্রাকশন কোম্পানি ও টোয়া কর্পোরেশনের সাথে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চুক্তি স্বাক্ষর গত ২২ এপ্রিল সম্পন্ন হয়েছে। মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর ২০২৯ সাল নাগাদ অপারেশনে আসবে বলে আশা করা যায়। মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দরকে রিজিওনাল ট্রান্সশিপমেন্ট হাব হিসাবে রূপ দেয়ার লক্ষ্যে বাস্তবায়নকারী সংস্থা হিসাবে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে।
মাতারবাড়ি প্রকল্প নিয়ে চেয়ারম্যান এসএম মনিরুজ্জামান বলেন, ফাস্ট ট্র্যাক প্রকল্প হিসাবে জাইকার সহযোগিতায় বন্দর উন্নয়ন প্রকল্পটির ২য় সংশোধিত ডিপিপি গত বছরের ৭ অক্টোবর একনেক সভায় অনুমোদিত হয়। প্রকল্পের অধীনে বিভিন্ন প্যাকেজের আওতায় সিভিল, ড্রেজিং, কার্গো হ্যান্ডলিং যন্ত্রপাতি এবং জাহাজসমূহ ক্রয় কার্যক্রম প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। কার্গো হ্যান্ডলিং যন্ত্রপাতি ক্রয় চুক্তি ইতোমধ্যে সম্পাদিত হয়েছে। সিভিল ও ড্রেজিং কার্যক্রমের চুক্তি অতি শিগগিরই সম্পাদিত হবে এবং নির্মাণ কার্যক্রম অতিদ্রুত শুরু করা হবে।

বই পড়ে জামায়াতকে জানুন, জামায়াতে যোগ দিন।ল

সারাদেশের ন্যায় চৌদ্দগ্রাম উপজেলায়ও চলছে জামায়াতে ইসলামীর গণসংযোগ পক্ষ-২০২৫। ২৫ এপ্রিল শুক্রবার পর্যন্ত চলবে এ কার্যক্রম। এ লক্ষে গত ১১ এপ্রিল শুক্রবার থেকে চৌদ্দগ্রাম পৌরসভাসহ উপজেলার তের ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম ও ওয়ার্ডে প্রকাশ্যে গণ সংযোগ ও সদস্য সংগ্রহ করছে নেতাকর্মীরা। গত ১৭ বছর পর প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে চৌদ্দগ্রাম বাজারে দাওয়াতি বুথ করে সমর্থক ফরম বিলি ও সমর্থক সংগ্রহ করছে পৌর জামায়াত। ইসলামী সংগঠন জামায়াতের কার্যক্রমে সন্তুষ্ঠ হয়ে ইতোমধ্যে বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার মানুষ সমর্থক ফরম পূরণ করেছে।

বুধবার বিকেলে পৌর জামায়াতের আমীর মাওলানা মুহাঃ ইব্রাহিম মাইকে বাজারের পথচারী, ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামী মানুষের কল্যাণে কাজ করে। ইসলামী আন্দোলন করা সকলের জন্য প্রয়োজন। আমাদের বুথে আসুন, বিনামূল্যে বই নিয়ে যান। বই পড়ুন, জামায়াতকে জানুন। জামায়াতে যোগ দিন’।

পৌর জামায়াতের সেক্রেটারী মোশারফ হোসেন ওপেলের পরিচালনায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পৌর জামায়াতের নায়েবে আমীর কাজী মোঃ এয়াছিন, ওয়ার্ড জামায়াতের সভাপতি মাওলানা মফিজুর রহমান, মাওলানা আরিফুর রহমান, মাওলানা নুর আহম্মেদ, আবু নাসের ভুঁইয়া, আলা উদ্দিন, মোস্তফা কামাল খাঁ, শাহ আলম, লিয়াকত শিকদার প্রমুখ।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ