আজঃ শনিবার ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫

চট্টগ্রামে যাত্রীদের কাছ থেকে বেশি ভাড়া নিলে চালক ও হেলপারের জেল।।আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় জেলা প্রশাসক চট্টগ্রাম

এম মনির চৌধুরী রানা চট্টগ্রাম

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

চট্টগ্রামে যাত্রী পরিবহনে নির্দিষ্ট ভাড়ার চেয়ে বেশি নিলে গাড়ির চালক ও হেলপারকে জরিমানাসহ জেলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান। গতকাল মঙ্গলবার চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক একথা বলেন। সড়কে গাড়ি থামিয়ে যারা চাঁদাবাজি করে তাদের কোনো বৈধতা নেই, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুল মান্নানের এমন বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘ট্রাক ও পণ্য পরিবহনের গাড়ি থামিয়ে সড়কে চাঁদাবাজি চলবে না। পরিবহন শ্রমিকেরা চাঁদা নিলে অফিসে নেবে, সড়কে নয়। যারা চাঁদাবাজি করে তাদের ব্যাপারে পরিবহন নেতৃবৃন্দরা আনঅফিসিয়ালি নোট দেবেন, ব্যবস্থা নেবো। সড়কে চাঁদাবাজি রোধে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কঠোর অবস্থানে থাকবে। হাটহাজারী পৌরসদরসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থানে যানজট নিরসন ও দক্ষিণ চট্টগ্রামে যাত্রী পরিবহনে নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশি ভাড়া নিলে গাড়ির চালক ও সহকারীকে জেল-জরিমানার আওতায় আনা হবে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বিষয়ে ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে করে তিনি বলেন, ‘পবিত্র মাহে রমজানকে সামনে রেখে অসাধু ব্যবসায়ীরা নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি করেছে। পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে বাজার মনিটরিংয়ের অংশ হিসেবে জেলা প্রশাসন প্রথমে পাইকারি মার্কেট গুলোতে গিয়ে ব্যবসায়ীদের সতর্ক করেছে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও বিএসটিআইও এ কাজ করছে। পাইকারি খুচরা প্রত্যেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পণ্যের ক্রয়-বিক্রয়মূল্য টাঙ্গিয়ে রাখার জন্য বারবার নির্দেশনা দেয়ার পরে ও তা অমান্য করে চলেছে। গত দু’দিন আগে ও বড় বড় কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়েছে। এবার অসাধু ব্যবসায়ীদেরকে জরিমানায় না হলে জেল দেওয়া হবে। তিনি আর ও বলেন, ‘কতিপয় ব্যবসায়ী নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য অবৈধভাবে মজুদ ও পণ্যের কৃত্রিম সংকটের মাধ্যমে দাম বাড়িয়ে বাজার অস্থিতিশীল করে তুলেছে। পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি না করতে প্রয়োজনে ব্যবসায়ীদের নিয়ে চট্টগ্রাম চেম্বারসহ ব্যবসায়ী সংগঠনগুলো সভা করে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে পারে। সভায় অন্যদের মধ্যে আর ও বক্তব্য রাখেন এনএসআই’র যুগ্ম পরিচালক মো. মাজাহরুল ইসলাম, নগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদ, জেলার ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএম সরওয়ার কামাল দুলু, চেম্বার পরিচালক অহিদ সিরাজ চৌধুরী স্বপন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুল মান্নান, হাটহাজারী পৌর প্রশাসক মো. মঞ্জুরুল আলম চৌধুরী, এএসপি মো. নাফি উদ্দিন, ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি হরিপদ চক্রবর্তী, নগর পিপি অ্যাডভোকেট মো. নজরুল ইসলাম, রাঙ্গুনিয়া সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. হুমায়ুন কবির ও বিজিবি’র সহকারী পরিচালক উপেন্দ্র নাথ। এছাড়াও সভায় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম জেলার সকল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, পৌর মেয়র, সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, প্রতিনিধি ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

ইরান ওমান উপসাগরে একটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করেছে।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ইরান ওমান উপসাগরে একটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করেছে । তেলবাহী জাহাজটিতে বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলঙ্কার ১৮ নাবিক রয়েছে। ইরানি গণমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে। ইরানের আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা ফার্স জানায়- ছয় মিলিয়ন লিটার চোরাচালানকৃত ডিজেল বহনকারী একটি তেলবাহী জাহাজ ওমান উপকূলে আটক করা হয়েছে।

চন্দ্রগঞ্জ থানা পরিদর্শন করেন নবাগত পুলিশ সুপার মো:আবু তারেক

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

লক্ষ্মীপুর জেলার সদ্য যোগদান করা পুলিশ সুপার জেলার বিভিন্ন থানা পরিদর্শন ও থানায় কর্মরত অফিসারদের সাথে সৌজন্যে সাক্ষাৎ করেন।
তারই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানা আকস্মিক পরিদর্শন করেন লক্ষ্মীপুর জেলার নবাগত পুলিশ সুপার মোঃ আবু তারেক। এসময় চন্দ্রগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ও কর্মরত সবাই ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

থানা পরিদর্শনকালে পুলিশ সুপার ফোর্সদের থাকার ব্যারাক ও বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শন করেন এবং সকল পুলিশ সদস্যদের সাথে কুশল বিনিময় করেন। এছাড়াও সকল পুলিশ সদস্যদের আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা প্রদান করেন।

উল্লেখ্য চন্দ্রগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মোরশেদ আলম চলতি মাসের ৬ তারিখে এ থানায় যোগদান করেন।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ