আজঃ সোমবার ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫

অবশেষে প্রশস্ত হচ্ছে কক্সবাজার-চট্টগ্রামের ৫৬ কিলো সড়ক

এম মনির চৌধুরী রানা চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধু টানেল সংযোগ সড়ক থেকে চট্টগ্রাম কসকবাজার (চকরিয়া) পর্যন্ত ৫৬ কিলোমিটার সড়ক অবশেষে প্রশস্ত হচ্ছে। এতে ব্যয় হবে ৩০০ কোটি টাকা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পটিয়া,আনোয়ারা,বাঁশখালী, টইটং সড়ক উন্নয়নের মাধ্যমে দক্ষিণ চট্টগ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থায় বড় পরিবর্তন আসবে। ১৮ ফুট থেকে ৩৪ ফুটে উন্নীত হবে এই সড়ক। টানেল হয়ে কক্সবাজারমুখী এই সড়কটি বড় হলে কক্সবাজার পর্যন্ত অর্থনৈতিক অঞ্চলের যে সম্ভাবনা তা আরো বেগবান হবে। সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্র জানায়, পটিয়া,আনোয়ারা,বাঁশখালী, টইটং সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের উন্নয়ন কাজ আগামী এক বছরের মধ্যে শুরু হবে। আনোয়ারার কালা বিবির দিঘি থেকে চকরিয়া পর্যন্ত ৫৬ কিলোমিটার সড়ক ১৮ ফুট থেকে ৩৪ ফুটে উন্নীত করার প্রস্তাব সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রেরণ করা হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে দক্ষিণ চট্টগ্রামের আনোয়ারা, বাঁশখালী ও চকরিয়াসহ কক্সবাজারের সাথে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থায় আরেকটি মাইলফল হিসেবে কাজ করবে। এতে লক্ষ লক্ষ মানুষ যাতায়াত ব্যবস্থায় সুফল ভোগ করবে। পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু টানেলে যানবাহন ব্যবহার বাড়বে বলে জানান চট্টগ্রাম দক্ষিণ সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সুমন সিংহ। চট্টগ্রাম দক্ষিণ সড়ক বিভাগ সূত্রে জানা যায়, বঙ্গবন্ধু টানেল ঘিরে দক্ষিণ চট্টগ্রামে সড়ক নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা বাড়ানোর লক্ষ্যে ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে প্রকল্পটি অনুমোদন পাবে। এরপর টেন্ডার প্রক্রিয়ায় যাবে। বর্তমানে আনোয়ারা উপজেলার পটিয়া, আনোয়ারা ও বাঁশখালী (পিএবি) সড়কের কালা বিবি দিঘির মোড়ের পর থেকে বাঁশখালী উপজেলার পুকুরিয়া ইউনিয়নের চাঁনপুর বাজার পর্যন্ত ১০০ ফুট ভূমি অধিগ্রহণ রয়েছে। চাঁনপুর বাজার থেকে চকরিয়া পর্যন্ত বর্তমানে ১৮ ফুট প্রশস্ত আছে। দক্ষিণ চট্টগ্রামের কয়েক উপজেলার লক্ষ লক্ষ মানুষ কক্সবাজার, কুতুবদিয়াসহ বিভিন্ন উপজেলায় যাতায়াত করে থাকেন। কিন্তু সড়কটি প্রয়োজনের তুলনায় প্রশস্ত না হওয়ায় যানজট ও দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করেন যাত্রীরা। সড়কটি ১৮ ফুট থেকে ৩৪ ফুট প্রশস্ত হলে নির্বিঘ্নে যাতায়াত করা যাবে এবং দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। চট্টগ্রাম দক্ষিণ সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সুমন সিংহ বলেন, বঙ্গবন্ধু টানেল ঘিরে দক্ষিণ চট্টগ্রাম সড়ক বিভাগের উদ্যোগে সড়ক যোগাযোগ নেটওয়ার্কে বৈপ্লবিক উন্নয়নে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে পটিয়া,আনোয়ারা,বাঁশখালী, টইটং সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের প্রস্তাব সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে অনুমোদনের জন্য প্রেরণ করা হয়েছে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে প্রকল্পটি অনুমোদন শেষে টেন্ডার প্রক্রিয়া যাবে। আশা করছি, আগামী এক বছরের মধ্যে এ প্রকল্পের কাজ শুরু করা হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে কক্সবাজারের সাথে চট্টগ্রামের বিকল্প সড়ক হিসেবে যোগাযোগ ব্যবস্থায় মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে। এই সড়কে যানজট ও দুর্ঘটনা অনেকাংশে কমে যাবে। লক্ষ লক্ষ মানুষ যোগাযোগ সুবিধা লাভ করবে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

ভাঙ্গুড়ায় ধর্ষণ মামলায় স্কুল ছাত্রীর কথিত প্রেমিক গ্রেফতার

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় ধর্ষণ মামলায় নবম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীর কথিত প্রেমিক কে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। কথিত প্রেমিকের নাম বুলবুল (২০)। তিনি উপজেলার দিলপাশার ইউনিয়নের চাচকিয়া গ্রামের মোহাম্মদ আলী ফকিরের ছেলে।রবিবার(৭ ডিসেম্বর) সকালে নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গত শুক্রবার রাত ১১টার দিকে চাচকিয়া বিলের মধ্য নিয়ে গিয়ে ওই স্কুল ছাত্রী কে তার প্রেমিক বুলবুল সহ বন্ধুরা মিলে দলবদ্ধ ভাবে ধর্ষণ করে।

এ ঘটনায় শনিবার রাতে ভুক্তভোগী মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে ভাঙ্গুড়া থানায় ধর্ষণ মামলা রজ্জু করেন। মামলায় তথিত প্রেমিক বুলবুল সহ ৪ জন কে আসামি করা হয়।

ধর্ষণের খবর পেয়ে এএসপি সার্কেল (চাটমোহর) আবু বক্কার সিদ্দিক ও থানার ওসি মোঃ শফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

জানা গেছে, ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর সঙ্গে বুলবুল এর প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। ঘটনার দিন গত শুক্রবার রাত ১১ টার দিকে ওই স্কুল ছাত্রীকে চাচকিয়া বিলের মধ্যে ডেকে নিয়ে গিয়ে বুলবুল তার বন্ধু সোহানুজ্জামান ও তাওহিদ মিলে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এসময় তারা মেয়েটির অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে এবং ঘটনাটি কাউ কে জানালে তা ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। পরদিন শনিবার দুপুরে ঘটনা জানার পর ভুক্তভোগী মেয়েটির বাবা থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।

ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ শফিকুল ইসলাম জানান, গ্রেফতারকৃত বুলবুল কে দুপুরে পাবনা আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে। মেয়েটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পাবনা সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ বাকি আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।

সাঘাটায় নবযোগদানকৃত ইউএনও আশরাফুল কবীরকে সাংবাদিকদের ফুলেল শুভেচ্ছা

গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় নবযোগদানকৃত উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আশরাফুল কবীরকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছেন উপজেলায় কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা। বৃহস্পতিবার সকালে ইউএনও কার্যালয়ে এ শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠিত হয়।

সাংবাদিকরা ইউএনওকে দায়িত্ব গ্রহণের জন্য অভিনন্দন জানান এবং সাঘাটার সার্বিক উন্নয়ন ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় তাঁর সাফল্য কামনা করেন। এসময় ইউএনও আশরাফুল কবীর সাংবাদিকদের শুভেচ্ছা গ্রহণ করে বলেন,
“সাঘাটার উন্নয়ন ও জনসেবার মানোন্নয়নে প্রশাসন ও গণমাধ্যম পরস্পরের পরিপূরক। স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সংবাদকর্মীদের সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”তিনি আরও বলেন,সাঘাটা উপজেলার সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে একটি জনবান্ধব প্রশাসন গড়ে তুলতে চাই। এ কাজে গণমাধ্যমের গঠনমূলক ভূমিকা অব্যাহত থাকবে বলে আমি বিশ্বাস করি।”

শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে সাংবাদিকরা নতুন ইউএনওর সঙ্গে বিভিন্ন উন্নয়ন পরিকল্পনা, প্রশাসনিক কার্যক্রম এবং স্থানীয় সমস্যাবলি নিয়ে মতবিনিময় করেন। অনুষ্ঠানে জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকা, অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয় মহলে ধারণা করা হচ্ছে, ইউএনও আশরাফুল কবীরের যোগদানে সাঘাটা উপজেলায় প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড আরও গতিশীল হবে এবং উন্নয়ন কার্যক্রমে নতুন দিগন্ত যুক্ত হবে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ