আজঃ বৃহস্পতিবার ২২ মে, ২০২৫

ফসলি জমি নষ্ট করে জোড় পূর্বক রাস্তা নির্মাণ

মদন (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি

কৃষকের ফসসি জমি নষ্ট করে জোড় পূর্বক রাস্তা নির্মাণ করার লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফসল নষ্ট করায় ভুক্তভোগী কৃষক ফজলে রাব্বি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগটি দায়ের করেছেন।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় ও লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে তৃতীয় পর্যায়ে কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিটা) প্রকল্পের আওতায় মদন ইউনিয়নের বৃ-বরিকান্দি গ্রামের সামনের হাওরে একটি প্রকল্প নেওয়া হয়। মারফত আলীর জমি হইতে লিয়াকত আলীর জমি পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণে বরাদ্দ দেওয়া হয় ২ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। ওই প্রকল্পের পিআইসি কমিটির সভাপতি করা হয় ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আতিকুল ইসলামকে। অভিযোগ রয়েছে, রাস্তা নির্মাণ করতে কৃষক ফজলে রাব্বীর রোপনকৃত বোরো জমির ফসলসহ আরো ৫/৭ জন কৃষকের লাখ টাকার ফসল জোর পূর্বক নষ্ট করা হয়। এ নিয়ে প্রতিবাদ করায় কৃষকদের চাঁদাবাজির অপবাদ দেওয়া হচ্ছে। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী কৃষক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার সরজমিন গেলে দেখা যায়, দুই পাশের জমির বোরো ফসল নষ্ট করে রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। বরাদ্দের তুলনায় কাজ করা হয়েছে নামে মাত্র। এ নিয়ে স্থানীয় কৃষকদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

ভুক্তভোগী কৃষক ফজলে রাব্বি জানান, ‘জোর পূবর্ক রাস্তা নির্মাণ করে আমাদের ফসলি জমি নষ্ট করেছে। এখানে মাটি কেটে আমাদের আরো দূর্ভোগের সৃষ্টি করেছে। রাস্তা নির্মাণের নামে সরকারি বরাদ্দ তারা লুটপাট করছে। প্রতিবাদ করায় চাঁদাবাজির অপবাদ দেওয়া হচ্ছে।’

প্রকল্পের পিআইসি কমিটির সভাপতি মদন ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আতিকুল ইসলাম জনান, ‘এ বিষয়ে আমি কিছু বলব না। প্রকল্পের কত টাকা বরাদ্দ তাও আমি জানি না।’

এ ব্যাপারে মদন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খাইরুল ইসলাম জানান, ‘ফজলে রাব্বী মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে। প্রকল্পের পিআইসির কাছে সে টাকা দাবি করেছিল। টাকা না দেওয়ায় মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে।’

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ হুমায়ূন কবির জানান, ‘অভিযোগের বিষয়টি আমি অবগত হয়েছি। বিষয়টি খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ শাহ আলম মিয়া জানান, ‘ফসলী জমি নষ্ট করে রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ পেয়েছি। এ ব্যাপারে খোঁজ নিতে প্রকল্প বাস্তাবায়ন কর্মকর্তাকে বলা হয়েছে।’

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

রায়পুরাতে ব্র্যাক মাইগ্রেশন’র স্কুল প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত

রিইন্টিগ্রেশন অব মাইগ্রেন্ট ওয়ার্কার্স ইন বাংলাদেশ প্রজেক্ট , ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম বিদেশ ফেরত অভিবাসীদের সচেতনতা আনয়নে স্থানীয় পর্যায়ে নিরাপদ অভিবাসন ও রেমিটেন্স ব্যবস্থাপনার উপর কুইজ প্রতিযোগিতা এবং পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে স্কুলের সাধারন শিক্ষার্থীদের নিয়ে।

আজ (১৮ মে) রবিবার সকাল ১১ টায় নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার চান্দেরকান্দি ইউনিয়নের শতদল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাকক্ষে স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো: মফিজুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিদেশ ফেরত অভিবাসীদের পুনরেকত্রীকরনে অভিবাসীদের জন্য পরিচালিত প্রশিক্ষন, রেফারেলসেবা এবং সরকারি সেবাসমুহ সম্পর্কে ফিল্ড অর্গানাইজার মোছাঃ শরিফা আক্তার শিক্ষার্থীদের জানান। ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম ২০০৬ সাল থেকে অভিবাসীদের কল্যানে কাজ করে আসছে। মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের আওতায় বিভিন্ন সচেতনতামূলক কার্যক্রম, বিদেশ ফেরতদের পুনরেত্রীকরণ এবং ভুক্তভোগীকে জরুরি সাহায্য প্রদানসহ নানা ধরনের আইনি সহায়তা প্রদান করা হয়।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সহকারী শিক্ষকা শারমিন আক্তার শিল্পী ও ব্র‍্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের উত্তর বাখরনগর ইউনিয়নের ভলান্টিয়ার সোহানা আক্তার, মোস্তাকিমা আক্তার,চান্দেরকান্দি ইউনিয়নের রেনু আক্তার’সহ প্রমুখ।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে শ্বশুর-শাশুড়ির নির্যাতনে মারাত্মক আহত পুত্রবধূ-পলাতক শ্বশুর-শাশুড়ি।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার দাইপুখুরিয়া ইউনিয়নের চাকলা গ্রামে শ্বশুর-শাশুড়ির নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়েছেন জিয়াসমিন (৩২) নামের এক গৃহবধূ। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাথ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছেন। আহত জিয়াসমিন ওই গ্রামের আতিকুল ইসলামের স্ত্রী। তাঁর পিতার বাড়ি একই উপজেলার মির্জাপুর গ্রামে।

তিনি মৃত জামাল উদ্দিন জুমুর মেয়ে। বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রবিবার সকালে পারিবারিক কলহের জেরে শ্বশুর আলহাজ্ব সাইদুর রহমান মিয়া (৭০) ও শাশুড়ি আলহাজ্ব আয়েশা বেগম মিলে পুত্রবধূ জিয়াসমিনকে বেধড়ক মারধর করেন। একপর্যায়ে জ্ঞান হারান জিয়াসমিন। ধারণা করা হয়, তাঁরা তাঁকে মৃত ভেবে রেখে পালিয়ে যান। পরে

প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। জিয়াসমিনের পরিবারের অভিযোগ, দীর্ঘ ২০ বছর ধরে বিভিন্নভাবে তাঁকে নির্যাতন করে আসছিলেন শ্বশুর-শাশুড়ি। একাধিকবার এ নিয়ে সালিস হলেও নির্যাতন বন্ধ হয়নি। স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দুইজন হজ করে এসে যদি মানুষ না হন, তাহলে সেটা সমাজের জন্য লজ্জার। একজন গৃহবধূকে এভাবে নির্যাতন করার অধিকার তাঁদের নেই। আমরা এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই। ঘটনার পর অভিযুক্ত সাইদুর রহমান ও আয়েশা বেগম পলাতক রয়েছেন।

তাঁদের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় চাকলা গ্রামে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয়রা প্রশাসনিক পদক্ষেপ ও দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন। এবিষয়ে শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম কিবরিয়া বলেন, ঘটনাটি পারিবারিক কলহ থেকে ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি। একটি পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, অন্য পক্ষও অভিযোগ দিতে পারে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ