
ফের সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কায় পার্বত্য জেলা বান্দরবানের রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলায় সোনালী ব্যাংক শাখার সব কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বন্ধ রয়েছে কৃষি ব্যাংকের কার্যক্রমও। একই সঙ্গে জেলা সদরের প্রতিটি ব্যাংক এবং এটিএম বুথে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) সকালে বান্দরবান সোনালী ব্যাংকের ডিজিএম ইনচার্জ মোহাম্মদ ওসমান গণি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ব্যাংকের নিরাপত্তার স্বার্থে ঊর্ধ্বতন কর্তপক্ষের নির্দেশনায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তিনটি উপজেলায় আগের মতো ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
এ দিকে ব্যাংকগুলোর কার্যক্রম বন্ধ থাকায় বৈসাবী ও ঈদের বাজারের এই সময়ে গ্রাহকদের দুর্ভোগ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। তারা ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করতে না পারার কারণে বৈসাবী ও ঈদ উৎসব কিভাবে পালন করবে ,আদো পারবে কিনা তা নিয়ে উদ্বিগ্ন ও অনিশ্চয়তার মধ্যে এগিয়ে আসছে উভয় সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর ও মহা সাংগ্রাই বৈসাবী বা বিজু উৎসব।
সংশ্লিষ্টরা জানান, বন্ধ থাকা তিনটি উপজেলার ব্যাংকগুলোর গ্রাহকরা জেলা সদরের সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেন করতে পারবেন। এ ছাড়া লামা, আলীকদম ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় স্বাভাবিক নিয়মে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
এ দিকে ঘটনার তিন দিন পরও উদ্ধার করা হয়েছে রুমা উপজেলার সোনালী ব্যাংকের অপহৃত ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনেকে।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৮ টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত চলে স্হানীয় প্রশাসনের সাথে কেএনএফ সদস্যদের মধ্যে গুলাগুলির ঘটনায় আরও ভিত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছে পাহাড়ের বসবাসরত বাঙালি অবাঙালীরা। ব্যাবসায়ীদের মধ্যে বিরাজ করছে চাপা আতংক।
এ ছাড়া রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সেখানে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশ টহল দিচ্ছে।
উল্লেখ্য, বুধবার (৩ এপ্রিল) বেলা ১টার দিকে বান্দরবানের থানচিতে সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এর আগে, মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রুমায় সোনালী ব্যাংক থেকে অস্ত্র ও টাকা লুট করে একটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী দল।