আজঃ শনিবার ৬ ডিসেম্বর, ২০২৫

অবশেষে প্রশস্ত হচ্ছে কক্সবাজার-চট্টগ্রামের ৫৬ কিলো সড়ক

এম মনির চৌধুরী রানা চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধু টানেল সংযোগ সড়ক থেকে চট্টগ্রাম কসকবাজার (চকরিয়া) পর্যন্ত ৫৬ কিলোমিটার সড়ক অবশেষে প্রশস্ত হচ্ছে। এতে ব্যয় হবে ৩০০ কোটি টাকা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পটিয়া,আনোয়ারা,বাঁশখালী, টইটং সড়ক উন্নয়নের মাধ্যমে দক্ষিণ চট্টগ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থায় বড় পরিবর্তন আসবে। ১৮ ফুট থেকে ৩৪ ফুটে উন্নীত হবে এই সড়ক। টানেল হয়ে কক্সবাজারমুখী এই সড়কটি বড় হলে কক্সবাজার পর্যন্ত অর্থনৈতিক অঞ্চলের যে সম্ভাবনা তা আরো বেগবান হবে। সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্র জানায়, পটিয়া,আনোয়ারা,বাঁশখালী, টইটং সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের উন্নয়ন কাজ আগামী এক বছরের মধ্যে শুরু হবে। আনোয়ারার কালা বিবির দিঘি থেকে চকরিয়া পর্যন্ত ৫৬ কিলোমিটার সড়ক ১৮ ফুট থেকে ৩৪ ফুটে উন্নীত করার প্রস্তাব সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রেরণ করা হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে দক্ষিণ চট্টগ্রামের আনোয়ারা, বাঁশখালী ও চকরিয়াসহ কক্সবাজারের সাথে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থায় আরেকটি মাইলফল হিসেবে কাজ করবে। এতে লক্ষ লক্ষ মানুষ যাতায়াত ব্যবস্থায় সুফল ভোগ করবে। পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু টানেলে যানবাহন ব্যবহার বাড়বে বলে জানান চট্টগ্রাম দক্ষিণ সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সুমন সিংহ। চট্টগ্রাম দক্ষিণ সড়ক বিভাগ সূত্রে জানা যায়, বঙ্গবন্ধু টানেল ঘিরে দক্ষিণ চট্টগ্রামে সড়ক নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা বাড়ানোর লক্ষ্যে ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে প্রকল্পটি অনুমোদন পাবে। এরপর টেন্ডার প্রক্রিয়ায় যাবে। বর্তমানে আনোয়ারা উপজেলার পটিয়া, আনোয়ারা ও বাঁশখালী (পিএবি) সড়কের কালা বিবি দিঘির মোড়ের পর থেকে বাঁশখালী উপজেলার পুকুরিয়া ইউনিয়নের চাঁনপুর বাজার পর্যন্ত ১০০ ফুট ভূমি অধিগ্রহণ রয়েছে। চাঁনপুর বাজার থেকে চকরিয়া পর্যন্ত বর্তমানে ১৮ ফুট প্রশস্ত আছে। দক্ষিণ চট্টগ্রামের কয়েক উপজেলার লক্ষ লক্ষ মানুষ কক্সবাজার, কুতুবদিয়াসহ বিভিন্ন উপজেলায় যাতায়াত করে থাকেন। কিন্তু সড়কটি প্রয়োজনের তুলনায় প্রশস্ত না হওয়ায় যানজট ও দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করেন যাত্রীরা। সড়কটি ১৮ ফুট থেকে ৩৪ ফুট প্রশস্ত হলে নির্বিঘ্নে যাতায়াত করা যাবে এবং দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। চট্টগ্রাম দক্ষিণ সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সুমন সিংহ বলেন, বঙ্গবন্ধু টানেল ঘিরে দক্ষিণ চট্টগ্রাম সড়ক বিভাগের উদ্যোগে সড়ক যোগাযোগ নেটওয়ার্কে বৈপ্লবিক উন্নয়নে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে পটিয়া,আনোয়ারা,বাঁশখালী, টইটং সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের প্রস্তাব সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে অনুমোদনের জন্য প্রেরণ করা হয়েছে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে প্রকল্পটি অনুমোদন শেষে টেন্ডার প্রক্রিয়া যাবে। আশা করছি, আগামী এক বছরের মধ্যে এ প্রকল্পের কাজ শুরু করা হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে কক্সবাজারের সাথে চট্টগ্রামের বিকল্প সড়ক হিসেবে যোগাযোগ ব্যবস্থায় মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে। এই সড়কে যানজট ও দুর্ঘটনা অনেকাংশে কমে যাবে। লক্ষ লক্ষ মানুষ যোগাযোগ সুবিধা লাভ করবে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

‎শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বদলি জনিত বিদায় সংবর্ধনা

‎সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে মানবিক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলা হল রুমে এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ কামরুজ্জামান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ মুশফিকুর রহমান,উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মাসুদ রানা,থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসলাম আলী,উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ – আল মামুন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ এস এম শাহাদাত হোসেন, উপজেলা প্রার্থমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ মুরাদ হোসেন সহ উপজেলার সকল কর্মকর্তা কর্মচারীগণ। অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগণ,

উপজেলার বিভিন্ন সাংস্কৃতি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব ও এলাকার সূধী মহল। প্রায় দুই বছর যাবৎ ধরে মোঃ কামরুজ্জামান এই উপজেলায় কর্মরত ছিলেন। এই দুই বছরে তিনি উপজেলায় প্রায় সকল মানুষের মন জয় করেছিলেন। বিশেষ করে দুস্থ অসহায় মানুষের পাশে থেকে বিভিন্ন সাহায্য সহযোগিতা করেছেন তিনি। উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজও করেছেন তিনি। উপজেলার ঐতিহ্যবাহী হযরত মখদুম শাহদৌলা শহীদ ইয়েমেনী (রহ.) এর মাজারের কাজ দীর্ঘদিন যাবৎ বন্ধ ছিলো সে কাজ এখন সম্পন্ন হওয়ার পথে এই কাজটা নির্বাহী মোঃ কামরুজ্জামানের অবদান, উপজেলার পৌর শহরটাকে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনতে উপজেলার প্রধান প্রধান পয়েন্ট তিনি সিসি ক্যামেরা স্থাপনের কাজ শুরু করেছিলেন। উপজেলা পরিষদের পুকুরটি দীর্ঘ দিন যাবৎ অবহেলিত হয়ে পরেছিলো তিনি পুকুর সংস্কারের কাজ করে সেখানে মানুষের বিশ্রামের উপযোগী করে তুলেছেন। উপজেলার পৌর পার্কের উদ্ধোধন ও করেছেন তিনি। শুধু তাই নয় তিনি অসহায় দুস্থ গরীবের সন্তানদের লেখা পড়ার সুযোগসহ তাদের পাশে দ্বাড়িয়েছিলেন কন কনে শীতের মধ্যে রাতে পৌর শহরে নিজে ঘুরে ঘুরে শীতার্ত মানুষকে খুজে বের করে সরকারি অনুদানের কম্বল বিতরণ করেছিলেন। এক কথায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ কামরুজ্জামান ছিলেন একজন মানবিক নির্বাহী কর্মকর্তা। তার আচারনে শাহজাদপুরবাসী মুগ্ধ। তার বিদায় বেলায় শাহজাদপুরের বেশির ভাগ সাধারন মানুষ অশ্রু সিক্ত।

‎শাহজাদপুর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে আনুষ্ঠানিকভাবে দলিল পুড়িয়ে ধ্বংস।


‎সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে মালিক শনাক্ত না হওয়া বিপুল সংখ্যক নিবন্ধিত দলিল আনুষ্ঠানিকভাবে আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে।
জানা যায় ২০১৭ ও ২০১৮ সালে নিবন্ধিত এসব দলিল ডেলিভারি না নেওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে অফিসে জমিয়ে রাখা ছিলো। মালিকানা যাচাইয়ের জন্য একাধিকবার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলেও নির্ধারিত সময়ে কেউ উপস্থিত না হওয়ায় কর্তৃপক্ষ দলিলগুলো ধ্বংসের সিদ্ধান্ত নেয়।

উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার মোঃ রবিউল ইসলাম বলেছেন, মালিকবিহীন দলিল সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা নেই এবং নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকি এড়াতেই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী নোটিশ প্রকাশ, সময়সীমা প্রদান ও যাচাই-বাছাই সম্পন্ন করার পর দলিলগুলো ধ্বংস করা হয়েছে।স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলেছেন, মালিকহীন দলিল অনেক সময় দালালচক্রের অপব্যবহারের সুযোগ সৃষ্টি করে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ