
কোন বিপণনী বা বাজার নয়,ভ্রাম্যমাণ একটি দোকানে থরে থরে সাজানো ঈদের নতুন পোশাক। শার্ট, প্যান্ট, পাঞ্জাবি, ফ্রগ,কামিজ সহ নানা ধরণের পোশাক সামগ্রী দিয়ে সাজানো ৪ টি স্টল।
শিশুরা যার যার পছন্দ মতো পোশাক নিচ্ছে ৷ অপর পাশে পোলাও চাল, সেমাই, চিনি ও পেয়াঁজ নিয়ে বসেছে আরেকটি স্টল। পোশাক ও খাদ্য সামগ্রী নিতে দিতে হচ্ছে না কোনো টাকা।

শনিবার কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলাধীন হোসেনপুর সরকারি মডেল পাইলট স্কুল এন্ড কলেজে প্রাঙ্গণে এই ইভেন্টের আয়োজন করা হয়।
ইভেন্টের আয়োজন করে শিশুদের হাসি ফাউন্ডেশন নামে স্থানীয় একটি সংগঠন।
স্কুল শিক্ষার্থীদের টিফিনের জমানো টাকায় প্রতিষ্ঠিত সংগঠন শিশুদের হাসি ফাউন্ডেশনের আয়োজনে-উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনিন্দ্য মন্ডল অনুষ্ঠানটিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ।

এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা তানভীর হোসেন জিকু, হোসেনপুর থানার অফিসার ইনচার্জ নাহিদ হাসান সুমন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা উজ্জল হোসাইন,আবাসিক মেডিকেল অফিসার দেবাঞ্জনপন্ডিত, শিশুদের হাসি ফাউন্ডেশন এর উপদেষ্টা এবিএম চঞ্চল , হোসেনপুর সরকারি মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এস এম জহির রায়হান,সাংবাদিক জাকির হোসেন,নয়া শতাব্দী সাংবাদিক আশরাফ আহমেদ, কালবেলার সাংবাদিক উজ্জ্বল সরকার ,মাওলানা আব্দুল ওয়াদুদ মোকসুদ, সাবেক ছাত্রলীগের সভাপতি আল আমিন অপু, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোখলেসছর রহমান প্রমুখ। এরপর শিশুদের হাসি ফাউন্ডেশনের ফিতা কেটে “বিনা পয়সার বাজার” উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি নির্বাহী অফিসার অনিন্দ্র মন্ডল।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনিন্দ মন্ডল বলেন, এমন উদ্যোগ আগে কখনো দেখিনি । তারা যে কার্যক্রম করেছে এতে শিশুদের পছন্দের অধিকার নিশ্চিত হয়েছে। এমন কার্যক্রমে অংশগ্রহন করতে পেরে নিজের কাছে অনেক ভালো লাগছে।
বিনা পয়সার বাজারের ক্রেতা মোবারক(৫) জানায়, কোনো টাকা ছাড়াই সে নিজের পছন্দনুযায়ী পোশাক কিনতে পেরেছে। নিজের পছন্দের জিনিস পেয়ে তার অনেক ভালো লাগছে।
আরেক ক্রেতা ঝুমা(৮) বলেন, “আগেও ঈদের পোশাক পাইতাম কিন্তু নিজের পছন্দ কইরা নেওয়ার সুযোগ আছিন না। এইহান থাইক্যা নিজের পছন্দ মতো একটা ফ্রগ লইছি।
শিশুদের হাসি ফাউন্ডেশনের সভাপতি মাহমুদুল হক রিয়াদ বলেন, তারা ৬ বছর ধরে বিভিন্ন ইভেন্টের মাধ্যমে শিশুদের পোশাক বিতরণ করছে। কিন্তু যাকে পোশাক দিচ্ছে তার পছন্দনুযায়ী হয়েছে কিনা সেটা তারা বুঝতে পারতো না। বাচ্চাদের পছন্দের অধিকার দিতেই এই আয়োজন করা হয়েছে।
সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত চলে এই বাজার। প্রায় দুইশতাধিক শিশু ঈদের পোশাক ও শতাধিক পরিবার খাদ্যসামগ্রী পেয়েছে বিনা পয়সার বাজার থেকে। শিশুরা এ ধরনের বিনা পয়সায় বাজার সামগ্রী পেয়ে অত্যন্ত খুশি এবং এ বছরের ন্যায় প্রতিবছর যেন এভাবে চলমান তাকে তারা উদ্যেগ প্রকাশ করেন।