আজঃ সোমবার ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন

নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২৪ উপলক্ষে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচী পালনের মাধ্যমে যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি উদযাপন করেছে। সকালে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল, ওএসপি, এনইউপি, পিপিএম, পিএসসি এবং চবক এর সকল সদস্যবৃন্দ বন্দর ভবন প্রাঙ্গণে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এতে চট্টগ্রাম বন্দর অফির্সাস এসোসিয়েশন, চবক এর সকল বিভাগীয় প্রধানসহ সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ এবং চট্টগ্রাম বন্দর কর্মচারী পরিষদ সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, অবসরপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা কর্মকর্তা/কর্মচারী ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ধরে, আনব হাসি সবার ঘরে’ এ প্রতিপাদ্য বিষয় নিয়ে শহীদ ফজলুর রহমান মুন্সি অডিটোরিয়ামে বঙ্গবন্ধুর বর্ণাঢ্য জীবন ও কর্মের উপর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে চট্টগ্রাম বন্দরের সদস্য (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) জনাব হাবিবুর রহমান (যুগ্ম সচিব), বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব হাদী হোসেন বাবুল এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা প্রতিপাদ্য বিষয়ে বক্তৃতা প্রদান করেন। সভার প্রধান অতিথি চবক চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল বক্তব্যের শুরুতে গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্টে নিহত সকল শহীদদের। তিনি বলেন- জাতির পিতা শিশুদের ভালবাসতেন এবং তাদের অধিকারের জন্য কাজ করে গেছেন। তিনি সবসময় সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের পাশে থাকতেন। তাই আজকের এই শিশু দিবসের মূল উদ্দেশ্য হওয়া উচিৎ সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের কল্যাণে কাজ করা। তিনি সকলকে জাতির পিতার আদর্শ অনুসরণ করে জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের কল্যাণে কাজ করার মাধ্যমে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাঙলা বিনির্মাণে ভূমিকা রাখার জন্য আহবান জানান। এরপর চেয়ারম্যান, চবক মহোদয় ‘‘১৭ই মার্চের পূর্বে বাংলাদেশ” থিমের উপর রচনা ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন। পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধুর বর্ণাঢ্য জীবনী ও মহান মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক ডকুমেন্টারী প্রর্দশন এবং বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ প্রচার করা হয়। দিবসটি উপলক্ষ্যে চবক এর আওতাধীন সকল মসজিদ, এবাদতখানা, মন্দির ও বৌদ্ধ বিহারে বিশেষ দোয়া ও প্রার্থনার আয়োজন করা হয় এবং বন্দর হাসপাতালে অভ্যন্তরীণ রোগীদের উন্নতমানের খাদ্য পরিবেশন করা হয়।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

বিশ্বজুড়ে কর্পোরেট মিডিয়ার সংবাদ নিয়ে বিশ্বাস যোগ্যতার সঙ্কট ক্রমশ বাড়ছে : মাহবুব মোর্শেদ

বিশ্বজুড়ে কর্পোরেট মিডিয়ার সংবাদ নিয়ে বিশ^াস যোগ্যতার সঙ্কট ক্রমশ বাড়ছে। এ কারণেই বিবিসির মতো মৌলিক সংবাদ মাধ্যমগুলোও ‘মোজো’ (মোবাইল জার্নালিজম) চালু করেছে। তারা বুঝেছে, সুপরিশীলিত সংবাদ থেকেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কাঁচা কিন্তু বাস্তব ভিডিও বা পোস্ট মানুষের কাছে বেশি গ্রহণযোগ্য বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক, কবি ও কথাসাহিত্যিক মাহবুব মোর্শেদ।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে মোবাইল ও অন্যান্য নন কনভেশনাল মিডিয়ার কার্যকর ভুমিকার দৃষ্টান্ত উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রযুক্তি ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নির্ভর আধুনিক তথ্য প্রবাহকে গ্রহন করার জন্য আমরা এখনো মানসিকভাবে তৈরী নই। এক ধরণের পুরোনো সেকেলে গণ্ডিতে আবদ্ধ হয়ে আছি। আমরা পত্রিকা পড়ব। কিন্তু নতুন প্রজন্মের সংবাদমাধ্যমকে গ্রহণ করাটাই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।শনিবার বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এস রহমান হলে “মুক্ত গণমাধ্যম ও আগামীর চ্যালেঞ্জ” শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব এই আলোচনা সভার আয়োজন করে। বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) এর চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান মোহাম্মদ শাহ নওয়াজ এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আলী আর রাজী। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্র্রফেসর এস. এম. নসরুল কদির, মুখ্য আলোচকের বক্তব্য দেন চবি যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শহীদুল হক।
বাসস’র প্রধান সম্পাদক মাহবুব মোর্শেদ বলেন, নতুন প্রযুক্তিকে গ্রহণ করার মধ্য দিয়েই আমরা সামনে এগোতে পারব। যেসব দিক নেতিবাচক, সেগুলো আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে হবে। দমন, পীড়ন, নিয়ন্ত্রণ, বন্ধ করে দেওয়া, এই মানসিকতা ত্যাগ না করলে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, আমরা যখন একটি প্রজন্মের ব্যবহৃত ডিভাইসকে শত্রু হিসেবে দেখি, তখন আসলে সেই প্রজন্মকেই বলছি; এই জায়গা দিয়ে দেশের মুক্তি আসবে না। কিন্তু ২০২৪-এ যে নতুন বাংলাদেশ তৈরি হয়েছে, সেখানে আমাদের ওপেন, গণতান্ত্রিক মানসিকতা নিয়ে এগোতে হবে।

তিনি আরও বলেন, কর্পোরেট ইনভেস্টমেন্টের মাধ্যমে পরিচালিত যে সংবাদপত্র-টেলিভিশনগুলো আছে, যেগুলো মূলত মালিক, সরকার ও আইন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত, এবং যাদের সাথে নৈকট্য বেশি আমরা সেসব গণমাধ্যমের স্বাধীনতা চাই।

বাসস’র প্রধান সম্পাদক মাহবুব মোর্শেদ বলেন, জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানে আমরা অনেকেই অংশ নিয়েছিলাম। যদি আমরা স্মরণ করি, তখন প্রচলিত গণমাধ্যমের ভূমিকা কী ছিল, রাষ্ট্রীয়ভাবে নিবন্ধিত পত্রপত্রিকা বা যেসব প্রতিষ্ঠানে আমাদের পরিচিতরা কাজ করেন, সেসব মাধ্যমে আমরা কি সেই অভ্যুত্থানের খবর যথেষ্টভাবে দেখতে পেয়েছি ? একদমই কম পেয়েছি। প্রায় সবগুলো টেলিভিশনই ‘বিটিভি’ হয়ে গিয়েছিল। তারা যেন সরকারি প্রচারের মুখপাত্রে রূপ নিয়েছিল। প্রচলিত, নিবন্ধিত, কনভেনশনাল মিডিয়ার বৃহৎ অংশই হয় এই আন্দোলনের বিরোধিতা করেছে, নয়তো একে পুরোপুরি ব্ল্যাকআউট করেছে। তাহলে ২৪-এর গণঅভ্যুত্থানের খবরগুলো কে ছড়িয়েছে ?

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর এস. এম. নসরুল কদির বলেন, স্বাধীনতার পাঁচ দশক পেরিয়ে এসেও “মুক্ত গণমাধ্যম ও আগামীর চ্যালেঞ্জ” নিয়ে আমাদে;র আলোচনা করতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, স্বাধীনতা কী, মুক্ত কী, গণমাধ্যম কী, সংবাদ মাধ্যম কী, এসবের একটা বিচার বিশ্লেষণ প্রয়োজন। আমরা প্রত্যেকেই যদি প্রত্যেকের জায়গায় সৎ থাকি, তাহলেই আমরা আমাদের কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবো।

মুখ্য আলোচক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শহীদুল হক বলেন, অবাধ তথ্যের কথা বলে অন্যের চরিত্র হরণ, অন্যের নামে অপবাদ দেওয়া, অপতথ্য-মিথ্যাতথ্য প্রচারের মত অপসাংবাদিকতার বিরুদ্ধে সোচ্চার ভুমিকা রাখতে হবে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা ও বিশ^াসযোগ্যতা নিশ্চিত করার জন্য। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র রেল লাইনের মত সমান্তরালভাবে চলতে হবে।

আলোচনা সভার ধারণাপত্র উপস্থাপক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আলী আর রাজী বলেন, গণতান্ত্রিক সমাজ ও রাষ্ট্র ‘মুক্ত সংবাদমাধ্যম’ চায় কারণ গণতন্ত্রের বেঁচে বা টিকে থাকার শর্তই হচ্ছে ‘মুক্ত সংবাদমাধ্যম’। এরা পরস্পর ‘পারস্পরিকতাবাদ’ বা ‘মিউচুয়ালিজম’-এ আবদ্ধ। গণতন্ত্র ঠিকাতে হলে ‘মুক্ত সংবাদমাধ্যম’ চাই আর ‘মুক্ত সংবাদমাধ্যম’ ঠিকাতে চাইলে গণতন্ত্র চাই।

চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের স্থায়ী সদস্য গোলাম মাওলা মুরাদের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সদস্য সচিব জাহিদুল করিম কচি, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট আব্দুস সাত্তার, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সায়মা আলম, এ্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি ইঞ্জি. সেলিম মো. জানে আলম, এডভোকেট জিয়া হাবীব আহসান, সিএমইউজের সাধারণ সম্পাদক সালেহ নোমান, দৈনিক কালের কণ্ঠের ব্যুরো প্রধান মুস্তফা নঈম, দৈনিক ইনকিলাবের ডেপুটি ব্যুরো প্রধান রফিকুল ইসলাম সেলিম, দৈনিক আমার দেশের ব্যুরো প্রধান সোহাগ কুমার বিশ্বাস প্রমুখ।

অংশ নিয়েছে প্রায় ৬০০ প্রতিযোগী চট্টগ্রামে এনআইটি উদ্ভাবনী প্রতিযোগিতায়

বিজ্ঞানমনষ্ক শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনী ক্ষমতা ও দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞানের যথাযথ প্রয়োগের লক্ষ্যে চট্টগ্রামের মুরাদপুরস্থ’ ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এনআইটি)’র উদ্যোগে ১১তম বারের মতো “এনআইটি উদ্ভাবনী প্রতিযোগিতা-২০২৫” এনআইটি’র অডিটোরিয়ামে শনিবার অনুষ্ঠিত হয়। সকাল সাড়ে ৯টায় উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বাংলাদেশ কারীগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. রুহুল আমিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন পার্কভিউ হসপিটাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর ড. এটি. এম. রেজাউল করিম, চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট অধ্যক্ষ মো কামাল হোসেন। সভাপতিত্ব করেন এনআইটি’র চেয়ারম্যান আহসান হাবিব।

প্রতিযোগিতায় প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের ২৬৪টি বিভিন্ন ধরনের উদ্ভাবনীমূলক প্রকল্প প্রর্দশিত হয়। এতে প্রায় ৬০০ প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে প্রকৌশলী মো. রুহুল আমিন বলেন, আজকের এই প্রতিযোগিতা শুধুমাত্র একটি বিজয়ীর খোঁজ নয়, বরং এটি আমাদের সবার জন্য একটি শিক্ষণীয় অভিজ্ঞতা। প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা সকলেই নতুন কিছু শিখেছে এবং ভবিষ্যতে আরও বড় উদ্ভাবন নিয়ে আসার অনুপ্রাণিত হয়েছে। প্রতিযোগীতায় শিক্ষার্থীরা প্রমাণ করেছে, আমাদের তরুণ প্রজন্মের মধ্যে অসীম সম্ভাবনা রয়েছে। প্রত্যেকটি প্রকল্পই আলাদা এবং একেকটি নতুন চিন্তার প্রতিফলন। উদ্ভাবনী প্রতিযোগিতা শুধু একটি ইভেন্ট নয়; এটি হলো কারিগরি শিক্ষার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টির সবচাইতে কার্যকর মঞ্চ।

ড. এটি. এম. রেজাউল করিম বলেন,দক্ষতা একজন মানুষকে কর্মবাজারে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে এবং তাকে স্বনির্ভর করতে সাহায্য করবে। উদ্ভাবনী প্রতিযোগিতা শিক্ষার্থীদের সেই দক্ষতা বাড়াতে সাহায্য করে এবং কার্যকরী সমস্যা সমাধানের রুপরেখা তৈরী করে। অধ্যক্ষ মো কামাল হোসেন বলেন, এই প্রতিযোগিতায় উত্থাপিত সাশ্রয়ী ও টেকসই সমাধানগুলো কৃষি, স্বাস্থ্য ও শিক্ষাখাতে আমূল পরিবর্তন আনতে সক্ষম। আমাদের তরুণরা প্রমাণ করেছেন যে তাদের মেধা ও সৃজনশীলতাই দেশকে ‘আধুনিক বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের মূল চালিকাশক্তি।


ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজির চেয়ারম্যান আহসান হাবিব বলেন, উদ্ভাবন শুধু প্রযুক্তির খেলনা নয়, উদ্ভাবন হল মানুষের জীবনকে সহজ ও অর্থপূর্ণ করার হাতিয়ার। আজকের এই ছোট ছোট ধারণাগুলোই আগামী দিনের বড় বড় শিল্প ও সামাজিক পরিবর্তনের বীজ বপন করছে।প্রতিযোগীতায় মোট ২৬৪ টি প্রজেক্ট অংশ নেয়। প্রজেক্ট সমুহকে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ভাগ করে বিভিন্ন মানদন্ডে বিচার বিশ্লেষণ করার জন্য মূল্যায়ন দলে ছিলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা বিভাগের প্রফেসর ড. এ. কে. এম. মাঈনুল হক মিয়াজী, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) এর পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. এইচ.এম

. এ আর মারুফ,চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজের পদার্থবিদ্যা বিভাগের এসোসিয়েট প্রফেসর ও বিভাগীয় প্রধান মো. দিদারুল আলম মজুমদার। চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট এর সিভিল ডিপার্টমেন্ট প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান প্রকৌশলী মো জাহাঙ্গীর আলম, কম্পিউটার বিভাগের চীফ ইন্সট্রাক্টর প্রকৌশলী মেহেদী, ইলেকট্রিক্যাল বিভাগ চীফ ইন্সট্রাক্টর প্রকৌশলী সুজিত কুমার বিশ্বাস, মেকানিক্যাল ডিপার্টমেন্ট এর চীফ ইন্সট্রাক্টর প্রকৌশলী নুরুননবী।

বিচারক প্যানেল প্রজেক্ট সমুহ মূল্যায়ন সম্পন্ন করেন। মূল্যায়নে প্রাপ্ত নাম্বারের ভিত্তিতে টপ টেন নির্ধারণ করে পুরস্কার হিসেবে ১ম,২য় ও ৩য় স্থান অর্জন কারীর মধ্যে যথাক্রমে ৫০ হাজার, ৩০ হাজার ও ২০ হাজার নগদ অর্থ ও ক্রেস্ট পুরস্কৃত করা হয়। এছাড়া ইমার্জিং প্রজেক্ট হিসেবে চতুর্থ থেকে ১০ম স্থান অর্জনকারীদেরও ৫ হাজার নগদ অর্থ ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। সমাপনী পর্বে সকল অংশগ্রহণকারীকে সনদ বিতরণ করা হয়।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ